ডিজিটাল প্রতারণা: ৫৯ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ২১
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১: ৩২
ডিজিটাল প্রতারণার জন্য সক্রিয়ভাবে ৫৯ হাজারেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট শনাক্ত ও ব্লক করেছে ভারত। ছবি: পাইমিন্টস ডট কম

ডিজিটাল প্রতারণার জন্য ১ হাজার ৭০০টি স্কাইপ আইডি ও ৫৯ হাজারেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ভারতের সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র (আই ৪ সি)। গত মঙ্গলবার লোকসভায় এ তথ্য জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা কেন্দ্রের এই উদ্যোগ সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বান্দি সঞ্জয় কুমার আরও জানিয়েছেন, আর্থিক প্রতারণার অবিলম্বে রিপোর্ট করার সুযোগ দেয় আই৪সির অধীনে ২০২১ সালে চালু হওয়া ‘সিটিজেন ফাইন্যান্সিয়াল সাইবার ফ্রড রিপোর্টিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’টি। এর মাধ্যমে প্রতারকেরা দ্রুত অর্থ সরিয়ে নিতে পারে না। এখন পর্যন্ত ৯ লাখেরও বেশি অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ হাজার ৪৩১ কোটি রুপি সুরক্ষিত করা হয়েছে।

কুমার একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ডিজিটাল প্রতারণার জন্য সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত ১ হাজার ৭০০টির বেশি স্কাইপ আইডি এবং ৫৯ হাজারেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট শনাক্ত ও ব্লক করেছে আই৪সি।

পুলিশ কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৬ লাখ ৬৯ হাজারেও বেশি সিম কার্ড এবং ১ লাখ ৩২ হাজারেরও আইএমইআই ব্লক করেছে ভারত সরকার।

এই সেবা নাগরিকদের ‘সাসপেক্ট সার্চ’ অপশন ব্যবহার করতে দেয়। এর মাধ্যমে নাগরিকেরা আই৪সির সাইবার অপরাধীদের শনাক্তকারী তথ্যভান্ডারে অনুসন্ধান করতে পারেন।

মন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, সাইবার অপরাধ, বিশেষ করে ডিজিটাল প্রতারণা মোকাবিলার জন্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতেৎ কেন্দ্রীয় সরকার ও টেলিকম সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো (টিএসপি) একটি ব্যবস্থা উন্নত করেছে। এই সিস্টেম আন্তর্জাতিক ভুয়া কলগুলো শনাক্ত করে এবং ব্লক করে, যেগুলো ভারতীয় মোবাইল নম্বর দেখায়, কিন্তু আসলে বিদেশ থেকে আসে।

কুমার উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি সাইবার অপরাধীরা কিছু ক্ষেত্রে যেমন—ভুয়া ডিজিটাল ধরপাকড়, ফেডএক্স স্ক্যাম এবং সরকারি বা পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে প্রতারণা করতে আন্তর্জাতিক ভুয়া কল ব্যবহার করেছে।

এ ছাড়া, টেলিকম সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে (টিএসপি) এমন ভুয়ার কলগুলো ব্লক করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি আই৪সিতে একটি অত্যাধুনিক সাইবার প্রতারণা প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিএফএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি প্রধান ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট ব্যবস্থা, টিসিপিএস, আইটি মধ্যস্থতাকারী এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।

মন্ত্রী বলেছেন, ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আই৪সি সাইবার অপরাধীদের শনাক্তকারী তথ্যের একটি সন্দেহভাজন রেজিস্ট্রি চালু করেছে, যা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের সাইবার ক্রাইম ওয়েবসাইটে ‘রিপোর্ট অ্যান্ড চেক সাসপেক্ট’ নামে একটি নতুন একটি ফিচার চালু করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত