ডেস্ক রিপোর্ট
‘দ্য স্কাই’স লিমিট’ শব্দটিকে কি অসীমের সীমানা বলা যায়? এই শিরোনামে চারুশিল্পের একটি প্রদর্শনী হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক চিত্রশালায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর ২০২১ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল সেই চিত্রশালা ও জাদুঘরটি। এরপর ২০২৩ সালে নতুন কলেবরে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রদর্শনীটি। চলেছিল ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৩ জন নারী শিল্পীর ভাস্কর্য ও ইনস্টলেশন আর্ট প্রদর্শন করা হয়েছিল।
আধুনিকতার পথে অনেকখানি এগিয়ে আসার পরও যখন শিল্পের প্রশ্নে নারীদের অবস্থান নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিল খোদ পশ্চিম দুনিয়ার মানুষ, সেই সময় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব উইমেন ইন দ্য আর্টস নামের একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। নারী চারুশিল্পীদের জন্য নিবেদিত সেই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন একজন নারী, নাম উইলহেলমিনা কোল হলাডে। সেই জাদুঘর ও চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘দ্য স্কাই’স লিমিট’ শিরোনামের সেই প্রদর্শনী।
শিল্পের ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান নিয়ে উইলহেলমিনার মনে কেন প্রশ্ন জেগেছিল, তার একটা ইতিহাস আছে।
মাদাম চিয়াং কাই-শেকের সামাজিক সচিব হিসেবে কাজ করা উইলহেলমিনা সত্তরের দশকে স্বামীর সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সময় অনেক জাদুঘরও ভ্রমণ করেছিলেন। সে সময় ভিয়েনায় একটি চিত্রকর্ম দেখে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন তিনি। সেটি ছিল বেলজিয়ামের নারী চিত্রশিল্পী ক্লারা পিটার্সের আঁকা। হলাডে সে সময় ক্লারা সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করে নিরাশ হন। সেই নিরাশা থেকেই তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, নারী শিল্পীরা তাহলে কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উইলহেলমিনা ১৯৮০ সালের মধ্যে সংগ্রহ করেন ১৫০ জন শিল্পীর প্রায় ৫০০টি শিল্পকর্ম। এ ছাড়া তিনি নারী শিল্পীদের ক্যাটালগ, বই, ফটোগ্রাফ এবং জীবনীসংক্রান্ত তথ্যের একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছিলেন। এসব দেখে উইলহেলমিনাকে ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর দ্য আর্টসের সে সময়ের প্রধান ন্যান্সি হ্যাঙ্কস একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উৎসাহিত করেন। বেশ সংগ্রাম করে এ জন্য তিনি সরকারি ও বেসরকারি উৎস থেকে সংগ্রহ করেছিলেন ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। সেই অর্থ দিয়ে তিনি হোয়াইট হাউস থেকে দুই ব্লক পরের একটি ভবনে প্রতিষ্ঠা করেন জাদুঘরটি।
১৯৮৭ সালের ৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বারবারা বুশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব উইমেন ইন দ্য আর্টস নামের এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নারী শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য এ জাদুঘরটি তৈরি করেছিলেন উইলহেলমিনা। তাঁর এই উদ্যোগ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নারী শিল্পীদের কাজগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে। জাদুঘরটি অতীতের গুরুত্বপূর্ণ নারী শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করে শিল্পের ক্ষেত্রে ‘লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতা’র বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এটি সমকালীন নারী শিল্পীদের কাজগুলোও প্রদর্শন করছে।
৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই জাদুঘরের সংগ্রহে আসে এক হাজার শিল্পীর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি শিল্পকর্ম। জাদুঘরের বয়েদ ডেত্রে লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রে নারী শিল্পীদের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এখন এই জাদুঘরের বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ মিলিয়ন ডলার এবং এখানে কাজ করেন ৫০ জন কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রসহ ২১টি দেশের দাতা ও দাতা সংস্থা কাজ করে এই জাদুঘরের উন্নয়নের জন্য।
‘দ্য স্কাই’স লিমিট’ শব্দটিকে কি অসীমের সীমানা বলা যায়? এই শিরোনামে চারুশিল্পের একটি প্রদর্শনী হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক চিত্রশালায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর ২০২১ সালে সংস্কারের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল সেই চিত্রশালা ও জাদুঘরটি। এরপর ২০২৩ সালে নতুন কলেবরে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রদর্শনীটি। চলেছিল ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ১৩ জন নারী শিল্পীর ভাস্কর্য ও ইনস্টলেশন আর্ট প্রদর্শন করা হয়েছিল।
আধুনিকতার পথে অনেকখানি এগিয়ে আসার পরও যখন শিল্পের প্রশ্নে নারীদের অবস্থান নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিল খোদ পশ্চিম দুনিয়ার মানুষ, সেই সময় ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব উইমেন ইন দ্য আর্টস নামের একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। নারী চারুশিল্পীদের জন্য নিবেদিত সেই জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন একজন নারী, নাম উইলহেলমিনা কোল হলাডে। সেই জাদুঘর ও চিত্রশালায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘দ্য স্কাই’স লিমিট’ শিরোনামের সেই প্রদর্শনী।
শিল্পের ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান নিয়ে উইলহেলমিনার মনে কেন প্রশ্ন জেগেছিল, তার একটা ইতিহাস আছে।
মাদাম চিয়াং কাই-শেকের সামাজিক সচিব হিসেবে কাজ করা উইলহেলমিনা সত্তরের দশকে স্বামীর সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সময় অনেক জাদুঘরও ভ্রমণ করেছিলেন। সে সময় ভিয়েনায় একটি চিত্রকর্ম দেখে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন তিনি। সেটি ছিল বেলজিয়ামের নারী চিত্রশিল্পী ক্লারা পিটার্সের আঁকা। হলাডে সে সময় ক্লারা সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করে নিরাশ হন। সেই নিরাশা থেকেই তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, নারী শিল্পীরা তাহলে কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে উইলহেলমিনা ১৯৮০ সালের মধ্যে সংগ্রহ করেন ১৫০ জন শিল্পীর প্রায় ৫০০টি শিল্পকর্ম। এ ছাড়া তিনি নারী শিল্পীদের ক্যাটালগ, বই, ফটোগ্রাফ এবং জীবনীসংক্রান্ত তথ্যের একটি সংগ্রহশালা তৈরি করেছিলেন। এসব দেখে উইলহেলমিনাকে ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর দ্য আর্টসের সে সময়ের প্রধান ন্যান্সি হ্যাঙ্কস একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে উৎসাহিত করেন। বেশ সংগ্রাম করে এ জন্য তিনি সরকারি ও বেসরকারি উৎস থেকে সংগ্রহ করেছিলেন ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ। সেই অর্থ দিয়ে তিনি হোয়াইট হাউস থেকে দুই ব্লক পরের একটি ভবনে প্রতিষ্ঠা করেন জাদুঘরটি।
১৯৮৭ সালের ৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্টের স্ত্রী বারবারা বুশ ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব উইমেন ইন দ্য আর্টস নামের এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নারী শিল্পীদের শিল্পকর্ম সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য এ জাদুঘরটি তৈরি করেছিলেন উইলহেলমিনা। তাঁর এই উদ্যোগ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে নারী শিল্পীদের কাজগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরছে। জাদুঘরটি অতীতের গুরুত্বপূর্ণ নারী শিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করে শিল্পের ক্ষেত্রে ‘লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতা’র বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এটি সমকালীন নারী শিল্পীদের কাজগুলোও প্রদর্শন করছে।
৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই জাদুঘরের সংগ্রহে আসে এক হাজার শিল্পীর সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি শিল্পকর্ম। জাদুঘরের বয়েদ ডেত্রে লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রে নারী শিল্পীদের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এখন এই জাদুঘরের বাজেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ মিলিয়ন ডলার এবং এখানে কাজ করেন ৫০ জন কর্মী। যুক্তরাষ্ট্রসহ ২১টি দেশের দাতা ও দাতা সংস্থা কাজ করে এই জাদুঘরের উন্নয়নের জন্য।
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুফল পাওয়া যায়, সেই জায়গায় তাঁরা পিছিয়ে আছেন এখনো। যেমন এখন অনলাইনে সরকারি বিভিন্ন কাজ, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন করা যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য ও ব্যবহারের অভাবে প্রান্তিক নারীরা এসব সুবিধা নিতে পারছ
১ দিন আগেকোভিড ইফেক্ট তাঁকেও আক্রান্ত করেছিল। উচ্চশিক্ষিত খাদিজা ভালো বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কোভিডকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। সে সময় খাদিজা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিয়মমাফিক অফিস থেকে ছুটি চাইলে অফিস জানিয়ে দিল, চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। খাদিজা চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। খাদিজা জা
১ দিন আগেবাংলাদেশে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইউএন উইমেন নতুন এক অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ঢাকার ইইউ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই চুক্তির আওতায় ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অর্থ জনপরিসর, কর্মক্ষেত্র এবং উচ্চশিক্
১ দিন আগেআফগানিস্তান ও নারী—শব্দ দুটি যেন দিন দিন সাংঘর্ষিক হয়ে উঠছে। কিন্তু কেন? দেশটির শাসকগোষ্ঠী দেশটির নারী জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ আলাদা ভেবে রাষ্ট্র পরিচালনার চিন্তা করছে। আফগানিস্তানে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর
১ দিন আগে