মেজবাহ নূর, ঢাকা
চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত হয়ে উঠল, সেই গল্প খানিক চিত্তাকর্ষকই বটে।
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঝেংঝু শহরে একটি বিশাল আইফোন তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মূলত এই বিশাল কারখানাই ‘আইফোন সিটি’ নামে পরিচিত। এর আরেকটি নাম আছে, সেটি হলো ‘দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক’। এখানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের সমন্বয় ঘটে বলে একে ‘সায়েন্স পার্ক’ বলা হয়। এটি ঝেংঝু শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত। বিশ্বের অর্ধেক আইফোন তৈরি হয় এখানে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক বা আইফোন সিটিতে শুধু যে কারখানার ভবন আছে তা নয়, আছে দোকানপাট, কারখানার গেটের বাইরে ১০ থেকে ১২ তলা উঁচু ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি। ২ দশমিক ২ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত এই বিজনেস পার্কের আশপাশে আছে প্রচুর গাছ এবং পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এখানেই কয়েক লাখ কর্মী তৈরি করছেন আইফোন।
এমনও হতে পারে যে আপনার হাতের আইফোনটি এখানকারই কোনো কর্মী তৈরি করেছেন! ঝেংঝু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯৫ লাখ। শহরটি ঐতিহাসিকভাবে চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ হেনানে অবস্থিত। ২০১০ সালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার এই কারখানার জায়গাজমি কিনে নেয়। তার পরের এক বছরের মধ্যে কারখানাটি নির্মিত ও চালু হয়।
নতুন আইফোন আসার সময় হলে ঝেংঝু শহরের এই আইফোন কারখানা বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এই কারখানায় ৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, এক মিনিটে ৩৫০টি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে কারখানাটি। একটি আইফোন উৎপাদনের ৪০০টি ধাপ রয়েছে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্কের বেশির ভাগ কর্মী সারা দিন বারবার ঘুরেফিরে একটি কাজই করতে থাকেন। যেমন স্ক্রিন পলিশ করা, মোবাইল ফোনের একটি অংশ ঝালাই করা বা ফোনের পেছনে একক স্ক্রু লাগানো।
সকালের শিফটের শ্রমিকেরা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা স্কুটার চালান। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক কাছাকাছি ডর্মে থাকায় হেঁটে যাতায়াত করেন। বাসা দূরে হলে যাতায়াত করেন বাসে।
কারখানার আশপাশে ছোট ছোট অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে কাজ করতে আসা লোকজনেরাই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাঁরা রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন, ম্যাসাজ দেন বা মোজা ও অন্যান্য ছোট পণ্য বিক্রি করেন।
বাজার-গবেষণা সংস্থা আইসাপ্লির একজন বিশ্লেষক, টমাস ডিঙ্গেস ফক্সকনের কারখানাগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠে সম্প্রদায়গুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই জায়গাগুলো “শহরের মতো” নয়, এগুলো শহরই।’
চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মচারী নিয়ে ফক্সকন এখন পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান।
২০০৭ সালে ফক্সকন অ্যাপলের জন্য আইফোন তৈরি করা শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, খারাপ কাজের পরিবেশ এবং ভুল করার জন্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ফক্সকনের অনেক কর্মী আত্মহত্যা করেন। ফলে অ্যাপল ও ফক্সকন কারখানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।
কর্মীর অসন্তোষ
চীনের কঠোর কোভিড নীতিমালা আর শ্রমিক অসন্তোষের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল আইফোন সিটির উৎপাদন-প্রক্রিয়া। তবে চলতি বছরের শুরুতে কারখানাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশে নিতে পেরেছে ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। এ সময়ে কারখানায় কাজ করছিলেন প্রায় দুই লাখ কর্মী।
চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতিমালার মধ্যেই ফক্সকন উৎপাদন-প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল আইফোন সিটিতে। কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলেন কারখানার শ্রমিকেরা। করোনার লকডাউন এবং খাবারের মান নিয়ে ছিল অসন্তোষ। এতে অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ও পুরোনোদের দেওয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এখন কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।
চীনের ব্যস্ত ঝেংঝু শহরের মধ্যে রয়েছে আরেকটি ‘শহর’। যাকে বলা হয় ‘আইফোন সিটি’ বা আইফোনের শহর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের পণ্য তৈরি করতে গিয়ে কীভাবে একটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশ্বময় পরিচিত হয়ে উঠল, সেই গল্প খানিক চিত্তাকর্ষকই বটে।
তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ঝেংঝু শহরে একটি বিশাল আইফোন তৈরির কারখানা পরিচালনা করে। মূলত এই বিশাল কারখানাই ‘আইফোন সিটি’ নামে পরিচিত। এর আরেকটি নাম আছে, সেটি হলো ‘দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক’। এখানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনের সমন্বয় ঘটে বলে একে ‘সায়েন্স পার্ক’ বলা হয়। এটি ঝেংঝু শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ২০ মাইলের বেশি দূরে অবস্থিত। বিশ্বের অর্ধেক আইফোন তৈরি হয় এখানে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্ক বা আইফোন সিটিতে শুধু যে কারখানার ভবন আছে তা নয়, আছে দোকানপাট, কারখানার গেটের বাইরে ১০ থেকে ১২ তলা উঁচু ভবনে শ্রমিকদের থাকার জন্য ডরমিটরি। ২ দশমিক ২ মাইলেরও বেশি বিস্তৃত এই বিজনেস পার্কের আশপাশে আছে প্রচুর গাছ এবং পুলিশসহ অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এখানেই কয়েক লাখ কর্মী তৈরি করছেন আইফোন।
এমনও হতে পারে যে আপনার হাতের আইফোনটি এখানকারই কোনো কর্মী তৈরি করেছেন! ঝেংঝু শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৯৫ লাখ। শহরটি ঐতিহাসিকভাবে চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশ হেনানে অবস্থিত। ২০১০ সালে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সরকার এই কারখানার জায়গাজমি কিনে নেয়। তার পরের এক বছরের মধ্যে কারখানাটি নির্মিত ও চালু হয়।
নতুন আইফোন আসার সময় হলে ঝেংঝু শহরের এই আইফোন কারখানা বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রতিদিন এই কারখানায় ৫ লাখ মোবাইল ফোন তৈরি হয়। হিসাব করলে দেখা যায়, এক মিনিটে ৩৫০টি মোবাইল ফোন উৎপাদন করে কারখানাটি। একটি আইফোন উৎপাদনের ৪০০টি ধাপ রয়েছে। দ্য ফক্সকন ঝেংঝু সায়েন্স পার্কের বেশির ভাগ কর্মী সারা দিন বারবার ঘুরেফিরে একটি কাজই করতে থাকেন। যেমন স্ক্রিন পলিশ করা, মোবাইল ফোনের একটি অংশ ঝালাই করা বা ফোনের পেছনে একক স্ক্রু লাগানো।
সকালের শিফটের শ্রমিকেরা সকাল ৭টায় কারখানায় প্রবেশ করতে শুরু করেন। যাঁদের সামর্থ্য আছে তাঁরা স্কুটার চালান। তবে বেশির ভাগ শ্রমিক কাছাকাছি ডর্মে থাকায় হেঁটে যাতায়াত করেন। বাসা দূরে হলে যাতায়াত করেন বাসে।
কারখানার আশপাশে ছোট ছোট অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে কাজ করতে আসা লোকজনেরাই এসব ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তাঁরা রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন, ম্যাসাজ দেন বা মোজা ও অন্যান্য ছোট পণ্য বিক্রি করেন।
বাজার-গবেষণা সংস্থা আইসাপ্লির একজন বিশ্লেষক, টমাস ডিঙ্গেস ফক্সকনের কারখানাগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠে সম্প্রদায়গুলোর বর্ণনা দেওয়ার সময় বলেন, ‘এই জায়গাগুলো “শহরের মতো” নয়, এগুলো শহরই।’
চীনের মূল ভূখণ্ডে মোট ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মচারী নিয়ে ফক্সকন এখন পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান।
২০০৭ সালে ফক্সকন অ্যাপলের জন্য আইফোন তৈরি করা শুরু করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিজস্ব কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, খারাপ কাজের পরিবেশ এবং ভুল করার জন্য কর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০১০ ও ২০১১ সালে ফক্সকনের অনেক কর্মী আত্মহত্যা করেন। ফলে অ্যাপল ও ফক্সকন কারখানায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়।
কর্মীর অসন্তোষ
চীনের কঠোর কোভিড নীতিমালা আর শ্রমিক অসন্তোষের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছিল আইফোন সিটির উৎপাদন-প্রক্রিয়া। তবে চলতি বছরের শুরুতে কারখানাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতার ৯০ শতাংশে নিতে পেরেছে ফক্সকন টেকনোলজি গ্রুপ। এ সময়ে কারখানায় কাজ করছিলেন প্রায় দুই লাখ কর্মী।
চীন সরকারের জিরো কোভিড নীতিমালার মধ্যেই ফক্সকন উৎপাদন-প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল আইফোন সিটিতে। কার্যত বন্দিজীবন কাটাচ্ছিলেন কারখানার শ্রমিকেরা। করোনার লকডাউন এবং খাবারের মান নিয়ে ছিল অসন্তোষ। এতে অনেক শ্রমিক কারখানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফলে নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন ও পুরোনোদের দেওয়া হয় নানান প্রতিশ্রুতি। তবে এসব প্রতিশ্রুতি এখন কর্তৃপক্ষ এড়িয়ে যাচ্ছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
১৫ ঘণ্টা আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
১৭ ঘণ্টা আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
১৭ ঘণ্টা আগেইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স–এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিয়ে করছে মেটার থ্রেডস। ফিচারটি এআই ব্যবহার করে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেবে।
২১ ঘণ্টা আগে