ফজলুল কবির

গভীর রাত। চারপাশ নিয়ম মেনেই অন্ধকার। ফাঁকা শহর এই অন্ধকারকে আরও নিঝুম করেছে। পুলিশের দু–একটা টহল গাড়ি ছাড়া রাস্তায় কিছু নেই। যখন গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই পা ছাড়া আর কোনো সহায় নেই বলে ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে প্রায়, তখনই পাশ দিয়ে একটা খালি রিকশা যেতে দেখা গেল। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতেও রাজি হলেন চালক; তবে কোনোমতেই ভাড়া ঠিক করা গেল না। রিকশায় চড়ে ‘ভাড়া মিটিয়ে নেওয়া উচিত’ বলে একটা ভাষণের প্রস্তুতি নিতেই বললেন—‘এখন সবার খারাপ সময়। আপনার পকেটে টাকা আছে কি–না, আমি তো জানি না। যা থাকবে দেবেন।’
কথাটা শুনে চুপ হয়ে যেতে হলো। চিন–পরিচয় হলো দ্রুতই। কবির নামে নাম—আহসান হাবিব। প্যাডেল মারা দেখে বোঝা যায়; নিজেও স্বীকার করলেন রিকশা চালাচ্ছেন এই কয়েক দিন হলো। কারণ আর জানতে চাওয়া হলো না। এমন তো অনেকের সঙ্গেই গল্প হলো গত দেড় বছরে। করোনার এই দুঃসময়ে কাজ হারিয়ে আক্ষরিক অর্থেই চোখে অন্ধকার দেখা মানুষদেরই একজন হবেন এই আহসান হাবিব। সে আলাপে না গিয়ে অন্য গল্প এগোল বেশ। মনে মনে ভাবনা—ঢাকার রিকশা গ্যারেজগুলোর কাঁধ এই আকালেই চওড়া হলো, নাকি আগে থেকেই ছিল, যা ঠাওর করা হয়নি কখনো!
‘আমরা বন্ধুর নিকট হইতে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যই বন্ধুকে চাই।’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন বলেই নয়, বন্ধুত্ব বলতে আসলে এটিই বোঝায়। আর এই ভয়াবহ দুঃসময়ে করোনা ও লকডাউনের ফেরে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, তখন তাঁরা বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছেন ঢাকার রিকশা গ্যারেজগুলোকেই।
করোনা মহামারিকালে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত তো বটেই, প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোও ভীষণ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের কারণে মহানগরের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাঁদের আয়ের উপায় হারিয়েছেন। কর্মহীন হয়েছেন বিস্তর মানুষ। এর সঙ্গে ছোট থেকে মাঝারি বিভিন্ন শিল্প বন্ধ হওয়ায় আরও বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন কর্মহীনের তালিকায়। এর একাংশ ঢাকা ছেড়েছেন—এটা সত্য। কিন্তু এও সত্য যে, বহু মানুষ এখনো সুদিনের আশায় ঢাকাতেই রয়ে গেছেন। সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী জনস্রোতও থামেনি। এই আসা–যাওয়া চলছে। কিন্তু এই এত মানুষকে আশ্রয় কে দেবে?
চাইলেই তো আর কঠোর বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে অতি ক্ষুদ্র পুঁজি সম্বল করে কোনো একটি পণ্য ঝাঁপিতে নিয়ে ফেরি করতে কিংবা রাস্তার ধারে বসে যাওয়া যায় না। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা যায় না যেমনই হোক একটা কোনো ব্যবসা। এমনকি অন্যের দেওয়া এমন কোনো ব্যবসায় কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়াও সম্ভব নয়। কারণ, সেই স্বল্প পুঁজির অন্য লোকটিও এখন সচল শহরের আশায় দিন গুনছেন। বাকি রইল চাকরির বাজার। সোনার হরিণ আখ্যা পাওয়া এই মহার্ঘ্য বস্তু এই করোনাকালে রীতিমতো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছে।
এই তাবৎ আশা–চোখে খাবি খাওয়া মানুষদের বেঁচে থাকার অক্সিজেনটুকু দিচ্ছে ঢাকার গ্যারেজগুলো। আরও ভালো করে বললে রিকশা গ্যারেজগুলো।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহানগর ঢাকায় যত কঠোর বিধিনিষেধই হোক, রিকশা কিন্তু চলছে। কখনো বেশি, কখনো কম—এটুকুই তফাৎ। নাগরিকদেরও যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশাই এখন পরম বন্ধু। তিন চাকার এই বাহন শুধু পরিবহনের ক্ষেত্রেই নয়, খোদ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রেই এক বড় ভূমিকা রাখছে। কতটা তা, একটি মাঝারি বায়িং হাউস থেকে চাকরি খুইয়ে পথে বসা আহসান হাবিব কিংবা ঢাকা–কুমিল্লা দূরপাল্লার বাসের চালক রেজাউলের মতো মানুষেরাই জানেন।
করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়। কখনো আধাবেলা, কখনো সপ্তাহের বিশেষ কয়েকটি দিন ভাগ করে রিকশা চালিয়ে তাঁরা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষুধার জ্বালা মিটিয়েছে, মেটাচ্ছেন। এমনকি ঘোর দুঃসময়ে রায়েরবাজারের এক গ্যারেজ মালিকের খোঁজও পাওয়া গেল, যিনি লকডাউনের সময় নির্ধারিত জমাও মওকুফ করেন। শর্ত ছিল—নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে যা থাকবে, তা গ্যারেজে দিলেই হবে। এমন গ্যারেজ মালিকের সংখ্যা হয়তো অত বেশি নয়। কিন্তু এই দুঃসময়ে কাজ হারানো নিম্ন আয়ের মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার রিকশা ও অটোরিকশা গ্যারেজগুলো যে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আজকের এই বিশ্ব বন্ধু দিবসের সবটুকু ভালোবাসা তাই ঢাকার অন্যতম আইকন এই তিন চাকার বাহন ও এর গ্যারেজ মালিকদের প্রাপ্য। তাঁদের জন্য ভালোবাসা।
আরও পড়ুন

গভীর রাত। চারপাশ নিয়ম মেনেই অন্ধকার। ফাঁকা শহর এই অন্ধকারকে আরও নিঝুম করেছে। পুলিশের দু–একটা টহল গাড়ি ছাড়া রাস্তায় কিছু নেই। যখন গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই পা ছাড়া আর কোনো সহায় নেই বলে ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে প্রায়, তখনই পাশ দিয়ে একটা খালি রিকশা যেতে দেখা গেল। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে দিতেও রাজি হলেন চালক; তবে কোনোমতেই ভাড়া ঠিক করা গেল না। রিকশায় চড়ে ‘ভাড়া মিটিয়ে নেওয়া উচিত’ বলে একটা ভাষণের প্রস্তুতি নিতেই বললেন—‘এখন সবার খারাপ সময়। আপনার পকেটে টাকা আছে কি–না, আমি তো জানি না। যা থাকবে দেবেন।’
কথাটা শুনে চুপ হয়ে যেতে হলো। চিন–পরিচয় হলো দ্রুতই। কবির নামে নাম—আহসান হাবিব। প্যাডেল মারা দেখে বোঝা যায়; নিজেও স্বীকার করলেন রিকশা চালাচ্ছেন এই কয়েক দিন হলো। কারণ আর জানতে চাওয়া হলো না। এমন তো অনেকের সঙ্গেই গল্প হলো গত দেড় বছরে। করোনার এই দুঃসময়ে কাজ হারিয়ে আক্ষরিক অর্থেই চোখে অন্ধকার দেখা মানুষদেরই একজন হবেন এই আহসান হাবিব। সে আলাপে না গিয়ে অন্য গল্প এগোল বেশ। মনে মনে ভাবনা—ঢাকার রিকশা গ্যারেজগুলোর কাঁধ এই আকালেই চওড়া হলো, নাকি আগে থেকেই ছিল, যা ঠাওর করা হয়নি কখনো!
‘আমরা বন্ধুর নিকট হইতে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই ও সেই জন্যই বন্ধুকে চাই।’ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন বলেই নয়, বন্ধুত্ব বলতে আসলে এটিই বোঝায়। আর এই ভয়াবহ দুঃসময়ে করোনা ও লকডাউনের ফেরে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, তখন তাঁরা বন্ধু হিসেবে পাশে পেয়েছেন ঢাকার রিকশা গ্যারেজগুলোকেই।
করোনা মহামারিকালে দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত তো বটেই, প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোও ভীষণ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের কারণে মহানগরের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাঁদের আয়ের উপায় হারিয়েছেন। কর্মহীন হয়েছেন বিস্তর মানুষ। এর সঙ্গে ছোট থেকে মাঝারি বিভিন্ন শিল্প বন্ধ হওয়ায় আরও বহু মানুষ যুক্ত হয়েছেন কর্মহীনের তালিকায়। এর একাংশ ঢাকা ছেড়েছেন—এটা সত্য। কিন্তু এও সত্য যে, বহু মানুষ এখনো সুদিনের আশায় ঢাকাতেই রয়ে গেছেন। সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকামুখী জনস্রোতও থামেনি। এই আসা–যাওয়া চলছে। কিন্তু এই এত মানুষকে আশ্রয় কে দেবে?
চাইলেই তো আর কঠোর বিধিনিষেধ ডিঙিয়ে অতি ক্ষুদ্র পুঁজি সম্বল করে কোনো একটি পণ্য ঝাঁপিতে নিয়ে ফেরি করতে কিংবা রাস্তার ধারে বসে যাওয়া যায় না। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে শুরু করা যায় না যেমনই হোক একটা কোনো ব্যবসা। এমনকি অন্যের দেওয়া এমন কোনো ব্যবসায় কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়াও সম্ভব নয়। কারণ, সেই স্বল্প পুঁজির অন্য লোকটিও এখন সচল শহরের আশায় দিন গুনছেন। বাকি রইল চাকরির বাজার। সোনার হরিণ আখ্যা পাওয়া এই মহার্ঘ্য বস্তু এই করোনাকালে রীতিমতো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছে।
এই তাবৎ আশা–চোখে খাবি খাওয়া মানুষদের বেঁচে থাকার অক্সিজেনটুকু দিচ্ছে ঢাকার গ্যারেজগুলো। আরও ভালো করে বললে রিকশা গ্যারেজগুলো।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহানগর ঢাকায় যত কঠোর বিধিনিষেধই হোক, রিকশা কিন্তু চলছে। কখনো বেশি, কখনো কম—এটুকুই তফাৎ। নাগরিকদেরও যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশাই এখন পরম বন্ধু। তিন চাকার এই বাহন শুধু পরিবহনের ক্ষেত্রেই নয়, খোদ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রেই এক বড় ভূমিকা রাখছে। কতটা তা, একটি মাঝারি বায়িং হাউস থেকে চাকরি খুইয়ে পথে বসা আহসান হাবিব কিংবা ঢাকা–কুমিল্লা দূরপাল্লার বাসের চালক রেজাউলের মতো মানুষেরাই জানেন।
করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়। কখনো আধাবেলা, কখনো সপ্তাহের বিশেষ কয়েকটি দিন ভাগ করে রিকশা চালিয়ে তাঁরা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ক্ষুধার জ্বালা মিটিয়েছে, মেটাচ্ছেন। এমনকি ঘোর দুঃসময়ে রায়েরবাজারের এক গ্যারেজ মালিকের খোঁজও পাওয়া গেল, যিনি লকডাউনের সময় নির্ধারিত জমাও মওকুফ করেন। শর্ত ছিল—নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে যা থাকবে, তা গ্যারেজে দিলেই হবে। এমন গ্যারেজ মালিকের সংখ্যা হয়তো অত বেশি নয়। কিন্তু এই দুঃসময়ে কাজ হারানো নিম্ন আয়ের মানুষদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে ঢাকার রিকশা ও অটোরিকশা গ্যারেজগুলো যে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
আজকের এই বিশ্ব বন্ধু দিবসের সবটুকু ভালোবাসা তাই ঢাকার অন্যতম আইকন এই তিন চাকার বাহন ও এর গ্যারেজ মালিকদের প্রাপ্য। তাঁদের জন্য ভালোবাসা।
আরও পড়ুন

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৫ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৫ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়।
০১ আগস্ট ২০২১
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৫ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৫ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়।
০১ আগস্ট ২০২১
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৫ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৫ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়।
০১ আগস্ট ২০২১
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৫ মিনিট আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

করোনার কারণে বিভিন্ন পেশায় থাকা বহু মানুষ হঠাৎ কাজ হারিয়ে যখন চোখে সরষে ফুল দেখছেন, তখন এই রিকশা গ্যারেজগুলোই তাদের আশ্রয় হয়ে উঠেছে। কোনো একটি পরিচয় সূত্র ধরে ঢাকার গলি–ঘুপচিতে থাকা গ্যারেজগুলোয় গেলেই তাঁরা পেয়েছেন কোনো না কোনো উপায়।
০১ আগস্ট ২০২১
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
১ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৪ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৫ মিনিট আগে