নওরোজ চৌধুরী
ঘুরতে যাবেন আর সঙ্গে ক্যামেরা থাকবে না, তা হয় না। সুন্দর ছবির জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয়। তবে ক্যামেরার ওজন এবং বহনে অনেকটা জায়গা লাগায় অধিকাংশ পর্যটক ইচ্ছে থাকলেও এখন ঘোরাঘুরির সময় ক্যামেরার বদলে মোবাইল ফোনের ক্যামেরাতেই কাজ চালান। কিন্তু গোপ্রো হিরো আসার পরে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় আছে এই ক্যামেরা।
হাইডেফিনেশন অ্যাকশন ক্যামেরা নির্মাতা ও বিক্রেতা হিসেবে বিখ্যাত গোপ্রো কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর একটি অ্যাকশন স্পোর্টস ট্রেড শোর জন্য বানায় তাদের প্রথম ক্যামেরা গোপ্রো ৩৫ এমএম হিরো। সেই শুরু। ২০০৬ সালে ১০ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণের সুবিধাসংবলিত ক্যামেরা গোপ্রো ডিজিটাল হিরো বাজারে আনে তারা। সর্বশেষ এ মাসেই এসেছে তাদের গোপ্রো হিরো ১১।
তিনটি জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন তিনটি হলো–
১. গোপ্রো ক্যামেরা কি ভ্রমণের জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা থেকে ভালো?
২. গোপ্রো কি ভালো ছবি তুলতে পারে?
৩. প্রযুক্তি বা ক্যামেরার জ্ঞান না থাকলেও কি এতে দুর্দান্ত ছবি তোলা সম্ভব?
ডিএসএলআরের সঙ্গে গোপ্রোর তুলনা হবে না। কিন্তু ভ্রমণে গিয়ে আপনি পাহাড়ে চড়বেন, ডুব দেবেন কোনো জলাশয়ে কিংবা সার্ফিং, স্কেটিং, সাইক্লিংয়ের অভিজ্ঞতা স্থিরচিত্রে বা ভিডিওতে আটকে রাখতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেখানে আপনার একমাত্র সঙ্গী হতে পারে গোপ্রো ক্যামেরা। কিছু টুকটাক প্রযুক্তিজ্ঞান মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে যেমন দরকার, গোপ্রোতেও তেমনই টুকটাক প্রযুক্তিজ্ঞান জানা থাকতে হবে।
ভ্রমণে কেন গোপ্রো নেবেন
বেয়ার গ্রিলস বা চার্লি বুরম্যানের মতো অনেক দুঃসাহসিক ভ্রমণ আপনিও হয়তো করেছেন। কিন্তু সাধারণ মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় সেই অভিজ্ঞতা আপনি তুলে রাখতে পারেননি কিংবা ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে সেসব জায়গায় আপনি যেতে পারেননি। কিন্তু গোপ্রো ক্যামেরা এতটাই হালকা ও সুরক্ষিত যে আপনি আপনার সব রকম ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় পাশে রাখতে পারেন এই ক্যামেরা। হিমশীতল পরিবেশে স্কিয়িং হোক বা পানির নিচে স্কুবা ডাইভিং, মরুভূমির কড়া উত্তাপ কিংবা বিপজ্জনক পাহাড়-পর্বত জয় করার মুহূর্ত—এই ক্যামেরা আপনাকে সঙ্গ দিতে পারে। এগুলো এতটাই টেকসই আর মজবুত যে ১০ ফুট উঁচু থেকে পড়লেও কিছুই হয় না। একই সঙ্গে এই ক্যামেরা ধুলো-ময়লা প্রতিরোধকও।
আপনি যদি হন ভ্রমণ ব্লগার, তাহলে চাইলেই কুইক অ্যাপের সাহায্যে ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের উপযোগী ফরম্যাটের ভিডিও ধারণ করতে পারবেন গোপ্রো দিয়ে। শুধু তা-ই নয়, ২৭ মেগাপিক্সেলের ছবিও তোলা যাবে এই ক্যামেরায়।
আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন এবং প্রকৃতির ছবি তুলতে ঘুরতে বের হয়ে থাকেন, তাহলে গোপ্রো ক্যামেরা আপনার জন্য নয়। কিন্তু এমন কোনো ভ্রমণ, যেখানে আপনি একজন দুঃসাহসিক ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী এবং সেই সব ভ্রমণের স্মৃতি ভিডিও বা স্থিরচিত্রে ধরে রাখাতে চান, তাহলে গোপ্রো হিরো ক্যামেরা বেছে নিন ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে।
কোথায় পাবেন ও দরদাম
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলসহ দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা যাবে গোপ্রো ক্যামেরা। এ ছাড়া ক্যামেরা বিক্রয় শোরুমগুলো ছাড়াও দারাজ ডট কম, পিসি হাউস বিডি, স্টার টেক ডট কম থেকে অনলাইনে কেনার সুবিধা আছে। এসব ক্যামেরার দাম ৪০ হাজার থেকে ৫২ হাজার টাকার মধ্যে।
তথ্যসূত্র: ইনডাই ট্রাভেলার, ফরবেস ডট কম, হ্যাভ ক্যামেরা উইল ট্রাভেল ডট কম
ঘুরতে যাবেন আর সঙ্গে ক্যামেরা থাকবে না, তা হয় না। সুন্দর ছবির জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে জনপ্রিয়। তবে ক্যামেরার ওজন এবং বহনে অনেকটা জায়গা লাগায় অধিকাংশ পর্যটক ইচ্ছে থাকলেও এখন ঘোরাঘুরির সময় ক্যামেরার বদলে মোবাইল ফোনের ক্যামেরাতেই কাজ চালান। কিন্তু গোপ্রো হিরো আসার পরে ভ্রমণপিপাসুদের পছন্দের তালিকায় আছে এই ক্যামেরা।
হাইডেফিনেশন অ্যাকশন ক্যামেরা নির্মাতা ও বিক্রেতা হিসেবে বিখ্যাত গোপ্রো কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর একটি অ্যাকশন স্পোর্টস ট্রেড শোর জন্য বানায় তাদের প্রথম ক্যামেরা গোপ্রো ৩৫ এমএম হিরো। সেই শুরু। ২০০৬ সালে ১০ সেকেন্ডের ভিডিও ধারণের সুবিধাসংবলিত ক্যামেরা গোপ্রো ডিজিটাল হিরো বাজারে আনে তারা। সর্বশেষ এ মাসেই এসেছে তাদের গোপ্রো হিরো ১১।
তিনটি জরুরি প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন তিনটি হলো–
১. গোপ্রো ক্যামেরা কি ভ্রমণের জন্য ডিএসএলআর ক্যামেরা থেকে ভালো?
২. গোপ্রো কি ভালো ছবি তুলতে পারে?
৩. প্রযুক্তি বা ক্যামেরার জ্ঞান না থাকলেও কি এতে দুর্দান্ত ছবি তোলা সম্ভব?
ডিএসএলআরের সঙ্গে গোপ্রোর তুলনা হবে না। কিন্তু ভ্রমণে গিয়ে আপনি পাহাড়ে চড়বেন, ডুব দেবেন কোনো জলাশয়ে কিংবা সার্ফিং, স্কেটিং, সাইক্লিংয়ের অভিজ্ঞতা স্থিরচিত্রে বা ভিডিওতে আটকে রাখতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। সেখানে আপনার একমাত্র সঙ্গী হতে পারে গোপ্রো ক্যামেরা। কিছু টুকটাক প্রযুক্তিজ্ঞান মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে যেমন দরকার, গোপ্রোতেও তেমনই টুকটাক প্রযুক্তিজ্ঞান জানা থাকতে হবে।
ভ্রমণে কেন গোপ্রো নেবেন
বেয়ার গ্রিলস বা চার্লি বুরম্যানের মতো অনেক দুঃসাহসিক ভ্রমণ আপনিও হয়তো করেছেন। কিন্তু সাধারণ মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় সেই অভিজ্ঞতা আপনি তুলে রাখতে পারেননি কিংবা ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে সেসব জায়গায় আপনি যেতে পারেননি। কিন্তু গোপ্রো ক্যামেরা এতটাই হালকা ও সুরক্ষিত যে আপনি আপনার সব রকম ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় পাশে রাখতে পারেন এই ক্যামেরা। হিমশীতল পরিবেশে স্কিয়িং হোক বা পানির নিচে স্কুবা ডাইভিং, মরুভূমির কড়া উত্তাপ কিংবা বিপজ্জনক পাহাড়-পর্বত জয় করার মুহূর্ত—এই ক্যামেরা আপনাকে সঙ্গ দিতে পারে। এগুলো এতটাই টেকসই আর মজবুত যে ১০ ফুট উঁচু থেকে পড়লেও কিছুই হয় না। একই সঙ্গে এই ক্যামেরা ধুলো-ময়লা প্রতিরোধকও।
আপনি যদি হন ভ্রমণ ব্লগার, তাহলে চাইলেই কুইক অ্যাপের সাহায্যে ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের উপযোগী ফরম্যাটের ভিডিও ধারণ করতে পারবেন গোপ্রো দিয়ে। শুধু তা-ই নয়, ২৭ মেগাপিক্সেলের ছবিও তোলা যাবে এই ক্যামেরায়।
আপনি যদি প্রকৃতিপ্রেমী হন এবং প্রকৃতির ছবি তুলতে ঘুরতে বের হয়ে থাকেন, তাহলে গোপ্রো ক্যামেরা আপনার জন্য নয়। কিন্তু এমন কোনো ভ্রমণ, যেখানে আপনি একজন দুঃসাহসিক ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমী এবং সেই সব ভ্রমণের স্মৃতি ভিডিও বা স্থিরচিত্রে ধরে রাখাতে চান, তাহলে গোপ্রো হিরো ক্যামেরা বেছে নিন ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে।
কোথায় পাবেন ও দরদাম
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিসিএস কম্পিউটার সিটি, বসুন্ধরা সিটি শপিং মলসহ দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা যাবে গোপ্রো ক্যামেরা। এ ছাড়া ক্যামেরা বিক্রয় শোরুমগুলো ছাড়াও দারাজ ডট কম, পিসি হাউস বিডি, স্টার টেক ডট কম থেকে অনলাইনে কেনার সুবিধা আছে। এসব ক্যামেরার দাম ৪০ হাজার থেকে ৫২ হাজার টাকার মধ্যে।
তথ্যসূত্র: ইনডাই ট্রাভেলার, ফরবেস ডট কম, হ্যাভ ক্যামেরা উইল ট্রাভেল ডট কম
ওপেনএআই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যানথ্রোপিক–এ আরও ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি আমাজন। বড় প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (জেনএআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার কারণে ই-কমার্স জায়ান্টটি এই বিনিয়োগ করেছে। সং
৩৫ মিনিট আগেএক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
১৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
১৯ ঘণ্টা আগেটাইপ করার চেয়ে ভয়েস মেসেজ পাঠানো বেশ সহজ। তবে অনেক সময় ভয়েস মেসেজ সবার সামনে শোনা যায় না। সে ক্ষেত্রে মেসেজ না শুনে রিপ্লাই–ও দেওয়া যায়না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেসেজ ট্রান্সক্রাইব ফিচার যুক্ত করল হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে ভয়েস মেসেজগুলো সহজে টেক্সটে রূপান্তর করা যাবে।
২০ ঘণ্টা আগে