
শুরু থেকেই আয়েশাকে সন্দেহ করা হলেও তাঁর পরিচয় ও ঠিকানা নিয়ে পুলিশ ছিল অন্ধকারে। কাজে যাতায়াতের সময় মুখ ঢাকা রাখায় সিসিটিভিতেও দেখা যায়নি তাঁর স্পষ্ট চেহারা; কেবল গলার একপাশে পোড়া দাগ—এই সামান্য সূত্রেই এগোয় তদন্ত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল ওসমান মাসুম প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গৃহকর্মীর ৬ দিন ও তার স্বামীর ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

টাকা চুরির বিষয়ে সন্দেহ করায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তাঁর মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) ছুরিকাঘাতে গৃহকর্মী আয়েশা আক্তার খুন করেছেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশের সূত্র।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুনের মামলার আসামি আয়েশা আক্তারকে নিয়ে প্রথমবারের মতো ঝালকাঠির নলছিটিতে নিজ বাড়িতে আসেন জামাল সিকদার রাব্বি। ১৫ বছর আগে বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে তিনি বাড়ি ছাড়েন। এরপর আর তাঁকে এলাকায় ফিরতে দেখা যায়নি। আজ বুধবার সকালে হঠাৎ আয়েশাকে নিয়ে বাড়িতে হাজির হন রাব্বি।