অনলাইন ডেস্ক
একটি দালানের উচ্চতা ৮২৮ মিটার বা ২ হাজার ৭১৬ ফুট ৬ ইঞ্চি, ভাবা যায়! পৃথিবীর দীর্ঘতম দালান দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা সত্যিই এতটা উঁচু। আজকের এই দিনে মানে ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ভবনটির।
গত দুই যুগে স্থাপত্য ও প্রকৌশলবিদ্যা এতটাই অগ্রসর হয়েছে যে বিশ্বের অনেক বড় শহরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী সব ভবন। তবে এত এত উঁচু ইমারতের ভিড়ে কোনো কোনোটার দিকে বিশেষ নজর থাকবে এতে আর সন্দেহ কী!
১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর সিয়ারস টাওয়ারকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টাওয়ারস। ৮৮ তলা টাওয়ার দুটির ওপরের ৭৩.৫ মিটারের (২৪১ ফুট) ইস্পাতের চূড়াগুলো এর উচ্চতা নিয়ে যায় ৪৫১.৯ মিটার বা ১ হাজার ৪৮২ ফুটে। তারপর আসে ২০০৩ সাল, যখন ৫০৮ মিটার (১ হাজার ৬৬৬ ফুট) দৈর্ঘ্যের তাইওয়ানের তাইপে ১০১ (তাইপে ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার নামেও পরিচিত) উচ্চতম ভবনের তকমাটা নিজের করে নেয়। এর এক বছর বাদেই শুরু হলো বুর্জ খলিফার নির্মাণকাজ।
আরব আমিরাতের দুবাইয়ের দুই বর্গকিলোমিটারেরও একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ ছিল এটি। দালানটি নির্মাণের গোটা বিষয়টির দায়িত্বে ছিল এমার প্রপার্টিজ। বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি অ্যাড্রিয়ান স্মিথের নেতৃত্বে স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্কিডমোর, অইংস এবং মেরিল এলএলপি কাজ করে ভবনটির নকশাসহ গোটা নির্মাণ প্রক্রিয়ায়।
নির্মাণ শেষ হওয়ার পর ৮২৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ভবনটি পরিচিতি পায় ভার্টিক্যাল বা খাড়া শহর হিসেবে। সেই সঙ্গে হয়ে ওঠে আধুনিক বিশ্বের অতি পরিচিত এক স্থাপনায়। ‘আমরা একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু করেছি। প্রথমে নিজেদের কাছে এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করার একটি চ্যালেঞ্জ, হ্যাঁ আমরা পারি।’ টাওয়ারটি স্থাপনের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছিলেন বুর্জ খলিফার নির্বাহী পরিচালক আহমেদ আল ফালাসি।
সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল—এত উঁচু একটি ভবন বানানো সম্ভব? শুরুতে অবশ্য পরিকল্পনা ছিল একে কেবল ৫১৮ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত তৈরি করার, যা তাইপে ১০০ থেকে কেবল ১০ মিটার বেশি। পরে এটির উচ্চতা ৩১০ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছিল, শুধু ওই অংশও প্রায় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার সমান।
২০০৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বুর্জ খলিফার নির্মাণ শুরু হয়, ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর কাঠামোর বাইরের অংশের কাজ সম্পন্ন হয়।
একটি বিল্ডিং যত বেশি উঁচু, আবহাওয়ার ওপর এর প্রভাব তত বেশি। তবে বুর্জ খলিফায় নকশাটা এভাবে করা হয়েছিল, যেন বাতাসের ওপর এর প্রভাব কম পড়ে।
‘বুর্জকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্পে দাঁড়িয়ে থাকার মতো করে নকশা করা হয়েছে। এটি প্রায় ১.৫ মিটার পর্যন্ত যে কোনো দিকে দুলতে বা হেলতে পারে।’ ব্যাখ্যা করেন বুর্জ খলিফার টেকনিক্যাল সার্ভিসেসের সিনিয়র ম্যানেজার বাশার মোহাম্মদ কাসাব।
বুর্জ খলিফা দালানটির মতো এর আরও অনেক কিছুই অসাধারণ। বিশ্বের নানা প্রান্তের ১২ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেন বিশ্বের সর্বোচ্চ ইমারতটি তৈরিতে। প্রায় ২৬ হাজার হাতে কাটা কাচের প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে বিল্ডিংয়ের বাইরের অংশটি ঢেকে দিতে। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত গোটা কাঠামোটি পরিষ্কার করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে!
এটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি। এর মাধ্যমে পরিণত হয় বিশ্বের উচ্চতম ভবনে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আরব-আমিরাতের কান্ট্রি ম্যানেজার তালাল ওমর রেকর্ডটি ঘোষণা করার সময় বলেছিলেন, ‘এটি অনন্য নকশার অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন একটি ভবন।’
বুর্জ খলিফা উদ্বোধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নানা ধরনের রেকর্ডের জন্ম দেয়। এটি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের দ্বিগুণ উচ্চতার এবং আইফেল টাওয়ারের প্রায় তিন গুণ এর দৈর্ঘ্য।
এতে ৫০৪ মিটার দৈর্ঘ্যের (১৬৫৪ ফুট) একটি লিফট আছে, যেটি পৃথিবীর উচ্চতম লিফটগুলোর একটি। একটি দালানের সর্বাধিক ফ্লোর বা তলার রেকর্ড বুর্জ খলিফার, এটি ১৬৩ তলার এক দালান। এর ৪৪১.৩ মিটার (১ হাজার ৪৪৭ ফুট) উচ্চতার একটি রেস্তোরাঁ আছে। এতে আছে চারটি সুইমিং পুল।
শক্তিশালী কাঠামোটি আরও অনেক রেকর্ড প্রচেষ্টার মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। একটি বিল্ডিং থেকে সর্বোচ্চ বেস লাফ এবং সাইকেলে দ্রুততম সময়ে বুর্জ খলিফা আরোহণ (দুই ঘণ্টা ২০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড) এগুলোর অন্যতম।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, বুর্জ খলিফা
একটি দালানের উচ্চতা ৮২৮ মিটার বা ২ হাজার ৭১৬ ফুট ৬ ইঞ্চি, ভাবা যায়! পৃথিবীর দীর্ঘতম দালান দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা সত্যিই এতটা উঁচু। আজকের এই দিনে মানে ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ভবনটির।
গত দুই যুগে স্থাপত্য ও প্রকৌশলবিদ্যা এতটাই অগ্রসর হয়েছে যে বিশ্বের অনেক বড় শহরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠেছে আকাশচুম্বী সব ভবন। তবে এত এত উঁচু ইমারতের ভিড়ে কোনো কোনোটার দিকে বিশেষ নজর থাকবে এতে আর সন্দেহ কী!
১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর সিয়ারস টাওয়ারকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন হয় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টাওয়ারস। ৮৮ তলা টাওয়ার দুটির ওপরের ৭৩.৫ মিটারের (২৪১ ফুট) ইস্পাতের চূড়াগুলো এর উচ্চতা নিয়ে যায় ৪৫১.৯ মিটার বা ১ হাজার ৪৮২ ফুটে। তারপর আসে ২০০৩ সাল, যখন ৫০৮ মিটার (১ হাজার ৬৬৬ ফুট) দৈর্ঘ্যের তাইওয়ানের তাইপে ১০১ (তাইপে ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টার নামেও পরিচিত) উচ্চতম ভবনের তকমাটা নিজের করে নেয়। এর এক বছর বাদেই শুরু হলো বুর্জ খলিফার নির্মাণকাজ।
আরব আমিরাতের দুবাইয়ের দুই বর্গকিলোমিটারেরও একটি বড় ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ ছিল এটি। দালানটি নির্মাণের গোটা বিষয়টির দায়িত্বে ছিল এমার প্রপার্টিজ। বিখ্যাত মার্কিন স্থপতি অ্যাড্রিয়ান স্মিথের নেতৃত্বে স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান স্কিডমোর, অইংস এবং মেরিল এলএলপি কাজ করে ভবনটির নকশাসহ গোটা নির্মাণ প্রক্রিয়ায়।
নির্মাণ শেষ হওয়ার পর ৮২৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ভবনটি পরিচিতি পায় ভার্টিক্যাল বা খাড়া শহর হিসেবে। সেই সঙ্গে হয়ে ওঠে আধুনিক বিশ্বের অতি পরিচিত এক স্থাপনায়। ‘আমরা একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু করেছি। প্রথমে নিজেদের কাছে এবং বিশ্বের কাছে প্রমাণ করার একটি চ্যালেঞ্জ, হ্যাঁ আমরা পারি।’ টাওয়ারটি স্থাপনের প্রাথমিক অনুপ্রেরণা বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছিলেন বুর্জ খলিফার নির্বাহী পরিচালক আহমেদ আল ফালাসি।
সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল—এত উঁচু একটি ভবন বানানো সম্ভব? শুরুতে অবশ্য পরিকল্পনা ছিল একে কেবল ৫১৮ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত তৈরি করার, যা তাইপে ১০০ থেকে কেবল ১০ মিটার বেশি। পরে এটির উচ্চতা ৩১০ মিটার বৃদ্ধি পেয়েছিল, শুধু ওই অংশও প্রায় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার সমান।
২০০৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর বুর্জ খলিফার নির্মাণ শুরু হয়, ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর কাঠামোর বাইরের অংশের কাজ সম্পন্ন হয়।
একটি বিল্ডিং যত বেশি উঁচু, আবহাওয়ার ওপর এর প্রভাব তত বেশি। তবে বুর্জ খলিফায় নকশাটা এভাবে করা হয়েছিল, যেন বাতাসের ওপর এর প্রভাব কম পড়ে।
‘বুর্জকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ভূমিকম্পে দাঁড়িয়ে থাকার মতো করে নকশা করা হয়েছে। এটি প্রায় ১.৫ মিটার পর্যন্ত যে কোনো দিকে দুলতে বা হেলতে পারে।’ ব্যাখ্যা করেন বুর্জ খলিফার টেকনিক্যাল সার্ভিসেসের সিনিয়র ম্যানেজার বাশার মোহাম্মদ কাসাব।
বুর্জ খলিফা দালানটির মতো এর আরও অনেক কিছুই অসাধারণ। বিশ্বের নানা প্রান্তের ১২ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেন বিশ্বের সর্বোচ্চ ইমারতটি তৈরিতে। প্রায় ২৬ হাজার হাতে কাটা কাচের প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে বিল্ডিংয়ের বাইরের অংশটি ঢেকে দিতে। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত গোটা কাঠামোটি পরিষ্কার করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে!
এটি আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি। এর মাধ্যমে পরিণত হয় বিশ্বের উচ্চতম ভবনে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আরব-আমিরাতের কান্ট্রি ম্যানেজার তালাল ওমর রেকর্ডটি ঘোষণা করার সময় বলেছিলেন, ‘এটি অনন্য নকশার অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন একটি ভবন।’
বুর্জ খলিফা উদ্বোধন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নানা ধরনের রেকর্ডের জন্ম দেয়। এটি এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের দ্বিগুণ উচ্চতার এবং আইফেল টাওয়ারের প্রায় তিন গুণ এর দৈর্ঘ্য।
এতে ৫০৪ মিটার দৈর্ঘ্যের (১৬৫৪ ফুট) একটি লিফট আছে, যেটি পৃথিবীর উচ্চতম লিফটগুলোর একটি। একটি দালানের সর্বাধিক ফ্লোর বা তলার রেকর্ড বুর্জ খলিফার, এটি ১৬৩ তলার এক দালান। এর ৪৪১.৩ মিটার (১ হাজার ৪৪৭ ফুট) উচ্চতার একটি রেস্তোরাঁ আছে। এতে আছে চারটি সুইমিং পুল।
শক্তিশালী কাঠামোটি আরও অনেক রেকর্ড প্রচেষ্টার মঞ্চ হিসেবে কাজ করেছে। একটি বিল্ডিং থেকে সর্বোচ্চ বেস লাফ এবং সাইকেলে দ্রুততম সময়ে বুর্জ খলিফা আরোহণ (দুই ঘণ্টা ২০ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড) এগুলোর অন্যতম।
সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, বুর্জ খলিফা
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে