আয়নাল হোসেন, ঢাকা

ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে। ফলে শিগগিরই খুচরা বাজারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, গতকাল বুধবার বাজারে প্রতিমণ পাম তেল বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকা। আর আজ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৩০০ টাকা। অর্থাৎ মণপ্রতি ৩০০ টাকা কমেছে। আর প্রতিমণ চিনি গতকাল বুধবার বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৭২০ টাকায়। আজ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৪০ টাকা।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মুখে তেল চিনির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবর শুনে বাজারে বিক্রি ব্যাপক হারে কমে গেছে। পাম তেলের দাম ঢাকা ও চট্টগ্রামে কমে গেছে। সয়াবিন ও চিনির দামও কমতির দিকে।’
তবে খুচরা তেল-চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে তেলের সরবরাহ নেই। এ কারণে দামে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। বেশি দামে তেল কিনে অনেকেই মজুত করেছেন। এখন অভিযানের ভয়ে বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
ভ্যাট প্রত্যাহারের খবর গণমাধ্যমে পেয়েছেন বলে আজ দুপুরে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী। ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ভ্যাট প্রত্যাহারের কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।’
এর আগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর সময় আজ ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। রমজান মাসে এসব পণ্য বেশি লাগে। এসব পণ্য আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভোজ্যতেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিল সরকার।
এদিকে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য যাচাইয়ে আজ থেকে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন সিটি অয়েল মিল ও বাংলাদেশ লিমিটেডের এডিবল অয়েল লিমিটেডের মালিকানাধীন রুপচাঁদা ব্র্যান্ডের কারখানা পরিদর্শন করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, আজ বেলা ১১টায় সিটি গ্রুপ (তীর) ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল মিল (রুপচাঁদা) কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য সরেজমিনে যাচাইয়ে মিলে যান কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে এখন নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাকের সামনে ভিড় বাড়ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ডাল বা তেল না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মরিয়া অবস্থার ছবি-ভিডিও আসছে।
ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কারসাজির বিষয়টি শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। অধিদপ্তর দেশের সবগুলো আমদানিকারক ও পরিশোধন মিল মালিকদের কাছে গত তিন মাসের ভোজ্যতেল আমদানি, পরিশোধন ও সরবরাহের তথ্য জানতে চেয়েছে।
গতকাল বুধবার মিলগুলো অধিদপ্তরে তাদের তথ্য জমা দেয়। এসব তথ্য যথাযথ কি না তা সরেজমিনে যাচাই করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ দুটি মিল পরিদর্শন করা হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মিলেও যাবেন কর্মকর্তারা। তথ্যে গরমিল পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১১ সালে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ প্রণয়ন করে। কিন্তু মিল মালিক, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী সরকারের এই আইনটি মানছে না। পণ্য বিক্রির পর কেউ পাকা রসিদ দিচ্ছে না। পাশাপাশি তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রয় আদেশ হাতবদল করছেন। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে। ফলে শিগগিরই খুচরা বাজারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ও চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, গতকাল বুধবার বাজারে প্রতিমণ পাম তেল বিক্রি হয়েছিল ৫ হাজার ৬০০ টাকা। আর আজ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণায় মণপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৩০০ টাকা। অর্থাৎ মণপ্রতি ৩০০ টাকা কমেছে। আর প্রতিমণ চিনি গতকাল বুধবার বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৭২০ টাকায়। আজ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৪০ টাকা।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ভুট্টো বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের মুখে তেল চিনির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবর শুনে বাজারে বিক্রি ব্যাপক হারে কমে গেছে। পাম তেলের দাম ঢাকা ও চট্টগ্রামে কমে গেছে। সয়াবিন ও চিনির দামও কমতির দিকে।’
তবে খুচরা তেল-চিনি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে তেলের সরবরাহ নেই। এ কারণে দামে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। বেশি দামে তেল কিনে অনেকেই মজুত করেছেন। এখন অভিযানের ভয়ে বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।
ভ্যাট প্রত্যাহারের খবর গণমাধ্যমে পেয়েছেন বলে আজ দুপুরে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের একাধিক ব্যবসায়ী। ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী ভ্যাট প্রত্যাহারের কথা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।’
এর আগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর সময় আজ ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। রমজান মাসে এসব পণ্য বেশি লাগে। এসব পণ্য আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভোজ্যতেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলা আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিল সরকার।
এদিকে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য যাচাইয়ে আজ থেকে মাঠে নেমেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন সিটি অয়েল মিল ও বাংলাদেশ লিমিটেডের এডিবল অয়েল লিমিটেডের মালিকানাধীন রুপচাঁদা ব্র্যান্ডের কারখানা পরিদর্শন করেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, আজ বেলা ১১টায় সিটি গ্রুপ (তীর) ও বাংলাদেশ এডিবল অয়েল মিল (রুপচাঁদা) কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য সরেজমিনে যাচাইয়ে মিলে যান কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দেশের বাজারে বেড়েই চলেছে ভোজ্যতেলের দাম। দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে এখন নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাকের সামনে ভিড় বাড়ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ডাল বা তেল না পাওয়ার অভিযোগ করছেন অনেকে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের মরিয়া অবস্থার ছবি-ভিডিও আসছে।
ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কারসাজির বিষয়টি শনাক্ত করতে মাঠে নেমেছে। অধিদপ্তর দেশের সবগুলো আমদানিকারক ও পরিশোধন মিল মালিকদের কাছে গত তিন মাসের ভোজ্যতেল আমদানি, পরিশোধন ও সরবরাহের তথ্য জানতে চেয়েছে।
গতকাল বুধবার মিলগুলো অধিদপ্তরে তাদের তথ্য জমা দেয়। এসব তথ্য যথাযথ কি না তা সরেজমিনে যাচাই করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ দুটি মিল পরিদর্শন করা হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য মিলেও যাবেন কর্মকর্তারা। তথ্যে গরমিল পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ২০১১ সালে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশ প্রণয়ন করে। কিন্তু মিল মালিক, পরিবেশক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী সরকারের এই আইনটি মানছে না। পণ্য বিক্রির পর কেউ পাকা রসিদ দিচ্ছে না। পাশাপাশি তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রয় আদেশ হাতবদল করছেন। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
১২ মিনিট আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
২০ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংকটে থাকা একীভূত পাঁচটি ব্যাংকের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। তাঁরা সরকারের পালাবদলের পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি পেয়েও আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টালবাহানা বন্ধ করে টাকা ফেরতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্পট মার্কেটে সোনার দর প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৩৪ ডলারে পৌঁছেছে। দিনের শুরুতে এটি ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৫৫ ডলারে পৌঁছায়। ইউএস সোনার ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির ফিউচার মার্কেটে দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৫১৮ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে।
সুইসকোট ব্যাংকিং গ্রুপের বিশ্লেষক কার্লো আলবার্টো ডে কাসার মতে, ফেডের নরম নীতি, ডলারের দুর্বলতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা সোনার প্রতি এখনো ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ডলারের দাম দ্বিতীয় দিনের মতো হ্রাস পেয়েছে এবং এটি ২০১৭ সালের পর বছরের সবচেয়ে বড় পতনের পথে রয়েছে।
এদিকে বাজার ২০২৬ সালে দুবার সুদের হ্রাসের সম্ভাবনা হিসাব করছে, যখন ট্রাম্পের নতুন ফেড চেয়ারম্যান মনোনয়নের খবর নরম অর্থনৈতিক নীতির প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করছে।
চলতি বছর সোনার দাম ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রুপাও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৬৯ দশমিক ৬৩ ডলার হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ১৪১ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সোনা ও রুপার দামের ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৫০০ ডলার এবং ৭০ ডলারকে সীমা হিসেবে না দেখে চলমান প্রবণতার রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে, ফলে বড়দিনের ছুটির সময়ে উভয় ধাতুই শক্ত অবস্থানে থাকবে।

সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার স্পট মার্কেটে সোনার দর প্রতি আউন্সে শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৪৮৬ দশমিক ৩৪ ডলারে পৌঁছেছে। দিনের শুরুতে এটি ৪ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৫৫ ডলারে পৌঁছায়। ইউএস সোনার ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির ফিউচার মার্কেটে দাম ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৫১৮ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে।
সুইসকোট ব্যাংকিং গ্রুপের বিশ্লেষক কার্লো আলবার্টো ডে কাসার মতে, ফেডের নরম নীতি, ডলারের দুর্বলতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রয় এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা সোনার প্রতি এখনো ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
ডলারের দাম দ্বিতীয় দিনের মতো হ্রাস পেয়েছে এবং এটি ২০১৭ সালের পর বছরের সবচেয়ে বড় পতনের পথে রয়েছে।
এদিকে বাজার ২০২৬ সালে দুবার সুদের হ্রাসের সম্ভাবনা হিসাব করছে, যখন ট্রাম্পের নতুন ফেড চেয়ারম্যান মনোনয়নের খবর নরম অর্থনৈতিক নীতির প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করছে।
চলতি বছর সোনার দাম ইতিমধ্যেই ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রুপাও শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৬৯ দশমিক ৬৩ ডলার হয়েছে, বছরের শুরু থেকে ১৪১ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সোনা ও রুপার দামের ক্ষেত্রে ৪ হাজার ৫০০ ডলার এবং ৭০ ডলারকে সীমা হিসেবে না দেখে চলমান প্রবণতার রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে, ফলে বড়দিনের ছুটির সময়ে উভয় ধাতুই শক্ত অবস্থানে থাকবে।

ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে। ফলে শিগগিরই খুচরা বাজারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ মার্চ ২০২২
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
২০ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংকটে থাকা একীভূত পাঁচটি ব্যাংকের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। তাঁরা সরকারের পালাবদলের পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি পেয়েও আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টালবাহানা বন্ধ করে টাকা ফেরতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নামের উচ্চারণগত মিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নাম কাছাকাছি হওয়ায় করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায়ই বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছিল। এই জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যেই আইভাস সিস্টেমের নাম পরিবর্তন করে ই-ভ্যাট সিস্টেম রাখা হয়েছে। নাম পরিবর্তন হলেও কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইভাস সিস্টেমে যেসব সেবা ও কার্যক্রম ছিল, সেগুলোই এখন থেকে ই-ভ্যাট সিস্টেম নামে পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনভিত্তিক ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাট-সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট-সংক্রান্ত অনলাইনভিত্তিক নিবন্ধন কার্যক্রম; অনলাইনে মূসক বা ভ্যাট রিটার্ন দাখিল; এ-চালান ও ই-পেমেন্টভিত্তিক সব কার্যক্রম; রাজস্ব আদায়ের জন্য ভ্যাট-সংক্রান্ত উপকরণ উৎপাদ সহগ বা ইনপুট-আউটপুট কো-এফিসিয়েন্ট মূসক ৪.৩ দাখিল; পিকেআই সফটওয়্যারভিত্তিক অ্যাপসের মাধ্যমে রিয়েলটাইম ভ্যাট আদায় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় একক ও স্পষ্ট নামকরণ কর প্রশাসনের ডিজিটাল কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করবে। নাম পরিবর্তনের ফলে করদাতা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তি কমবে এবং অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণ আরও সহজ হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, ভ্যাট দাতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে আধুনিক করার লক্ষ্যেই ই-ভ্যাট সিস্টেম চালু, উন্নত ও সহজীকরণ করে চলেছে এনবিআর।

ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নামের উচ্চারণগত মিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআর জানায়, সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার আইভাস—এই দুই সিস্টেমের নাম কাছাকাছি হওয়ায় করদাতা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রায়ই বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছিল। এই জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যেই আইভাস সিস্টেমের নাম পরিবর্তন করে ই-ভ্যাট সিস্টেম রাখা হয়েছে। নাম পরিবর্তন হলেও কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইভাস সিস্টেমে যেসব সেবা ও কার্যক্রম ছিল, সেগুলোই এখন থেকে ই-ভ্যাট সিস্টেম নামে পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইনভিত্তিক ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে ভ্যাট-সংক্রান্ত সব গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট-সংক্রান্ত অনলাইনভিত্তিক নিবন্ধন কার্যক্রম; অনলাইনে মূসক বা ভ্যাট রিটার্ন দাখিল; এ-চালান ও ই-পেমেন্টভিত্তিক সব কার্যক্রম; রাজস্ব আদায়ের জন্য ভ্যাট-সংক্রান্ত উপকরণ উৎপাদ সহগ বা ইনপুট-আউটপুট কো-এফিসিয়েন্ট মূসক ৪.৩ দাখিল; পিকেআই সফটওয়্যারভিত্তিক অ্যাপসের মাধ্যমে রিয়েলটাইম ভ্যাট আদায় কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভ্যাট ব্যবস্থাপনায় একক ও স্পষ্ট নামকরণ কর প্রশাসনের ডিজিটাল কার্যক্রমকে আরও সুসংহত করবে। নাম পরিবর্তনের ফলে করদাতা ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তি কমবে এবং অনলাইনভিত্তিক সেবা গ্রহণ আরও সহজ হবে।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল-আমিন শেখ বলেন, ভ্যাট দাতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং রাজস্ব আহরণের প্রক্রিয়াকে আধুনিক করার লক্ষ্যেই ই-ভ্যাট সিস্টেম চালু, উন্নত ও সহজীকরণ করে চলেছে এনবিআর।

ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে। ফলে শিগগিরই খুচরা বাজারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ মার্চ ২০২২
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
১২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংকটে থাকা একীভূত পাঁচটি ব্যাংকের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। তাঁরা সরকারের পালাবদলের পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি পেয়েও আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টালবাহানা বন্ধ করে টাকা ফেরতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংকটে থাকা একীভূত পাঁচটি ব্যাংকের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। তাঁরা সরকারের পালাবদলের পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি পেয়েও আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টালবাহানা বন্ধ করে টাকা ফেরতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দ্রুত টাকা ফেরত না দিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আমানতকারীরা। টাকা ফেরত দেওয়ার সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনসহ প্রজ্ঞাপন (গেজেট) জারি করতে হবে। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংকের আমানতকারীদের মুদারাবাসহ শতভাগ আমানত ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লিখিত রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বিভিন্ন দাবিসহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এক্সিম ব্যাংকের সাভার শাখার গ্রাহক ফরিদা বেগম বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের শেষ কোথায়। আমাদের টাকা ফিরিয়ে দেন। এত নাটক করেন কেন? আপনাদের মুখের কথা আর বিশ্বাস করি না। টাকা কবে দেবেন, গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। তা নাহলে সপরিবারে বিষ খেয়ে মারা যাব।’
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ভুক্তভোগী গ্রাহক ও প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে থাকি। দীর্ঘ সময়ের কষ্টের জমানো টাকা আমি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে জমা রাখি। কিন্ত এখন সেই জমানো টাকা দিতে নানা বাহানা শুরু করেছে। আমি এত কিছু বুঝি না, আমার টাকা ফেরত দিতে হবে। বারবার প্রতিশ্রুতি আর চাই না। টালবাহানা বন্ধ হবে কবে? আগামী সপ্তাহের শেষ কোথায়?’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের কষ্টার্জিত আমানতের অর্থ উত্তোলনে ব্যর্থ হচ্ছেন। সর্বশেষ পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা দিলেও আমানত ফেরতের বিষয়ে কার্যকর কোনো অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান নয়।
তাঁরা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর একাধিকবার গণমাধ্যমে আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুই মাসে বিভিন্ন সময় ‘চলতি মাসে’, ‘আগামী সপ্তাহে’ বা ‘খুব শিগগির’ টাকা পাওয়া যাবে—এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও ব্যাংক শাখাগুলোতে গেলে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা ইতিবাচক সাড়া মিলছে না।
রিপন মিয়া নামের আরও একজন আমানতকারী বলেন, ‘দিনের পর দিন আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। আমার বাবা অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। ব্যাংকে টাকা রেখে কী অপরাধ করেছি?’
তাঁদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে—২ লাখ টাকা আমানত সুরক্ষা ছাড়া আমানতের সব টাকা ফেরতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত একটি লিখিত আকারে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স আমানত সুরক্ষার ২ লাখ টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া শুরু করতে হবে। সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংকের সব হিসাবের আমানতকারীদের মুদারাবাসহ শতভাগ আমানত ফেরতের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংকের সব লেনদেন দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংকটে থাকা একীভূত পাঁচটি ব্যাংকের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। তাঁরা সরকারের পালাবদলের পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি পেয়েও আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টালবাহানা বন্ধ করে টাকা ফেরতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। দ্রুত টাকা ফেরত না দিলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন আমানতকারীরা। টাকা ফেরত দেওয়ার সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনসহ প্রজ্ঞাপন (গেজেট) জারি করতে হবে। আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংকের আমানতকারীদের মুদারাবাসহ শতভাগ আমানত ফেরতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক লিখিত রোডম্যাপ প্রকাশ না করলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বিভিন্ন দাবিসহ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এক্সিম ব্যাংকের সাভার শাখার গ্রাহক ফরিদা বেগম বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের শেষ কোথায়। আমাদের টাকা ফিরিয়ে দেন। এত নাটক করেন কেন? আপনাদের মুখের কথা আর বিশ্বাস করি না। টাকা কবে দেবেন, গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। তা নাহলে সপরিবারে বিষ খেয়ে মারা যাব।’
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ভুক্তভোগী গ্রাহক ও প্রবাসী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে দেশের বাইরে থাকি। দীর্ঘ সময়ের কষ্টের জমানো টাকা আমি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে জমা রাখি। কিন্ত এখন সেই জমানো টাকা দিতে নানা বাহানা শুরু করেছে। আমি এত কিছু বুঝি না, আমার টাকা ফেরত দিতে হবে। বারবার প্রতিশ্রুতি আর চাই না। টালবাহানা বন্ধ হবে কবে? আগামী সপ্তাহের শেষ কোথায়?’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে তাঁদের কষ্টার্জিত আমানতের অর্থ উত্তোলনে ব্যর্থ হচ্ছেন। সর্বশেষ পাঁচ মাস আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা দিলেও আমানত ফেরতের বিষয়ে কার্যকর কোনো অগ্রগতি এখনো দৃশ্যমান নয়।
তাঁরা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর একাধিকবার গণমাধ্যমে আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে না। গত দুই মাসে বিভিন্ন সময় ‘চলতি মাসে’, ‘আগামী সপ্তাহে’ বা ‘খুব শিগগির’ টাকা পাওয়া যাবে—এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও ব্যাংক শাখাগুলোতে গেলে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা ইতিবাচক সাড়া মিলছে না।
রিপন মিয়া নামের আরও একজন আমানতকারী বলেন, ‘দিনের পর দিন আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। আমার বাবা অসুস্থ। টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। ব্যাংকে টাকা রেখে কী অপরাধ করেছি?’
তাঁদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে—২ লাখ টাকা আমানত সুরক্ষা ছাড়া আমানতের সব টাকা ফেরতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত একটি লিখিত আকারে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। নির্দিষ্ট তারিখের মাধ্যমে ইনস্যুরেন্স আমানত সুরক্ষার ২ লাখ টাকা অবিলম্বে ফেরত দেওয়া শুরু করতে হবে। সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংকের সব হিসাবের আমানতকারীদের মুদারাবাসহ শতভাগ আমানত ফেরতের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সম্মিলিত ইসলামি ব্যাংকের সব লেনদেন দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে।

ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে। ফলে শিগগিরই খুচরা বাজারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ মার্চ ২০২২
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
১২ মিনিট আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
২০ মিনিট আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ, ভুট্টা, সরিষা, সবজি এবং বেশ কয়েকটি ফলের উৎপাদন বেড়েছে। তবে তিল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন কমেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবিএসের কৃষি উইংয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ওয়াহিদুল ইসলাম প্রতিবেদনটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন, যা এরই মধ্যে বিবিএসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শীতকালীন ভুট্টার আবাদ ও ফলন উভয়ই বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যেখানে ভুট্টার উৎপাদন ছিল প্রায় ৪২ লাখ ৪৬ হাজার টন, সেখানে গত অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ৭৩ হাজার টনে।
কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলেন, উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার, সেচ সুবিধা ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় ভুট্টা ও সবজিতে উৎপাদন বেড়েছে। তবে ডাল ও কিছু তেলবীজে উৎপাদন কমার পেছনে আবহাওয়া, জমির ব্যবহার পরিবর্তন এবং কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে।
জানতে চাইলে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়াতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
সরিষা-সয়াবিনে অগ্রগতি, ডালে উদ্বেগ
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, তেলবীজের মধ্যে সরিষার উৎপাদন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষার উৎপাদন ছিল প্রায় ৬৩ লাখ ৭৮ হাজার টন, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৬৪ লাখ ৪ হাজার টনে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে একরপ্রতি ফলনও বেড়েছে। সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষেও উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। একই সময়ে বিগত অর্থবছরে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে ৩২ লাখ ২১ হাজার ৪৩১ টন, যা আগের বছর উৎপাদিত হয় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৪ টন।
ডালজাতীয় ফসলে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। ছোলা, মসুর ও মটরশুঁটির আবাদি জমি ও মোট উৎপাদন কমেছে; বিশেষ করে মসুর ডালের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মসুর ডালের উৎপাদন ছিল প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টন, যা পরের অর্থবছরে কমে প্রায় ১ লাখ ৬৮ হাজার টনে এসেছে।
মসুর ডাল কমলেও মুগ ডালের আবাদ ও উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এক বছরে মুগ ডালের আবাদ বেড়েছে ১৫৬ শতাংশ এবং উৎপাদন বেড়েছে ২০৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ডালজাতীয় শস্যের আবাদ হয়েছে ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৭ একর জমিতে, যেখানে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৬২৯ টনে।
সবজিতে উল্লম্ফন
সবজি উৎপাদনে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন উভয় মৌসুমে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, শিম ও শাকজাতীয় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। বিবিএসের তথ্যমতে, শুধু টমেটোর উৎপাদনই ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেড়ে প্রায় ৫ লাখ ৩৯ হাজার টনে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এর আগের বছর ছিল ৫ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৭ টন।
ফল, আখ ও তালজাতীয় ফসল
বিগত অর্থবছরে ফলের কলা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা ও তরমুজের উৎপাদন বেড়েছে। চিনিজাতীয় ফসলের মধ্যে আখের উৎপাদন সামান্য কমেছে। তবে খেজুর ও তালের রস এবং ফলের উৎপাদন তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। এসব ফসলের ক্ষেত্রে ফলধারী গাছপ্রতি ফলন ধরে উৎপাদন হিসাব করা হয়েছে।
তুলা চাষ
চাহিদা বাড়লেও দেশে তুলা চাষের জমি উল্টো কমছে। এক বছরের ব্যবধানে তুলা আবাদি জমি কমেছে ৯ শতাংশের বেশি। পরিসংখ্যান মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তুলা ও তুলাজাতীয় ফসলের আবাদ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৩৮৪ একর জমিতে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ১৩ একরে। অর্থাৎ এক বছরে তুলা চাষের জমি কমেছে প্রায় ৩ হাজার ৩৭০ একর।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো জরুরি। একই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সুবিধা জোরদার করলে কৃষকেরা এসব ফসল চাষে আরও আগ্রহী হবেন।

ভোজ্যতেল ও চিনি আমদানির ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের খবরে এরই মধ্যে পাইকারি বাজারে এসব পণ্যের দাম কমেছে। ফলে শিগগিরই খুচরা বাজারে সরকারের এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
১০ মার্চ ২০২২
সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে, প্রতি আউন্সের দাম প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ডলারের কাছাকাছি। ডলারের দুর্বলতা এবং স্থায়ী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকেছেন। একই সময়ে রুপাও নতুন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে।
১২ মিনিট আগে
ভ্যাটসংক্রান্ত সব অনলাইনভিত্তিক কার্যক্রম এখন থেকে একক প্ল্যাটফর্ম ই-ভ্যাট সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগে এসব সেবা দেওয়া হতো আইভাস সিস্টেমের মাধ্যমে। তবে সরকারি হিসাব ব্যবস্থাপনার আইবাস প্লাস প্লাস এবং ভ্যাট ব্যবস্থাপনার...
২০ মিনিট আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সংকটে থাকা একীভূত পাঁচটি ব্যাংকের ভুক্তভোগী আমানতকারীরা অবিলম্বে টাকা ফেরতের দাবি করেছেন। তাঁরা সরকারের পালাবদলের পর একের পর এক প্রতিশ্রুতি পেয়েও আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টালবাহানা বন্ধ করে টাকা ফেরতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে