আকুর দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে ১৯.৬৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে (বিপিএম-৬ হিসাবে)। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল ও সন্তোষজনক বললেও রিজার্ভ বৃদ্ধির জন্য আমদানি খরচ ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ভারসাম্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
আইএমএফ বাংলাদেশকে যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু বাস্তবে ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। তিন বছর আগে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিসানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বাজেট পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। ২০২৫ সালের এই বাজেটে দিসানায়েকের সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে চলা এবং দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেছে।
আইএমএফের শর্ত পূরণ না করায় মার্চে চতুর্থ কিস্তির ৬৪.৫০ কোটি ডলার ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে উপস্থাপন করা হবে। কর আদায় বাড়াতে জেলা প্রশাসকদের...
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কয়েক মাস ধরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামা করছে। জানুয়ারির শুরুতে এটি ২১ বিলিয়ন ডলার ছুঁলেও আকু বিল পরিশোধের পর তা ১৯ বিলিয়নে নেমে আসে। তবে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রিজার্ভ বেড়ে ২০ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ভারত ১২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। যা কিনা ওই বছরের দেশটিতে যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ২২০ শতাংশ বেশি। আর ২০২৪ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল (আনুমানিক) ১২৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, প্রতিবছরই ভারতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।
বছর দু-এক আগেও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি দেনায় জর্জরিত ছিল। মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। তবে সেই দিনের অবসান হয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে থাকা শ্রীলঙ্কা এত দারুণভাবে ফিরে এসেছে যে, দেশটির মূল্যস্ফীতি নেমে গেছে ঋণাত্মক পর্যায়ে নেমে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ ত
খেলাপি ঋণ নিয়ে নানা হুঙ্কারের পর ফের পিছুটান নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে জন্য ঋণের মেয়াদ ৯০ দিন পার হলে তা খেলাপি করা হবে, এমন সিদ্ধান্ত আগামী এপ্রিলে কার্যকর না করে জুলাই মাস থেকে কার্যকরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা; যা মোট ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ। মাত্রাতিরিক্ত খেলাপির কারণে সঞ্চিতি সংরক্ষণের (প্রভিশন) পরিমাণ বেড়েছে; যা অনেক ব্যাংকের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে...
দেশে ডলার বাজার এখনো স্থিতিশীল হয়নি। কয়েক মাস ধরেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মানদণ্ড বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধির ফলে মানুষের ওপর ন্যূনতম প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, এই উদ্যোগ আইএমএফের পরামর্শে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নেওয়া হয়েছে। শুল্ক-ভ্যাট বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব আয় বাড়ানো, টাকার মান স্থিতিশীল রাখা, এব
মূল্যস্ফীতি ও জনদুর্ভোগ কমাতে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি। তারা এই সিদ্ধান্ত বাতিল অথবা আগামী রমজান পর্যন্ত কার্যকর না করার দাবি জানিয়েছে...
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী ১৭ জানুয়ারি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক আউটলুক প্রকাশ করবে। এতে স্থিতিশীল বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। গতকাল শুক্রবার তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন...
মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও শুল্কের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির কৌতূহলোদ্দীপক বছর হতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল। গত কয়েক বছরে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল...
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ১ দশমিক ৮১ শতাংশে নেমেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার ফলে কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি তলানিতে পৌঁছেছে। সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে কৃষি খাতে (০.১৬%)...
রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকার অর্থবছরের মাঝামাঝি এসে ভ্যাটের (মূল্য সংযোজন কর) ওপর ভর করার যে পথটি বেছে নিয়েছে, তা প্রতিকূল ফলাফল নিয়ে আসতে পারে বলে অর্থনীতিবিদেরা আশঙ্কা করছেন। ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের মাধ্যমে সরকার সম্পদশালীদের ওপর সরাসরি বাড়তি কর আরোপের পরিবর্তে