দেশে প্রচলিত আইনে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ছেলেরা যে সম্পত্তি পায়, মেয়েরা পায় তার অর্ধেক। কিন্তু বাস্তবে তাদের সেটুকুও দেওয়া হয় না। সম্পত্তিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘আন্তপ্রজন্মভিত্তিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নারী আন্দোল
দেশের নারীদের এগিয়ে নিতে বেশ কিছু আইন হয়েছে আমাদের। তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নারীর অধিকার ও সুরক্ষার জন্য এখনো নির্দিষ্ট আইন অনুপস্থিত। এই ফাঁকগুলো নারীর জীবনমান উন্নয়ন ও সমানাধিকারের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীর সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে এই ফাঁকগুলো পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
উত্তরণ
আমার এক কাজিনের মেয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন। একদিন কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় এক লোক তাঁকে ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন। তারপর তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। ওই মেয়ে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি এসে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এখন কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছেন...
উত্তরণ
আমার দাদা-দাদি মারা গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। চাচা-জ্যাঠারা বেশি বেশি জায়গাজমি ভোগ করছেন। আমার বাবার উপযুক্ত ছেলে নেই। আমাদের ভাগ তাঁদের তুলনায় অর্ধেক। দুই দিন পরপর চাচা-জ্যাঠারা তাঁদের ছেলেদের নিয়ে বাবার দিকে তেড়ে আসেন।
শারীরিক নির্যাতন বলতে নারীর শরীরে আঘাত করা, শারীরিকভাবে কষ্ট দেওয়া এবং আহত করার ঘটনা বোঝায়। এটি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। শারীরিক নির্যাতনের ফলে নারীরা গুরুতর শারীরিক আঘাত পেতে পারে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আমি একজন মুসলিম নারী। আমার একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। আমার স্বামী বিয়ের পর দেশের বাইরে কাজ করতে যান। গত বছর তিনি সেখানে স্ট্রোকে মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে আমি আমার সন্তানকে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় থাকি। কারণ, স্বামীর মৃত্যুর পর আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি আমাদের খোঁজখবরও
শারীরিক নির্যাতনের জন্য চিকিৎসক দেখিয়ে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট নিতে হবে। তারপর স্থানীয় থানায় মামলা করতে হবে। মামলা করলে মীমাংসা করতে কেউ বাধ্য নয়। যেকোনো ঘটনায় উচিত পার্শ্ববর্তী থানায় বিষয়টি জানানো। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাহার হিসেবে বিষয়টি গণ্য করলে প্রাথমিক তথ্য বিবরণী ফরমে লিপিবদ
আমার স্বামীর সঙ্গে কয়েক মাসের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যাবে। আমরা এক বছর ধরে আলাদা থাকি এবং আমাদের মধ্যে যোগাযোগ নেই। আমার একটি ৯ বছরের ছেলেসন্তান আছে। ডিভোর্স হয়ে গেলে আমার ছেলেকে সে পাবে আইন অনুসারে। কিন্তু সে বিদেশে থাকে বলে সন্তানের দেখাশোনা করতে পারবে না। হয়তো তার পরিবারের মানুষেরা দেখবে কিংবা হোস
আমার বোনের বিয়ের বয়স তিন বছর। দুলাভাই তাঁর ভরণপোষণ করেছেন মাত্র ছয় মাস। এর মধ্যে আমার বোন জরায়ুর টিউমারের কারণে অসুস্থ হয়ে যান। অসুস্থতার কথা শুনে তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন এবং চিকিৎসা না করিয়ে ডিভোর্স দিতে চাইছেন। দেড় বছর ধরে বাবা তাঁর চিকিৎসা করাতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার খরচ বহন
মা-বাবা যার সঙ্গে আমাকে বিয়ে দিয়েছিল, তাকে আমার পছন্দ ছিল না বলে গাজীপুর কোর্ট থেকে ডিভোর্স দিই। পরে সেখানেই পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করি। সে সময় আমার জন্মনিবন্ধন কার্ড ছিল হাতে লেখা। ভোটার আইডি কার্ড হয়নি। দ্বিতীয় বিয়ে করলে আমার মা-বাবা ও প্রথম স্বামী দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে আই
বাবা মারা যাওয়ার পর ২০১৯ সাল থেকে আমরা চার ভাইবোন মিলে ব্যবসা দেখাশোনা শুরু করি। হঠাৎ মারা যাওয়ায় তিনি ব্যবসা বা অন্যান্য সম্পত্তি ভাগাভাগি করে দিয়ে যেতে পারেননি। প্রথম দিকে ভাইয়েরা আমাকে ব্যবসা সামলাতে দিয়ে নিজেদের কাজ করতে থাকে। ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ানোর পর তারা এখন খাতা-কলমে নিজেদের ভাগ বুঝে নিতে চাই
আমাদের বিয়ে হয়েছে প্রায় ছয় বছর আগে। দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। ২০২০ সালে আমার স্বামী না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করে। পরে গ্রাম্য সালিসে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে আলাদা জায়গায় রাখার শর্তে আমি সংসারে ফিরে আসি। প্রায় সাত মাস আগে আমাকে না জানিয়ে গোপনে তৃতীয় বিয়ে করেছে। এই বিয়ে নিয়ে কথা বললে আমাকে প্রায় প্রতিদিনই
আমি কয়েক মাস ধরে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। দুই ভাইবোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। আমার ৭ বছর বয়সে বাবা মারা যান। সরকারি ব্যাংকে চাকরি করে মা একা আমাদের বড় করেছেন। মায়ের সবচেয়ে কাছের ছিলাম আমি। আমার বিয়ে হয়েছে দেড় বছর হলো। পরিবারের সবার সিদ্ধান্তে ৯ মাস আগে মায়ের বিয়ে দিই।
আমি একজন গ্রাফিকস ডিজাইনার। অনলাইনে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, কিছু অসভ্য মানুষ প্রচুর পরিমাণে কাজ করিয়ে নিয়ে আইডি ব্লক করে দেয় অথবা কথা ঘোরানোসহ বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা করে থাকে। এগুলো কোনো নতুন ঘটনা নয়। অনেকের সঙ্গেই এ ধরনের প্রতারণা হয়ে থাকে। আমি যে ক্লায়েন্
আমরা দুই বোন, এক ভাই। বাবার দ্বিতীয় সংসারের সন্তান। বাবার আগের ঘরে দুই ছেলে রয়েছে। আমাদের দুই পরিবার আলাদা বসবাস করে। আগের ঘরের বড় ছেলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ছিল। বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি আমাদের খোঁজখবর নিতেন। বর্তমানে আমার ভাইয়ের দেশের বাইরে যাওয়ার কথা। তাই কিছু আর্থিক সাহায্যের কথা তাঁদের জানাই। স
আমরা তিন বোন। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। আমার মাস্টার্স শেষ হয়েছে। ছোট বোন নবম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা মারা গেছেন ১৩ বছর আগে। তখন থেকে ভাড়া বাসায় থাকি। চাচারা আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মা অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। এখন মায়ের বয়স হয়েছে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আমি দেশের বাইরে পড়তে যেতে চাই। ছোট বোনের লেখা
আমার বয়স ৩২ বছর। ২৫ বছর বয়সে নিজের পছন্দে বিয়ে করি। আমাদের পাঁচ বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান আছে। বিয়ের পর বাবার খরচে এমবিএ করি। স্বামী চাননি চাকরি করি। সে জন্য এখন আমি গৃহিণী। প্রথমে মন খারাপ হলেও এখন সে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে অকারণেই সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সে সংসারের প্রতি