Ajker Patrika

৩ সেকেন্ডের দূরত্বই যখন অনেক দূরের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৩ সেকেন্ডের দূরত্বই যখন  অনেক দূরের

পাঁচ বছর ধরে ৪০০ মিটার দৌড়ের বিশ্ব রেকর্ডটা নিজের দখলে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ভায়ডে ফন নিয়েকার্ক। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে প্রোটিয়া দৌড়বিদের ৪৩.০৩ সেকেন্ডে গড়া রেকর্ড থেকে বাংলাদেশের জাতীয় রেকর্ডের ব্যবধান ৩.৮৩ সেকেন্ড। ২০১৯ জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ৪৬.৮৬ সেকেন্ডে এই রেকর্ড গড়েছিলেন জহির রায়হান।

সাদা চোখে ব্যবধানটা কয়েক সেকেন্ডের। জাতীয় রেকর্ডটা যাঁর দখলে সেই জহির রায়হানই বলছেন, ফটো ফিনিশিংয়ের যুগে তিন সেকেন্ডের ব্যবধানটা অনেক! এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ কতটা পিছিয়ে, না বললেও চলছে। টোকিও অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকসে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হয়ে ৪০০ মিটার দৌড়ের ট্র্যাকে নামবেন অ্যাথলেট জহির। টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ১ আগস্ট সকালে হবে ৪০০ মিটার দৌড়ের বাছাই। সেটি সামনে রেখে বিকেএসপিতে চলছে জহিরের অনুশীলন। তিনি টোকিওর ফ্লাইট ধরবেন ২৫ জুলাই।

টোকিওর সময়ের সঙ্গে মিল রেখে বিকেএসপিতে সকালে অনুশীলন চলছে জহিরের। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমাদের সব সময় চাওয়া, লম্বা সময় নিয়ে প্রস্তুতির ব্যবস্থা করে দেওয়া। ভালো অনুশীলন ছাড়া কোনো অর্জন সম্ভব নয়, সেটা সবাই জানে। খুবই অল্প সময় পেয়েছি হাতে, আমি আমার মতো চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি হাল না ছাড়ার।’

আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসে কতটা পিছিয়ে বাংলাদেশ, সেই তুলনা করতে গিয়ে তিন সেকেন্ডের বিষয়টি আবারও সামনে আনলেন জহির। বললেন, ‘তিন সেকেন্ডের ব্যবধান মানে আমরা অনেক পিছিয়ে। দূরত্বটা কমিয়ে আনা আসলেই কঠিন কাজ। ১০০ মিটার দৌড়ে বিশ্ব রেকর্ড ৯.৫৮। আর আমাদের দেশে সেটি ১০ সেকেন্ডেরও বেশি। ৪০০ মিটারের দৌড় আরও বেশি কঠিন। ভালো করতে অনেক কিছু দরকার। মনোবল, ধৈর্য, শক্তি—এসবের সমন্বয় করতে হয়। ১০০ মিটার দৌড়ে হয়তো ব্যবধানটা খুব বেশি চোখে পড়ে না। তবে ৪০০ মিটার দৌড়ে খালি চোখেই বোঝা যায় সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে।’

২০১৭ কেনিয়ার বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিকসের সেমিফাইনালে খেলেছিলেন জহির। দেশের দ্রুততম মানব-মানবী মো. ইসমাইল হোসেন ও শিরিন আক্তারকে এড়িয়ে জহিরকেই অলিম্পিকের জন্য বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। তাঁর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সেই অলিম্পিকের দুয়ার খুলেছে বলে দাবি জহিরের, ‘সব দিক দিয়ে ফেডারেশন যাকে যোগ্য মনে করেছে, তাকেই সুযোগ দিয়েছে। ইসমাইল হোসেন ও শিরিন আক্তার, দুজনেই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অ্যাথলেট। তাঁদের মাঝ থেকে আমাকে সুযোগ দেওয়ায় ভীষণ খুশি। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টাই করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত