শেখ হাসিনার পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাড়ে ১৫ বছর ধরে এ দেশের জনগণের মাথাপিছু জিডিপি প্রশংসনীয় গতিতে বাড়ার গল্প সাজিয়ে শাসন করেছে। মাথাপিছু জিডিপি প্রকৃতপক্ষে একটি মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ কনসেপ্ট। এটার সবচেয়ে মারাত্মক সীমাবদ্ধতা হলো, এটা একটা গড়, যেটা স্বল্পসংখ্যক ধনী এবং বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্ন-মধ্যবিত্ত
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তি
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে দেশের উৎপাদন খাত শক্তিশালী করা যে প্রচেষ্টা নিয়েছিল ভারত তা ব্যর্থ হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ থেকে ভারত ফায়দা তুলতে না পারলেও দেশটির এশীয় অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিরা ঠিক ফায়দা তুলেছে
দেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
দেউলিয়া পরিস্থিতির মধ্যেও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের অর্থনীতি দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। তবে বাংলাদেশে টানা কয়েক বছর ৫ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হলেও এবার নিচে নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে ৪৫ বছর ধরে আমি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে মাথাপিছু জিডিপির মারাত্মক সীমাবদ্ধতার বিষয়গুলো আমার মাস্টার্সের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি। এখন বক্ষ্যমাণ কলামে পাঠকদের বিষয়টি আবারও ব্যাখ্যা করছি, কারণ হাসিনার পতিত স্বৈরাচারী সরকার সাড়ে ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জ
৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান দেশের স্বৈরাচারী অপশাসক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ওই দিন দুপুরে হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
এখন থেকে অর্থনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক সূচকের সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বাড়িয়ে-কমিয়ে তথ্যের গরমিল বা এই তথ্য প্রকাশের কোনো সুযোগ রাখা হবে না। মূল্যস্ফীতি ও জিডিপির হালনাগাদ প্রকৃত তথ্যই এখন থেকে
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি বলছে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। যেখানে গত এপ্রিলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছিল এডিবি।
নানান সংকটেও বিদায়ী অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ত্রৈমাসিক জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধির এসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
অর্থনৈতিক নানা সংকটের মধ্যেই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে। গতকাল রোববার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কণ্ঠভোটে এ বাজেট পাস হয়। নতুন বাজেট আজ থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), যা বাংলাদেশ সরকারের প্রক্ষেপণের খুব কাছাকাছি। আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬.৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশের আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস প
প্রতিবেদনে আইএমএফ বলেছে, ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণ বাড়াতে গৃহীত সংস্কারগুলো ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটি গত দুই বছরে আইএমডি-এর বিশ্ব প্রতিযোগিতার র্যাঙ্কিংয়ে ১৫ ধাপ ওপরে উঠে ২০২৩ সালে বিশ্বের মধ্যে ১৭ তম অবস্থান অর্জন করেছে।
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যদিও আগামী অর্থবছরে সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ শীর্ষক জুন মাসের প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরি বাড়লেও উচ্চ মূল্যস্ফীতি তা খেয়ে ফেলছে এবং এর ফলে মানুষ ভোগ কমিয়ে দিয়েছে। উচ্চ সুদের হারসহ ঋণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতিতে চাহিদা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। উপরন্তু আমদানিতে বিধিনিষেধের কারণে শিল্প কর্মকাণ্ডও ব্যাহত
আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আজ বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় এ লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাংলাদেশের অর্থনীতি ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এগুলো হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি, দেশি-বিদেশি ঋণের ঝুঁকি এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির মন্দাভাব। এ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে আগামী বাজেটে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলায় নজর দিতে হবে। আর বাজেট বাস্তবায়নে অনিয়ম, দুর্ন