অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি, ভিডিও, টেক্সট পোস্ট বা ই–মেইল আদান প্রদানের মতো সাধারণ ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৃথিবীতে কার্বন দূষণ বাড়িয়ে তুলছি আমরা। সেই সঙ্গে ডেটা সেন্টার ও ডেটা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কগুলোও ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি বিকাশের কারণে এই নির্গমন আরও বাড়ছে।
এভাবে চলতে থাকলে কার্বন নির্গমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন কখনোই সম্ভব হবে না। এতে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদনে এমন সব তথ্যই উঠে এসেছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বলছে, এখন বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ শক্তির ১ দশমিক ৫ শতাংশ খরচ করে ডেটা সেন্টার ও ডেটা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কগুলো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে যে পরিমাণ কার্বন দূষণ হচ্ছে তা পুরো উড়োজাহাজ শিল্পের দূষণের সমান হয়ে যাচ্ছে।
কার্বন দূষণ নিয়ে গত সপ্তাহের শুরুতে গুগল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এআই প্রযুক্তির ফলে কোম্পানিটির কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কার্বন নির্গমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্চ জায়ান্টটির প্রতিশ্রুতিকেও হুমকির মুখে পড়েছে।
বিশ্বব্যাপী এআইয়ের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী সার্ভারের সংখ্যা আরও বাড়াতে হচ্ছে। আর এসব ডেটা সেন্টার ও সার্ভার চালানোর জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি প্রয়োজন হয়।
দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদক আর্থার হল্যান্ড মিশেল বলেন, নতুন ভিডিও বা ই–মেইল পাঠানো বা ইনস্টাগ্রামে পছন্দের খাবারের কোনো ছবি পোস্ট করা চিরকালের জন্য একটি লাইট বাল্ব জ্বালানোর মতো। অর্থাৎ, এই ডিজিটাল ডেটা যতই আদান প্রদান, ক্লাউডে পোস্ট করা হবে ততই কার্বন নির্গমন বাড়বে। কারণ এসব ডেটা সার্ভারে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ হচ্ছে।
ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম জ্যাকসন বলেন, সবাই বলেন, উড়োজাহাজে চড়া পরিবেশের জন্য খারাপ। তবে আমাদের বর্তমানে ডিজিটাল কর্মকাণ্ডগুলো পরিবেশের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তা যাচাই করি না।
পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকার, ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়, তেমনি সাধারণ মানুষের কিছু নৈতিক দায়িত্বও রয়েছে। সবার ছোট ছোট প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তৈরি করতে পারে। যেমন: ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট বন্ধ করা, অপ্রয়োজনে পানির কল ছেড়ে না রাখা এবং পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া।
২০২০ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ সচেতন ভোক্তা বাড়ছে। অনলাইন ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের ওপর এসবের বিরূপ প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে মানুষ।
কার্বন–ক্রেডিট কোম্পানি ক্লাইমেট ইম্প্যাক্ট পার্টনার এই ধরনের ‘ডিজিটাল পরিবেশবাদীদের’ জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছে। কোম্পানিটি বলে, শুধু অডিও শোনার জন্য পুরো ভিডিও চালু না করা বা যেসব ই–মেইল পড়া হয় না, সেগুলো আনসাবস্ক্রাইব করা। আর সম্ভব হলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার না করে সরাসরি ওয়েবসাইটের লিংকে প্রবেশ করা।
তবে বাস্তবতা হলো আধুনিক যুগে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে ফেলা অনেক কঠিন। এই ধরনের ছোট ছোট পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকরী তাও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
মিশেল বলেন, মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে এক দশকে প্রায় ১০০ গ্রামের মতো কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হতে পারে। আবার একই ভিডিও দুটি ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করে অনেকে।
ক্লাউড সার্ভারে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহৃত হয় তার ওপরেও কার্বন নির্গমনের পরিমাণ নির্ভর করে। কত ঘন ঘন ডেটা অ্যাকসেস ও শেয়ার করা হয় সে অনুযায়ী নির্গমনও ওঠানামা করে। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে গুগল ক্লাউড স্টোরেজের সার্ভার ওরেগনের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি কার্বন নির্গমন করে।
২০২০ সালে ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাবিহ বাশরৌশ অনুমান করেন, পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করলে তাঁর ১৯ কোটি ফলোয়ারের কাছে পৌঁছাতে যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে তা দিয়ে একটি পরিবারের পাঁচ থেকে ছয় বছরের বিদ্যুৎ চাহিদার সমান।
২০২১ সালে বার্নস লি ও একদল গবেষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। গবেষণাপত্রে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ খাতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই দশকের শেষ নাগাদ এটির কার্বন নিঃসরণ ৪২ শতাংশ কমাতে হবে ও পরবর্তী দশকের শেষে ৭২ শতাংশ কমাতে হবে।
প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এআই–এর ব্যবহার এড়ানো দিন দিন কঠিন করে তুলছে। সম্প্রতি গুগল নতুন ফিচার পরীক্ষামূলকভাবে উন্মোচন করেছে যা এআই ব্যবহার করে ই–মেইল লিখে দিতে পারবে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্যও মেটা এআই চালু করেছে। আর চলতি বছর আইফোন, আইপ্যাড ও সম্ভবত ম্যাকেও এআই মডেল অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স চালু করবে অ্যাপল।
একই ঘটনা ইন্টারনেট সংযোগে থাকা ডিভাইসের ক্ষেত্রেও ঘটছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটি ঘরে স্মার্ট টিভি, রেফ্রিজারেটরের মতো ডিভাইস রয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
আইবিএমের মতে, এসব ডিভাইস থেকে আপলোড করা ৯০ শতাংশ হলো ডার্ক ডেটা। অর্থাৎ এসব ডেটা কখনোই আর ব্যবহৃত হবে না।
ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন টুল অনলাইনে পাওয়া যায়। সাংবাদিক হল্যান্ড মিশেল এই ধরনের টুল ব্যবহার করে দেখেন, ফোর্ড গাড়ি ৩ হাজার মাইল চললে যে পরিমাণ কার্বন–ডাই–অক্সাইড নির্গমন করে প্রতি বছরের ডিজিটাল কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনিও একই পরিমাণ কার্বন নির্গমনে প্রভাব রাখেন।
এখন আমরা এমন এক যুগে বাস করি যেখানে ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। তবে যখন সুযোগ থাকে তখনই কম ডেটা ব্যবহার করা উচিত। যেমন: ওয়েবসাইটের থার্ড পার্টি ট্র্যাকিং সাইটগুলো ব্লক করা। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে এটি শুধু বিদ্যুৎ অপচয় রোধই করে না, সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও রক্ষা করে। আর এআই টুলগুলো বিদ্যুৎ ও পানি খরচের পাশাপাশি ভুল তথ্যও দিতে পারে। আর ঘরের ডিভাইসগুলো থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাই ভালো। কারণ এর মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে বাঁচা যায়।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি, ভিডিও, টেক্সট পোস্ট বা ই–মেইল আদান প্রদানের মতো সাধারণ ডিজিটাল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পৃথিবীতে কার্বন দূষণ বাড়িয়ে তুলছি আমরা। সেই সঙ্গে ডেটা সেন্টার ও ডেটা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কগুলোও ব্যাপক হারে বিদ্যুৎ শক্তি খরচ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি বিকাশের কারণে এই নির্গমন আরও বাড়ছে।
এভাবে চলতে থাকলে কার্বন নির্গমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন কখনোই সম্ভব হবে না। এতে পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদনে এমন সব তথ্যই উঠে এসেছে।
ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি বলছে, এখন বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ শক্তির ১ দশমিক ৫ শতাংশ খরচ করে ডেটা সেন্টার ও ডেটা ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কগুলো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি থেকে যে পরিমাণ কার্বন দূষণ হচ্ছে তা পুরো উড়োজাহাজ শিল্পের দূষণের সমান হয়ে যাচ্ছে।
কার্বন দূষণ নিয়ে গত সপ্তাহের শুরুতে গুগল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এআই প্রযুক্তির ফলে কোম্পানিটির কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কার্বন নির্গমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সার্চ জায়ান্টটির প্রতিশ্রুতিকেও হুমকির মুখে পড়েছে।
বিশ্বব্যাপী এআইয়ের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শক্তিশালী সার্ভারের সংখ্যা আরও বাড়াতে হচ্ছে। আর এসব ডেটা সেন্টার ও সার্ভার চালানোর জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক শক্তি প্রয়োজন হয়।
দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদক আর্থার হল্যান্ড মিশেল বলেন, নতুন ভিডিও বা ই–মেইল পাঠানো বা ইনস্টাগ্রামে পছন্দের খাবারের কোনো ছবি পোস্ট করা চিরকালের জন্য একটি লাইট বাল্ব জ্বালানোর মতো। অর্থাৎ, এই ডিজিটাল ডেটা যতই আদান প্রদান, ক্লাউডে পোস্ট করা হবে ততই কার্বন নির্গমন বাড়বে। কারণ এসব ডেটা সার্ভারে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বৈদ্যুতিক শক্তি খরচ হচ্ছে।
ইংল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টম জ্যাকসন বলেন, সবাই বলেন, উড়োজাহাজে চড়া পরিবেশের জন্য খারাপ। তবে আমাদের বর্তমানে ডিজিটাল কর্মকাণ্ডগুলো পরিবেশের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তা যাচাই করি না।
পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকার, ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ওপর বর্তায়, তেমনি সাধারণ মানুষের কিছু নৈতিক দায়িত্বও রয়েছে। সবার ছোট ছোট প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য তৈরি করতে পারে। যেমন: ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট বন্ধ করা, অপ্রয়োজনে পানির কল ছেড়ে না রাখা এবং পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া।
২০২০ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবেশ সচেতন ভোক্তা বাড়ছে। অনলাইন ও মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশের ওপর এসবের বিরূপ প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে মানুষ।
কার্বন–ক্রেডিট কোম্পানি ক্লাইমেট ইম্প্যাক্ট পার্টনার এই ধরনের ‘ডিজিটাল পরিবেশবাদীদের’ জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছে। কোম্পানিটি বলে, শুধু অডিও শোনার জন্য পুরো ভিডিও চালু না করা বা যেসব ই–মেইল পড়া হয় না, সেগুলো আনসাবস্ক্রাইব করা। আর সম্ভব হলে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার না করে সরাসরি ওয়েবসাইটের লিংকে প্রবেশ করা।
তবে বাস্তবতা হলো আধুনিক যুগে ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে ফেলা অনেক কঠিন। এই ধরনের ছোট ছোট পদক্ষেপ কতটুকু কার্যকরী তাও নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
মিশেল বলেন, মাত্র ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে এক দশকে প্রায় ১০০ গ্রামের মতো কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হতে পারে। আবার একই ভিডিও দুটি ক্লাউড প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ করে অনেকে।
ক্লাউড সার্ভারে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহৃত হয় তার ওপরেও কার্বন নির্গমনের পরিমাণ নির্ভর করে। কত ঘন ঘন ডেটা অ্যাকসেস ও শেয়ার করা হয় সে অনুযায়ী নির্গমনও ওঠানামা করে। যেমন: যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে গুগল ক্লাউড স্টোরেজের সার্ভার ওরেগনের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি কার্বন নির্গমন করে।
২০২০ সালে ইস্ট লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাবিহ বাশরৌশ অনুমান করেন, পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করলে তাঁর ১৯ কোটি ফলোয়ারের কাছে পৌঁছাতে যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে তা দিয়ে একটি পরিবারের পাঁচ থেকে ছয় বছরের বিদ্যুৎ চাহিদার সমান।
২০২১ সালে বার্নস লি ও একদল গবেষক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। গবেষণাপত্রে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে তথ্য ও যোগাযোগ খাতকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই দশকের শেষ নাগাদ এটির কার্বন নিঃসরণ ৪২ শতাংশ কমাতে হবে ও পরবর্তী দশকের শেষে ৭২ শতাংশ কমাতে হবে।
প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এআই–এর ব্যবহার এড়ানো দিন দিন কঠিন করে তুলছে। সম্প্রতি গুগল নতুন ফিচার পরীক্ষামূলকভাবে উন্মোচন করেছে যা এআই ব্যবহার করে ই–মেইল লিখে দিতে পারবে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্যও মেটা এআই চালু করেছে। আর চলতি বছর আইফোন, আইপ্যাড ও সম্ভবত ম্যাকেও এআই মডেল অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স চালু করবে অ্যাপল।
একই ঘটনা ইন্টারনেট সংযোগে থাকা ডিভাইসের ক্ষেত্রেও ঘটছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ৪০ কোটি ঘরে স্মার্ট টিভি, রেফ্রিজারেটরের মতো ডিভাইস রয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
আইবিএমের মতে, এসব ডিভাইস থেকে আপলোড করা ৯০ শতাংশ হলো ডার্ক ডেটা। অর্থাৎ এসব ডেটা কখনোই আর ব্যবহৃত হবে না।
ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট পরিমাপ করার জন্য বিভিন্ন টুল অনলাইনে পাওয়া যায়। সাংবাদিক হল্যান্ড মিশেল এই ধরনের টুল ব্যবহার করে দেখেন, ফোর্ড গাড়ি ৩ হাজার মাইল চললে যে পরিমাণ কার্বন–ডাই–অক্সাইড নির্গমন করে প্রতি বছরের ডিজিটাল কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনিও একই পরিমাণ কার্বন নির্গমনে প্রভাব রাখেন।
এখন আমরা এমন এক যুগে বাস করি যেখানে ডিজিটাল সেবা ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই। তবে যখন সুযোগ থাকে তখনই কম ডেটা ব্যবহার করা উচিত। যেমন: ওয়েবসাইটের থার্ড পার্টি ট্র্যাকিং সাইটগুলো ব্লক করা। ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে এটি শুধু বিদ্যুৎ অপচয় রোধই করে না, সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও রক্ষা করে। আর এআই টুলগুলো বিদ্যুৎ ও পানি খরচের পাশাপাশি ভুল তথ্যও দিতে পারে। আর ঘরের ডিভাইসগুলো থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাই ভালো। কারণ এর মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থেকে বাঁচা যায়।
ইলন মাস্কের মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স–এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইভিত্তিক ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিয়ে করছে মেটার থ্রেডস। ফিচারটি এআই ব্যবহার করে ট্রেন্ডিং বিষয়গুলো সারসংক্ষেপ তৈরি করে দেবে।
২ ঘণ্টা আগেওপেনএআই-এর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যানথ্রোপিক–এ আরও ৪ বিলিয়ন বা ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানি আমাজন। বড় প্রযুক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (জেনএআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ার কারণে ই-কমার্স জায়ান্টটি এই বিনিয়োগ করেছে। সং
৩ ঘণ্টা আগেএক্সের (সাবেক টুইটার) প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডসের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করল মেটা। এর ফলে যেসব অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীরা ফলো করেন সেগুলোর কনটেন্টই বেশি দেখানো হবে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ফিচারটি চালু হয়।
২০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইম ম্যাগাজিন–এর কভারে ধনকুবের ইলন মাস্কের ‘টু ডু লিস্ট’ বা দিনের কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে এটি মাস্কের ব্যক্তিগত চেকলিস্ট নয় বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন মাস্ক।
২১ ঘণ্টা আগে