পোষা অজগরকে নিয়ে সার্ফিং, জরিমানা গুনলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ২১
Thumbnail image

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হিগো ফিউজা নামের এক ব্যক্তি প্রিয় পোষা অজগরটিকে নিয়ে গিয়েছিলেন সার্ফিং করতে। তাঁদের সার্ফিংয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে যান ফিউজা এবং তাঁর অজগর। তবে তখন ফিউজা কল্পনাও করতে পারেননি সাময়িক এই খ্যাতিই কাল হবে তাঁর। বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার বন্য প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে।

এ মাসের গোড়ার দিকে সিডনির গোল্ডকোস্টের বাসিন্দা হিগো ফিউজা ও তাঁর পোষা কার্পেট অজগরের রেইনবো বের ঢেউয়ের ওপর সার্ফিং বোর্ডে নেচে বেড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়। বিষয়টি নজর কাড়ে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা কর্মকর্তাদের। তাঁরা বলছেন ফিউজা অজগরটিকে ঝুঁকিতে ফেলার পাশাপাশি সাপটিকে জনসমক্ষে নিয়ে গিয়ে একে নিজের কাছে রাখার নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এসব তথ্য জানা যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

কুইন্সল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সায়েন্স জানায়, ফিউজা স্থানীয় মিডিয়ায় হাজির হওয়ার পর থেকেই তদন্ত শুরু করে তারা। এ সপ্তাহে ফিউজাকে ২ হাজার ৩২২ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১ হাজার ৪৯৫ মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়।

বন্য প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোনাথন ম্যাকডোনাল্ড এক বিবৃতিতে বলেন, জনসমক্ষে নিয়ে যাওয়া এসব প্রাণীর ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি এদের অস্বাভাবিক আচরণের কারণ হতে পারে।

এ মাসের গোড়ার দিকে সিডনির গোল্ডকোস্টের বাসিন্দা হিগো ফিউজা ও তাঁর পোষা অজগরের ঢেউয়ের ওপর সার্ফিং বোর্ডে নেচে বেড়ানোর ভিডিও ভাইরাল হয়।।‘সাপ শীতল রক্তের প্রাণী। সাঁতার কাটতে জানলেও সরীসৃপরা সাধারণত পানি এড়িয়ে চলে। অজগরটির কাছে পানিটা অত্যন্ত ঠান্ডা বলে মনে হতে পারে। সাগরে কেবল সামুদ্রিক সাপদেরই থাকা উচিত।’ বলেন জোনাথন। এই ঘটনাটিতে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে জানান তিনি।

কিন্তু এর আগে ফিউজা স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন তাঁর অজগরটি জল পছন্দ করে এবং তাঁর সঙ্গে অন্তত দশবার সার্ফিং করেছে।

‘আমি সব সময় তাকে সমুদ্রসৈকতে নিয়ে যাই। সে পানিতে সাঁতার কাটতে ভালোবাসে। তাই একদিন তাকে সার্ফিং করানোর কথা ভাবি, আর বিষয়টি সে উপভোগ করে,’ অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন ফিউজা। ‘যখন কোনো কিছু পছন্দ করে না তখন হিস হিস করতে থাকে, কিন্তু তখন সে এমন কিছু করেনি। ওই সময়টা দারুণ আনন্দেই ছিল সে।’ যোগ করেন তিনি।

তবে ফিউজার অজগরটির আগেই রেইনেবো বেতে সার্ফিং করে পরিচিতি পেয়েছে ডাক নামের একটি হাঁস। এমনকি অস্ট্রেলীয় সার্ফিং চ্যাম্পিয়ন স্টেপ গিলমোর ঢেউয়ের চূড়ায় পৌঁছার ঠিক আগে তাঁর সামনে চলে গিয়ে সার্ফিংয়ে বাগড়া দেওয়ার জন্যও নাম কামিয়েছে সে। অবশ্য ‘ডাকে’র মালিককে ফিউজার মতো নিজের পোষা প্রাণীর খ্যাতির জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত