অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই ইতিবাচক দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ। সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংক বেশি দামে ডলার কেনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে। ফলে চলতি মাসের ২১ দিনে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ফলে প্রায় দেড় মাস পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপিএম-৬ অন
কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় ডাকাতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিয়ন মোল্লা নীরব নামের যে যুবক, তিনি সৌদিপ্রবাসী এক নারীর স্বামী। স্ত্রীর পাঠানো রেমিট্যান্স তোলার কথা বলে নীরব ও তাঁর সহযোগীরা ব্যাংকটিতে ঢোকেন।
চলতি ডিসেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধ পথে ২০০ কোটি মার্কিন (২ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের এ ধারা...
আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) বিল পরিশোধে রিজার্ভ কমলেও রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক প্রভাবে ফের বেড়েছে রিজার্ভ। গতকাল বৃহস্পতিবার আইএমএফের নির্দেশে বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) ম্যানুয়াল অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকেই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে অর্থবছরের পঞ্চম মাস নভেম্বরেও। নভেম্বরের পুরো সময়ে এসেছে প্রায় ২২০ কোটি (২ দশমিক ২০ বিলিয়ন) ডলারে রেমিট্যান্স; দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।
দেশে রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় আসার দিক থেকে ৯টি বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। অপরদিকে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রংপুর। এছাড়া জেলাওয়ারী হিসাবেও প্রবাসী আয়ে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা জেলা এবং সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স পাঠান লালমনিরহাট জেলার প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন
নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনে প্রবাসীরা ১৭৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ধারাবাহিক বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেমিট্যান্স ২.২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স আয়। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি নভেম্বরের প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। আর প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৮৭৩ কোটি টাকার বেশি প্রবাসী আয়
অক্টোবরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। এর ফলে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৪ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে।
সৌদি আরবের গিগা প্রকল্পগুলোতে কর্মসংস্থানের সন্ধানে চলতি বছরের শুরু থেকেই দক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিকদের অভিবাসন বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছর প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশি বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন।
রিজার্ভ ঘিরে চলছে আলো-আঁধারের খেলা। এই বাড়ে তো আবার কমে। শঙ্কার কারণ হলো, কখনো কখনো রিজার্ভের এই স্তর নেমে আসে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। পরিস্থিতির উন্নয়নে তখন চাতক পাখির মতো বাংলাদেশ ব্যাংককে তাকিয়ে থাকতে হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের আয় প্রত্যাবাসনের দিকে।
রেমিট্যান্স বাড়াতে আরবি ভাষা শিক্ষার ওপর জনমত সৃষ্টি করা দরকার। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের দেশের শ্রমিকেরা ভাষা না জানার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে আমাদের জনশক্তির অপচয় না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) চেয়ারম্যান ও জাতীয় রাজস্ব
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২৬ দিনে ১৯৪ কোটি ৯৪ লাখ (১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা
আগের মাস সেপ্টেম্বরের মতো চলতি মাস অক্টোবরেও ঊর্ধ্বমুখী রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি। অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স। চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা; দেশীয় মুদ্রায় যার
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে ২০ ও ২১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রেমিট্যান্স ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মানি ট্রান্সফার অপারেটর, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। এবারের স্লোগান ‘নতুন সম্ভাবনা, নতুন বাজার, নতুন অংশীদার’।
রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবাহ, ডলার সাশ্রয়ের জন্য আমদানিতে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ এবং ব্যবসার আড়ালে পাচার ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দর যাচাইয়ের ফলে চলতি অর্থবছরের শুরুতে কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্ট
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখছেন প্রবাসীরা। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতেও ভূমিকা রাখছে। এমন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।