Ajker Patrika

দেবিদ্বারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং ‘বদর বাহিনী’

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৪৩
দেবিদ্বারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং ‘বদর বাহিনী’

লিমন নামে এক কিশোরকে রড, হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত ও ছুরিকাঘাতে জখম করেছে বানিয়াপাড়া এলাকার কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য। লিমনের পিঠে, দুই হাত ও দুই পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাংস আলাদা করে ফেলে গ্যাংয়ের সদস্যরা। গুরুতর আহত লিমন বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। আহত লিমন (১৫) ছোট আলমপুরের আলমগীর হোসেনের ছেলে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিমনের আহত হওয়ার রক্তাক্ত ছবি দেখে ওই দিনই রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর নানা আশ্রব আলীর হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন লিমনের সহপাঠী ইমরান। ইমরান ঘটনারও প্রত্যক্ষদর্শী।

ইমরান জানায়, গত কয়েক দিন আগে উপজেলার ভেতরের চা দোকানের সামনে লিমনের বন্ধু সাঈদের সঙ্গে বানিয়াপাড়ার কিশোর গ্যাং সদস্য বদরের গাঁয়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে সাঈদের ওপর বদরের দলবল উত্তেজিত হয়ে মারতে আসে। এ ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন সাঈদ ও বদরকে একত্র করে মীমাংসা করে দেয়। কিন্তু বদরের মনে ক্ষোভ ছিল। এ ঘটনার জেরে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাঈদের বন্ধু লিমনকে উপজেলার পেছনের চা দোকানের সামনে দেখতে পেয়ে বদরকে জানায় তার বন্ধুরা। পরে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান বদর, হিমেল, সোহাগ, রামিম বাহিনীর ১০-১২ জন সদস্য উপজেলার পেছনে লিমনকে একা পেয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।

সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার ওপর পাশের ভবনের দেয়ালের কয়েকটি স্থানে রক্তের জমাট বাঁধা দাগ। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বদর বাহিনীর সদস্যরা লিমনকে ভয়াবহভাবে কুপিয়েছে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে লিমনের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, ছেলেকে জরুরি অপারেশন করাতে হবে। তারা আমার ছেলের হাত-পায়ের মাংস আলাদা করে ফেলেছে। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। পুলিশ বলছে, বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে থানা-পুলিশ কিশোর গ্যাংদের প্রধানসহ সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।

ছোট আলমপুরের কিশোর গ্যাং সদস্য মাসুম জানায়, গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মেয়ে বন্ধুকে কিশোর গ্যাং বদর বাহিনীর প্রধান বদরের মেয়ে বন্ধুকে উত্ত্যক্ত করার অজুহাতে বাহিনীর সদস্যরা আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছে। তারা তুচ্ছ ঘটনায় এলাকায় বিবাদ তৈরি করে।

মিজানুর রহমান ও মনির হোসেন নামে কয়েকজন স্থানীয় জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত দেখে আসছি। তাঁরা বেপরোয়া ও উচ্চগতির মোটরসাইকেলের রেস করে। এটি পথচারীদের আতঙ্কের অন্যতম কারণ। চুলের কাটিং ও বেশভূষা দেখে তাদের সহজে চেনা যায়। এরা তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি ও ঝগড়া ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি দেবিদ্বারে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে তাদের নির্যাতনের মাত্রা।

এ ব্যাপারে বদর বাহিনীর প্রধান বদরের বাবা মো. হাসান আলী বলেন, ‘বদর আমার ছেলে। আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ। সে কী করে, কোথায় থাকে তা আমার জানা নেই। তার কাজ-কর্মে আমাদের মান সম্মান সব শেষ। মারামারি ঘটনা আপনার কাছ থেকে প্রথমে জানলাম। এর আগে আমাকে কেউ বলেনি। সে যদি দোষী হয় আইন তার যা বিচার করবে আমি তা মেনে নেব।’

দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেবিদ্বারে কোনো অবস্থাতেই কিশোর গ্যাং বাড়তে দেব না। দেবিদ্বারে দুই একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বেপরোয়া কিশোর গ্যাং প্রধানসহ অন্য সদস্যদের খুঁজছি। যে কোনো সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক উন নবী তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোর গ্যাং নির্মূলে প্রথমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া যারা কিশোর গ্যাংকে মদদ ও আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শ্রীপুরে আগুনে পুড়ল ১০টি বসতঘর, সর্বস্ব হারালেন ভাড়াটিয়ারা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি  
আজ সকাল ৬টার দিকে শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকার রবিকুল ইসলাম রবির মালিকানাধীন বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ৬টার দিকে শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকার রবিকুল ইসলাম রবির মালিকানাধীন বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ১০টি বসতঘর। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা বাজার এলাকার রবিকুল ইসলাম রবির মালিকানাধীন বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে হঠাৎ একটি তালাবদ্ধ কক্ষে আগুন দেখতে পান এলাকাবাসী। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরও ৯টি ঘরে। এতে বাড়িতে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের ঘরের আসবাব, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান সামগ্রী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া মোফাজ্জল হোসেন জানান, সবাই তখন ঘুমে ছিল। কিছু বোঝার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। কোনো কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাওনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর নূরুল করিম জানান, প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রাথমিকভাবে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চালককে শ্বাসরোধ করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পটিয়ায় জনতার হাতে যুবক আটক

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি  
অভিযুক্ত যুবক মো. হারুন ওরফে সাগর। ছবি: আজকের পত্রিকা
অভিযুক্ত যুবক মো. হারুন ওরফে সাগর। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামের পটিয়ায় যাত্রী সেজে চালককে শ্বাসরোধ করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে এক যুবককে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস সড়ক-সংলগ্ন ভাটিখাইন ইউনিয়নের বাকখালী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আটক যুবকের নাম মো. হারুন ওরফে সাগর (৩০)। তিনি পটিয়া উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকার মো. সেলিমের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে আমির হোসেন গাড়িটি নিয়ে বের হন। বেলা ১টার দিকে পটিয়া পোস্ট অফিসের সামনে যাত্রী সেজে মো. হারুন অটোরিকশায় ওঠেন।

প্রথমে তিনি বাইপাস এলাকায় যাওয়ার কথা বললেও পরে সারা দিন ঘোরাঘুরির জন্য ৮০০ টাকা ভাড়া দেওয়ার কথা বলেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি নির্জন এলাকায় পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাগর পেছনের সিট থেকে চালকের গলায় কোমরের বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেন।

চালকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাস্থল থেকে সাগরকে অটোরিকশাসহ আটক করে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাঁকে মারধর করে। খবর পেয়ে পটিয়া থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে এবং অটোরিকশাটি জব্দ করে। আহত চালক ও আটক ব্যক্তিকে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ঘটনার পর অটোরিকশার মালিক শয়ন মজুমদার বাদী হয়ে সোমবার রাতে পটিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আটক ব্যক্তিকে আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের কেচিয়াপাড়া এলাকায় ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়। নিহত ওই চালক গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাদা মিয়ার ছেলে। ওই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপির সেই নেতা হলেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি  
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে নেতা-কর্মী নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যাচ্ছেন আব্দুর রউফ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে নেতা-কর্মী নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যাচ্ছেন আব্দুর রউফ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামালপুর-১ (বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুর রউফ তালুকদার। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

এর আগে ১৩ ডিসেম্বর তিনি ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীমের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে দলটিতে যোগ দেন।

আব্দুর রউফ তালুকদার ১৭ বছর বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর বাড়ি বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায়। তিনি চার মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয় থাকায় এলাকাবাসী দল-মতনির্বিশেষে অভিভাবক মেনে প্রবীণ এই নেতাকে বটগাছ উপাধিতে ভূষিত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফ তালুকদার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আব্দুর রউফ ও তাঁর সমর্থকেরা আবদুল কাইয়ুমকে জামালপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতকে দলীয় প্রার্থী করা হয়েছে।

পরে গত ১৯ নভেম্বর আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন আব্দুর রউফ তালুকদার। এর পর থেকে তাঁর সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন আব্দুর রউফ তালুকদার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওনালা আবদুল মজিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বটগাছ উপাধিতে ভূষিত আব্দুর রউফ তালুকদার ইসলামী আন্দোলনের মনোনয়ন পেয়েছেন।’

এ বিষয়ে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিয়েছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা রাখি, আমরা বিজয়ী হব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিন সামনে রেখে বর্ণিল সাজে সেজেছে চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টানপল্লি

কাপ্তাই ( রাঙামাটি) প্রতিনিধি
চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল চত্বরে আলোর ফোয়ারা এবং নগর কীর্তন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল চত্বরে আলোর ফোয়ারা এবং নগর কীর্তন। ছবি: আজকের পত্রিকা

২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এই উৎসবকে সামনে রেখে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টানপল্লি ইতিমধ্যে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। নানান রঙের আলো, সাজসজ্জা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পুরো পল্লি যেন নতুন রূপ ধারণ করেছে।

পল্লির প্রতিটি ঘরকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। বিশেষ করে গির্জা প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রাক্‌-বড়দিন উৎসব, যা এখনো চলমান রয়েছে। এ উপলক্ষে নগর কীর্তন, উপহার বিনিময়, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোসহ নানা আয়োজন চলছে। পাশাপাশি বড়দিনকে ঘিরে পিঠা ও ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অতিথিদের বরণে প্রতিটি ঘর সাজানো হচ্ছে নান্দনিকভাবে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল চত্বরসহ আশপাশ এলাকা নানা রকম আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এ সময় চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতালের পরিচালক প্রবীর খিয়াং বলেন, ‘বড়দিন আমাদের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে মানুষের মিলনমেলা ঘটে। এতে সামাজিক সম্প্রীতি ও বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।’

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সভাপতি এবং সাবেক কৃতী ফুটবলার বিপ্লব মারমা বলেন, ‘বড়দিনকে ঘিরে খ্রিষ্টানপল্লিগুলো এখন নতুন রূপে সেজেছে। প্রতিটি ঘরে অতিথি আসবেন। আমরা সবাই তাঁদের বরণে প্রস্তুত।’

চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল চত্বরে আলোর ফোয়ারা এবং নগর কীর্তন। ছবি: আজকের পত্রিকা
চন্দ্রঘোনা খ্রিষ্টান হাসপাতাল চত্বরে আলোর ফোয়ারা এবং নগর কীর্তন। ছবি: আজকের পত্রিকা

চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালকপ্রধান রেভারেন্ড রোনাল্ড দিলীপ সরকার বলেন, বড়দিন উপলক্ষে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা, খ্রিষ্ট সংগীত পরিবেশনা, শুভেচ্ছা বিনিময় ও কেক কাটার আয়োজন রাখা হয়েছে।

চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক বিজয় মারমা বলেন, বড়দিন উদ্‌যাপনে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বছর চার্চে ব্যাপক পরিসরে অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত