ইশতিয়াক হাসান
এই জমানায় কোনো দেশের শান্তিরক্ষা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে, যাদের সেনাবাহিনীই নেই। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, তাহলে বাইরের কোনো আক্রমণ থেকে এই দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে কীভাবে? উত্তর মিলবে লেখাটি পড়লে।
সামোয়া
ওশেনিয়া মহাদেশের এই দেশের আয়তন মোটে ২ হাজার ৮৪২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা সোয়া ২ লাখের আশপাশে। দেশটির জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠেনি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি ছোট পুলিশ বাহিনী ও একটি মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট রয়েছে। তা-ও এই বাহিনীগুলো ছোটখাটো ও হালকা অস্ত্র বহন করে। সাগরে পেট্রল বোটে টহল আছে সামোয়ার এই বাহিনীর। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৯৬২ সালের একটি চুক্তির কারণে যেকোনো নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে সামোয়াকে সাহায্য করবে তারা।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় ৮ নম্বরে। জাতিসংঘের হিসাবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ পাঁচটি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীরবেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
অবশ্য সামরিক বাহিনী না থাকা নিয়ে ছোট্ট এই দেশের কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। জনসংখ্যা ৮০ হাজারের আশপাশে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই। তবে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়, এখানে কোনো স্থায়ী সেনাবাহিনীও নেই।
স্বাভাবিকভাবেই জন্মের পর থেকে দেশটি কোনো যুদ্ধেও জড়ায়নি। সেনাবাহিনী না থাকলেও অ্যান্ডোরাকে একেবারে অসহায় ভাববেন না। প্রতিবেশী ফ্রান্স ও স্পেনের সঙ্গে বিপদে পড়লে সাহায্য করার চুক্তি আছে অ্যান্ডোরার। তবে ছোট একটি স্বেচ্ছাসেবক সেনা দল রয়েছে, যারা কেবল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করে। পুলিশের আধা সামরিক জিআইপিএ স্পেশাল ফোর্স ইউনিট সন্ত্রাস দমন ও জিম্মি উদ্ধারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
ডোমিনিকা
৭৫৪ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ৭৩ হাজারের কিছু বেশি। ১৯৮১ সাল থেকে কোনো সেনাবাহিনী নেই দেশটির। এত অল্প জনসংখ্যার একটি দেশে এটা খুব অস্বাভাবিক বিষয় যে তা নয়। তবে পুলিশ ফোর্স ও কোস্ট গার্ড আছে। যুদ্ধ বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী সামরিক বাহিনী হিসেবে কাজ করতে পারে।
নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। তারপর থেকেই তাদের কোনো সেনা বা সামরিক বাহিনী নেই। তবে অস্ত্রধারী পুলিশ বাহিনী আছে তাদের। অবশ্য যে দেশে সড়ক আছে মোটে ১৮ কিলোমিটার, সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন কিছু নয়। তার পরও কোনো বিপদে পড়লে চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়া নউরুকে নিরাপত্তা দেবে।
লিচেনস্টাইন
জাতিসংঘের হিসাবে লিচেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। ছোট্ট এই দেশের মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট-বড় পাহাড়। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা, পুবে রাইন নদী, পশ্চিমে অস্ট্রিয়ার পর্বতমালা—সব মিলিয়ে লিচেনস্টাইনের ভাগ্যে কোনো বিমানবন্দর জোটেনি। তেমনি দেশটিতে নেই কোনো সেনাবাহিনী। ১৮৬৮ সালে খরচ কমাতে সেনাবাহিনী বাদ দেয় দেশটি। তবে যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী গঠনের অনুমতি থাকলেও যুদ্ধ না হওয়ায় এটির প্রয়োজন পড়েনি।
ট্যুভ্যালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। ৯টি দ্বীপ মিলিয়ে মোট আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই।
অবশ্য দেশটির সামরিক বাহিনী থাকার তেমন কোনো প্রয়োজনও নেই। একে তো জনসংখ্যা এবং আয়তন দুটিই কম, তার ওপর তেমন কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই এখানে। এদিকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও পড়েনি ট্যুভ্যালু।
তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে। তার পরও কোনো বিপদে পড়লে চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়া তাদের রক্ষা করবে।
পালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। ১৮ হাজারের মতো মানুষের বাস এখানে। যদ্দুর জানা যায়, ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরে ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
আর স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই পালাউয়ে সেনাবাহিনী নেই। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সাগরে টহলের জন্য একটি ৩০ সদস্যের মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স ইউনিট সংযুক্ত আছে। অবশ্য সামরিক বাহিনী না থাকা নিয়ে ছোট্ট এই দেশের কোনো ঝামেলায় পড়ার কথা নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ওপরের তালিকায় নাম নেই কিন্তু সামরিক বাহিনী নেই এমন দেশের তালিকায় আরও আছে গ্রেনাডা, কিরিবাতি, ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্র্যানাডিয়েনস ও সলোমান দ্বীপপুঞ্জ।
এদিকে ভ্যাটিকান সিটিতেও সেই অর্থে সামরিক বাহিনী নেই। তবে এখানে পোপের নিরাপত্তায় সুইস গার্ড নামের একটি সশস্ত্র বাহিনী আছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণভার ভ্যাটিকান রাজ্যের নয়।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশ আছে, যাদের স্থায়ী বা পেশাদার সেনাবাহিনী নেই। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে কোস্টারিকা, মোনাকো, আইসল্যান্ড, মরিশাস, পানামা ও ভানুয়াতু।
সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া
এই জমানায় কোনো দেশের শান্তিরক্ষা কিংবা নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি হয়তো ভাবতেও পারবেন না, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে, যাদের সেনাবাহিনীই নেই। এখন নিশ্চয় আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, তাহলে বাইরের কোনো আক্রমণ থেকে এই দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে কীভাবে? উত্তর মিলবে লেখাটি পড়লে।
সামোয়া
ওশেনিয়া মহাদেশের এই দেশের আয়তন মোটে ২ হাজার ৮৪২ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা সোয়া ২ লাখের আশপাশে। দেশটির জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী গড়ে ওঠেনি। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য একটি ছোট পুলিশ বাহিনী ও একটি মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট রয়েছে। তা-ও এই বাহিনীগুলো ছোটখাটো ও হালকা অস্ত্র বহন করে। সাগরে পেট্রল বোটে টহল আছে সামোয়ার এই বাহিনীর। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ১৯৬২ সালের একটি চুক্তির কারণে যেকোনো নিরাপত্তা হুমকিতে পড়লে সামোয়াকে সাহায্য করবে তারা।
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ কম জনসংখ্যার দেশের তালিকায় ৮ নম্বরে। জাতিসংঘের হিসাবে এখানে বাস করা মানুষের সংখ্যা ৪২ হাজারের কিছু কম। ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ পাঁচটি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবাল প্রাচীরবেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার। ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
অবশ্য সামরিক বাহিনী না থাকা নিয়ে ছোট্ট এই দেশের কোনো মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অ্যান্ডোরা
৪৬৮ বর্গকিলোমিটারের দেশটির অবস্থান ইউরোপে। জনসংখ্যা ৮০ হাজারের আশপাশে। গোটা দেশটিই পর্বতময়। ফ্রান্স আর স্পেনের মাঝখানে অবস্থিত অ্যান্ডোরাকে ঘিরে আছে পিরেনিজ পর্বতমালা। ইউরোপের এই দেশে রেলপথের পাশাপাশি কোনো বিমানবন্দরও নেই। তবে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয়, এখানে কোনো স্থায়ী সেনাবাহিনীও নেই।
স্বাভাবিকভাবেই জন্মের পর থেকে দেশটি কোনো যুদ্ধেও জড়ায়নি। সেনাবাহিনী না থাকলেও অ্যান্ডোরাকে একেবারে অসহায় ভাববেন না। প্রতিবেশী ফ্রান্স ও স্পেনের সঙ্গে বিপদে পড়লে সাহায্য করার চুক্তি আছে অ্যান্ডোরার। তবে ছোট একটি স্বেচ্ছাসেবক সেনা দল রয়েছে, যারা কেবল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজ করে। পুলিশের আধা সামরিক জিআইপিএ স্পেশাল ফোর্স ইউনিট সন্ত্রাস দমন ও জিম্মি উদ্ধারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
ডোমিনিকা
৭৫৪ বর্গকিলোমিটার দেশটির জনসংখ্যা ৭৩ হাজারের কিছু বেশি। ১৯৮১ সাল থেকে কোনো সেনাবাহিনী নেই দেশটির। এত অল্প জনসংখ্যার একটি দেশে এটা খুব অস্বাভাবিক বিষয় যে তা নয়। তবে পুলিশ ফোর্স ও কোস্ট গার্ড আছে। যুদ্ধ বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ বাহিনী সামরিক বাহিনী হিসেবে কাজ করতে পারে।
নউরু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজার ৭৬৯। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণে অবস্থিত দেশটি পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। তারপর থেকেই তাদের কোনো সেনা বা সামরিক বাহিনী নেই। তবে অস্ত্রধারী পুলিশ বাহিনী আছে তাদের। অবশ্য যে দেশে সড়ক আছে মোটে ১৮ কিলোমিটার, সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন কিছু নয়। তার পরও কোনো বিপদে পড়লে চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়া নউরুকে নিরাপত্তা দেবে।
লিচেনস্টাইন
জাতিসংঘের হিসাবে লিচেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। ছোট্ট এই দেশের মোট আয়তন ১৬০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে ছোট-বড় পাহাড়। এমনিতে ছোট্ট দেশ, তারপর পার্বত্য এলাকা, পুবে রাইন নদী, পশ্চিমে অস্ট্রিয়ার পর্বতমালা—সব মিলিয়ে লিচেনস্টাইনের ভাগ্যে কোনো বিমানবন্দর জোটেনি। তেমনি দেশটিতে নেই কোনো সেনাবাহিনী। ১৮৬৮ সালে খরচ কমাতে সেনাবাহিনী বাদ দেয় দেশটি। তবে যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী গঠনের অনুমতি থাকলেও যুদ্ধ না হওয়ায় এটির প্রয়োজন পড়েনি।
ট্যুভ্যালু
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৭। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। ৯টি দ্বীপ মিলিয়ে মোট আয়তন ২৬ বর্গ কিলোমিটারের মতো। ১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই।
অবশ্য দেশটির সামরিক বাহিনী থাকার তেমন কোনো প্রয়োজনও নেই। একে তো জনসংখ্যা এবং আয়তন দুটিই কম, তার ওপর তেমন কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই এখানে। এদিকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়ও পড়েনি ট্যুভ্যালু।
তবে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে। তার পরও কোনো বিপদে পড়লে চুক্তি অনুসারে অস্ট্রেলিয়া তাদের রক্ষা করবে।
পালাউ
জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর চতুর্থ ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র পালাউ। ১৮ হাজারের মতো মানুষের বাস এখানে। যদ্দুর জানা যায়, ছোট্ট দেশটিতে প্রথম বসতি স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সালে। আয়তন ৪৫৯ বর্গ কিলোমিটার হওয়ায় এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরে ৩৪০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে।
আর স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকেই পালাউয়ে সেনাবাহিনী নেই। পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সাগরে টহলের জন্য একটি ৩০ সদস্যের মেরিটাইম সার্ভেইল্যান্স ইউনিট সংযুক্ত আছে। অবশ্য সামরিক বাহিনী না থাকা নিয়ে ছোট্ট এই দেশের কোনো ঝামেলায় পড়ার কথা নয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ওপরের তালিকায় নাম নেই কিন্তু সামরিক বাহিনী নেই এমন দেশের তালিকায় আরও আছে গ্রেনাডা, কিরিবাতি, ফেডারেল স্টেটস অব মাইক্রোনেশিয়া, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্র্যানাডিয়েনস ও সলোমান দ্বীপপুঞ্জ।
এদিকে ভ্যাটিকান সিটিতেও সেই অর্থে সামরিক বাহিনী নেই। তবে এখানে পোপের নিরাপত্তায় সুইস গার্ড নামের একটি সশস্ত্র বাহিনী আছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণভার ভ্যাটিকান রাজ্যের নয়।
এ ছাড়া আরও কয়েকটি দেশ আছে, যাদের স্থায়ী বা পেশাদার সেনাবাহিনী নেই। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে কোস্টারিকা, মোনাকো, আইসল্যান্ড, মরিশাস, পানামা ও ভানুয়াতু।
সূত্র: টেলিগ্রাফ, উইকিপিডিয়া
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
৩ ঘণ্টা আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
১ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
২ দিন আগে