চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২৬ দিনে ১৯৪ কোটি ৯৪ লাখ (১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৩ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা প্রায় ৯০০ কোটি টাকা
আগের মাস সেপ্টেম্বরের মতো চলতি মাস অক্টোবরেও ঊর্ধ্বমুখী রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের গতি। অক্টোবরে প্রতিদিন গড়ে এসেছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ডলারের বেশি বা ৯৬৮ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স। চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা; দেশীয় মুদ্রায় যার
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে ২০ ও ২১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রেমিট্যান্স ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মানি ট্রান্সফার অপারেটর, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে। এবারের স্লোগান ‘নতুন সম্ভাবনা, নতুন বাজার, নতুন অংশীদার’।
রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবাহ, ডলার সাশ্রয়ের জন্য আমদানিতে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ এবং ব্যবসার আড়ালে পাচার ঠেকাতে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দর যাচাইয়ের ফলে চলতি অর্থবছরের শুরুতে কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য বা ব্যালান্স অব পেমেন্ট
দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখছেন প্রবাসীরা। তাঁদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখতেও ভূমিকা রাখছে। এমন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি সেবা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের। শেষ পর্যন্ত সে প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চলতি সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে মাত্র আড়াই মাসে ৯৫৫ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। এতে সাম্প্রতিক সময় রেমিট্যান্সের গতি বাড়ার পরও মোট
পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পরিষেবার (ইউটিলিটি সার্ভিস) বিল প্রদান, রেমিট্যান্স পাঠানো, পরীক্ষার ফি প্রদান এবং কেনাকাটার বিল পরিশোধের মতো সুবিধাকে কেন্দ্র করে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মোবাইল ব্যাংকিং। ইন্টারনেটভিত্তিক এই সেবাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)। তবে গত জুলাই
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা চলমান রয়েছে। এখন থেকে বিদেশে থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী বা দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের ক্ষতিপূরণ বাবদ আগত রেমিট্যান্সের বিপরীতেও ২ দশমিক ৫ শতাংশ অতিরিক্ত প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রেমিট্যান্সের পালে ইতিবাচক হাওয়া লেগেছে। চলতি মাসের গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মাসের প্রথম ৪ দিনে গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ১১ কোটি ডলারের বেশি। সেই হিসাবে ৩০ দিনে রেমিট্যান্স আসার কথা ৩৩০ কোটি বা ৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে ৫ বছর ধরে প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। এ প্রণোদনা না দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এটার তেমন একটা সুবিধা মিলছে না। এই ভর্তুকি আড়াই শতাংশ থেকে নামিয়ে ২ শতাংশের নিচে আনতে হবে। আর প্রবাসী আয়ে ভর্তুকি ক্রমেই কমানোর পর একটা পর্যা
দেশে ঘটনাবহুল আগস্ট মাসের শুরুতে রেমিট্যান্স সংগ্রহ তলানিতে নামলেও মাসের শেষের দিকে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যার ফলে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে প্রায় ৩১ কোটি ডলার। আগস্টে প্রতিদিন গড়ে ৭ দশমিক ৬৬ কোটি ডলার আসায় মাস শেষে রেমিট্যান্স দাঁড়িয়েছে ২২২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। জুলাই মাসে এসেছিল ১৯১ কোট
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে আনতে বিদেশি বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে কেনা ডলার রেট ১২০ টাকার বেশি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আজ রোববার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দিকে রেমিট্যান্স আসার গতি থমকে গিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাত্রা বেড়েছে। বিগত ২৪ দিনে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭১ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বহু বছর ধরে দুর্নীতির মধ্য দিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেই অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে ‘মৌলিক ও দার্শনিক’ সংস্কার চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি বা রিজার্ভ পরিস্থিতি ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সঞ্চিত রিজার্ভের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে।
চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দিকে দেশে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও পরে তা বেড়েছে বহুগুণ। আগস্ট মাসের প্রথম ১০ দিনে দেশে বৈধ পথে ৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে ৪ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
অর্থনীতির নির্ভরশীল সূচক রেমিট্যান্স আয়ের ঊর্ধ্বমুখী পালে ধস নেমেছে। সদ্য সমাপ্ত জুলাই মাসে ১৯০ কোটি ডলার বা ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এতে জুলাই শেষে দেশের গ্রোস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাবে ২০ দশ