বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নজিরবিহীন বন্যার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদহার বাড়ানোসহ কঠোর মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষদের খেয়ে পরে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
মূল্যস্ফীতির প্রভাব মধ্য ও নিম্ন আয়ের শ্রেণির মধ্যে প্রধানত ভোগের ওপর পড়ছে, কিন্তু উচ্চ আয়ের মানুষদের ওপর এর তেমন প্রভাব নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভারতে বিলাসদ্রব্যে মানুষের ব্যয় বাড়ছে। জার্মান বিলাসবহুল গাড়ি প্রস্তুতকারক মার্সিডিজ–বেঞ্জের গাড়ি বিক্রি এ বছরের প্রথম নয় মাসে ভারতে ১৩ শতাংশ বেড়েছে, যা
দেশের অর্থনীতি এখনো চাপে আছে, কিন্তু সঠিক পথেই এগোচ্ছে। তাই বলে কোনোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে মোট দেশজ উৎপাদন বেশ কমে যাবে। চলমান বাস্তবতায় ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে আরও আট মাস সময় প্রয়োজন হতে পারে। দুর্বল আর্থিক খাতক
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি এক অঙ্কের ঘরে নেমে আসায় কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলেছিল। কিন্তু সেই স্বস্তি ধরে রাখা গেল না। পরের মাস অক্টোবরেই ঠিকই দুই অঙ্কের ঘরে চলে আসে মূল্যস্ফীতি।
মোট ৭৬ জন প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে ১০টি অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে: রাষ্ট্রদ্রোহ, সম্পদ ধ্বংস, জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা এবং বিদ্রোহ। অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে শিশুদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে।
অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে। ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে পোশাক কেনা কমিয়েছে ওই সব দেশের নাগরিকেরা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এতে ইইউয়ে
উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় ফের নীতি সুদহার (পলিসি রেট) ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে এই সুদ হার কার্যকর হবে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ধীর প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ সরকারি ঋণের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট শিগগিরই কাটছে না। বিশেষ করে সাধারণ মানুষকে জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের যন্ত্রণা আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে। এমনটাই বলেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন নীতি সুদহার বাড়ানোর মিশনে। ইতিমধ্যে গত ১৫ মাসে ছয় দফায় নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে। এতে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নীতি সুদহার ৬ দশমিক ৫০ টাকা থেকে ৯ দশমিক ৫০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ভোক্তা পর্যায়ে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্যসচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। তবে শুল্ক ছাড় দিলে দাম বাড়বে না
দেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে ২০২৫–২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
দেশে ডলার সরবরাহে সংকট ও দামে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি মূল্যস্ফীতিকে উসকেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকেন্দ্রিক বৈশ্বিক অস্থিরতা আরও উসকে দিয়েছে বাজারে ডলারের এই অস্থিশীলতাকে। ফলে দিন দিন ডলার আরও দামি হয়েছে এবং টাকার মান আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। এই পরিস্থিতি জ্বালানি, সার, তেল, শিশুখাদ্যসহ সব ধরনের আমদানি খরচে
ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতির চাপ লাঘবে এবং মানুষকে কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে সরকারের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ তৎপরতায় বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) ভূমিকা ও সম্পৃক্ততা আরও জোরদারের প্রস্তাব করেছেন এনজিও প্রতিনিধিরা।
জাতিসংঘের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ২০২২ সালে বলেছিলেন, ৫০টি দরিদ্র দেশ দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। দেউলিয়া হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা। ইউএনডিপি প্রধান আচিম স্টেইনারের বিবৃতি আজও প্রাসঙ্গিক, কারণ বেশ কয়েকটি দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে, আবার অনেকেই দেউল
গত আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ ছিল, যা গত সেপ্টেম্বরে নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অর্থাৎ, আগের মাসের চেয়ে কমেছে দশমিক ৫৭ শতাংশ। কিছুটা স্বস্তি এসেছে খাদ্যপণ্যের বাজারেও।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়িয়ে চলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাময়িকভাবে এ নীতি কাজে এলেও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে। মুদ্রানীতিতে সুদহার আরও বাড়ালে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমে যাবে। এতে করে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্
করোনা মহামারির সময় অর্থনীতি সচল রাখতে ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিশেষ সুযোগ (মরিটোরিয়াম) দেওয়ার পাশাপাশি প্রণোদনার আওতায় প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। এতে একটা পর্যায়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়। এমনকি বাড়তে থাকে ধনীর সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার পর সাড়ে ৩ বছরে দেশে কোটি