বাংলাদেশের ঋণমান আরও কমিয়েছে মুডিস। আন্তর্জাতিক এই সংস্থার রেটিংসে গত ছয় মাসের ব্যবধানে সরকারের ঋণমান ‘বি১’ থেকে নামিয়ে ‘বি২’ করা হয়েছে। এতেই দেশের অর্থনীতির পূর্বাভাস ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘ঋণাত্মক’ হয়েছে।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি পণ্যের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বিল বাবদ ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাবে ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যদিও গত সপ্তাহে বিপিএম হিসাবে রিজার্ভ ছিল
অক্টোবরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। এর ফলে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছেছে। তবে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৪ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে।
রিজার্ভ ঘিরে চলছে আলো-আঁধারের খেলা। এই বাড়ে তো আবার কমে। শঙ্কার কারণ হলো, কখনো কখনো রিজার্ভের এই স্তর নেমে আসে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে। পরিস্থিতির উন্নয়নে তখন চাতক পাখির মতো বাংলাদেশ ব্যাংককে তাকিয়ে থাকতে হয় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রপ্তানিকারকদের আয় প্রত্যাবাসনের দিকে।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, দেশে রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। দেশীয় শিল্পের বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, দেশে রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। দেশীয় শিল্পের বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে
রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি নিয়ে চলছে লুকোচুরি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই লুকোচুরি খেলছে। কারণ, নাজুক পরিস্থিতি বিবেচনায় রিজার্ভ থেকে নতুন করে আর ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। গত আগস্টের মাঝামাঝি সময় এমন ঘোষণা দেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তবে শেষ পর্যন্ত গভর্নরের এই ঘোষণা বাস্তবে কার্যকর
সম্পর্কের টানাপোড়েন সত্ত্বেও অর্থনীতি বাঁচাতে ভারতের কাছে ঋণসহায়তা চাইছে মালদ্বীপ। এ লক্ষ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু আজ রোববার (৬ অক্টোবর) দিল্লি পৌঁছেছেন। গত বছরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটিই তাঁর প্রথম ভারত সফর।
দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। শেষ পর্যন্ত সে প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চলতি সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে মাত্র আড়াই মাসে ৯৫৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। এতে সাম্প্রতিক সময় রেমিট্যান্সের গতি বাড়ার পরও মোট
দেশে ঘটনাবহুল আগস্ট মাসের শুরুতে রেমিট্যান্স সংগ্রহ তলানিতে নামলেও মাসের শেষের দিকে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যার ফলে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে প্রায় ৩১ কোটি ডলার। আগস্টে প্রতিদিন গড়ে ৭ দশমিক ৬৬ কোটি ডলার আসায় মাস শেষে রেমিট্যান্স দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। জুলাই মাসে এসেছিল ১৯১ কোট
বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে থাকা জমি-সম্পদ গোপনে বিক্রি করার চেষ্টা করছে জানিয়ে সেগুলো না কিনতে জনসাধারণকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বহু বছর ধরে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেই অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে ‘মৌলিক ও দার্শনিক’ সংস্কার চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি বা রিজার্ভ পরিস্থিতি ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চিত রিজার্ভের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে।
দেশের অর্থনীতি প্রায় ভঙ্গুর। ঋণখেলাপিতে বিপর্যস্ত ব্যাংক খাত। ডলার-সংকটে রিজার্ভ কমতে কমতে তলানিতে। পাহাড়সম বিদেশি ঋণ। রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ভাটার টান। গতিহীন রাজস্ব আয়। জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দামে মূল্যস্ফীতিও লাগামহীন।
দেশে আর্থিক খাতে সুশাসন দীর্ঘ সময় অনুপস্থিত। এই সুযোগে প্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে কাজ করছে, তাতে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার উপক্রম। বিশেষ করে ব্যাংকগুলো খারাপ অবস্থায় গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঠিকমতো দেখভাল করতে পারছে না। এতে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরেও আদায় হচ্ছে না। দ
অর্থনীতির নির্ভরশীল সূচক রেমিট্যান্স আয়ের ঊর্ধ্বমুখী পালে ধস নেমেছে। সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে জুলাই শেষে দেশের গ্রোস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাবে ২০ দশ
দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে কয়েকটি বড় সংকটে রয়েছে সেগুলো হলো: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপজ্জনক পতনের ধারা, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বেলাগাম মূল্যস্ফীতির প্রকোপ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স প্রেরণে গেড়ে বসা হুন্ডি ব্যবসার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থবিরতা, ডলা