Ajker Patrika

কেমন হলো ৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ছবি: সংগৃহীত
৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। ছবি: সংগৃহীত

সার্চ কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে গতকাল ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। রাত সাড়ে নয়টার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটা জানানো হয়।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আইন ২০১৮ এর ২১ ধারা অনুযায়ী ৯ ফেডারেশনের আগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই নয়টি ফেডারেশন যথাক্রমে-ব্রিজ, টেনিস, স্কোয়াশ, কাবাডি, অ্যাথলেটিকস, বিলিয়ার্ড-স্নুকার, বাস্কেটবল, দাবা এবং হকি। যেখানে ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব পেলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। টেনিসের সভাপতি করা হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় আব্দুল হাই সরকারকে। এ ছাড়া কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছেন পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম।

গত ৩০ আগস্ট গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ দুই মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত নয়টি ফেডারেশন নতুন কমিটির দেখা পেল। বাকি ফেডারেশনগুলোর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যেহেতু নয়টি ফেডারেশনের কমিটি হয়ে গেছে। এখন আমরা আরও ১৫-২০ ফেডারেশনের খসড়া প্রস্তাব পাঠাব। সেটা মন্ত্রণালয় দেখে ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করবে।’

যদিও সার্চ কমিটির কোনো প্রতিবেদন পাননি বলে একদিন আগেও এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে ফেডারেশনের কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখভাল করা ক্রীড়া-১ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ সানাউল হক। কমিটি নিয়ে প্রশ্ন শুনে খানিকটা বিরক্তই হয়েছিলেন তিনি। কেন বিরক্ত, সে কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, ‘বিষয়টি জানতে অনেকে ফোন দেন। কাউকে সদুত্তর দিতে পারছি না। আমরা এখনো সার্চ কমিটির প্রতিবেদনই পাইনি। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা এখনো প্রতিবেদনগুলো দেয়নি। প্রতিবেদনগুলো হাতে পেলে আমরা কাজ শুরু করে দেব। আমাদের তো প্রতিবেদন পাওয়া লাগবে, তাই না?’

দেশের ৫৫ ফেডারেশন-অ্যাসোসিয়েশন-সংস্থার নিয়ন্ত্রণ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের হাতে থাকলেও সভাপতি কিংবা কমিটি গঠনের এখতিয়ার পুরোপুরি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ক্রীড়াঙ্গনকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে যৌথভাবে শুদ্ধি অভিযানে নামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তারই অংশ হিসেবে ৯টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি দিল মন্ত্রণালয়।

একনজরে ৯ ফেডারেশনের কমিটি

বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন

সভাপতি: এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান

সহ সভাপতি: গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলমগীর (অব.), শাহিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ

সাধারণ সম্পাদক: লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল হাসান (অব.)

যুগ্ম সম্পাদক: কাজী আবু জাফর তপন

কোষ্যাধ্যক্ষ: খাজা মাঞ্জের নাদিম

সদস্য: হোসেন ইমাম শান্টা, কাউছার আলী, শহিদ উল্লাহ দোলন, ইশতিয়াক সাদেক, বায়েজিদ হায়দার, বদরুল ইসলাম দিপু, মো. ইকবাল হোসেন, পারভীন নাছিমা পুতুল, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি ও বিকেএসপি প্রতিনিধি

অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন

সভাপতি: মেজর জেনারেল ড. নাঈম আশফাক চৌধুরী

সহ সভাপতি: বিকেএসপি ডিজি, আবদুন নাসের খান, মো. ইকবাল হোসেন

সাধারণ সম্পাদক: মো. শাহ আলম

যুগ্ম সম্পাদক: কিতাব আলী, মিজানুর রহমান

কোষাধ্যক্ষ: ড. সাব্বির আহমেদ খান

সদস্য: মজিবুর রহমান মল্লিক, ফরিদ খান চৌধুরী, ফিরোজা খাতুন, শর্মিষ্ঠা রায়, এমএম নজির আহমেদ, শিরিন আক্তার, মুজিবুর রহমান, মো. রিয়াজুল ইসলাম, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, নৌ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি ও বিমান ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি

বাস্কেটবল ফেডারেশন

সভাপতি : ডা. শামীম নেওয়াজ

সহ সভাপতি: শাখাওয়াত হোসেন, আসিফ আজিজ

সাধারণ সম্পাদক: মেজর (অব.) মোহাম্মদ আতিকুল হাফিজ

যুগ্ম সম্পাদক: মোহাম্মদ ফয়সাল আজিম, আ স ম আনামুল হাসান তাইমুর

কোষাধ্যক্ষ: মোহাম্মদ তানভীর তিতাস

সদস্য: মো. জাহিদুল ইসলাম (বুলু), ইকবাল হোসেন এমি, জহির উদ্দিন, নাজমুল, ক্যাপ্টেন (অব.) ফজলুর রহমান, বেগম আসরিন মৃধা, আইয়ান আনোয়ার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর, অনিরুদ্ধ তালুকদার বর্ণ

টেনিস ফেডারেশন

সভাপতি: আবদুল হাই সরকার

সহ সভাপতি: আশরাফুজ্জামান খান (পুটন), মোহাম্মদ সেলিম, মোহাম্মদ শাকিল খান

সাধারণ সম্পাদক: ইশতিয়াক আহমেদ

যুগ্ম সম্পাদক: মুয়াম্মার আহমেদ, মোহাম্মদ আশিকুর রহমান

কোষাধ্যক্ষ: এম এ জিন্নাহ

সদস্য: মো. শফিকুল আলম, আশরাফ কায়সার, আবদুর রব শামীম, আহমেদ জিয়াউর রহমান, হোসনে আরা রিনা, মোহাম্মদ শরিফুল আলম, জহিরুল আলম ভূঁইয়া, সাজ্জাদ আলম, এম ফরিদ আহমেদ, অর্ণব সাহা ও বিকেএসপি প্রতিনিধি

দাবা ফেডারেশন

সভাপতি: সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ

সহ সভাপতি: ড. সোয়েব রিয়াজ আলম, ড. আরিফ দৌলাহ

সাধারণ সম্পাদক: তৈয়বুর রহমান সুমন

যুগ্ম সম্পাদক: লোকমান হোসেন মোল্লা (লাভলু), নাজনিন ইসলাম

কোষাধ্যক্ষ: মীর সাজেদ উল–বাশার

সদস্য: আবু সাঈদ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, দুলাল মাহমুদ, রাহাত হোসেন, অনন্য রায়হান, শামীম আকন্দ, মো. আরিফুজ্জামান।

স্কোয়াশ ফেডারেশন

সভাপতি: মেজর জেনারেল মো. হাসান উজ জামান

সহসভাপতি: রাশেদ চৌধুরী, মীর্জা সালমান ইস্পাহানি

সাধারণ সম্পাদক: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম (অব.)

যুগ্ম সম্পাদক: তারেক মাসুদ খান

কোষাধ্যক্ষ: কামরান টি রহমান

সদস্য: মেজর এম তানিম হাসান (অব.), এরশাদ হোসেন, রামজুল সিরাজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গনি (অব.), ফাইয়াজ রহমান, সাজ্জাদ আরেফিন আলম, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষা ডিজি ও বিকেএসপি ডিজি/প্রতিনিধি।

বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশন

সভাপতি: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন (অব.)

সহসভাপতি: আজিজ আল মাসুদ, তাজবির সালেহিন

সাধারণ সম্পাদক: রিয়াসাত করিম ভূঁইয়া

যুগ্ম সম্পাদক: সুলতান মঈন আহমেদ রবিন

কোষাধ্যক্ষ: মনজুরুল হক মনজু

সদস্য: স্কোয়াড্রন লিড মো. খালেদ বিন সালাম (অব.), নূর উদ্দিন জাভেদ, মো. হাসানুজ্জামান, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সুব্রি মোহাম্মদ, সাইফুস সামি আলমগীর, জাহেদুন নবী, আসিফ হানিফ ও শাহ নেওয়াজ শিপন।

কাবাডি ফেডারেশন

সভাপতি: মো. ময়নুল ইসলাম, আইজিপি

সহসভাপতি: হাফিজুর রহমান খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহার হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান

সাধারণ সম্পাদক: এস এম নেওয়াজ সোহাগ

যুগ্ম সম্পাদক: আবদুল হক, গাজী মো. মোজাম্মেল হক

কোষাধ্যক্ষ: মনির হোসেন

সদস্য: মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বি এম ইউসুফ আলী, শরিফ মোহাম্মদ আরিফ মিহির, আসাদুজ্জামান শাহিন, মাসুদুর রহমান চুন্নু, বাদশাহ মিয়া, সুবিমল চন্দ্র দাস, সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিনিধি, বিজিবি ক্রীড়া ও প্রশিক্ষণ বোর্ড প্রতিনিধি ও পুলিশ ক্রীড়া সংস্থা প্রতিনিধি

ব্রিজ ফেডারেশন

সভাপতি: সৈয়দ মাহবুবুর রহমান

সহসভাপতি: সাঈদ আহমেদ রবি, মো. আবুল কাশেম

সাধারণ সম্পাদক: নাঈমুল হাসান

যুগ্ম সম্পাদক: মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

কোষাধ্যক্ষ: মো. জাহিদ হোসেন

সদস্য: শাহ জিয়াউল হক, মো. শওকত হোসেন ভূঁইয়া, নাজমুল হক কিরন, আসিফুর রহমান রাজীব, শেখ আমিন, মাওলা আল মামুন, রাশেদুল হাসান রিপন, মো. আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ এহসানুজ্জামান, মাহমুদুল হাসান সুমন ও তানভীর আহমেদ ইমন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিকেলে কাঁপালেন মোস্তাফিজ, রাতে সাকিব

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো
মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসান দুজনেই দুর্দান্ত বোলিং করেছেন আজ। ছবি: ক্রিকইনফো

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জয়জয়কার। বিকেলে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে গালফ জায়ান্টসকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। আবুধাবি থেকে ১৩৯ কিলোমিটার দূরে দু্বাইয়ে রাতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন সাকিব আল হাসান।

মোস্তাফিজ, সাকিব দুজনই এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো খেলছেন। সাকিব এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন। যার মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ ১০-এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিলেও পাননি কোনো উইকেট। তবে নামটা যে সাকিব আল হাসান, কখন যে ঘুরে দাঁড়াবেন সেটা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। দুবাইয়ে আজ ডেজার্ট ভাইপার্সের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমআই এমিরেটসের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড। সাকিব আজ পাওয়ারপ্লের (প্রথম ৬ ওভার) শেষ হওয়ার ঠিক পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসেছেন। ইনিংসের সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফখর জামানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন ফখর। এক ওভার পরে এসে সাকিব তুলে নিয়েছেন স্যাম কারানের উইকেট। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে কারানকে কট এন্ড বোল্ড করেন সাকিব। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দিয়ে ইনিংসের ১১তম ও ১৫তম ওভার করিয়ে নিয়েছেন পোলার্ড। ৪ ওভারে ১৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া সাকিব আজ কোনো চার-ছক্কা হজম করেননি। এমনকি কোনো ওয়াইড, নো বলও দেননি।

সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের রাতে ডেজার্ট ভাইপার্স ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ড্যান লরেন্স। এমআই এমিরেটসের সাকিব, জহুর খান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ গজনফার ও আরব গুল। ভাইপার্সের ১৮ বলে ১৪ রান করা জেসন রায় হয়েছেন রানআউট।

বিকেলে গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে দুবাই ক্যাপিটালসের ৬ উইকেটের জয়ে মোস্তাফিজ হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। ৩.৫ ওভারে ৩৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এবারের আইএল টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৮.২৯ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। ১৫ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইল। ৮ ম্যাচে ৭.৪৯ ইকোনমিতে সালামখেইল বোলিং করেছেন।

গালফ জায়ান্টসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জেতার পর দুবাই ক্যাপিটালসের পয়েন্ট এখন ৮। সমান ৮ পয়েন্ট এমআই এমিরেটসও। এই দলে খেলছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে নেট রানরেটের কারণে এগিয়ে দুবাই ক্যাপিটালস। ‍+০.৮৩৬ নেট রানরেট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে মোস্তাফিজের দুবাই। তিন নম্বরে অবস্থান করা সাকিবের এমিরেটসের নেট রানরেট ‍+০.৩৪১।

দুবাই ক্যাপিটালস ও এমআই এমিরেটস আট ও সাত ম্যাচ খেলেছে এখন পর্যন্ত। চার ও পাঁচে থাকা গালফ জায়ান্টস, আবুধাবি নাইট রাইডার্স দুই দলেরই পয়েন্ট ৬। চার পয়েন্ট নিয়ে ছয় দলের মধ্যে ছয় নম্বরে অবস্থান করছে শারজা ওয়ারিয়র্স। এখন ভাইপার্সকে হারালে এমআই এমিরেটস দুই নম্বরে উঠে আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতকে একা হাতে শেষ করে দেওয়া কে এই সামির মিনহাজ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সামির মিনহাস। ছবি: ক্রিকইনফো
ভারতের বিপক্ষে ১৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন সামির মিনহাস। ছবি: ক্রিকইনফো

সামির মিনহাসের কাছে ১৬ রানে হেরেছে ভারত—ভক্ত-সমর্থকেরা চাইলে মজা করে এমনটা বলতেই পারেন। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার করেছেন ১৭২ রান। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ওয়ানডে নয়, ভারত-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালটা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

সামিরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ভারতের বিপক্ষে ৩৪৭ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। বরাবরের মতো ভারত-পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এই ফাইনাল ম্যাচটাও হয়েছে একপেশে। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে ভারত গুটিয়ে গেছে ১৫৬ রানে। পাকিস্তানের ১৯১ রানের বিশাল জয়ের পর একই সঙ্গে ম্যাচসেরা, সিরিজসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সামির। ১১৩ বলে ১৭ চার ও ৯ ছক্কায় করেছেন ১৭২ রান। স্বাভাবিকভাবেই ১৯ বছর বয়সী মিনহাসকে নিয়ে অনেকের কৌতূহল জেগেছে। তিনি আসলে পাকিস্তান জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত মিনহাসের ছোট ভাই।

আরাফাত মিনহাসের সঙ্গে সামিরের বয়সের ব্যবধান মাত্র ১ বছর। দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া আরাফাত পাকিস্তানের জার্সিতে খেলেছেন চার টি-টোয়েন্টি। ৫.১৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সামিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক না হলেও এই ১৯ বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের নানা ধাপ অতিক্রম করে এই টপ অর্ডার ব্যাটার পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা করে নিয়েছেন। মুলতানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৩ ক্রিকেট, দক্ষিণ পাঞ্জাব অনূর্ধ্ব-১৬ ও মুলতান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সামিরের।

দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে আজই যে ভারতের বিপক্ষে সামির ঝড় তুলেছেন তা নয়। এর আগে দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে বিস্ফোরক সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১২ ডিসেম্বর সেই ম্যাচে ১৪৮ বলে ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ১৭৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। ৫ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটিতে ৪৭১ রান করে ২০২৫ অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। আজ ভারতের বিপক্ষে ফাইনালসেরা ও টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার পাওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সামির বলেন, ‘দারুণ একটা ইনিংস ছিল। এমন বড় ইনিংস খেলার পরিকল্পনা ছিল। আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে চেয়েছি। এ ধরনের উইকেটে আগে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচটা (ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল) আমার জন্য বেশ স্মরণীয়।’

এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের কাছে হেরে এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল পাকিস্তান। জাতীয় দল রানার্সআপ হলেও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে একের পর এক শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। নভেম্বরে হংকং সিক্সেস, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ—এই দুটি টুর্নামেন্ট জেতে পাকিস্তান। খাজা নাফে, আব্দুল সামাদ, আব্বাস আফ্রিদিরা হংকং সিক্সেসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এই তিন ক্রিকেটারের মধ্যে একমাত্র খাজা নাফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। সবশেষ বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন তিনি।

কাতারে নভেম্বর রাইজিং স্টার্স টুর্নামেন্টে বাংলাদেশকে সুপার ওভারে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মূল ম্যাচে সুফিয়ান মুকিম ও আরাফাত মিনহাস ৩ ও ২ উইকেট নিয়েছিলেন। মূল ম্যাচে ২ উইকেট নেওয়া আহমেদ দানিয়াল সুপার ওভারেও নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ফাইনালসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন মাজ সাদাকাত। টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে লাইমলাইটে চলে এসেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হঠাৎ ভাত থেকে স্যান্ডউইচে চলে গেলি, শামীমকে সাইফউদ্দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে মজা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছবি: ফাইল ছবি
শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে মজা করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ছবি: ফাইল ছবি

১২তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) সামনে রেখে দলগুলো এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে সিলেটে এ সপ্তাহের শুক্রবার মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, আকবর আলীরা অনুশীলনের ফাঁকে আড্ডাচ্ছলে মজাও করেছেন।

মিরপুরে আজ ঢাকা ক্যাপিটালস আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএলের প্রস্তুতি শুরু করেছে। অনুশীলনটা যেন একঘেঁষে না মনে হয়, সেজন্য একে অন্যের সঙ্গে মজা করে সময়টা প্রাণবন্ত করেছেন সাইফউদ্দিন-শামীমরা। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে সাইফউদ্দিন আজ বাংলাদেশ সময় রাতে ১৫ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও ছেড়েছেন। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘শামীম এখন অন্য কিছু খায়’। ভিডিওতে সাইফউদ্দিনকে বলতে শোনা গেছে, ‘শামীম। হঠাৎ করে ভাত থেকে স্যান্ডউইচে চলে গেলি।’ শামীম এরপর তাদের হাতে থাকা স্যান্ডউইচ দেখিয়ে বলেছেন, ‘শুভেচ্ছাদূত।’ সাইফউদ্দিন জানতে চাইলেন, ‘কোনটা বেশি মজা?’ শামীম এরপর প্যাকেট দেখিয়ে বলে, ‘ইউরো।’ ইউরো মূলত সেই স্যান্ডউইচ কোম্পানির নাম।

ছয় দলের বিপিএল সামনে রেখে ঢাকা ক্যাপিটালস গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি শুরু করেছে। অনুশীলনের সময়ই মিঠুনকে অধিনায়ক ঘোষণা করেছে ঢাকা। কেন মিঠুনকেই অধিনায়ক করল ঢাকা, তার ব্যাখ্যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান নির্বাহী আতিক ফাহাদ বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক হওয়ার যোগ্য। আপনি হয়তো দেখেছেন আমাদের সাইফ, তাসকিন, ইমাদ ওয়াসিম আছে। আরও অনেকেই আছে। কাকে অধিনায়কত্ব দেব, সেটা ঠিক করতে আমাদের ম্যানেজমেন্ট, কোচিং প্যানেলেরও অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। শেষ বিপিএলে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিল দলকে (চিটাগং কিংস) এবং আমাদেরও যেহেতু এবার শিরোপা জয়ের ইচ্ছা রয়েছে, আমরা কাপ নিয়ে যাব। সেই পরিকল্পনা থেকেই আমাদের কোচিং প্যানেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিঠুন ভাইকে দেওয়ার। আশা করি সে (মিঠুন) এ বছর ফাইনালে কাপসহ নিয়ে যাবে।’

এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈম শেখকে কিনেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯২ লাখ টাকা দাম উঠেছে হৃদয়ের। তাঁকে কিনেছে রংপুর রাইডার্স। একই দল লিটনকে কিনেছে ৭০ লাখ টাকায়। তাসকিনকে সরাসরি চুক্তিতে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এই বিপিএলেই প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। তবে সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। নেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালও। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালকেও দেখা যাবে না ২০২৬ বিপিএলে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবারও পাকিস্তানের বোর্ডপ্রধানকে বর্জন করলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া ডেস্ক    
মহসিন নাকভির কাছ থেকে এবারও পদক গ্রহণ করেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ছবি: এসিসি
মহসিন নাকভির কাছ থেকে এবারও পদক গ্রহণ করেননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ছবি: এসিসি

মাঠের লড়াইয়ে ভারত-পাকিস্তান এখন তেমন একটা জমে না। কিন্তু হাইভোল্টেজ বলেও যে একটা ব্যাপার আছে। মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে অন্যান্য ঘটনায় বেশি আলোচনা ছড়ায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তিন মাস পর আজ দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে চিত্রনাট্য ভিন্ন হলেও ম্যাচ শেষে কাহিনিটা রয়ে গেছে একই।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেবার সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান মহসিন নাকভির কাছ থেকে শিরোপা নেয়নি। প্রায় তিন মাস পর আজ দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। এসিসি প্রধান হিসেবে নাকভি বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল দেখতে গেছেন। তিনি একই সঙ্গে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানও। কিন্তু ম্যাচ শেষে পরাজিত ভারতকে রানার্সআপ পদক যখন দিতে যান নাকভি, ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁর কাছ থেকে পদক গ্রহণ করেননি।

নাকভি যে মঞ্চে আজ দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁর আশপাশেও যাননি ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুশ মাত্রে, কিষাণ সিংরা রানার্সআপ পদক নিয়েছেন মুবাশশির উসমানির কাছ থেকে। উসমানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সহযোগী সদস্য দেশগুলোর বোর্ড পরিচালক। একই সঙ্গে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন তিনি। মঞ্চের ডান অংশে দাঁড়িয়ে উসমানির কাছ থেকে একে একে ভারতীয় ক্রিকেটাররা পদক গ্রহণ করেছেন। নাকভি এরপর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান দলের সঙ্গে শিরোপা জয়ের উদযাপন করেছেন।

২৮ সেপ্টেম্বর নাকভির কাছ থেকে শিরোপা না নিয়ে উদযাপন করেছিল ভারত। শিরোপাছাড়া উদযাপন করে সূর্যকুমার, অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মারা ক্রিকেট ইতিহাসে বিরল ঘটনার জন্ম দিয়েছিলেন। এ বছরের এপ্রিলে পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে পর্যটক নিহতের ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুই দেশ মে মাসে জড়িয়েছিল সামরিক সংঘাতেও। এশিয়া কাপ, নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, রাইজিং স্টার্স এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ—এ বছর এই চার টুর্নামেন্টের কোনোটিতেই টসের সময় করমর্দন করেননি ভারত-পাকিস্তানের অধিনায়কেরা।

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা পাকিস্তান এর আগে একবারই জিতেছিল। ২০১২ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর পর এবার আর শিরোপা ভাগাভাগি করতে হয়নি ভারত-পাকিস্তানকে। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে ভারতকে ১৯১ রানে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল পাকিস্তান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত