আন্তর্জাতিক নারী
ফিচার ডেস্ক
হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা। পত্রিকায় প্রকাশের পর সেই প্রতিবেদন নিয়ে লিখেছিলেন দুই খণ্ডের বই ‘দ্য হিস্ট্রি অব স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’। এর ফলে ধাক্কা লেগেছিল রকফেলারদের তেল সাম্রাজ্যে। এই সাহসিকতার জন্য এখনো অনেক অনুসন্ধানী সাংবাদিক আদর্শ মনে করেন ইডাকে।
মক্রেকিং মানে ময়লা খনন করা। এখান থেকে সাংবাদিকতার জগতে এসেছিল ‘মক্রেকার’ শব্দটি। মূলত এই মক্রেকাররা ছিলেন নির্ভীক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁদের অনুসন্ধানের জগৎ ছিল রাজনীতি থেকে শুরু করে বৃহৎ ব্যবসা—সবখানে। এই অনুসন্ধানী লেখকদের মধ্যে জনপ্রিয়তম ছিলেন ইডা এম টারবেল।
জন ডি রকফেলার ১৮৬৩ সালে তাঁর প্রথম তেল শোধনাগার নির্মাণ করেন। ১৮৭৭ সালের মধ্যে তিনি আমেরিকান তেল শিল্পের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নেন। এত বড় ব্যবসা পরিচালনায় রকফেলার ১৮৮২ সালে প্রথম একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট ছোট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। যদিও বেশির ভাগ মানুষ জানত, রকফেলার তাঁর তেল সাম্রাজ্য দিয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান তৈরি করতেন।
কল্পনাই ভবিষ্যতের একমাত্র চাবিকাঠি। এটি ছাড়া কোনো কিছুরই অস্তিত্ব নেই। সবকিছু সম্ভব এর মাধ্যমে।
কিন্তু ১৯০২ সালের দিক থেকে রকফেলারদের এই ফাঁদের কথা বুঝে ফেলে ইডা সতর্কতার সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের আক্রমণাত্মক কৌশলগুলো নথিভুক্ত শুরু করেন। ইডার লেখায় উঠে আসে রেলপথের সঙ্গে রকফেলারের সম্পৃক্ততার কথা। তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সে সময়ের জনপ্রিয় ‘ম্যাকক্লুর’স ম্যাগাজিন’ এ ১৯০২ সালের নভেম্বর থেকে ১৯০৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ পর্বে প্রকাশিত হয়। ১৯০৪ সালে সেই প্রতিবেদন ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’ শিরোনামে দুই খণ্ডের বই হিসেবে প্রকাশিত হয়।
ইডার বাবা ছিলেন একজন তেল উৎপাদনকারী। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৮৭২ সালে ক্লিভল্যান্ডের তেল যুদ্ধের সাক্ষী হতে হয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী ইডাকে। সে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও এবং পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় তাঁর বাবাসহ আরও কয়েক ডজন ছোট তেল উৎপাদনকারীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধে ক্লিভল্যান্ড শহরের ৮৫ শতাংশ ছোট তেল শোধনাগারের মালিক শহরটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধের অভিঘাত পড়েছিল ইডার জীবনে। ফলে তিনি পরিণত বয়সে এই তেল যুদ্ধের কারণ খুঁজতে হয়ে গিয়েছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। আর আবিষ্কার করেছিলেন স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির তেল সাম্রাজ্যের পেছনের গল্প।
তবে ইডা কেবল যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই করেছেন, তা নয়। তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এবং আব্রাহাম লিংকনের জীবনীও লিখেছিলেন। ১৮৯০ সালের গোড়ার দিকে ইডা প্যারিসে চলে যান। তিনি ফরাসি বিপ্লবে অংশ নেওয়া নারীদের সম্পর্কে একটি সিরিজ নিবন্ধ লিখেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার এরি কাউন্টিতে ১৮৫৭ সালের ৫ নভেম্বর জন্মেছিলেন ইডা টারবেল।
হতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানী। কিন্তু হলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। নাম তাঁর ইডা টারবেল। উনিশ শতকে পৃথিবীময় তেল ব্যবসার ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত রকফেলারদের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের কালো দিক উন্মোচন করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ইডা। পত্রিকায় প্রকাশের পর সেই প্রতিবেদন নিয়ে লিখেছিলেন দুই খণ্ডের বই ‘দ্য হিস্ট্রি অব স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’। এর ফলে ধাক্কা লেগেছিল রকফেলারদের তেল সাম্রাজ্যে। এই সাহসিকতার জন্য এখনো অনেক অনুসন্ধানী সাংবাদিক আদর্শ মনে করেন ইডাকে।
মক্রেকিং মানে ময়লা খনন করা। এখান থেকে সাংবাদিকতার জগতে এসেছিল ‘মক্রেকার’ শব্দটি। মূলত এই মক্রেকাররা ছিলেন নির্ভীক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তাঁদের অনুসন্ধানের জগৎ ছিল রাজনীতি থেকে শুরু করে বৃহৎ ব্যবসা—সবখানে। এই অনুসন্ধানী লেখকদের মধ্যে জনপ্রিয়তম ছিলেন ইডা এম টারবেল।
জন ডি রকফেলার ১৮৬৩ সালে তাঁর প্রথম তেল শোধনাগার নির্মাণ করেন। ১৮৭৭ সালের মধ্যে তিনি আমেরিকান তেল শিল্পের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নেন। এত বড় ব্যবসা পরিচালনায় রকফেলার ১৮৮২ সালে প্রথম একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। এই ট্রাস্ট ছোট ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দমিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। যদিও বেশির ভাগ মানুষ জানত, রকফেলার তাঁর তেল সাম্রাজ্য দিয়ে ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান তৈরি করতেন।
কল্পনাই ভবিষ্যতের একমাত্র চাবিকাঠি। এটি ছাড়া কোনো কিছুরই অস্তিত্ব নেই। সবকিছু সম্ভব এর মাধ্যমে।
কিন্তু ১৯০২ সালের দিক থেকে রকফেলারদের এই ফাঁদের কথা বুঝে ফেলে ইডা সতর্কতার সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অয়েলের আক্রমণাত্মক কৌশলগুলো নথিভুক্ত শুরু করেন। ইডার লেখায় উঠে আসে রেলপথের সঙ্গে রকফেলারের সম্পৃক্ততার কথা। তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সে সময়ের জনপ্রিয় ‘ম্যাকক্লুর’স ম্যাগাজিন’ এ ১৯০২ সালের নভেম্বর থেকে ১৯০৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ১৯ পর্বে প্রকাশিত হয়। ১৯০৪ সালে সেই প্রতিবেদন ‘দ্য হিস্ট্রি অব দ্য স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি’ শিরোনামে দুই খণ্ডের বই হিসেবে প্রকাশিত হয়।
ইডার বাবা ছিলেন একজন তেল উৎপাদনকারী। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৮৭২ সালে ক্লিভল্যান্ডের তেল যুদ্ধের সাক্ষী হতে হয়েছিল ১৪ বছরের কিশোরী ইডাকে। সে যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও এবং পশ্চিম পেনসিলভানিয়ায় তাঁর বাবাসহ আরও কয়েক ডজন ছোট তেল উৎপাদনকারীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। সেই যুদ্ধে ক্লিভল্যান্ড শহরের ৮৫ শতাংশ ছোট তেল শোধনাগারের মালিক শহরটি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধের অভিঘাত পড়েছিল ইডার জীবনে। ফলে তিনি পরিণত বয়সে এই তেল যুদ্ধের কারণ খুঁজতে হয়ে গিয়েছিলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। আর আবিষ্কার করেছিলেন স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির তেল সাম্রাজ্যের পেছনের গল্প।
তবে ইডা কেবল যে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতাই করেছেন, তা নয়। তিনি নেপোলিয়ন বোনাপার্ট এবং আব্রাহাম লিংকনের জীবনীও লিখেছিলেন। ১৮৯০ সালের গোড়ার দিকে ইডা প্যারিসে চলে যান। তিনি ফরাসি বিপ্লবে অংশ নেওয়া নারীদের সম্পর্কে একটি সিরিজ নিবন্ধ লিখেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার এরি কাউন্টিতে ১৮৫৭ সালের ৫ নভেম্বর জন্মেছিলেন ইডা টারবেল।
দেশে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে গত বছর। বছরটি নারীর জন্য ছিল অম্ল-মধুর। যে বিষয়টি বলার তা হলো, বিভিন্ন পদক্ষেপ, আইন, শাস্তি—কোনো কিছুই নারীর প্রতি সহিংসতা আর নির্যাতন বন্ধ করতে পারছে না।
৪ দিন আগেজামেলা খাতুনের বয়স ৮০ পেরিয়ে গেছে। অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ। কোটরাগত দুচোখ তাঁর সর্বস্ব হারানোর বিশদ উপাখ্যান। স্বামী সমেজ মিয়াকে হারিয়েছেন এক যুগ আগে। যমুনার ভাঙনে হারিয়েছেন ঘরবাড়ি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। স্বামী মারা যাওয়ার..
৪ দিন আগেআমার বয়স ১৮ বছর, স্বামীর ৪৫। পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছিল দেড় বছর আগে। আমার ননদ বিয়ের সূত্রে অন্য জেলায় থাকে এবং পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়। নানা রকম মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছি গত দেড় বছরে। আমার ভরণপোষণও ঠিকমতো দেয়নি তারা। বাড়ির একটি রুম নিয়ে পারলার দিয়েছিলাম...
৪ দিন আগেএকজন বন্দী কারাগারে থেকে কিসের বিনিময়ে ভালো সেবা পেতে পারেন? অনেকের মনে ঘুরতে পারে এর অনেক উত্তর। কিন্তু যদি শোনেন, এই ‘বিনিময়’ সেই বন্দীর পরিবারকে দেশের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করার প্রস্তাব! অনেকে হোঁচট খাবেন। তেমনই এক ঘটনার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন
৪ দিন আগে