অনলাইন ডেস্ক
পৃথিবীর কোনো জাহাজ নিয়ে যদি সবচেয়ে বেশি মাতামাতি হয়ে থাকে সেটি টাইটানিক। ১৯১২ সালে ডুবে যায় বিলাসবহুল এই প্রমোদতরী। বলা চলে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাই গোটা বিশ্বজুড়ে জাহাজটির পরিচিতি ছড়িয়ে দেয়। টাইটানিকের প্রতি মানুষের আগ্রহ অটুট আছে এখনো। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সের যৌথ অনুসন্ধানী দল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল টাইটানিক ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর ছাড়ে। ১৪ এপ্রিল রাতে একটি হিমশৈলে ধাক্কা খায় টাইটানিক। এরপর ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকে জাহাজটি।
আর ডুবে যাওয়ার ৭৩ বছর পর খোঁজ মেলে প্রমোদতরীটির ধ্বংসাবশেষের। নিউফাউন্ডল্যান্ডের ৪০০ মাইল পূর্বে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে তলদেশে পাওয়া যায় এটি। সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৩ হাজার ফুট নিচে ছিল তখন এটি।
ডুবে যাওয়ার পর এটির সন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করতে দেরি হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং উত্তর আটলান্টিকের বিস্তৃত অনুসন্ধান এলাকা মিলিয়ে কাজটা প্রচণ্ড কঠিন হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে মার্কিন সমুদ্রবিজ্ঞানী রবার্ট ডি. ব্যালার্ডের নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে জাহাজটির খুঁজে বড় একটি অভিযান পরিচালিত হয়। ব্যালার্ড কাজ করছিলেন ম্যাসাচুসেটসের উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের হয়ে। তবে অনুসন্ধান অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
অবশ্য এতে দমে গেলেন না ব্যালার্ড। ১৯৮৫ সালে ফরাসি সমুদ্রবিজ্ঞানী জঁ লুই মিশেলের সঙ্গে মিলে আবার টাইটানিকের খোঁজে নেমে পড়লেন। এবার ‘আর্গো’ নামের পরীক্ষামূলক ও যন্ত্রচালিত একটি খুদে ডুবোযানের সাহায্য নেন। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এটি তৈরি করে। আর্গো সাগরের তলদেশে পৌঁছে গবেষণায় ব্যবহার করা মূল জাহাজ ক্নরে ছবি পাঠাতে থাকে।
১ সেপ্টেম্বর, ভোর। আর্গো সমুদ্রের তলদেশে ধ্বংসাবশেষের খোঁজ করার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে ১৩ হাজার ফুট গভীরে পড়ে থাকা টাইটানিকের একটি বিশাল বয়লারের ছবি তুলে ফেলে। আর এভাবেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার শুরু।
পরের দিন বয়লারটির কাছেই জাহাজটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। এটি দুটি খণ্ডে ভাগ হয়ে ছিল। তবে এর ভেতরের অনেক কিছুই আশ্চর্যরকম সংরক্ষিত ছিল। জাহাজের চারপাশে দুই বর্গমাইল ব্যাসার্ধে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। পরবর্তীতে মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন সাবমার্সিবল বা খুদে ডুবোযানের সাহায্যে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে আরও অনুসন্ধান পরিচালিত হয়। এতে ১৯১২ সালে কীভাবে ডুবেছিল সে সম্পর্কে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।
এখনো নিয়মিত অনুসন্ধান চালানো হয় টাইটানিকে, ১৯১২ সাল থেকে যে ঘুমিয়ে আছে সাগরের তলদেশে। হাজারো স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর বীরের মর্যাদা পাওয়া ব্যালার্ড আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে ছিল সাগর তলদেশে আরএমএস লুসিতানিয়া ও ইউএসএস ইয়র্কটাউন জাহাজের খোঁজে অভিযান।
অবশ্য নতুন প্রজন্মের অনেকেরই কাছেই টাইটানিক বেশি পরিচিতি পায় জেমস ক্যামেরনের পরিচালনায় এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট অভিনীত একই নামের সিনেমাটির জন্য। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় কালজয়ী এই চলচ্চিত্রটি।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
পৃথিবীর কোনো জাহাজ নিয়ে যদি সবচেয়ে বেশি মাতামাতি হয়ে থাকে সেটি টাইটানিক। ১৯১২ সালে ডুবে যায় বিলাসবহুল এই প্রমোদতরী। বলা চলে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাই গোটা বিশ্বজুড়ে জাহাজটির পরিচিতি ছড়িয়ে দেয়। টাইটানিকের প্রতি মানুষের আগ্রহ অটুট আছে এখনো। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সের যৌথ অনুসন্ধানী দল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল টাইটানিক ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর ছাড়ে। ১৪ এপ্রিল রাতে একটি হিমশৈলে ধাক্কা খায় টাইটানিক। এরপর ধীরে ধীরে তলিয়ে যেতে থাকে জাহাজটি।
আর ডুবে যাওয়ার ৭৩ বছর পর খোঁজ মেলে প্রমোদতরীটির ধ্বংসাবশেষের। নিউফাউন্ডল্যান্ডের ৪০০ মাইল পূর্বে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে তলদেশে পাওয়া যায় এটি। সমুদ্রপৃষ্ঠের ১৩ হাজার ফুট নিচে ছিল তখন এটি।
ডুবে যাওয়ার পর এটির সন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা শুরু করতে দেরি হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং উত্তর আটলান্টিকের বিস্তৃত অনুসন্ধান এলাকা মিলিয়ে কাজটা প্রচণ্ড কঠিন হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে মার্কিন সমুদ্রবিজ্ঞানী রবার্ট ডি. ব্যালার্ডের নেতৃত্বে ১৯৭৭ সালে জাহাজটির খুঁজে বড় একটি অভিযান পরিচালিত হয়। ব্যালার্ড কাজ করছিলেন ম্যাসাচুসেটসের উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের হয়ে। তবে অনুসন্ধান অভিযানটি ব্যর্থ হয়।
অবশ্য এতে দমে গেলেন না ব্যালার্ড। ১৯৮৫ সালে ফরাসি সমুদ্রবিজ্ঞানী জঁ লুই মিশেলের সঙ্গে মিলে আবার টাইটানিকের খোঁজে নেমে পড়লেন। এবার ‘আর্গো’ নামের পরীক্ষামূলক ও যন্ত্রচালিত একটি খুদে ডুবোযানের সাহায্য নেন। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী এটি তৈরি করে। আর্গো সাগরের তলদেশে পৌঁছে গবেষণায় ব্যবহার করা মূল জাহাজ ক্নরে ছবি পাঠাতে থাকে।
১ সেপ্টেম্বর, ভোর। আর্গো সমুদ্রের তলদেশে ধ্বংসাবশেষের খোঁজ করার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে ১৩ হাজার ফুট গভীরে পড়ে থাকা টাইটানিকের একটি বিশাল বয়লারের ছবি তুলে ফেলে। আর এভাবেই টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার শুরু।
পরের দিন বয়লারটির কাছেই জাহাজটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। এটি দুটি খণ্ডে ভাগ হয়ে ছিল। তবে এর ভেতরের অনেক কিছুই আশ্চর্যরকম সংরক্ষিত ছিল। জাহাজের চারপাশে দুই বর্গমাইল ব্যাসার্ধে বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। পরবর্তীতে মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন সাবমার্সিবল বা খুদে ডুবোযানের সাহায্যে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে আরও অনুসন্ধান পরিচালিত হয়। এতে ১৯১২ সালে কীভাবে ডুবেছিল সে সম্পর্কে নতুন তথ্য বেরিয়ে আসে।
এখনো নিয়মিত অনুসন্ধান চালানো হয় টাইটানিকে, ১৯১২ সাল থেকে যে ঘুমিয়ে আছে সাগরের তলদেশে। হাজারো স্মারক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনার পর বীরের মর্যাদা পাওয়া ব্যালার্ড আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে ছিল সাগর তলদেশে আরএমএস লুসিতানিয়া ও ইউএসএস ইয়র্কটাউন জাহাজের খোঁজে অভিযান।
অবশ্য নতুন প্রজন্মের অনেকেরই কাছেই টাইটানিক বেশি পরিচিতি পায় জেমস ক্যামেরনের পরিচালনায় এবং লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও কেট উইন্সলেট অভিনীত একই নামের সিনেমাটির জন্য। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় কালজয়ী এই চলচ্চিত্রটি।
সূত্র: হিস্টরি ডট কম
ওনলিফ্যানস মডেল বনি ব্লু’র চাঞ্চল্যকর দাবি ইন্টারনেটে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ২৫ বছর বয়সী এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানিয়েছেন, তিনি ১২ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৭ জন পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।
৩ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে বসবাসকারী এক নারী সম্প্রতি ৫০ হাজার ডলারের একটি লটারি জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৬০ লাখ টাকার বেশি। মজার বিষয় হলো, যে সংখ্যা ব্যবহার করে এই লটারি বিজয়, সেই সংখ্যা স্বপ্নে পেয়েছিলেন ওই নারী!
৮ দিন আগেদক্ষিণ আফ্রিকান একটি নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান সেখানকার একটি বাড়ি থেকে বিপৎসংকেত বা সতর্কতামূলক অ্যালার্ম পায়। প্রতিষ্ঠানটি দেরি না করে সেখানে একটি দল পাঠায়। তখনই ফাঁস হয় রহস্য। এই অ্যালার্ম বাজিয়েছিল ওই বাড়ির বাসিন্দারা নয়, বরং একটি বানর।
২০ দিন আগেমাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে বাসা। রাত হয়ে যাওয়ায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারই ভরসা। ২০ মিনিটেই চলে যাওয়া যায়। তবে যানজটে সময় লাগল ২ ঘণ্টা। গন্তব্যে পৌঁছে সোফি দেখলেন ৫ কিলোমিটার রাস্তার জন্য তাঁর বিল এসেছে ৩২১ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৮১৯৭ টাকা)। উবার বুক করার সময় দেখানো প্রাথমিক বিলের প্রায় চার গুণ!
২২ ডিসেম্বর ২০২৪