
প্রযুক্তি বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘ডিপসিক’-এর তৈরি এআই মডেল ‘আর১’। অন্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এআই মডেলগুলোকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে চীনের এই মডেল। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—কম অর্থ ও সীমিত সম্পদ দিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
ওপেনএআইয়ের চেয়ে ডিপসিকের এআই মডেলে সবাই কেন বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন তা জানিয়েছেন এআই শিল্প বিশ্লেষকেরা। তাঁরা দুটি মডেল তুলনা করে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। সেগুলো তুলে ধরা হলো—
ডিপসিক আসলেই ‘ওপেন’
ওপনেএআই বলেছিল, চ্যাটজিপিটি হবে ওপেনসোর্স, কিন্তু তা কখনো হয়নি। ওপেনএআই তার মূল ‘ওপেন’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে গিয়েছে। তবে পুরো মডেলটিকে ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ করেছে ডিপসিক। অর্থাৎ, যেকোনো ব্যবহারকারী ডিপসিক আর১ মডেলটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করে নিজেদের ডিভাইসে চালাতে পারে। এর মানে, ব্যবহারকারীর ডেটা ডিপসিক এর সঙ্গে শেয়ার হবে না। এ ছাড়া এই বিষয়টি উল্লেখ করেছে ডিপসিকও। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা সেন্সরশিপ বা ভুয়া ফলাফলের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
কমসংখ্যক চিপের ব্যবহার
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এআই কোম্পানিগুলো সাধারণত ১৬ হাজার বা তার বেশিসংখ্যক চিপের সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে। তবে শুধু ২ হাজার এনভিডিয়ার এইচ ৮০০ চিপ ব্যবহার করেছে ডিপসিক। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে চীন। এ ছাড়া চীনে উন্নত চিপের সরবরাহ সীমিত করার জন্য অন্য দেশগুলোর মাধ্যমেও চিপ কেনার প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বর্তমানে উপলব্ধ সম্পদ ব্যবহার করে মডেলটি সফলভাবে তৈরি করে ডিপসিক।
ওপেনএআইয়ের তুলনায় সস্তা
প্রতিটি মডেলের প্রশিক্ষণে কোটি কোটি ডলার খরচ করে ওপেনএআই। ডিপসিক দাবি করছে, কোম্পানিটি মাত্র ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে মডেলটির প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। এই সুবিধা সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোও সম্ভব হয়েছে।
ডিপসিক আর১ এপিআইয়ের ১ মিলিয়ন টোকেনের (প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার শব্দ) দাম শুরু হয় মাত্র শূন্য দশমিক ১৪ ডলার থেকে। অন্যদিকে একই পরিমাণ টোকেনের জন্য ৭ দশমিক ৫ ডলার চার্জ করে ওপেনএআই।
যেসব কাজের জন্য চ্যাটজিপিটি থেকে এগিয়ে ডিপসিক
চ্যাটজিপিটি ও ডিপসিকের ব্যবহারকারীরা একমত যে, ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট এখনো কথোপকথন বা সৃজনশীল আউটপুট এবং সংবাদ ও বর্তমান ঘটনা সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
তবে, আরও জটিল কাজের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি থেকে এগিয়ে ডিপসিক। যুক্তির প্রক্রিয়া, কোডিং বা গাণিতিক সমীকরণের জন্য ডিপসিক এআই চ্যাটবট আরও ভালো আউটপুট দিতে পারে।
তবে বেশির ভাগ সাধারণ প্রশ্নের উত্তরে ডিপসিক এবং চ্যাটজিপিটি প্রায় একই ফলাফল দেয়।
একই ফলাফল দিলেও বেশির ভাগ কাজের জন্য ডিপসিককে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। তবে, সাধারণ চ্যাটজিপিটি প্লাস ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়।
যেসব কোম্পানি এআই মডেল ব্যবহার করে তাদের সেবা বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে, তাদের জন্য খরচের এই পার্থক্য বেশি প্রভাব ফেলবে।
চ্যাটজিপিটি ও ডিপসিক দুটি মডেলের কার্যক্ষমতা প্রায় সমান। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলো দাম কমাতে ডিপসিকের মডেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি তাদের খরচ অনেক কমিয়ে দিতে পারে।

প্রযুক্তি বিশ্বে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘ডিপসিক’-এর তৈরি এআই মডেল ‘আর১’। অন্য বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর এআই মডেলগুলোকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে চীনের এই মডেল। আর সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো—কম অর্থ ও সীমিত সম্পদ দিয়ে এই সাফল্য অর্জন করেছে কোম্পানিটি।
ওপেনএআইয়ের চেয়ে ডিপসিকের এআই মডেলে সবাই কেন বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন তা জানিয়েছেন এআই শিল্প বিশ্লেষকেরা। তাঁরা দুটি মডেল তুলনা করে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। সেগুলো তুলে ধরা হলো—
ডিপসিক আসলেই ‘ওপেন’
ওপনেএআই বলেছিল, চ্যাটজিপিটি হবে ওপেনসোর্স, কিন্তু তা কখনো হয়নি। ওপেনএআই তার মূল ‘ওপেন’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে গিয়েছে। তবে পুরো মডেলটিকে ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ করেছে ডিপসিক। অর্থাৎ, যেকোনো ব্যবহারকারী ডিপসিক আর১ মডেলটি বিনা মূল্যে ডাউনলোড করে নিজেদের ডিভাইসে চালাতে পারে। এর মানে, ব্যবহারকারীর ডেটা ডিপসিক এর সঙ্গে শেয়ার হবে না। এ ছাড়া এই বিষয়টি উল্লেখ করেছে ডিপসিকও। কোম্পানিটি জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা সেন্সরশিপ বা ভুয়া ফলাফলের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
কমসংখ্যক চিপের ব্যবহার
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এআই কোম্পানিগুলো সাধারণত ১৬ হাজার বা তার বেশিসংখ্যক চিপের সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে। তবে শুধু ২ হাজার এনভিডিয়ার এইচ ৮০০ চিপ ব্যবহার করেছে ডিপসিক। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছে চীন। এ ছাড়া চীনে উন্নত চিপের সরবরাহ সীমিত করার জন্য অন্য দেশগুলোর মাধ্যমেও চিপ কেনার প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বর্তমানে উপলব্ধ সম্পদ ব্যবহার করে মডেলটি সফলভাবে তৈরি করে ডিপসিক।
ওপেনএআইয়ের তুলনায় সস্তা
প্রতিটি মডেলের প্রশিক্ষণে কোটি কোটি ডলার খরচ করে ওপেনএআই। ডিপসিক দাবি করছে, কোম্পানিটি মাত্র ৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারে মডেলটির প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। এই সুবিধা সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোও সম্ভব হয়েছে।
ডিপসিক আর১ এপিআইয়ের ১ মিলিয়ন টোকেনের (প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার শব্দ) দাম শুরু হয় মাত্র শূন্য দশমিক ১৪ ডলার থেকে। অন্যদিকে একই পরিমাণ টোকেনের জন্য ৭ দশমিক ৫ ডলার চার্জ করে ওপেনএআই।
যেসব কাজের জন্য চ্যাটজিপিটি থেকে এগিয়ে ডিপসিক
চ্যাটজিপিটি ও ডিপসিকের ব্যবহারকারীরা একমত যে, ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট এখনো কথোপকথন বা সৃজনশীল আউটপুট এবং সংবাদ ও বর্তমান ঘটনা সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
তবে, আরও জটিল কাজের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি থেকে এগিয়ে ডিপসিক। যুক্তির প্রক্রিয়া, কোডিং বা গাণিতিক সমীকরণের জন্য ডিপসিক এআই চ্যাটবট আরও ভালো আউটপুট দিতে পারে।
তবে বেশির ভাগ সাধারণ প্রশ্নের উত্তরে ডিপসিক এবং চ্যাটজিপিটি প্রায় একই ফলাফল দেয়।
একই ফলাফল দিলেও বেশির ভাগ কাজের জন্য ডিপসিককে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। তবে, সাধারণ চ্যাটজিপিটি প্লাস ব্যবহারকারীদের প্রতি মাসে ২০ ডলার খরচ করতে হয়।
যেসব কোম্পানি এআই মডেল ব্যবহার করে তাদের সেবা বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে, তাদের জন্য খরচের এই পার্থক্য বেশি প্রভাব ফেলবে।
চ্যাটজিপিটি ও ডিপসিক দুটি মডেলের কার্যক্ষমতা প্রায় সমান। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলো দাম কমাতে ডিপসিকের মডেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি তাদের খরচ অনেক কমিয়ে দিতে পারে।

চলতি বছরকে এআইয়ের জন্য ‘স্কেল-আপ ইয়ার’ বললে ভুল হবে না। স্টার্টআপ ফান্ডিং থেকে শুরু করে ডেটা সেন্টার, বিদ্যুৎ এনার্জি অবকাঠামো, জাতীয় নীতি—সবখানে এআই এখন ভূরাজনীতির খেলা।
২ দিন আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন শুধু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার জায়গা নয়; ব্যক্তিগত কিংবা পেশাগত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তথ্য আদান-প্রদান, এমনকি সংবেদনশীল আলোচনা পর্যন্ত এসব প্ল্যাটফর্মে হয়। ফলে কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কী হবে, এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
২ দিন আগে
নতুন বছর মানেই প্রযুক্তির নতুন দিক। ২০২৬ সালেও প্রযুক্তির জগতে কিছু নতুন, আবার কিছু পরিচিত প্রযুক্তি বড় আলোচনায় থাকবে। বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তিবিদ ও বিখ্যাত ম্যাগাজিনগুলোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছরে যেসব প্রযুক্তি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে, সেগুলো ধীরে ধীরে বাস্তব জীবনের অংশ হয়ে উঠছে।
২ দিন আগেগুগল ক্রোম ব্রাউজার আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করলেও এর অ্যাড্রেসবার কিংবা ওমনিবক্সে থাকা অনেক দরকারি ফিচার জানার বাইরে থাকে। শুধু সার্চিং নয়, এই অ্যাড্রেসবার থেকে অনেক কাজ দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব। এটি অফিস কিংবা অনলাইন মিটিংয়ে সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।
২ দিন আগে