অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যে ইন্টারনেট সার্চের উত্তর দিতে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করছে টেক জায়ান্ট গুগল। অর্থাৎ গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা কোনো কিছু জানতে চাইলে সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে দেবে এআই। যুক্তরাষ্ট্রেও গত বছর ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়া হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রাথমিকভাবে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত পরিসরে এই ফিচার উন্মোচন করা হয়েছে। তারা সার্চের ফলাফলের সবচেয়ে ওপরে এআই দিয়ে তৈরি ‘ওভারভিউ’ অপশনটি দেখতে পারবে। যদিও গুগলই সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, তবে এর প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি মাইক্রোসফটের বিং সার্চে ইতিমধ্যে কোপাইলট এআই যুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে এআইভিত্তিক উত্তরের ফলে ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা কম প্রবেশ করবে বলে মনে করছেন কিছু প্রকাশক। চ্যাটবট-স্টাইলের উত্তরগুলো তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ না করেও ব্যবহারকারীদের কৌতূহলকে সন্তুষ্ট করবে বলে তারা উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া এআই উত্তরগুলোতে লিংক ও বিজ্ঞাপনও কম থাকবে।
ফিচারটি ‘সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স’ হিসেবে নামকরণ করেছে গুগল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক বছর ধরে ফিচারটি পাওয়া যাচ্ছে। তবে যারা গুগল ল্যাবসের মাধ্যমে সাইন আপ করেছেন শুধুমাত্র তারাই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবে।
গুগল বলছে, এই পরীক্ষায় যুক্তরাজ্যের অনুসন্ধান ট্র্যাফিকের সঙ্গে ‘কিছুটা মিল’ থাকবে। এসব উত্তর লগ-ইন করা ব্যবহারকারীদের থেকে সার্চ থেকে নির্বাচিত।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এই ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোম্পানিটি ভবিষ্যতে কিছু প্রিমিয়াম এআই সার্চ ফিচারের জন্য সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান যুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে।
তবে এই দাবি অস্বীকার করে গুগল বলে, কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপনমুক্ত অভিজ্ঞতা দিতে কাজ করছে।
গুগলের সার্চে এআই যুক্ত করার প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত হেমা বুদারাজু বলেন, নতুন সার্চের ফলাফলে ডিসপ্লে ও বিজ্ঞাপন দেখা যাবে।
তিনি বলেন, ক্রিয়েটরদের কাছে ট্র্যাফিক পাঠানো কোম্পানিটির একটি ‘অগ্রাধিকার’ ছিল ও এআইভিত্তিক অনুসন্ধান ফলাফলগুলো ‘প্রকৃতপক্ষে বিস্তৃত উৎসের আরও লিংক দেখায়’। এছাড়া ব্যবহারকারীরা এখন বেশি বেশি তথ্যসূত্রের লিংকগুলোতে ক্লিক করছেন।
এআই দিয়ে তৈরি ‘ওভারভিউ’–এ শুধুমাত্র কিছু প্রশ্নের উত্তরে দেখানো হবে। এসব ফলাফল ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক ছিল বলে বর্তমান পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে উঠে আসে।
হেমা বলেন, ‘কীভাবে দেয়াল থেকে কালি মুছে ফেলতে হয়’–এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর ব্যবহারকারীদের কাজে লাগছে।
তবে গুগল এআই প্রযুক্তির সাধারণ ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন। এগুলো কখনো কখনো ক্ষতিকারক, আপত্তিকর, জাতিগত বা লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করে বা বাস্তবে ভুল এমন কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।
মিসেস বুদারাজু বলেছিলেন যে টেক জায়ান্ট ‘তথ্যের গুণমান’ বজায় রাখতে চেয়েছিল। কোম্পানি ‘দায়িত্বপূর্ণ উপায়ে করার জন্য অনেক যত্ন ও মনোযোগ দেবে’।
এজন্য গুগল উত্তরগুলোকে কম সাবলীল ও সীমাবদ্ধ করে সঠিক উত্তর তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সব প্রশ্নের এআইভিত্তিক উত্তর তৈরি করছে না কোম্পানিটি। বিশেষ করে যেখানে পর্যাপ্ত উচ্চ মানের তথ্যের উৎস নেই। এছাড়া কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ব্যবহারকারীরা এর প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারবে। গুগল পরিষ্কারভাবে জানিয়েও দিয়েছে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়া হয়েছে।
হেমা আরও বলেন, ‘আমরা পক্ষপাতিত্ব এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো এই পরীক্ষার মাধ্যমে খুঁজে পাব। সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে আরও ভালো করার জন্য বিনিয়োগ করা হবে।’
গুগল বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা এখন পর্যন্ত ফিচারটি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছ। কিন্তু পরীক্ষাটি সফল হলে ও এআইভিত্তিক সার্চ শেষ পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করলে তা আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। উদাহরণস্বরূপ —গবেষকেরা বলেন, বড় এআই প্রযুক্তিকে শক্তি দেয় এমন কম্পিউটিং এর জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এত বেশি শক্তি উৎপাদনের ফলে পরিবেশের ক্ষতিও হতে পারে।
যুক্তরাজ্যে ইন্টারনেট সার্চের উত্তর দিতে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করছে টেক জায়ান্ট গুগল। অর্থাৎ গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা কোনো কিছু জানতে চাইলে সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে দেবে এআই। যুক্তরাষ্ট্রেও গত বছর ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়া হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রাথমিকভাবে গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করা যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের জন্য সীমিত পরিসরে এই ফিচার উন্মোচন করা হয়েছে। তারা সার্চের ফলাফলের সবচেয়ে ওপরে এআই দিয়ে তৈরি ‘ওভারভিউ’ অপশনটি দেখতে পারবে। যদিও গুগলই সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, তবে এর প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি মাইক্রোসফটের বিং সার্চে ইতিমধ্যে কোপাইলট এআই যুক্ত করা হয়েছে।
অপরদিকে এআইভিত্তিক উত্তরের ফলে ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা কম প্রবেশ করবে বলে মনে করছেন কিছু প্রকাশক। চ্যাটবট-স্টাইলের উত্তরগুলো তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ না করেও ব্যবহারকারীদের কৌতূহলকে সন্তুষ্ট করবে বলে তারা উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া এআই উত্তরগুলোতে লিংক ও বিজ্ঞাপনও কম থাকবে।
ফিচারটি ‘সার্চ জেনারেটিভ এক্সপেরিয়েন্স’ হিসেবে নামকরণ করেছে গুগল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক বছর ধরে ফিচারটি পাওয়া যাচ্ছে। তবে যারা গুগল ল্যাবসের মাধ্যমে সাইন আপ করেছেন শুধুমাত্র তারাই ফিচারটি ব্যবহার করতে পারবে।
গুগল বলছে, এই পরীক্ষায় যুক্তরাজ্যের অনুসন্ধান ট্র্যাফিকের সঙ্গে ‘কিছুটা মিল’ থাকবে। এসব উত্তর লগ-ইন করা ব্যবহারকারীদের থেকে সার্চ থেকে নির্বাচিত।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রথম পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে এই ফিচার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোম্পানিটি ভবিষ্যতে কিছু প্রিমিয়াম এআই সার্চ ফিচারের জন্য সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান যুক্ত করার কথা বিবেচনা করছে।
তবে এই দাবি অস্বীকার করে গুগল বলে, কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপনমুক্ত অভিজ্ঞতা দিতে কাজ করছে।
গুগলের সার্চে এআই যুক্ত করার প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত হেমা বুদারাজু বলেন, নতুন সার্চের ফলাফলে ডিসপ্লে ও বিজ্ঞাপন দেখা যাবে।
তিনি বলেন, ক্রিয়েটরদের কাছে ট্র্যাফিক পাঠানো কোম্পানিটির একটি ‘অগ্রাধিকার’ ছিল ও এআইভিত্তিক অনুসন্ধান ফলাফলগুলো ‘প্রকৃতপক্ষে বিস্তৃত উৎসের আরও লিংক দেখায়’। এছাড়া ব্যবহারকারীরা এখন বেশি বেশি তথ্যসূত্রের লিংকগুলোতে ক্লিক করছেন।
এআই দিয়ে তৈরি ‘ওভারভিউ’–এ শুধুমাত্র কিছু প্রশ্নের উত্তরে দেখানো হবে। এসব ফলাফল ব্যবহারকারীদের জন্য সহায়ক ছিল বলে বর্তমান পরীক্ষাগুলোর ফলাফলে উঠে আসে।
হেমা বলেন, ‘কীভাবে দেয়াল থেকে কালি মুছে ফেলতে হয়’–এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর ব্যবহারকারীদের কাজে লাগছে।
তবে গুগল এআই প্রযুক্তির সাধারণ ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন। এগুলো কখনো কখনো ক্ষতিকারক, আপত্তিকর, জাতিগত বা লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব প্রদর্শন করে বা বাস্তবে ভুল এমন কনটেন্ট তৈরি করতে পারে।
মিসেস বুদারাজু বলেছিলেন যে টেক জায়ান্ট ‘তথ্যের গুণমান’ বজায় রাখতে চেয়েছিল। কোম্পানি ‘দায়িত্বপূর্ণ উপায়ে করার জন্য অনেক যত্ন ও মনোযোগ দেবে’।
এজন্য গুগল উত্তরগুলোকে কম সাবলীল ও সীমাবদ্ধ করে সঠিক উত্তর তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সব প্রশ্নের এআইভিত্তিক উত্তর তৈরি করছে না কোম্পানিটি। বিশেষ করে যেখানে পর্যাপ্ত উচ্চ মানের তথ্যের উৎস নেই। এছাড়া কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে ব্যবহারকারীরা এর প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারবে। গুগল পরিষ্কারভাবে জানিয়েও দিয়েছে এই ফিচারটি পরীক্ষামূলকভাবে ছাড়া হয়েছে।
হেমা আরও বলেন, ‘আমরা পক্ষপাতিত্ব এবং নিরাপত্তার বিষয়গুলো এই পরীক্ষার মাধ্যমে খুঁজে পাব। সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে আরও ভালো করার জন্য বিনিয়োগ করা হবে।’
গুগল বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা এখন পর্যন্ত ফিচারটি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছ। কিন্তু পরীক্ষাটি সফল হলে ও এআইভিত্তিক সার্চ শেষ পর্যন্ত কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করলে তা আরও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। উদাহরণস্বরূপ —গবেষকেরা বলেন, বড় এআই প্রযুক্তিকে শক্তি দেয় এমন কম্পিউটিং এর জন্য প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। এত বেশি শক্তি উৎপাদনের ফলে পরিবেশের ক্ষতিও হতে পারে।
মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম সিমিলার ওয়েবের মতে, প্রতিদিনের সক্রিয় ব্যবহারকারীদের দিক থেকে থ্রেডসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে ব্লুস্কাই। বর্তমানে ব্লুস্কাইয়ের অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপ। এরপরেই রয়েছে থ্রেডস।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সানি ভ্যালে শহরে অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পাঁচতলা অফিস ভবন তৈরি করেছে টেক জায়ান্ট গুগল। এই ভবনের বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরিতে প্রথমবারের মতো ‘মাস টিম্বার’ ব্যবহার করেছে কোম্পানিটি। কাঠ বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মাস টিম্বার তৈরি করা হয়। তাই ভবনটি...
১ দিন আগেপাশ্চাত্যে উৎসবের মৌসুমে বা নতুন বছর আসার আগে প্রায় সবাই ছুটি উপভোগ করেন। এই সময়টিতে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, বিশ্রাম নেওয়া এবং গত বছরের কঠিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া একটি সাধারণ বিষয়। অনেক কোম্পানি এসময় কর্মীদের ছুটি দেয়, যাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। তবে এ
১ দিন আগেদৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারে জন্য টেকসই স্মার্টফোনের চাহিদা অনেক বেশি। এজন্য মিড রেঞ্জের টেকসই স্মার্টফোন ‘অনার এক্স ৯ সি’ উন্মোচন করেছে অনার। এই মডেল গত অক্টোবর মাসে লঞ্চ হওয়া এক্স ৯ বি–এর উত্তরসূরি। ফোনটি হাত থেকে পড়ে গেলেও অক্ষত থাকবে বলে কোম্পানিটি দাবি করছে। ফোনটির ব্যাটারি চার্জ ২ শতাংশে নেমে আসে ত
১ দিন আগে