ঋণ অনিয়ম এবং খেলাপি ঋণের চাপে নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর গ্রাহকদের আস্থা-সংকটের ফলে আমানত ও ঋণ বিতরণ দু-ই কমেছে।
ডিসেম্বর চলে যাচ্ছে। বছর শেষ হচ্ছে। চূড়ান্তভাবে খেলাপি ঋণের হিসাবকিতাবও তৈরি হবে এই ডিসেম্বরেই। বছরে চারবার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এই হিসাব করা হয়ে থাকে। মার্চ, জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরে। ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় (গ্রেস পিরিয়ড) পরও যদি ঋণটি পরিশোধিত না হয়, তাহলে ঋণটিকে খেলাপি হিসেবে..
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তারা ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা, খেলাপি ঋণ আদায় জোরদার করা, এবং রিজার্ভ চুরির দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়...
উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনার অজুহাতে কয়েকটি ব্যাংককে হাজার হাজার কোটি টাকা নগদ সহায়তা প্রদানের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিরা গণবিরোধী ও আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের...
বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে এবি ব্যাংকের অনেক অবদান রয়েছে। ব্যাংকটি শুরু থেকেই গ্রাহক সেবার জন্য নিবেদিত। দেশের কিছু ব্যাংকে গ্রাহক টাকা না পেলেও এবি ব্যাংকের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। সামনেও ঘটার সুযোগ নেই। বরং খেলাপি ঋণ আদায়ে কর্মকর্তারা বদ্ধপরিকর। খেলাপি কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়
খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়মকে বেসরকারি খাতের জন্য প্রতিকূল আখ্যা দিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এই নীতি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিজিএমইএ আয়োজিত এক সভায় এসব আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, জালিয়াতি এবং নানা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে দেশের ব্যাংকিং খাত এখন ‘ব্ল্যাকহোলে’ পরিণত হয়েছে। ফলে অদেখা খেলাপি ঋণ দেখা ঋণের তিন গুণ বেশি দাঁড়িয়েছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে।
জনতা ব্যাংক চট্টগ্রামের দুই শাখা থেকে নামে–বেনামে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। সময়মতো ঋণ শোধ না করায় ইতিমধ্যে গ্রুপটির সম্পত্তি নিলামে তুলেছে জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ সাধারণ বিমা শাখা।
গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে টাকা ছাপিয়ে হলেও দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোকে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে, এবং প্রয়োজন হলে আরো সহায়তা দেওয়া হবে। আগামী রোববার থেকে গ্রাহকরা কোনো
ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতার অভাব, আর্থিক সুরক্ষার ঘাটতি ও গ্রাহকের আস্থার অবনতি উল্লেখ করে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের রেটিং কমিয়েছে মুডিজ। বিশ্বখ্যাত ‘ক্রেডিট রেটিং’ সংস্থা মুডিজ গতকাল মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর এক দিন আগে, সংস্থাটি বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিং বি১ থেকে কমিয়ে বি২ করেছে...
বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের
দেশের ব্যাংকগুলোতে সুশাসনের অভাব, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে খেলাপি ঋণ মাত্র ৩ মাসে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেড়েছে। ফলে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যের প্রতিবেদন থেকে এ বিষয়টি জানা গেছে
আলোচিত ব্যবসায়িক গ্রুপ অ্যাননটেক্সের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের পাওনা ৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। ঋণের এই টাকা আদায়ে মামলা করেছে জনতা ব্যাংক। সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় আটকে রয়েছে ব্যাংকের এসব অর্থ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৭৯৪ কোটি টাকা বকেয়া এবং খেলাপি ঋণ আদায় করেছে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সহায়তার মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা পেয়েছে ব্যাংকটি।
খেলাপি ঋণের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। গত জুন পর্যন্ত ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা।
ব্যাংকের বোর্ড সভায় সশরীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করায় বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালকের পদ হারাতে যাচ্ছেন অন্তত ৬০ জন। কারণ, তাঁরা সশরীর সভায় যোগ দিচ্ছেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বেসরকারি ২৮ ব্যাংকের এই পরিচালকেরা আত্মগোপনে বা বিদেশে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঋণখেলাপিদের ধরতে কঠোর হচ্ছেন গভর্নর। এ জন্য ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর (সিআইবি) তথ্য ধরেই আগানোর চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রয়ে গেছে একটি বিপত্তি। তা হলো, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সিআইবিতে সরাসরি তথ্য আপলোডের ক্ষমতা। সিআইবির ড্যাশবোর্ডে সরাসরি তথ্য আপলোড করার সুযোগ থাকায় ব্যাংক কর্তৃ