আলেয়া খাতুন। বয়স ষাটের বেশি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আবদুল মালেকের স্ত্রী তিনি। সাকিন থাকলেও তাঁর কোনো ভিটা নেই, জমি নেই। থাকেন অন্যের মেহগনিবাগানের এক খুপরিতে। সেই আলেয়া খাতুনই গত ডিসেম্বরে উপজেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হন।
বিটুমিন বিছানো কালো রাস্তা থেকে নেমে দুটি বাড়ির উঠান পার হতে হয়। তারপর সামছুর রহমানের মেহগনিবাগান। দূর থেকে গাছের ফাঁক দিয়ে সেখানে চোখে পড়ে টালির ছাউনি দেওয়া টিনের বেড়ার ছোট একটি বাড়ি। অবশ্য বাড়ি না বলে একে খুপরি বলাই ভালো। সেই বাড়ির বারান্দার এক পাশে স্তূপ করে রাখা আছে কিছু বস্তা; অন্যদিকে ছোট জায়গায় বিছানায় বসে কয়েকজন নারীকে শাড়ি, থ্রি-পিস ইত্যাদি দেখাচ্ছেন আলেয়া খাতুন। পাশে রাখা বেশ কিছু মুদি পণ্য। এসবও বিক্রি করেন আলেয়া। শুধু তা-ই নয়, সন্ধ্যায় আলেয়ার খুপরিতে হাজির হন এলাকার নারীরা। তাঁরা সেখানে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটির স্বাদ নিতে যান।
৩৫ বছর আগে আলেয়া বেগমের স্বামী আবদুল মালেক পাঁচ শিশুসন্তান রেখে মারা যান। সম্বল হিসেবে রেখে যান ছয় শতক বসতভিটা। কিছুদিন পর একটি ছেলে মারা যায়। ছেলেমেয়েদের বড় করতে আলেয়া খাতুন তখন কোমর বেঁধে নেমে যান খেত-খামারে শ্রমিকের কাজ করতে। এভাবে তাঁর প্রায় ২৫ বছর কেটে যায়। একপর্যায়ে ছেলেমেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গেলে আলেয়া তাঁদের বোঝা হননি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি অন্যের জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন।
সেখানে প্রথমে কেঁচো দিয়ে জৈব সার তৈরি শুরু করেন। বর্তমানে ৭০টি নান্দায় (মাটির পাত্র) তাঁর এ সার উৎপাদিত হয়। সঙ্গে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন দিয়ে বেড়াতেন পাড়ায় পাড়ায়। কিছুদিন পর বেশ কিছু টাকা জমে গেলে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ঢাকা কিংবা কুষ্টিয়ার পোড়াদহ থেকে তিনি শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় নিয়ে আসেন। সেসব কাপড় বিক্রির পাশাপাশি আলেয়া খাতুন ইমিটেশনের গয়নাও বিক্রি করেন। এ সবকিছুর টাকা দিয়ে তাঁর একজনের বেশ ভালোই চলে যায়, সন্তানদের কাছে হাত পাততে হয় না; বরং আলেয়ার হাতে সব সময় কয়েক হাজার টাকা থেকে যায়। ঝিকরগাছা উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা অনিতা মল্লিক জানিয়েছেন, এই বিশেষ গুণের জন্য আলেয়া খাতুনকে জয়িতা নির্বাচন করা হয়।
যত দিন বেঁচে আছেন, কারও কাছে হাত পাততে চান না আলেয়া খাতুন। এভাবে টুকটাক ব্যবসা করে নিজের খরচ নিজে জোগাড় করতে চান তিনি। নিজের টাকায় নিজে চলা একটা আনন্দের ব্যাপার। বাকি জীবন এভাবেই চলতে চান আলেয়া খাতুন।
আলেয়া খাতুন। বয়স ষাটের বেশি। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আবদুল মালেকের স্ত্রী তিনি। সাকিন থাকলেও তাঁর কোনো ভিটা নেই, জমি নেই। থাকেন অন্যের মেহগনিবাগানের এক খুপরিতে। সেই আলেয়া খাতুনই গত ডিসেম্বরে উপজেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে জয়িতা নির্বাচিত হন।
বিটুমিন বিছানো কালো রাস্তা থেকে নেমে দুটি বাড়ির উঠান পার হতে হয়। তারপর সামছুর রহমানের মেহগনিবাগান। দূর থেকে গাছের ফাঁক দিয়ে সেখানে চোখে পড়ে টালির ছাউনি দেওয়া টিনের বেড়ার ছোট একটি বাড়ি। অবশ্য বাড়ি না বলে একে খুপরি বলাই ভালো। সেই বাড়ির বারান্দার এক পাশে স্তূপ করে রাখা আছে কিছু বস্তা; অন্যদিকে ছোট জায়গায় বিছানায় বসে কয়েকজন নারীকে শাড়ি, থ্রি-পিস ইত্যাদি দেখাচ্ছেন আলেয়া খাতুন। পাশে রাখা বেশ কিছু মুদি পণ্য। এসবও বিক্রি করেন আলেয়া। শুধু তা-ই নয়, সন্ধ্যায় আলেয়ার খুপরিতে হাজির হন এলাকার নারীরা। তাঁরা সেখানে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটির স্বাদ নিতে যান।
৩৫ বছর আগে আলেয়া বেগমের স্বামী আবদুল মালেক পাঁচ শিশুসন্তান রেখে মারা যান। সম্বল হিসেবে রেখে যান ছয় শতক বসতভিটা। কিছুদিন পর একটি ছেলে মারা যায়। ছেলেমেয়েদের বড় করতে আলেয়া খাতুন তখন কোমর বেঁধে নেমে যান খেত-খামারে শ্রমিকের কাজ করতে। এভাবে তাঁর প্রায় ২৫ বছর কেটে যায়। একপর্যায়ে ছেলেমেয়েরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গেলে আলেয়া তাঁদের বোঝা হননি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি অন্যের জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন।
সেখানে প্রথমে কেঁচো দিয়ে জৈব সার তৈরি শুরু করেন। বর্তমানে ৭০টি নান্দায় (মাটির পাত্র) তাঁর এ সার উৎপাদিত হয়। সঙ্গে হাঁস-মুরগির ভ্যাকসিন দিয়ে বেড়াতেন পাড়ায় পাড়ায়। কিছুদিন পর বেশ কিছু টাকা জমে গেলে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। ঢাকা কিংবা কুষ্টিয়ার পোড়াদহ থেকে তিনি শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের কাপড় নিয়ে আসেন। সেসব কাপড় বিক্রির পাশাপাশি আলেয়া খাতুন ইমিটেশনের গয়নাও বিক্রি করেন। এ সবকিছুর টাকা দিয়ে তাঁর একজনের বেশ ভালোই চলে যায়, সন্তানদের কাছে হাত পাততে হয় না; বরং আলেয়ার হাতে সব সময় কয়েক হাজার টাকা থেকে যায়। ঝিকরগাছা উপজেলার মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা অনিতা মল্লিক জানিয়েছেন, এই বিশেষ গুণের জন্য আলেয়া খাতুনকে জয়িতা নির্বাচন করা হয়।
যত দিন বেঁচে আছেন, কারও কাছে হাত পাততে চান না আলেয়া খাতুন। এভাবে টুকটাক ব্যবসা করে নিজের খরচ নিজে জোগাড় করতে চান তিনি। নিজের টাকায় নিজে চলা একটা আনন্দের ব্যাপার। বাকি জীবন এভাবেই চলতে চান আলেয়া খাতুন।
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা যায়, এমন প্রমাণাদি নেই বলে মন্তব্য করেছেন ব্লাস্টের (বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে লিঙ্গভিত্তিক...
৪ দিন আগেশিশুদের সাইকোলজি আগে বুঝতে হবে—যতটা সরলীকরণ করা যায়। পরের পাতায় কী আছে, এ রকম একটা কৌতূহল রাখি। রংটা খুব উজ্জ্বল থাকে। সামাজিক সচেতনতা বাড়ায়, চিন্তার বিকাশ ঘটায়—এমন কাজ করি। চরিত্রদের এক্সপ্রেশনে ব্যাপক ফান থাকতে হবে।
৬ দিন আগে‘বাংলাদেশের মেয়েরা সুযোগ পেলে সকলেই হিমালয় জয় করতে পারে।’ নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে এমন কথাই জানিয়েছেন পাঁচ নারী পর্বতারোহী। ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত: তরুণীর অগ্রযাত্রা’ বিষয়ে এক আলাপচারিতায় এ কথা বলেন তাঁরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তাঁরা
৬ দিন আগেআমার লেখার ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ের প্রতি আগ্রহ কিংবা স্বতঃস্ফূর্ততাকে প্রাধান্য দিই। শব্দ আমার কাছে স্রোতস্বিনী নদীর মতো। আমি অনেকের লেখা পড়ি। তবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় থ্রিলার লেখক মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন ভাইয়ের থ্রিলার ভাবনার আড্ডাগুলো থ্রিলার লেখার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। আমি তাঁর লেখার ভক্ত।
১৩ দিন আগে