ইশতিয়াক হাসান
পেরুর কাসকোর ভিলকানোতা পার্বত্য এলাকায় গেলে আশ্চর্য এক নদীর দেখা পাবেন। পাথুরে উপত্যকার মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া নদীটির রং যে লাল। অবশ্য বছরের নির্দিষ্ট সময়েই কেবল এই নদীর দেখা পাবেন।
কাসকো শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ও পালকায়োর রংধনু পর্বতের কাছেই নদীটির অবস্থান। নদীটি দেখার সেরা সময় সেখানকার বর্ষা, মানে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলে। কারণ বৃষ্টির সঙ্গে নদীর আশ্চর্য এই রঙের সম্পর্ক আছে। এ ছাড়া বছরের বাকি সময়টা নদীর রং থাকে কাঁদাটে বাদামি। আর মোটামুটি পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এই লাল রং পাবেন।
কাসকোর এই লাল নদী স্থানীয়ভাবে পরিচিত পালকুয়েলা পুচামাইয়ু নামে। নামটি এসেছে কুয়েচুয়া পালকুয়েলা ও পুচামায়ি থেকে। কুয়েচুয়া পালকুয়েলা অর্থ ছোট্ট শাখা আর পুচামায়ি অর্থ লাল নদী। পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত লাল রং নিয়ে চলার পর আরও কয়েকটি ছোট্ট খাল-নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। সেখানে ধীরে ধীরে তার লাল রং হারাতে শুরু করে।
এই ছোট ছোট নদী-খালগুলোর মিলিত প্রবাহ গিয়ে বিসর্জন দিয়েছে ভিলকামায়ো নদীতে। এটি কাসকোর উপত্যকা ও বিখ্যাত ইনকা নগরী মাচুপিচুর মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও ভাটিতে নদীটি পরিচিতি পেয়েছে উরুবামবা নদী নামে। তারপর পোঙ্গো দে মানিকিউ গিরিখাদ পেরিয়ে গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে গিয়ে মিশে গেছে বিশাল আমাজন নদীতে।
এবার বরং নদীর রং লাল হওয়ার রহস্যটা জেনে নেওয়া যাক। রংধনু পর্বত পালকয়ো থেকে আসা বৃষ্টি জলে। পালকায়ো ও আরও কিছু পর্বত মিলে তৈরি করেছে ভিলকানোতা পর্বতমালা। মাটির আলাদা আলাদা স্তরে থাকা খনিজই মূলত এই লাল রং সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। বর্ষায় ভূমিক্ষয়ের কারণে এই রং গিয়ে মেশে নদীর জলে। আরও একটু পরিষ্কার করলে, আয়রন অক্সাইড পূর্ণ লাল বেলে পাথরই লাল রং দেয় একে। বর্ষায় যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তখন জলের তোড়ে বেলে পাথরের খনিজসমৃদ্ধ পানি ঢাল বেয়ে নেমে গিয়ে নদীর পানিকে পরিণত করে লাল কিংবা গাঢ় গোলাপিতে। বছরের বাকি সময়টা নদীর পানির উচ্চতা থাকে অনেক কম, রংও থাকে কাঁদাটে বাদামি।
সবুজ পাহাড় আর ফার্মল্যান্ডের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় এই লাল নদী আশ্চর্য এক পরিবেশের জন্ম দেয়। এখানে আসলে কিংবা ওপর থেকে দেখলে হঠাৎ মনে হতে পারে এটি পৃথিবীর কিছু নয়, ভিনগ্রহের কোনো জায়গায় চলে এসেছেন। কিংবা মনে হতে পারে শিল্পীর কোনো অসাধারণ চিত্রকর্ম বাস্তবে মূর্ত হয়ে উঠেছে।
কাসকোর কানচিস এলাকায় অবস্থান লাল নদীর। কাসকো শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ি পথে মোটামুটি ঘণ্টা তিনেক ভ্রমণে পৌঁছে যেতে পারবেন এর কাছে।
এমনিতে শুকনো মৌসুমে, যেটি মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, পেরু ভ্রমণের জন্য এটাকেই আদর্শ সময় বিবেচনা করা হয়। ভিলকানোতা পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি পথে বর্ষা মৌসুমে (ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল) ট্র্যাক করাও সুখকর কোনো অভিজ্ঞতা নয়। তবে যেহেতু নদীটি লাল রং ধারণ করে কেবল বর্ষায়, এর দর্শন পেতে আপনাকে যেতে হবে বর্ষাতেই। আবহাওয়া কিছুটা বৈরী থাকলেও এ সময় লাল নদীতে মজে যাওয়ার পাশাপাশি বিখ্যাত রংধনু পর্বতমালা, কুয়েসওয়াচাকার ইনকা ঝুলন্ত সেতু আর ইনকা নগর ওয়াকরাপুকারার ধ্বংসাবশেষ দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, মাচু–পিচু ডট অরগ
পেরুর কাসকোর ভিলকানোতা পার্বত্য এলাকায় গেলে আশ্চর্য এক নদীর দেখা পাবেন। পাথুরে উপত্যকার মাঝখান দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া নদীটির রং যে লাল। অবশ্য বছরের নির্দিষ্ট সময়েই কেবল এই নদীর দেখা পাবেন।
কাসকো শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ও পালকায়োর রংধনু পর্বতের কাছেই নদীটির অবস্থান। নদীটি দেখার সেরা সময় সেখানকার বর্ষা, মানে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলে। কারণ বৃষ্টির সঙ্গে নদীর আশ্চর্য এই রঙের সম্পর্ক আছে। এ ছাড়া বছরের বাকি সময়টা নদীর রং থাকে কাঁদাটে বাদামি। আর মোটামুটি পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত এই লাল রং পাবেন।
কাসকোর এই লাল নদী স্থানীয়ভাবে পরিচিত পালকুয়েলা পুচামাইয়ু নামে। নামটি এসেছে কুয়েচুয়া পালকুয়েলা ও পুচামায়ি থেকে। কুয়েচুয়া পালকুয়েলা অর্থ ছোট্ট শাখা আর পুচামায়ি অর্থ লাল নদী। পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত লাল রং নিয়ে চলার পর আরও কয়েকটি ছোট্ট খাল-নদীর সঙ্গে মিলিত হয়। সেখানে ধীরে ধীরে তার লাল রং হারাতে শুরু করে।
এই ছোট ছোট নদী-খালগুলোর মিলিত প্রবাহ গিয়ে বিসর্জন দিয়েছে ভিলকামায়ো নদীতে। এটি কাসকোর উপত্যকা ও বিখ্যাত ইনকা নগরী মাচুপিচুর মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আরও ভাটিতে নদীটি পরিচিতি পেয়েছে উরুবামবা নদী নামে। তারপর পোঙ্গো দে মানিকিউ গিরিখাদ পেরিয়ে গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে গিয়ে মিশে গেছে বিশাল আমাজন নদীতে।
এবার বরং নদীর রং লাল হওয়ার রহস্যটা জেনে নেওয়া যাক। রংধনু পর্বত পালকয়ো থেকে আসা বৃষ্টি জলে। পালকায়ো ও আরও কিছু পর্বত মিলে তৈরি করেছে ভিলকানোতা পর্বতমালা। মাটির আলাদা আলাদা স্তরে থাকা খনিজই মূলত এই লাল রং সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। বর্ষায় ভূমিক্ষয়ের কারণে এই রং গিয়ে মেশে নদীর জলে। আরও একটু পরিষ্কার করলে, আয়রন অক্সাইড পূর্ণ লাল বেলে পাথরই লাল রং দেয় একে। বর্ষায় যখন বৃষ্টি শুরু হয়, তখন জলের তোড়ে বেলে পাথরের খনিজসমৃদ্ধ পানি ঢাল বেয়ে নেমে গিয়ে নদীর পানিকে পরিণত করে লাল কিংবা গাঢ় গোলাপিতে। বছরের বাকি সময়টা নদীর পানির উচ্চতা থাকে অনেক কম, রংও থাকে কাঁদাটে বাদামি।
সবুজ পাহাড় আর ফার্মল্যান্ডের মাঝখান দিয়ে যাওয়ার সময় এই লাল নদী আশ্চর্য এক পরিবেশের জন্ম দেয়। এখানে আসলে কিংবা ওপর থেকে দেখলে হঠাৎ মনে হতে পারে এটি পৃথিবীর কিছু নয়, ভিনগ্রহের কোনো জায়গায় চলে এসেছেন। কিংবা মনে হতে পারে শিল্পীর কোনো অসাধারণ চিত্রকর্ম বাস্তবে মূর্ত হয়ে উঠেছে।
কাসকোর কানচিস এলাকায় অবস্থান লাল নদীর। কাসকো শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্বে পাহাড়ি পথে মোটামুটি ঘণ্টা তিনেক ভ্রমণে পৌঁছে যেতে পারবেন এর কাছে।
এমনিতে শুকনো মৌসুমে, যেটি মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়, পেরু ভ্রমণের জন্য এটাকেই আদর্শ সময় বিবেচনা করা হয়। ভিলকানোতা পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি পথে বর্ষা মৌসুমে (ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল) ট্র্যাক করাও সুখকর কোনো অভিজ্ঞতা নয়। তবে যেহেতু নদীটি লাল রং ধারণ করে কেবল বর্ষায়, এর দর্শন পেতে আপনাকে যেতে হবে বর্ষাতেই। আবহাওয়া কিছুটা বৈরী থাকলেও এ সময় লাল নদীতে মজে যাওয়ার পাশাপাশি বিখ্যাত রংধনু পর্বতমালা, কুয়েসওয়াচাকার ইনকা ঝুলন্ত সেতু আর ইনকা নগর ওয়াকরাপুকারার ধ্বংসাবশেষ দেখার সৌভাগ্য থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না আশা করি।
সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল, মাচু–পিচু ডট অরগ
বিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
১৯ ঘণ্টা আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
১ দিন আগেডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্বজুড়েই আলোচনায় এখন ট্রাম্প। তবে তাঁর পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইতালির সার্দানিয়া দ্বীপের একটি গ্রামে একেবারেই ভিন্ন এক সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হিসেবে।
২ দিন আগেটাইটানিকের ৭০০-র বেশি যাত্রী এবং ক্রুকে উদ্ধার করেছিল একটি জাহাজ। ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে উপহার দেওয়া একটি সোনার ঘড়ি নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড অর্থাৎ ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে।
৩ দিন আগে