আমরা মাল্টিভার্সে বাস করছি: দাবি গুগলের
অনলাইন ডেস্ক
বহুবিশ্ব বা মাল্টিভার্সের ধারণাটি এখন আর কেবল কল্পকাহিনী বা মার্ভেল সিনেমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তবে এই ধারণাটিকে নতুনভাবে সামনে এনেছে গুগল। কোম্পানিটি দাবি করছে যে, সম্ভবত আমরা একটি মাল্টিভার্সে বাস করছি! গুগলের নতুন কোয়ান্টাম চিপ ‘উইলো’ এর মাধ্যমে এই তত্ত্বের পক্ষে কিছু প্রমাণও পেয়েছে কোম্পানিটি, যা ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও মাল্টিভার্স এখনো একটি বিতর্কিত তত্ত্ব, গুগলের এই আবিষ্কার বিজ্ঞানী মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং মাল্টিভার্সের সম্ভাবনাকে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
মাল্টিভার্স কি
প্রায় ৫ম শতাব্দীতে প্রাচীন গ্রিক পরমাণুবিদ লেউসিপ্পাস এবং ডেমোক্রিটাসের চিন্তা থেকে মাল্টিভার্সের প্রাথমিক ধারণা উদ্ভূত হয়। মাল্টিভার্স বা প্যারালাল ইউনিভার্স তত্ত্ব অনুযায়ী, আমাদের মহাবিশ্বের মতোই আরও অনেক সমান্তরাল মহাবিশ্ব থাকতে পারে। যেগুলোর অস্তিত্ব আমাদের অজানা। এই তত্ত্বের মতে, আমাদের মহাবিশ্বের বাইরেও এমন পৃথিবী বা গ্রহ থাকতে পারে যেখানে সময়ের প্রবাহ আমাদের থেকে ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ, এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও একই রকম কিছু ঘটনা ঘটছে, কিন্তু সেখানে মানুষের জীবনযাত্রা বা পৃথিবীর পরিস্থিতি আলাদা হতে পারে।
ধরা যাক, আপনি এখন একটি বই পড়ছেন এবং আপনার পাশে একটি কফি কাপ রাখা। প্যারালাল ইউনিভার্স তত্ত্ব অনুযায়ী, এমন একটি মহাবিশ্ব থাকতে পারে যেখানে আপনি একই সময়ে একটি বই পড়ছেন। তবে কফি কাপটি সেখানে নেই বা আপনি অন্য কিছু পড়ছেন। এখানে সময় এবং পরিস্থিতি প্রায় এক, তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
মাল্টিভার্সের ধারণা বলে, প্রতিটি মহাবিশ্ব হয়তো আলাদা আলাদা নিয়মে কাজ করছে, তবে একে অপরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। এই ধারণাটি পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচুর আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে এখনো এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে।
মাল্টিভার্স নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ১৯৯০ সালের দশক থেকে বড় ধরনের উত্থান লাভ করে, যখন অনেক সায়েন্স ফিকশন গল্পেরও প্রচলন শুরু হয়। ২০১০ সালে স্টিফেন এম. ফেনি ও তার সহকর্মীরা প্রস্তাব করেছিলেন যে, উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানিসোট্রোপি প্রোব থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রমাণ করতে পারে যে আমাদের মহাবিশ্ব পূর্বে অন্য মহাবিশ্বের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
এখন নতুন ‘উইলো’ কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপের মাধ্যমে, তারা মাল্টিভার্সের ধারণাকে সমর্থন করার দাবি করেছে গুগল। এক ব্লগ পোস্টে গুগল কোয়ান্টাম এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা হার্টমুট নেভেন উল্লেখ করেছেন, উইলো চিপের অসাধারণ কম্পিউটিং শক্তি এটি প্রমাণ করে যে, আমরা একটি মাল্টিভার্সে বাস করছি। উইলো মাত্র পাঁচ মিনিটে এমন একটি জটিল গণনা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে, যা আজকের দ্রুততম কম্পিউটারও ১০ সেপটিলিয়ন বছর সময় নিবে (যেটি মহাবিশ্বের বয়সের থেকেও বেশি)।
১৯৯৭ সালের দ্য ফেব্রিক অব রিয়েলিটি বইয়ে মাল্টিভার্স ধারণার প্রকাশ করেন ডেভিড ডয়েচের। সে সময় ডয়েচ দাবি করেছিলেন যে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো একযোগে গণনা করে এবং এই গণনা একাধিক মাল্টিভার্সে সংঘটিত হচ্ছে।
গুগলের এই দাবি নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন। একজন বলেন, ‘তারা কীভাবে জানে যে উত্তরটি সঠিক বা কীভাবে তারা এটি যাচাই করেছে!’
অন্য একজন বলেছে, ‘প্যারালাল ইউনিভার্সের ধারণাটি পুরোপুরি অনুমানভিত্তিক। এটি কোনো পর্যবেক্ষণের ওপর নয়, বরং জটিল গাণিতিক সমীকরণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।’
তবে কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে মজা করেও মন্তব্য করেছে, ‘মার্ভেল সিনেমা হয়তো সমাজকে অতিরিক্ত প্রভাবিত করেছে।’
এই সকল প্রশ্ন ও সংশয় সত্ত্বেও গুগলের এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণাটি মাল্টিভার্সের ধারণাকে নতুন করে আলোচনায় এনে দিয়েছে, যা বর্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিক দুনিয়াতে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
বহুবিশ্ব বা মাল্টিভার্সের ধারণাটি এখন আর কেবল কল্পকাহিনী বা মার্ভেল সিনেমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তবে এই ধারণাটিকে নতুনভাবে সামনে এনেছে গুগল। কোম্পানিটি দাবি করছে যে, সম্ভবত আমরা একটি মাল্টিভার্সে বাস করছি! গুগলের নতুন কোয়ান্টাম চিপ ‘উইলো’ এর মাধ্যমে এই তত্ত্বের পক্ষে কিছু প্রমাণও পেয়েছে কোম্পানিটি, যা ‘নেচার’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও মাল্টিভার্স এখনো একটি বিতর্কিত তত্ত্ব, গুগলের এই আবিষ্কার বিজ্ঞানী মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং মাল্টিভার্সের সম্ভাবনাকে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
মাল্টিভার্স কি
প্রায় ৫ম শতাব্দীতে প্রাচীন গ্রিক পরমাণুবিদ লেউসিপ্পাস এবং ডেমোক্রিটাসের চিন্তা থেকে মাল্টিভার্সের প্রাথমিক ধারণা উদ্ভূত হয়। মাল্টিভার্স বা প্যারালাল ইউনিভার্স তত্ত্ব অনুযায়ী, আমাদের মহাবিশ্বের মতোই আরও অনেক সমান্তরাল মহাবিশ্ব থাকতে পারে। যেগুলোর অস্তিত্ব আমাদের অজানা। এই তত্ত্বের মতে, আমাদের মহাবিশ্বের বাইরেও এমন পৃথিবী বা গ্রহ থাকতে পারে যেখানে সময়ের প্রবাহ আমাদের থেকে ভিন্ন হতে পারে। অর্থাৎ, এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও একই রকম কিছু ঘটনা ঘটছে, কিন্তু সেখানে মানুষের জীবনযাত্রা বা পৃথিবীর পরিস্থিতি আলাদা হতে পারে।
ধরা যাক, আপনি এখন একটি বই পড়ছেন এবং আপনার পাশে একটি কফি কাপ রাখা। প্যারালাল ইউনিভার্স তত্ত্ব অনুযায়ী, এমন একটি মহাবিশ্ব থাকতে পারে যেখানে আপনি একই সময়ে একটি বই পড়ছেন। তবে কফি কাপটি সেখানে নেই বা আপনি অন্য কিছু পড়ছেন। এখানে সময় এবং পরিস্থিতি প্রায় এক, তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
মাল্টিভার্সের ধারণা বলে, প্রতিটি মহাবিশ্ব হয়তো আলাদা আলাদা নিয়মে কাজ করছে, তবে একে অপরের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। এই ধারণাটি পদার্থবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচুর আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে এখনো এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে।
মাল্টিভার্স নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা ১৯৯০ সালের দশক থেকে বড় ধরনের উত্থান লাভ করে, যখন অনেক সায়েন্স ফিকশন গল্পেরও প্রচলন শুরু হয়। ২০১০ সালে স্টিফেন এম. ফেনি ও তার সহকর্মীরা প্রস্তাব করেছিলেন যে, উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানিসোট্রোপি প্রোব থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রমাণ করতে পারে যে আমাদের মহাবিশ্ব পূর্বে অন্য মহাবিশ্বের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
এখন নতুন ‘উইলো’ কোয়ান্টাম কম্পিউটিং চিপের মাধ্যমে, তারা মাল্টিভার্সের ধারণাকে সমর্থন করার দাবি করেছে গুগল। এক ব্লগ পোস্টে গুগল কোয়ান্টাম এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা হার্টমুট নেভেন উল্লেখ করেছেন, উইলো চিপের অসাধারণ কম্পিউটিং শক্তি এটি প্রমাণ করে যে, আমরা একটি মাল্টিভার্সে বাস করছি। উইলো মাত্র পাঁচ মিনিটে এমন একটি জটিল গণনা সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে, যা আজকের দ্রুততম কম্পিউটারও ১০ সেপটিলিয়ন বছর সময় নিবে (যেটি মহাবিশ্বের বয়সের থেকেও বেশি)।
১৯৯৭ সালের দ্য ফেব্রিক অব রিয়েলিটি বইয়ে মাল্টিভার্স ধারণার প্রকাশ করেন ডেভিড ডয়েচের। সে সময় ডয়েচ দাবি করেছিলেন যে, কোয়ান্টাম কম্পিউটারগুলো একযোগে গণনা করে এবং এই গণনা একাধিক মাল্টিভার্সে সংঘটিত হচ্ছে।
গুগলের এই দাবি নিয়ে মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই মন্তব্য করেছেন। একজন বলেন, ‘তারা কীভাবে জানে যে উত্তরটি সঠিক বা কীভাবে তারা এটি যাচাই করেছে!’
অন্য একজন বলেছে, ‘প্যারালাল ইউনিভার্সের ধারণাটি পুরোপুরি অনুমানভিত্তিক। এটি কোনো পর্যবেক্ষণের ওপর নয়, বরং জটিল গাণিতিক সমীকরণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।’
তবে কিছু মানুষ বিষয়টি নিয়ে মজা করেও মন্তব্য করেছে, ‘মার্ভেল সিনেমা হয়তো সমাজকে অতিরিক্ত প্রভাবিত করেছে।’
এই সকল প্রশ্ন ও সংশয় সত্ত্বেও গুগলের এই অপ্রত্যাশিত ঘোষণাটি মাল্টিভার্সের ধারণাকে নতুন করে আলোচনায় এনে দিয়েছে, যা বর্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিক দুনিয়াতে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাফল্যের খাতায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন যোগ হয়েছে। মানব বিশেষজ্ঞদের চেয়ে আরও নির্ভুলভাবে স্কটল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের হুইস্কির গন্ধের পার্থক্য চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে এআই প্রযুক্তি। হুইস্কির অণু গঠনের ডেটার ভিত্তিতে এআই এখন জটিল গন্ধের পার্থক্যও বুঝতে পারে। এআইয়ের...
১ ঘণ্টা আগেদেশের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইনফোটেকইনসাইট ডটকমের মো. এ হালিম (হিটলার এ হালিম)। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক সমকালের সাব্বিন হাসান
১৩ ঘণ্টা আগেযুদ্ধের কৌশল এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। এই নতুন বাস্তবতায়, ইউক্রেনের হাতে রয়েছে একটি অমূল্য সম্পদ—ড্রোনের মাধ্যমে সংগৃহীত কোটি কোটি ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ। এই ডেটা এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত এবং কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণে
২০ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগে একটি জনপ্রিয় অনুষঙ্গ হলো স্মার্টঘড়ি। শুধু খেলোয়াড়েরাই নয়, কর্মব্যস্ত থেকে ফ্যাশন সচেতন যে কেউ ঝুঁকছেন এই ঘড়ির দিকে। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের সহায়ক টুল হলেও এটি মানুষকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে আনে যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই তথ্য জানা যায়।
১ দিন আগে