সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে শতাধিক ঘের। নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক ঘের চাষি। এর আগে সাতক্ষীরায় সপ্তাহ দু-এক আগের অতি বর্ষণে ৫ হাজার হেক্টর জমির ঘের ডুবে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছিল ৬০ কোটি টাকার মাছ। পরে পানি শুকাতে না শুকাতে আবারও দানার প্রভাবে ভারী বর্ষণে
ঘূর্ণিঝড় দানার অবস্থান ছিল উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ওডিশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় এলাকায়। মধ্যরাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। তবে দেশে এর প্রভাব খুব বেশি আশঙ্কাজনক না হলেও সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে আরো অগ্রসর হয়ে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পুরী ও সাগর দ্বীপের মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশে আঘাত না হানলেও দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৪টি জেলায় ২-৩ ফুট জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টিসহ বেশকিছু প্রভাব পড়বে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলাজুড়ে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। দুপুরেও সূর্যের দেখা মেলেনি। বসতবাড়ি, গবাদিপশু ও মৎস্য ঘের নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল হয়ে উঠেছে। পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর থেকে আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর সরে এসেছে। এটি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্
এদিকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেতের মধ্যেও মোংলা সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও গণসংযোগ বিভাগের উপ-সচিব মো. মাকরুজ্জামান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানার খবর ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। জাহাজগুলোকে সতর্ক থাকত
সদরের চুড়ামণকাঠি ইউনিয়নের আব্দুলপুরের কৃষক শফিকুল বলেন, ‘এবার সবজি চাষিদের দুর্ভোগের শেষ নেই। তিন মাস ধরে চাষিরা সবজি চাষ নিয়ে বিপাকে রয়েছে। শীতকালীন সবজির চারা রোপণ করলেই কিছুদিন পর পর বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাতে সবজি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
কাজ শেষে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দিনমজুর ময়নাল হোসেন। বললেন, ‘বৃষ্টি আসলে আর কী করার আছে। আমাদের ঝড়ই কী, আর বৃষ্টিই বা কী। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই কাজ করলাম। এখন বাড়ি যাচ্ছি।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে এর দূরত্ব কমে আসছে। ইতিমধ্যে আবহাওয়া অফিস থেকে ৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে...
চলতি মাসের শেষ ভাগে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এমতাবস্থায় আজ দু-একটি জায়গা ছাড়া সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর...
অক্টোবরের তৃতীয় কিংবা কার্তিকের প্রথম সপ্তাহ চলছে। অন্য বছরগুলোতে এই সময়ে খেত ও পাইকারি হাট শীতের আগাম সবজিতে ভরা থাকত। তবে এবার এখনো তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অনেক কৃষককে এখনো শীতের সবজির জন্য খেত প্রস্তুত করতেও দেখা গেছে।
দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। এরই মধ্যে সাগরে লঘুচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এ দিকে দেশের দুই বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ছাড়া, সারা দেশে....
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হোসেনপুর উপজেলার উত্তর দিকের জিনারী ইউনিয়ন ও সিদলা ইউনিয়নের কিছু এলাকায় শুক্রবার রাতে হঠাৎ ঝোড়ো বাতাস শুরু হয়, সেই সঙ্গে শিলাবৃষ্টির তাণ্ডব। এতে উপড়ে যায় অনেক গাছপালা। বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। সেই সঙ্গে আমন ধানেরও ক্ষতি হয়েছে। রা
রাত থেকেই ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঢাকাসহ দেশের ছয় অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস...
সাতক্ষীরায় অতিবর্ষণ ও নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে পাঁচ হাজার মাছের ঘের। ভেসে গেছে মাছ। চাষিদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। অনেকে চাষি ঋণ নিয়ে মাছ চাষাবাদ করেছেন, কীভাবে ঋণ শোধ করবেন এখন এ দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাঁদের।
অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে। এই দুই খাতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা কৃষকেরা। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় বলছেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও খাম
গত কয়েক দিন ধরে উজানের ঢল ও বৃষ্টি না হওয়ায় নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি দ্রুত কমেছে। তবে নিম্নাঞ্চলে পানি নামছে ধীরে। সেই সঙ্গে ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।