বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের অস্থিরতা ও সংকটে ভুগছিল দেশ। সেটি এখনো পুরোপুরি দূর হয়নি। তবে, প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় পর এখন বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর কাছে সাড়ে ৬ বিলিয়ন ডলার তথা ৬৫০ কোটি ডলার চায় বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান
আসন্ন মুদ্রানীতির জন্য সুদের হার নির্ধারণে রীতিমতো ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার সুদহার বাজারভিত্তিকের পরেও কাজ না করায় অসহায়ত্বের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি টাকার সরবরাহ কমিয়েও মূল্যস্ফীতির লাগামও টানা যাচ্ছে না।
মুদ্রানীতির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে মে সাসে। আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ৪৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এই ঋণের প্রবৃদ্ধির হার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে ১৪ শতাংশ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এরপর থেকে লক্ষ্যমাত্
মুদ্রানীতিতে সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই যখন প্রায় ব্যর্থতার পথে, তখন আরেকটি মুদ্রানীতি দোরগোড়ায়। আগামী মাসের মাঝামাঝি ঘোষণা করা হতে পারে নতুন মুদ্রানীতি, যার লক্ষ্য থাকবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার নতুন ঘোষণা আসতে পারে এতে। বাতিল হতে পারে ক
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়তা না করতে পারলেও ঠিকই বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ আটকে দিয়েছে। সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, উচ্চ সুদহার এবং তারল্যসংকটের প্রভাব ব্যাংকের ঋণ বিতরণেও দৃশ্যমান হয়েছে। পর্যাপ্ত নগদ টাকা না থাকায় চলতি বছরের এপ্রিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আগের মাসের তুলনায় কমেছে। এ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্ত মানার ফাঁদে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। ঋণ পাওয়ার নামে সংস্থাটির নানান শর্ত মানতে হচ্ছে সরকারকে। এসব শর্তের প্রভাবে আর্থিক ও মুদ্রা খাতে চলছে অস্থিরতা।
বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবের ঘাটতি মেটাতে আগামীতে মুদ্রানীতি সংস্কারে ক্ষেত্রে ডলারসহ বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নমনীয় বা বাজারভিত্তিক রাখার উপর আবারও জোর দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আজ মঙ্গলবার সকালে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণ
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যে সারা বিশ্বের মানুষ ভুগছে। এ জন্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও দীর্ঘ মেয়াদে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার বিকল্প নেই। কিন্তু ভোটের জোয়ারের মধ্যে নীতিনির্ধারকেরা সে পথে না গিয়ে বড় ঝুঁকি নিচ্ছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে অর্থের প্রবাহ কমাতে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার বাধ্য হয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ কমিয়ে দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো, ভাটা পড়েছে বেসরকারি ঋণ
ব্যাংক ঋণের করিডোর রেট বা বাজারভিত্তিক সুদহার সামান্য কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে মার্চে সুদের হার হবে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সরকারি–বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনীতির আকার বাড়ানোর লক্ষ্য ছিল সরকারের। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগের অভাব ও উচ্চ সুদের হারের প্রভাবের সম্মিলিত ফসল হিসেবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও শ্লথ প্রবৃদ্ধির ফাঁদে আটকে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতি কমাতে পারবে না বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তাঁরা মনে করেন, অর্থনীতিকে ঠিক যে ব্যবস্থাপনার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত ছিল, সেটি হয়নি। রিজার্ভ ব্যবস্থাপনাও দুর্বল।
ব্যাংক খাতে তারল্যসংকট দিনদিন বেড়েই চলছে। নগদ টাকার অভাবে পড়ে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছে স্বল্পকালীন ধার (কলমানি মার্কেট) নিয়ে চলছে। অন্তত ৪০টি ব্যাংক এভাবে ধার করে নগদ টাকার জন্য কলমানি থেকে ধার করে চলছে। টাকার সংকট কাটাতে উচ্চ সুদেও আমানত সংগ্রহ করছে অনেক ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। বাজারে টাকার জোগান কমাতে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নীতি সুদহার দশমিক ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
পরবর্তী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করল বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদের হার বাড়িয়ে ঋণপ্রবাহ কমানোর মধ্য দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। তবে শুধু মূল্যস্ফীতি কমাতে গিয়ে অর্থনীতির অন্য সব খাত বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও ব্যবসা-বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়বে, ওই ব্যাপারে তেমন