সাহস মোস্তাফিজ
৯০-এর দশকে যাদের জন্ম, তাদের স্কুলজীবনের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি যে প্যারাগ্রাফ লিখতে বলা হতো, সেটি লোডশেডিং। লোডশেডিং হলেই পাড়ার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে হইহুল্লোড়ে মেতে উঠত। বাসায় থাকত মোমবাতি, মশার কয়েল, টর্চ লাইট, হাতপাখার পর্যাপ্ত মজুত।
সেই দিন গত হয়েছে। আমাদের জীবন এখন ফেসবুকের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আবদ্ধ। কিছুক্ষণ ইন্টারনেট না পেলেই দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় মানুষের। বিশেষ করে যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়েছে, তাদের তো ফেসবুক, মেসেঞ্জার ছাড়া এক মুহূর্তও চলে না।
প্রিয় মানুষটি ঘুম থেকে উঠেছে কি-না, খেয়েছে কি-না ইত্যাদি প্রতি মুহূর্তের সর্বশেষ খবর মেসেঞ্জার ছাড়া পাবে কী করে! হোয়াটস আপ, ইনস্টাগ্রামকেও এ তালিকায় রাখা যেতে পারে।
বাস্তব জীবনে বিদ্যুতের যে লোডশেডিং দেখতাম আমরা, সেটি এখন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়ও দেখা যাচ্ছে। এই তো সেদিন ফেসবুক ৬ ঘণ্টার জন্য কাজ করছিল না। সবার সে কী দুশ্চিন্তা। এমন ঘটনা ফের ঘটবে না, সেটা কে বলতে পারে! ফেসবুক, মেসেঞ্জারের লোডশেডিং মোকাবিলায় কিছু প্রস্তুতি তাই নিয়ে রাখাই ভালো—
১। প্রথমেই ফেসবুকের ওয়াল খুলে একটি স্ট্যাটাস দিন। লিখুন, ‘আমার ফেসবুকে কিছু লেখা যাচ্ছে না, আপনার কী অবস্থা!’
২। যদি পোস্ট করা না যায়, তাহলে রিফ্রেশ দিন। দিতেই থাকুন।
৩। কয়েকবার রিফ্রেশ দিলেও যদি কাজ না হয়, তাহলে ফেসবুকে সর্বশেষ দেখা ছবি ও পোস্টগুলো বারবার দেখতে থাকুন। স্মৃতি হিসেবে স্ক্রিনশটও নিয়ে রাখতে পারেন।
৪। পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেলে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের ফোন দিয়ে বকাবকি করুন, কিছুটা শান্তি পাবেন।
৫। আপনার ফোনসেট দু-একটা আছাড় মারুন। কাজ হলেও হতে পারে।
৬। বের হয়ে খোঁজ করুন, আশপাশে কেউ ইন্টারনেটের টাওয়ার ধরে ধাক্কাধাক্কি করছে কি না। কে বলতে পারে ধাক্কাধাক্কির ফলেও তো লোডশেডিং হতে পারে।
৭। এত কিছুর পরও যদি কাজ না হয়, তাহলে সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য অ্যাপ ডাউনলোড করুন। যেমন ইমো, টেলিগ্রাম ইত্যাদি। অপরিচিত আইডি থেকে ভিডিওকল এলে আলাপ চালিয়ে যেতে পারেন।
৮। এখন থেকেই ফোনে পর্যাপ্ত এসএমএস মজুত করুন। ফ্রি মিনিট পেলে সেটিও জমিয়ে রাখুন।
৯। এমনও হতে পারে, পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ায়ই লোডশেডিং চলছে। ধরুন, লোডশেডিং হলো রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু আপনার প্রিয় মানুষটির জন্মতিথি ওই রাতেই। তবে আর সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে পড়ুন। বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। অপেক্ষা করুন। পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন।
১০। প্রেমিক বা প্রেমিকার বাসার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস না থাকাটাই স্বাভাবিক। আজকাল তো এগুলো পুরোনো আইডিয়া। কিন্তু লোডশেডিং মোকাবিলায় এখন থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ জন্য পাশাপাশি বসে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। তাহলে এমন লোডশেডং আবার হলে সমস্যা মোকাবিলায় বেগ পেতে হবে না। প্রিয় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানা রকম প্রাণীর ডাক অনুশীলন করুন। প্রিয় মানুষকে সেটি শুনিয়ে অভ্যস্ত করুন। প্রয়োজনে বাঁশি বাজানো শিখতে পারেন। বাঁশি বাজালেই যেন সে ছুটে আসে।
৯০-এর দশকে যাদের জন্ম, তাদের স্কুলজীবনের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি যে প্যারাগ্রাফ লিখতে বলা হতো, সেটি লোডশেডিং। লোডশেডিং হলেই পাড়ার ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে হইহুল্লোড়ে মেতে উঠত। বাসায় থাকত মোমবাতি, মশার কয়েল, টর্চ লাইট, হাতপাখার পর্যাপ্ত মজুত।
সেই দিন গত হয়েছে। আমাদের জীবন এখন ফেসবুকের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আবদ্ধ। কিছুক্ষণ ইন্টারনেট না পেলেই দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় মানুষের। বিশেষ করে যারা নতুন নতুন প্রেমে পড়েছে, তাদের তো ফেসবুক, মেসেঞ্জার ছাড়া এক মুহূর্তও চলে না।
প্রিয় মানুষটি ঘুম থেকে উঠেছে কি-না, খেয়েছে কি-না ইত্যাদি প্রতি মুহূর্তের সর্বশেষ খবর মেসেঞ্জার ছাড়া পাবে কী করে! হোয়াটস আপ, ইনস্টাগ্রামকেও এ তালিকায় রাখা যেতে পারে।
বাস্তব জীবনে বিদ্যুতের যে লোডশেডিং দেখতাম আমরা, সেটি এখন ভার্চুয়াল দুনিয়ায়ও দেখা যাচ্ছে। এই তো সেদিন ফেসবুক ৬ ঘণ্টার জন্য কাজ করছিল না। সবার সে কী দুশ্চিন্তা। এমন ঘটনা ফের ঘটবে না, সেটা কে বলতে পারে! ফেসবুক, মেসেঞ্জারের লোডশেডিং মোকাবিলায় কিছু প্রস্তুতি তাই নিয়ে রাখাই ভালো—
১। প্রথমেই ফেসবুকের ওয়াল খুলে একটি স্ট্যাটাস দিন। লিখুন, ‘আমার ফেসবুকে কিছু লেখা যাচ্ছে না, আপনার কী অবস্থা!’
২। যদি পোস্ট করা না যায়, তাহলে রিফ্রেশ দিন। দিতেই থাকুন।
৩। কয়েকবার রিফ্রেশ দিলেও যদি কাজ না হয়, তাহলে ফেসবুকে সর্বশেষ দেখা ছবি ও পোস্টগুলো বারবার দেখতে থাকুন। স্মৃতি হিসেবে স্ক্রিনশটও নিয়ে রাখতে পারেন।
৪। পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে গেলে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের ফোন দিয়ে বকাবকি করুন, কিছুটা শান্তি পাবেন।
৫। আপনার ফোনসেট দু-একটা আছাড় মারুন। কাজ হলেও হতে পারে।
৬। বের হয়ে খোঁজ করুন, আশপাশে কেউ ইন্টারনেটের টাওয়ার ধরে ধাক্কাধাক্কি করছে কি না। কে বলতে পারে ধাক্কাধাক্কির ফলেও তো লোডশেডিং হতে পারে।
৭। এত কিছুর পরও যদি কাজ না হয়, তাহলে সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য অ্যাপ ডাউনলোড করুন। যেমন ইমো, টেলিগ্রাম ইত্যাদি। অপরিচিত আইডি থেকে ভিডিওকল এলে আলাপ চালিয়ে যেতে পারেন।
৮। এখন থেকেই ফোনে পর্যাপ্ত এসএমএস মজুত করুন। ফ্রি মিনিট পেলে সেটিও জমিয়ে রাখুন।
৯। এমনও হতে পারে, পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ায়ই লোডশেডিং চলছে। ধরুন, লোডশেডিং হলো রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু আপনার প্রিয় মানুষটির জন্মতিথি ওই রাতেই। তবে আর সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে পড়ুন। বাসার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। অপেক্ষা করুন। পাইলেও পাইতে পারেন অমূল্য রতন।
১০। প্রেমিক বা প্রেমিকার বাসার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকার অভ্যাস না থাকাটাই স্বাভাবিক। আজকাল তো এগুলো পুরোনো আইডিয়া। কিন্তু লোডশেডিং মোকাবিলায় এখন থেকেই এই অভ্যাস গড়ে তুলুন। এ জন্য পাশাপাশি বসে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। তাহলে এমন লোডশেডং আবার হলে সমস্যা মোকাবিলায় বেগ পেতে হবে না। প্রিয় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানা রকম প্রাণীর ডাক অনুশীলন করুন। প্রিয় মানুষকে সেটি শুনিয়ে অভ্যস্ত করুন। প্রয়োজনে বাঁশি বাজানো শিখতে পারেন। বাঁশি বাজালেই যেন সে ছুটে আসে।
এক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে ঊর্ধ্বমুখী ডিমের বাজার। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪ দশমিক ৯৫ ডলার; যা ২০২৪–এর ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত পয়সা খরচ না করে ডিমের জোগান ঠিক রাখতে মুরগি পালনের দিকে ঝুঁকছেন অনেক মার্কিন।
১৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য জিনকে (কিম সক-জিন) জনসমক্ষে চুম্বন করে পুলিশি তদন্তের মুখে পড়েছেন এক জাপানি নারী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত বছরের জুনে সিউলে একটি ফ্যান ইভেন্টে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে জিন বিটিএসের ১ হাজার ভক্তকে আলিঙ্গন করেন। তবে ওই জাপানি..
৪ দিন আগেইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডশায়ারের ব্লেনহেইম প্যালেস। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই প্রাসাদটিতে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের জন্ম হয়েছিল। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রাসাদে ইতালির শিল্পী মরিজিও কাত্তেলানের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। এই প্রদর্শনীতে দেখানোর জন্য কাত্তেলানের তৈরি ১৮...
৮ দিন আগেচুরি করা এটিএম কার্ড নিয়ে লটারির টিকিট কেনেন দুই চোর। স্ক্র্যাচ-অফ লটারি টিকিটটিতে তাঁরা পেয়ে যান ৫ লাখ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা)। টাকা খুশি হলেও সেই টাকা তোলা নিয়েই বিপদ তাদের। এদিকে এটিএম কার্ডের মালিক খুঁজছেন তাঁদের। চাইছেন টাকার ভাগ। এমনই ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে।
১০ দিন আগে