ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের হোসুর এলাকায় থেনপেন্নাই নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে কেলাভারপল্লী বাঁধ। এই বাঁধ থেকেই নির্গত পানিতে সৃষ্টি হচ্ছে এক ধরনের বিষাক্ত ফেনা। এই ফেনা থেনপেন্নাই নদী তীরবর্তী কৃষি জমিগুলোকে ঢেকে দিচ্ছে।
সদরের চুড়ামণকাঠি ইউনিয়নের আব্দুলপুরের কৃষক শফিকুল বলেন, ‘এবার সবজি চাষিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তিন মাস ধরে চাষিরা সবজি চাষ নিয়ে বিপাকে রয়েছে। শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করলেই কিছুদিন পর পর বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় মধুমতী নদীর ভাঙনে মাত্র ২০ মিনিটে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে তিন একর ফসলি জমি। সেই সঙ্গে ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ২৮০টি ঘর। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বন্যায় মৎস্য ও কৃষি খাতে ১৪ কোটি ৩২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরবর্তীতে ধীরে ধীরে মাছের খামার ও ফসলি জমির এসব ক্ষয়ক্ষতি স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় টানা চার দিনের প্রবল বর্ষণে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে গেছে। শত শত মাছের ঘের ফসলী জমি ও বসতবাড়িতে পানি থই থই করছে। এসব এলাকার মানুষ বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে রাস্তার ওপর খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। অনেকে গবাদিপশু নিয়ে নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
উত্তর ভিয়েতনামে ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির কারণে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ আরও অন্তত ১২৮ জন। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি জানা
সাম্প্রতিক বন্যায় তলিয়ে গেছে চাঁদপুরের কচুয়া, শাহরাস্তি ও হাজীগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ ফসলি জমি। একই সময়ে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলায়। এতে পান, আখ, রোপা আউশ ও আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যায় ১২ হাজার হেক্টর জমির ধানসহ অন্য
বন্যায় ফেনী, নোয়াখালীসহ ১১ জেলার ৭৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়। ১০ লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়। ৫০ লাখ ২৪ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৪ লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়।
মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মনু ও ধলাই নদের বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙনের ফলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এতে কৃষি ও মৎস্য খাতের দুটিই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৪৪ হাজার হেক্টর ফ
সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ও কাজীপুর উপজেলার মেঘাইঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেনৎ নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষেরা। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
গত রাতে ভারী বৃষ্টিতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসে পড়েছে। এ ছাড়া জেলার আরও বিভিন্ন সড়কে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, দ্রুতই বিভিন্ন রাস্তার ওপর জমে থাকা মাটি সরানো হবে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরও দু-এক দিন পানি বাড়বে বলে জানিয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেছেন, কৃষকেরা চাষাবাদের জন্য টাকা পান না। ফলে বাধ্য হয়ে উৎপাদিত ফসল কম দামে বিক্রি করে দেন। এক-তৃতীয়াংশ ফসল বিক্রি করে সেচ, সার ও শ্রমিকের খরচ দিতে হয়। কিন্তু কৃষকদের টাকা দিলে, সেই টাকা ফেরত পাওয়া সহজ। যদিও এ দেশে কোটিপতিরা টাকা ফেরত দেয় না।
ফসলের ক্ষতি করতে পটু ইঁদুর। যদিও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এই প্রাণীর প্রয়োজন আছে। তাই ইঁদুর না মেরে তালপাতা ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল রক্ষা করে আসছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কৃষকেরা।
লক্ষ্মীপুরে মেঘনার চরে নিজেদের ঘাম ও শ্রমে উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না চাষিরা। নিজেদের ফসল ঘরে তোলার জন্য দস্যুদেরকে চাঁদা দিতে হয় তাঁদের। অন্যথায় ফসল লুট করে নিয়ে যায় দস্যুরা।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে টিনের বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ধমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।
একদিকে খরা অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে ঠাকুরগাঁওয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ফসলের মাঠে। প্রচণ্ড গরমে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে সবজির খেত। তাপে ঝলসে যাচ্ছে গাছের কুঁড়ি ও পাতা।