অনলাইন ডেস্ক
বর্তমান সময়ে ভাড়া নির্ধারণে প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন বাড়ির মালিকেরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাহায্যে ভাড়া বাড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে, যা ভাড়াটিয়াদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাড়া নির্ধারণের পরামর্শ দেয় ‘রিয়েলপেজ’ নামক এক কোম্পানির সফটওয়্যারগুলো।
সান ফ্রান্সেসকো এবং স্যান ডিয়েগো শহরের অনেক বাড়ির মালিকেরা এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। ২০২৪ সালের একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, এসব শহরে ভাড়াটিয়াদের জন্য বাড়ি ভাড়া খরচ বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করেছেন যে, বাড়ির মালিকেরা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
২০২৪ সালের শুরুতে ফেডারেল প্রসিকিউটররা এই প্রক্রিয়াটিকে ‘অবৈধ তথ্য শেয়ারিং চুক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের কিছু আইনপ্রণেতা এটি বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সম্প্রতি একটি নতুন আইন প্রস্তাব করেছেন স্যান ডিয়েগো সিটি কাউন্সিলের সভাপতি শন এলো-রিভেরা। তিনি স্থানীয় অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের এই সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। কারণ এর মাধ্যমে বসবাসের খরচ বাড়ছে বলেন অভিযোগ করেন রিভেরা।
স্যান ফ্রান্সেসকো এবং সান জোসে’র মতো শহরের পাশাপাশি সারা দেশে আরো অনেক এই আইনটি জায়গাতেই গৃহীত হতে পারে। ইতিমধ্যে প্রথম শহর হিসেবে ‘অ্যালগরিদমিক ডিভাইস ব্যবহার করে ভাড়া নির্ধারণ এবং বাসা ব্যবস্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে স্যান ফ্রান্সেসকো। নিউ জার্সিসহ আরো কিছু রাজ্যও একই ধরনের আইন প্রণয়ন করতে চলেছে।
এ ছাড়া আগস্ট মাসে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং ক্যালিফোর্নিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, কলোরাডো, কনেকটিকাট, মিনেসোটা, ওরেগন, টেনেসি, এবং ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা রিয়েল পেজের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রিয়েলপেজ তাদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে মালিকদের তথ্য সংগ্রহ করে এবং এটি ভাড়া বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ভাড়াটেরা উচ্চ ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রিয়েলপেজ এই সমস্ত পদক্ষেপের জন্য প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। কিছু কর্মকর্তার অভিযোগ, কোম্পানিটি প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত করছে, যা অন্যথায় ভাড়া কমানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারত। এর ফলে অঙ্গরাজ্যের আবাসন সংকট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করেছে।
রিয়েলপেজের সফটওয়্যার ইয়েল্ডস্টার এবং এআই রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট (এআইআরএম) ব্যবহার করে ভাড়া নির্ধারণে সাহায্য পাচ্ছেন বাড়িওয়ালারা। বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো একত্রিত করে অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সফটওয়্যারগুলো ভবিষ্যদ্বাণী করে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে—ভাড়াটেদের আবেদন, নতুন লিজ চুক্তি, নবায়ন প্রস্তাব, গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যৎ বাসস্থানের আগমন বা উপস্থিতির আনুমানিক পূর্বাভাস। এই সমস্ত তথ্য যেসব মালিকেরা শেয়ার করেন তা একত্রিত করা হয় এবং গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এরপর এই তথ্য থেকে একটি মূল্য নির্ধারণের পরামর্শ তৈরি করা হয়, যা বাড়ির মালিকদের এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য ভাড়া নির্ধারণে সহায়তা করে।
সম্প্রতি এক পরিবর্তনের মাধ্যমে, মালিকদের এখন শুধুমাত্র পাবলিক (সর্বজনীন) তথ্য শেয়ার করার বিকল্প দেওয়া হয়েছে। এই সফটওয়্যারটি ভবিষ্যতের ভাড়া নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত নিখুঁতভাবে কাজ করছে। তবে এর মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, এটি বাজারের প্রতিযোগিতা নষ্ট করছে এবং ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা বলেছেন, ‘রিয়েলপেজ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যাদের মাথার ওপর ছাদ রাখতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।’
কিন্তু রিয়েলপেজের মুখপাত্র জেনিফার বওকক দাবি করেছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে সমস্যাটি তৈরি হয়নি বরং ঘর সংকটই আসল সমস্যা। রিয়েলপেজের সফটওয়্যার ভাড়াটে, সম্পত্তির মালিক এবং অন্যান্যদের জন্য উপকারী। তবে তিনি এটাও বলেন যে, ‘রিয়েলপেজের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং কোম্পানি নিজেকে শক্তভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
২০২০ সালে মার্কআপ এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্তে জানা যায়, রিয়েলপেজ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে মিলে ত্রুটিপূর্ণ কম্পিউটার অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছিল, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়াটেদের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করত। এর ফলে অনেক ভাড়াটেকে এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল, যেগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এই ভুলের কারণে অনেক ভাড়াটে বাসস্থানের জন্য আবেদন করার পর তাদের বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হয়নি।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেছেন যে, রিয়েলপেজ বাণিজ্যিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার বাজারের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। রিয়েলপেজের একটি প্রধান পণ্য হলো ইয়েল্ডস্টার এবং এর পরবর্তী সংস্করণ এআই রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট। এই সফটওয়্যারটি ইয়েল্ডস্টার এর কোডবেসের অনেক অংশ ব্যবহার করে, তবে এতে আরও সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
রিয়েলপেজ তাদের সফটওয়্যার সম্পর্কে ক্যালম্যাটার্স সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, সান ফ্রান্সেসকো এবং স্যান ডিয়েগো শহরের ভাড়া বাজারে তাদের সফটওয়্যারগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার হয়। অর্থাৎ তাদের তিনটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পণ্য সারা দেশে অনেক জায়গায় ব্যবহার হলেও, এই দুই শহরে তাদের ব্যবহার সীমিত।
এদিকে স্যান ডিয়েগোতে ৩১ বছর বয়সী অ্যালান পিকেন্স এবং তার স্ত্রী নতুন বাসা প্রতি বছরই স্থান পরিবর্তন করেন। কারণ প্রতিবছর বাসা ভাড়া বাড়তে থাকে। স্যান ডিয়েগোর এমন কিছু এলাকায় যেখানে রিয়েলপেজের সফটওয়্যার কাজ করছে, সেখানে ভাড়া আরও বেশি বেড়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে স্যান ডিয়েগোতে গড় ভাড়া ২ হাজার ৩৩৬ ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, লো-ইনকাম ভাড়াটেরা এই ভাড়া বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কলেজ না করা নাগরিকদের ভাড়ার জন্য ব্যয় করা আয়ের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ বেড়েছে, যা আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পাবলিক পেনশন ফান্ডগুলোও রিয়েলপেজে বিনিয়োগ করেছে, যা বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে। তথাপি, রিয়েলপেজের পক্ষে বলা হয়েছে যে, তাদের সফটওয়্যারটি আইনগতভাবে উপযুক্ত এবং মালিকেরা এর পরামর্শ অমান্য করতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত, এই পরিস্থিতিতে শুধু কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ, ভাড়া বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়ছে, যা তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: গিজমডো
বর্তমান সময়ে ভাড়া নির্ধারণে প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন বাড়ির মালিকেরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)-এর সাহায্যে ভাড়া বাড়ানোর প্রবণতা বেড়েছে, যা ভাড়াটিয়াদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভাড়া নির্ধারণের পরামর্শ দেয় ‘রিয়েলপেজ’ নামক এক কোম্পানির সফটওয়্যারগুলো।
সান ফ্রান্সেসকো এবং স্যান ডিয়েগো শহরের অনেক বাড়ির মালিকেরা এই সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। ২০২৪ সালের একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, এসব শহরে ভাড়াটিয়াদের জন্য বাড়ি ভাড়া খরচ বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ভাড়াটিয়ারা অভিযোগ করেছেন যে, বাড়ির মালিকেরা এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
২০২৪ সালের শুরুতে ফেডারেল প্রসিকিউটররা এই প্রক্রিয়াটিকে ‘অবৈধ তথ্য শেয়ারিং চুক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের কিছু আইনপ্রণেতা এটি বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সম্প্রতি একটি নতুন আইন প্রস্তাব করেছেন স্যান ডিয়েগো সিটি কাউন্সিলের সভাপতি শন এলো-রিভেরা। তিনি স্থানীয় অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের এই সফটওয়্যার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। কারণ এর মাধ্যমে বসবাসের খরচ বাড়ছে বলেন অভিযোগ করেন রিভেরা।
স্যান ফ্রান্সেসকো এবং সান জোসে’র মতো শহরের পাশাপাশি সারা দেশে আরো অনেক এই আইনটি জায়গাতেই গৃহীত হতে পারে। ইতিমধ্যে প্রথম শহর হিসেবে ‘অ্যালগরিদমিক ডিভাইস ব্যবহার করে ভাড়া নির্ধারণ এবং বাসা ব্যবস্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করেছে স্যান ফ্রান্সেসকো। নিউ জার্সিসহ আরো কিছু রাজ্যও একই ধরনের আইন প্রণয়ন করতে চলেছে।
এ ছাড়া আগস্ট মাসে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং ক্যালিফোর্নিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, কলোরাডো, কনেকটিকাট, মিনেসোটা, ওরেগন, টেনেসি, এবং ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলরা রিয়েল পেজের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রিয়েলপেজ তাদের সফটওয়্যারের মাধ্যমে মালিকদের তথ্য সংগ্রহ করে এবং এটি ভাড়া বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে ভাড়াটেরা উচ্চ ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
রিয়েলপেজ এই সমস্ত পদক্ষেপের জন্য প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। কিছু কর্মকর্তার অভিযোগ, কোম্পানিটি প্রতিযোগিতা বাধাগ্রস্ত করছে, যা অন্যথায় ভাড়া কমানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে পারত। এর ফলে অঙ্গরাজ্যের আবাসন সংকট আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাড়া বাড়ানোর প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করেছে।
রিয়েলপেজের সফটওয়্যার ইয়েল্ডস্টার এবং এআই রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট (এআইআরএম) ব্যবহার করে ভাড়া নির্ধারণে সাহায্য পাচ্ছেন বাড়িওয়ালারা। বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো একত্রিত করে অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সফটওয়্যারগুলো ভবিষ্যদ্বাণী করে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে—ভাড়াটেদের আবেদন, নতুন লিজ চুক্তি, নবায়ন প্রস্তাব, গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যৎ বাসস্থানের আগমন বা উপস্থিতির আনুমানিক পূর্বাভাস। এই সমস্ত তথ্য যেসব মালিকেরা শেয়ার করেন তা একত্রিত করা হয় এবং গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এরপর এই তথ্য থেকে একটি মূল্য নির্ধারণের পরামর্শ তৈরি করা হয়, যা বাড়ির মালিকদের এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য ভাড়া নির্ধারণে সহায়তা করে।
সম্প্রতি এক পরিবর্তনের মাধ্যমে, মালিকদের এখন শুধুমাত্র পাবলিক (সর্বজনীন) তথ্য শেয়ার করার বিকল্প দেওয়া হয়েছে। এই সফটওয়্যারটি ভবিষ্যতের ভাড়া নির্ধারণের জন্য অত্যন্ত নিখুঁতভাবে কাজ করছে। তবে এর মধ্যে অনেকেই অভিযোগ করছেন যে, এটি বাজারের প্রতিযোগিতা নষ্ট করছে এবং ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা বলেছেন, ‘রিয়েলপেজ ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যাদের মাথার ওপর ছাদ রাখতে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।’
কিন্তু রিয়েলপেজের মুখপাত্র জেনিফার বওকক দাবি করেছেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে সমস্যাটি তৈরি হয়নি বরং ঘর সংকটই আসল সমস্যা। রিয়েলপেজের সফটওয়্যার ভাড়াটে, সম্পত্তির মালিক এবং অন্যান্যদের জন্য উপকারী। তবে তিনি এটাও বলেন যে, ‘রিয়েলপেজের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন এবং কোম্পানি নিজেকে শক্তভাবে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
২০২০ সালে মার্কআপ এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি তদন্তে জানা যায়, রিয়েলপেজ অন্যান্য কোম্পানির সঙ্গে মিলে ত্রুটিপূর্ণ কম্পিউটার অ্যালগরিদম ব্যবহার করেছিল, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়াটেদের ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করত। এর ফলে অনেক ভাড়াটেকে এমন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল, যেগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এই ভুলের কারণে অনেক ভাড়াটে বাসস্থানের জন্য আবেদন করার পর তাদের বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হয়নি।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা বলেছেন যে, রিয়েলপেজ বাণিজ্যিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার বাজারের ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। রিয়েলপেজের একটি প্রধান পণ্য হলো ইয়েল্ডস্টার এবং এর পরবর্তী সংস্করণ এআই রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট। এই সফটওয়্যারটি ইয়েল্ডস্টার এর কোডবেসের অনেক অংশ ব্যবহার করে, তবে এতে আরও সঠিক পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
রিয়েলপেজ তাদের সফটওয়্যার সম্পর্কে ক্যালম্যাটার্স সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, সান ফ্রান্সেসকো এবং স্যান ডিয়েগো শহরের ভাড়া বাজারে তাদের সফটওয়্যারগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার হয়। অর্থাৎ তাদের তিনটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পণ্য সারা দেশে অনেক জায়গায় ব্যবহার হলেও, এই দুই শহরে তাদের ব্যবহার সীমিত।
এদিকে স্যান ডিয়েগোতে ৩১ বছর বয়সী অ্যালান পিকেন্স এবং তার স্ত্রী নতুন বাসা প্রতি বছরই স্থান পরিবর্তন করেন। কারণ প্রতিবছর বাসা ভাড়া বাড়তে থাকে। স্যান ডিয়েগোর এমন কিছু এলাকায় যেখানে রিয়েলপেজের সফটওয়্যার কাজ করছে, সেখানে ভাড়া আরও বেশি বেড়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে স্যান ডিয়েগোতে গড় ভাড়া ২ হাজার ৩৩৬ ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেড়েছে।
এ ছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, লো-ইনকাম ভাড়াটেরা এই ভাড়া বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ২০০০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে কলেজ না করা নাগরিকদের ভাড়ার জন্য ব্যয় করা আয়ের পরিমাণ ৩০ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশ বেড়েছে, যা আরও দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পাবলিক পেনশন ফান্ডগুলোও রিয়েলপেজে বিনিয়োগ করেছে, যা বিষয়টিকে আরও জটিল করেছে। তথাপি, রিয়েলপেজের পক্ষে বলা হয়েছে যে, তাদের সফটওয়্যারটি আইনগতভাবে উপযুক্ত এবং মালিকেরা এর পরামর্শ অমান্য করতে পারেন।
শেষ পর্যন্ত, এই পরিস্থিতিতে শুধু কোম্পানিগুলো লাভবান হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষ, ভাড়া বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়ছে, যা তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
তথ্যসূত্র: গিজমডো
প্রতিনিয়তই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর নতুন বছর মানে নতুন মডেলের ইলেকট্রনিক পণ্যের সমাহার। ২০২৫ সালও এর ব্যতিক্রম হবে না। বছর জুড়ে নিত্যনতুন পণ্য উন্মোচন হলেও বিশ্বের নামীদামি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো নিজেদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরে এক বিশেষ ইভেন্টে।
১ দিন আগেদৈনন্দিন সাধারণ কাজের জন্য হিউম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবটের ব্যাপক উৎপাদন শুরু করেছে চীনের রোবোটিকস প্রতিষ্ঠান অ্যাগিবট। এর মাধ্যমে ইলন মাস্কের টেসলার মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোতে টেক্কা দেবে চীন। ২০২৬ সালের মধ্যে অপটিমাস রোবট বাজারে নিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন মাস্ক। তবে এর আগেই
১ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহারের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। এবার নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে কল করেই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। অর্থাৎ স্মার্টফোন ছাড়াও টেলিফোন থেকে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া যাবে। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও এখন চ্যাটবটটিত
১ দিন আগেশিশুর সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আনন্দময় শৈশব অত্যন্ত জরুরি। তবে শৈশবে স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে পড়ে থাকলে বিলিয়নয়ের হতে পারতেন না বলে মনে করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আসক্তি কমানোর জন্য অভিভ
১ দিন আগে