
জাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের একটি। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা জাকাত আদায়ের অপরিহার্যতা ও অনাদায়ের শাস্তির কথা বর্ণনা করেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্কের মুসলমান নারী-পুরুষ নিসাবের মালিক হলে জাকাত ফরজ হয়। নিসাবের মালিক হওয়ার অর্থ—মালিকানায় মৌলিক প্রয়োজন থেকে উদ্বৃত্ত সাড়ে সাত

মানুষের মৌলিক চাওয়া হলো—খাদ্য, পোশাক ও বাসস্থান। কোনো জনপদের মানুষের জীবনে এসব চাওয়া পূর্ণ করা দুঃসাধ্য হলে এবং খরা, যুদ্ধ বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম কারণে খাদ্যসংকট দেখা গেলে, তাকে দুর্ভিক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। দুর্ভিক্ষ আল্লাহর

সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো খনিজসম্পদে জাকাত ফরজ নয়। এই নীতির আলোকে ডায়মন্ডসহ অন্যান্য মণি-মুক্তার গয়নার জন্য জাকাত ফরজ হবে না। তবে এসব গয়না ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেনা হলে, জাকাত দিতে হবে। ইমাম নববি (রহ.) বলেন,

জাকাত সংগ্রহ, বিতরণ, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরির ক্ষমতা বোর্ডের থাকবে। স্থানীয়ভাবে জাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে কেন্দ্রীয়, সিটি করপোরেশন, বিভাগ, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন করতে পারবে।