ইট-পাথরের শহর মানেই নিত্যদিনের কোলাহল, যানজট, বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের খেলা। শহরের এই চিত্র বাদ দিলে সারা দেশেই দেখা মিলবে বিস্তৃত সবুজ বন, সাগর, নদী, সমতল এবং পাহাড়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। সবুজ প্রকৃতির পার্বত্য অঞ্চল ও তার নিজস্ব সংস্কৃতি, বিশ্বের অন্যতম বড় ম্যানগ্রোভ বন, কক্সবাজারের দীর্ঘতম বালুকাময় স
বাংলাদেশের আয়তন খুব বেশি না হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। ইন্দোচায়না ও ইন্দোবার্মা নামক জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ অঞ্চলের সংযোগস্থলে অবস্থানের কারণে এই প্রাচুর্য। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানবসৃষ্ট কারণে এ দেশের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী আজ হুমকির মুখে।
আমরা সহজ জীবন পেয়েছিলাম। সহজভাবে ভাবতাম, সহজ মতে চলতাম। কিন্তু আমাদের ব্যর্থতার কারণে তরুণ প্রজন্ম, যারা আগামী দেশের দায়িত্ব নেবে, তারা প্রথম থেকেই কঠিন একটি বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে...
রাতের বেলা অনেক সমুদ্র দূরবর্তী নক্ষত্রের মতো জ্বল জ্বল করে। এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য আসলে প্রকৃতির এক বিশেষ ঘটনা। তবে এই আলো সব সময় ও সব জায়গায় দেখা যায় না। এর ব্যাখ্যা জানতে প্রথমে ‘বায়োলুমিনেসেন্স’ শব্দের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে।
একটি কুপির আলোয় পুরো ঘর আলোকিত হয়নি। তারপর আবার হালকা বাতাসের ঝাপটায় কেঁপে কেঁপে উঠছে আলো। তাতে নানির চেহারাটা আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে। পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে মুখের ভাঁজগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে যেন। তাঁর কিশোরী কিংবা তরুণী বয়সের গল্প। তন্ময় হয়ে শুনছি আমরা কয়জন। সাত থেকে চৌদ্দর মধ্যে বয়স সবার।
মাঝবর্ষায় চারদিকে ভরা জল আর ওপরে সাদা-কালো মেঘ। নিচে বিলের কালচে পানিতে থরে থরে ফুটে আছে নীল শাপলা। বিস্তীর্ণ বিলের এখানে সেখানে শিকারের আশায় ঘুরছে বক, মাছরাঙা, শামুকখোল পাখি; পানিতে ডুব দিচ্ছে পানকৌড়ি। কয়েকটি ছোট ছোট নৌকায় করে মাছ ধরছে দু-চারজন জেলে। সব মিলিয়ে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ কুমিল্লার ব্রাহ্ম
১৯৯৯ সালের এপ্রিলের কোনো একদিন আমি আর প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা গিয়েছিলাম শিমুলিয়া থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ও পাথারিয়া পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দর্শনে। আমাদের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় একজন শরফুদ্দিন সাহেব। দ্বিজেন শর্মার গ্রাম শিমুলিয়া। সেটা মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী থেকে আট কিলোমিটারের পথ ছিল
বৈশাখ মাসের শেষের দিকে এসে প্রকৃতিতে বিরূপ আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। কখনো দেখা মিলছে রোদ, কখনো ঝড়-বৃষ্টির। এই আবহাওয়ার মধ্যে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে প্রকৃতিতে সৌন্দর্য বাড়িয়েছে কৃষ্ণচূড়া ফুলের লাল রং, যা দেখে চোখ জুড়ায় পথচারীর।
ঘুঘুর ডাক অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, এই পাখি দেখতেও বেশ সুন্দর। অথচ এই পাখি শিকারের মতো অপরাধে করতে মানুষ হয়ে উঠছে নিষ্ঠুর...
সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট উপরে পাহাড় কেটে ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে মেঘপল্লী রিসোর্ট নির্মাণ করছে সুইমিংপুল। প্রকাশ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাটা হচ্ছে পাহাড়। এতে সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড় ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় মানুষের পরিচর্যায় বড় হওয়া বাঘ জো বাইডেন ও তাঁর সঙ্গী বাঘিনী জয়া আহসানের ঘরে এক মাসে আগে জন্ম নেওয়া শাবক তিনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেওয়া হয়েছে। এদের নাম যথাক্রমে; প্রকৃতি, স্রোতস্বিনী ও রূপসী।
নিসর্গ ধ্বংসের একটা সংস্কৃতি আমাদের বাঙালি মুসলমানদের মজ্জাগত বিষয়। উপমহাদেশের প্রাচীনতম শহর তথা আমাদের ঢাকার কোনো স্মারকচিহ্ন আমরা রক্ষা করিনি। ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের আমলে সেনাপতি ইসলাম খাঁ যে শহরটির সূচনা
আবাসভূমি তথা বাসস্থান ধ্বংস হওয়া, খাদ্যসংকট, মাংসের লোভে নির্বিচার শিকার ও বাসা বেঁধে ডিম ফোটানোর অনুকূল পরিবেশের অভাবে কিছু প্রজাতির পাখি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পাখির বর্তমান অবস্থা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করা হয়। বিপদগ্রস্ত পাখির
টেনিস বিশ্বের এক নম্বর তারকা হিসেবে নোভাক জোকোভিচের ছোট খাটো অনেক বিষয়েরই খোঁজ রাখেন ভক্তরা। তবুও ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী জোকোভিচের একটি ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বিস্মিত করবে অনেককেই। কারণ এই সম্পর্কটি নেহাতই এক গাছের সঙ্গে! কী সেই সম্পর্ক?
বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক বা নায়িকাকে সাপে কাটার পর একটি বহুল প্রচলিত দৃশ্য, সাপে কাটা স্থান থেকে মুখ দিয়ে চুষে বিষ করে ফেলা। শুধু বাংলা চলচ্চিত্রই নয়, যুগ যুগ ধরে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র, গল্প-সাহিত্যে। আবার বিশেষজ্ঞরা এভাবে আক্রান্ত স্থানে মুখ লাগিয়ে বিষ বের করতে বারণ কর
সাপুড়ের ‘বীণের তালে সাপের নাচের’ দৃশ্য বাংলা চলচ্চিত্র সূত্রে মানুষের কাছে খুব পরিচিত। শুধু চলচ্চিত্রই নয়, এক সময় গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের অন্যতম এক অনুষঙ্গ ছিল সাপের খেলা। সেখানে দেখা যেত, সাপুড়ের বীণের তালে সাপ ফণা তুলে নাচছে।
চলচ্চিত্রে কালনাগিনী দাবি করে বিভিন্ন সাপ প্রচার করতেও দেখা যায়। কালনাগিনী সাপ কি আদতে ভয়ংকর বা বিষধর? কালনাগিনী সাপের দংশনে মৃত্যু হয় মানুষের? কালনাগিনী দেখতে কেমন?