Ajker Patrika

অ্যাপলকে আইওএসে আরও যে পরিবর্তন আনতে বলল ইইউ

অনলাইন ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ৫৪
এই বিষয় নিয়ে অ্যাপলকে ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারির পর্যন্ত পর্যালোচনা করবে ইইউ। ছবি: দ্য ভার্জ
এই বিষয় নিয়ে অ্যাপলকে ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারির পর্যন্ত পর্যালোচনা করবে ইইউ। ছবি: দ্য ভার্জ

ইউরোপের ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের (ডিএএম) কারণে ইতিমধ্যে আইওএসের কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। এই আইনের উদ্দেশ্য হলো—বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর আধিপত্য কমানো। সম্প্রতি অ্যাপলকে আরও কিছু পরিবর্তন করার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। অ্যাপল যেন আইওএসকে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলে তা নিশ্চিত করতে চায় ইইউ।

এক প্রতিবেদনে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গত বুধবার ইউরোপীয় কমিশন এক নথি প্রকাশ করেছে যা অ্যাপলের বিরুদ্ধে চলমান অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের অংশ। অ্যাপলকে যে পরিবর্তনগুলো করাতে চাইছে তা স্পষ্টভাবে এই নথিতে উল্লেখ করেছে ইইউ। যেমন–ইইউ চাইছে অ্যাপল যেন ব্যবহারকারীদের অন্যান্য ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচ এবং হেডফোনের মতো ডিভাইসগুলোকে আইফোনের সঙ্গে সহজে সংযুক্ত করতে দেয়। বর্তমানে অ্যাপলের নিজের এক্সেসরিজ যেমন: এয়ারপডস এবং অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করা অনেক সহজ। ইইউ আরও চাইছে অ্যাপল যেন তৃতীয় পক্ষের অ্যাপগুলো পুরোপুরি ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে দেয়, যেটি বর্তমানে শুধু অ্যাপলের নিজস্ব অ্যাপগুলোর জন্যই প্রযোজ্য। এ ছাড়া এয়ারপ্লে ও এয়ারড্রপের মতো ফিচারগুলো অ্যাপলের বাইরের ডিভাইসের জন্য উন্মুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে অ্যাপলকে ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারির পর্যন্ত পর্যালোচনা করবে ইইউ। যদি অ্যাপল এই পরিবর্তনগুলো না মেনে চলে, তাহলে অ্যাপলের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করতে পারে ইইউ। এ জন্য কোম্পানিটির বৈশ্বিক বার্ষিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করতে পারে ইউরোপীয় কমিশন।

তবে এই দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে অ্যাপল। একটি অনলাইন নথিতে অ্যাপল বলেছে যে, ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট নিয়মাবলি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তার ক্ষতি করতে পারে। কোম্পানির দাবি, এটি অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে এবং এর প্রযুক্তিগুলো উন্মুক্ত করলে আইফোনের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অ্যাপল আরও বলে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানিটি মেটা অ্যাপলের কিছু সেনসিটিভ ফিচারের অ্যাকসেস চাইছে।

অ্যাপল যুক্তি দেখিয়েছে যে, যদি মেটার সব দাবি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে ব্যবহারকারীদের কল, মেসেজ এবং অন্যান্য কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবে ফেসবুক।

অপরদিকে মেটা বলছে, অ্যাপলের ফিচারগুলোতে অ্যাকসেস পেলে এটি তাদের পণ্য যেমন: রে-ব্যান স্মার্ট গ্লাস এবং মেটা কোয়েস্ট হেডসেট উন্নত করতে সাহায্য করবে। তবে অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের বর্তমান সিস্টেম ইতিমধ্যে এসব ডিভাইসকে আইফোনের সঙ্গে বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কাজ করার সুযোগ দেয়।

এটি শুধু ইউরোপের সমস্যা নয়, অ্যাপলকে তাদের ইকোসিস্টেম খুলে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে ব্রাজিলের নিয়ন্ত্রকেরা। যদিও অ্যাপল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তবে সেখানে সাইড লোডিং অনুমোদন করতে হতে পারে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বিষয়টি নিয়ে ইইউ কী সিদ্ধান্ত নেবে তা বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রক, ডেভেলপার ও ব্যবহারকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

পরিবারের সামনে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নেতা-কর্মী আটক

গ্রেপ্তার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আটক

নয়াদিল্লি হাসিনা আমলের দৃষ্টিভঙ্গিই ধরে রেখেছে: ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

তখন অন্য একটা সংগঠন করতাম, এখন বলতে লজ্জা হয়: জামায়াতের আমির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত