ইশতিয়াক হাসান

একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের রাজ্য। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। সিলেট বিভাগের চা বাগানগুলোতেও মহানন্দে চষে বেড়াত তারা। তবে এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না বাংলাদেশের বনাঞ্চলে আর বুনো চিতা বাঘ আছে। কিন্তু শত বিপদ মাথায় নিয়ে এখনো এ দেশের প্রকৃতিতে সত্যি আছে এই প্রাণীটি। চলুন তাহলে বেরিয়ে পড়ি চিতা বাঘের খোঁজে।
উত্তরের মরণফাঁদ
নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া গ্রাম। সেখানে অলিয়ার রহমানের মুরগির খামার। তিন হাজারের বেশি মুরগি আছে খামারে। বন বিড়াল ও শিয়ালের কবল থেকে মুরগি বাঁচাতে খামার মালিক পুরো খামারটি জিআই তার দিয়ে ঘিরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে দেন। এতে ওই বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে মুরগির লোভে হানা দেওয়া কয়েকটি বনবিড়াল ও শিয়াল মারা পড়ে। তবে গত শুক্রবার রাতে ঘটল অস্বাভাবিক এক কাণ্ড। রাত তখন পৌনে ৩ টা। খামারের পেছনে বন্যপ্রাণীর আওয়াজ পাওয়া গেল। দেরি না করে সুইচ টিপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হলো। এর কিছুক্ষণ পরই একটি জন্তু বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ার শব্দ শোনা গেল। তবে আওয়াজটা বলে দিচ্ছিল বন বিড়াল বা শিয়াল নয়, অনেক বড় কোনো জন্তু আটকা পড়েছে ফাঁদে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ির মানুষেরা টর্চ লাইট জ্বেলে চমকে ওঠেন। একটি চিতা বাঘ বিদ্যুতায়িত তারের স্পর্শে মরে পড়ে আছে।
বাঘ মারা পড়েছে—এ তো বড় আনন্দের খবর; অন্তত আমাদের কাছে, তাই না! সকালে মৃত বাঘটির গলায় দড়ি পেঁচিয়ে বাইরে আনা হতেই একে দেখতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ হাজির। তবে এলাকার মানুষের মনে আরেকটি বড় দুশ্চিন্তা ভর করেছে, তা হলো আরও একটি চিতা বাঘ এলাকায় রয়ে যাওয়ার গুজব। পত্রিকা মারফত এবং পঞ্চগড়ের বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহর সঙ্গে কথা বলে মোটামুটি জানতে পারি নীলফামারীর চিতা বাঘ সম্পর্কে।
তবে কেউ কেউ অলিয়ার রহমানের বাড়ির পেছনের ভুট্টা খেতে ওপর একটি চিতা বাঘ অদৃশ্য হওয়ার কথা বললেও নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। তবে নিঃসন্দেহে চিতা বাঘটার ভাগ্য ভালো। না হলে মানুষের পিটুনিতে ওটাকে যে পৃথিবীর মায়া কাটাতে হতো সন্দেহ নেই।। গত প্রায় ১৪ বছরে রংপুর বিভাগে আটটি চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এদের বেশির ভাগকে ধাওয়া করে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
এই অঞ্চলের পঞ্চগড়েই জীবিত চিতা বাঘের দুর্লভ একটি ছবি তুলছিলেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহ। সেটা ২০১৮ সালে। একটা ঝোপে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘটা। চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছিল উৎসুক জনতা। মরিয়া চিতা বাঘটা হুংকার দিচ্ছিল, লেজ নাচাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে ঝোপ থেকে লাফ দেবে। এর মধ্যেই কাছে গিয়ে কয়েকটা ছবি তোলেন সাবাহ। অবশ্য উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে আশ্চর্য সুন্দর সেই বাঘটিকে বাঁচানো যায়নি।
এল কীভাবে
কিন্তু ঘটনা হলো নীলফামারীতে চিতা বাঘ এল কীভাবে? এটা সত্যি—এক সময় পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম এলাকায় চিতা বাঘেদের দেখা মিলত বিস্তর। কিন্তু বহু বছর ধরেই এই অঞ্চলে চিতা বাঘ আশ্রয় নেওয়ার মতো বড় বন নেই। তাই এদিকটায় চিতা বাঘেদের বাসও নেই। তবে কথা হলো আমাদের উত্তরের এই জেলাগুলোর ওপাশেই ভারতের ডুয়ার্স এলাকা। চিতা বাঘের আড্ডাখানা। এখানকার চিতা বাঘেরা ডুয়ার্সের সবুজ চা বাগানে ঘুরে বেড়ায় মনের আনন্দে। আর ওগুলোর মধ্যে যেগুলো একটু দুর্ভাগা, সেগুলো আমাদের নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় চলে আসে। তার পর কোনো গৃহস্থের মুরগির খামারে হানা দেওয়ার অপরাধে কিংবা নিজেদের হলুদে-কালোয় মেশানো সুন্দর চেহারাটা প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কারণে মারা পড়ে গ্রামবাসীদের পিটুনিতে। অথচ আমাদের বরং প্রকৃতির আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীগুলো এখনো এদিকটায় পা দেওয়ায় খুশি হওয়ার কথা। এই ভেবে ভালো লাগছে যে, পিতৃপুরুষের পুরোনো আস্তানাকে এখনো একেবারে ভুলে যায়নি নয়া জমানার চিতা বাঘেরা।
পাহাড়ি বনের চিতা বাঘ
গল্পটা চিতা বাঘ নিয়ে। এখন বাংলাদেশে ওদের মূল আস্তানা পাহাড়ি বনে। তাই সেদিকে একটু নজর দিই। মাতামুহুরী সংরক্ষিত বন, আলীকদম। মুরং এক যুবক যাচ্ছেন জুমের খেতে। যে পথটা দিয়ে যাচ্ছেন, অরণ্য বেশ গভীর। হঠাৎ দেখলেন ওটাকে। বিদ্যুৎ চমকের মতো লাফিয়ে পড়ল তাঁর পথের একটু সামনে। হলুদ জমিনে কালো ফোঁটার চিতা বাঘ। বহু দিন পর আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখলেন মুরং যুবক। কাঁটা দিয়ে উঠল শরীর, রোমাঞ্চে। একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে দেখল জন্তুটা। তারপরই এক লাফে হারিয়ে গেল পাশের জঙ্গলে। কোনো উপন্যাস, বা পুরোনো দিনের শিকার কাহিনির অংশ নয় এটি। ঘটনাটা গত বছরের এপ্রিলের।
ওই ঘটনার ঠিক এক মাস আগে চলে যাই টাইম মেশিনে চেপে। এবারের ঘটনাস্থল বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু সংরক্ষিত বন। মুরংদের একটি দল জঙ্গলে ঢুকেছে; ইচ্ছে, মাছ শিকার। সঙ্গে তাগড়া কয়েকটা কুকুর। এই কুকুরগুলো হরিণ, শূকরের মতো বন্যপ্রাণী শিকারেও সাহায্য করে তাঁদের। এ সময়ই কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ শুরু করল। কণ্ঠ বলে দিচ্ছে, কিছুটা আতঙ্কিত এরা। তারপরই মুরংদের চোখে পড়ল জন্তুটার দিকে। পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। আশ্চর্য সুন্দর এক চিতা বাঘ। বেচারা আচমকা মানুষ, আর কুকুরের দলের সামনে চলে এসেছে। এমনিতে অবশ্য চিতা বাঘের প্রিয় খাবারের তালিকায় কুকুর আছে ওপরের দিকে। তবে মানুষ কী জিনিস—এটা সে এত দিনে বেশ বুঝে গিয়েছে। সরে পড়তে শুরু করল লাজুক প্রাণীটা।
তবে সঙ্গে মালিক থাকাতে সাহস আকাশ ছুঁয়েছে শিকারি কুকুরগুলোর। তাড়া করল ওটাকে। পেছন পেছন হই হল্লা করতে করতে চলল মারমারাও। জঙ্গলের এক পাশে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল চিতাটা। তবে তখনই খেপে গিয়ে করাতচেরা কণ্ঠে গর্জে উঠল জন্তুটা। কুকরগুলো ভয়ে পিছু হটল। মুহূর্তে জঙ্গলে ঢুকে পড়ল ধূর্ত জন্তুটা। তবে এর আগেই একটা প্রমাণ রেখে গেল। মারমা দলটির এক তরুণ দলছুট হয়ে পাশের এক টিলায় উঠে পড়েছিল। সেখান থেকে চিতা বাঘটাকে বন্দী করে ফেলল মোবাইলের ক্যামেরায়।
একটা সময় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বাংলাদেশে বুঝি চিতা বাঘ আর নেই। তবে নানা তথ্য-প্রমাণ জানান দিচ্ছিল, এরা আছে। তবে প্রমাণ মিলছিল না। প্রথম নিশ্চিত প্রমাণ হাজির করে ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) নামের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনটি। ২০১৫ সালে সাঙ্গু রিজার্ভে তাদের ক্যামেরা ট্র্যাপে বন্দী হয় এক চিতা বাঘ। তার পর ২০২১ সালে সিসিএর এক পাহাড়ি প্যারা বায়োলজিস্ট সরাসরি ছবি তুলে ফেললেন চিতা বাঘের।
চিতা বাঘ মিতা আমার
আমার সবচেয়ে পছন্দের বন্য প্রাণীগুলোর একটি চিতা বাঘ। তাই যে জঙ্গলে যাই, প্রিয় জন্তুটির খোঁজ নিই। কখনো আবার এদের ট্রেইল অনুসরণ করে সন্ধানে বের হয়ে পড়ি। একসময় বাংলাদেশের অনেক বনেই দেখা মিলত এদের। ছিল ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়ও। এমনকি আজ থেকে বছর ষাটেক আগেও ঢাকার উত্তরা আর মিরপুরে চিতাবাঘ শিকারের কথা বলেছেন এনায়েত মওলা তাঁর ‘যখন শিকারি ছিলাম’ বইয়ে।
এনায়েত মাওলা বইটিতে জুড়ির রত্না ও তার পাশের সাগরনাল চা বাগানের জঙ্গলে চিতা বাঘ ও বাঘ শিকারের রোমহর্ষক বিবরণ আছে! তাই সেই ২০০৭-০৮ সালের দিকে ঘুরে এসেছিলাম ওদিকটা। অদ্ভুত এক রাত কেটেছিল পুটিছড়া বাংলোতে। সন্ধ্যা ঘনানোর ঠিক আগে বাংলোর টিলা থেকে নেমে হাঁটার সময় চা বাগানে আলাপ জমে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে। তাঁদের কাছে এখানে নতুন বসতি স্থাপনের পর মশাল দিয়ে চিতা বাঘ তাড়ানোর গল্প চোখ বড় বড় করে শুনেছি নব্বইয়ের দশকে। রাগনার বনে ঘোরার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, এখনো পাথারিয়া রেঞ্জের পাহাড়ে আছে চিতা বাঘেরা।
এর দু-এক বছর পর পাথারিয়া পাহাড়ের আরেক বন জুড়ির লাঠিটিলায় গিয়ে দেখা হয়েছিল বন বিভাগের ভিলেজার মন্টু মিয়া, আর ফখরুদ্দীনের সঙ্গে। তাঁরাই দিল খবর—তিনটি গরু জঙ্গলে চরে বেড়ানোর সময় মারা পড়ে চিতা বাঘের আক্রমণে। প্রথম দুটো মারা পড়ে একই দিনে, আরেকটা ছয় মাস পর। প্রতি শীতেই চিতার ডাক শোনেন তাঁরা। সন্দেহ প্রকাশ করতেই, ফখরুদ্দীন আমাদের চিতা বাঘের ডাক নকল করে শোনাল। চমকে উঠলাম, ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। চিতার সেই হুবহু করাতচেরার ডাকই অনুকরণ করেছেন তিনি। কাছাকাছি সময়ে একটি চিতা বাঘকে গ্রামবাসীরা বিষ টোপ দিয়ে মারার ঘটনা জানান, বন বিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার নুরুজ্জামান ভাই।
স্কুলে পড়ি তখন। হবিগঞ্জে নানার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেজ মামা একদিন বলছিলেন, ঢাকা-সিলেটের রাস্তাটা চুনারুঘাটের যেখানটায় একটা বনের ভেতর দিয়ে গেছে, বছর কয়েক আগেও রাতের বেলায় গাড়ির হেডলাইটের আলোয় সেখানে দেখা যেত চিতা বাঘের গায়ের ফোঁটা কিংবা জ্বলতে থাকা চোখ। কখনো আবার রাস্তা পেরোনোর সময় আগুয়ান কোনো গাড়ি দেখে অজানা প্রাণী ঠাউরে থাবা চালিয়ে গ্লাস ভেঙে দিয়েছে চিতারা। ওই পথে যাওয়ার সময় আঁধার নেমে গেলে চালকেরা তাই প্রমাদ গুণত। পরে জানতে পারি ওই বনটা সাতছড়ি। সিলেট বিভাগের আদমপুর, সাতছড়ি, লাউয়াছড়ার মতো জঙ্গলগুলোতে গিয়েও শুনেছি দুঃসাহসী চিতাদের কত কাণ্ড-কীর্তির গল্প। তবে চিতা বাঘের সিলেটে সবচেয়ে সেরা ডেরা ছিল রেমা-কালেঙ্গায়। ২০০৪ সালে যখন রেমা যাই, তখন এক ফরেস্ট গার্ড বলেছিলেন চিতা বাঘেদের শীতে গায়ে রোদ লাগানোর জন্য বনপথে বসে থাকার গল্প। দুই বছর বাদে ২০০৬ সালে কালেঙ্গায় পাহাড়ের ওপরের বন বাংলোয় কাটিয়ে ছিলাম একটি রাত। তখন রেঞ্জার আকবর ভাই বলেছিলেন, মাস কয়েক আগে রাতে রেমা থেকে ফিরছিলেন মোটরসাইকেলে। হঠাৎ পথের ওপর এসে দাঁড়ায় অপূর্ব সুন্দর এক চিতা। গাড়ির হেডলাইটের আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ওটা। পরমুহূর্তেই চম্পট দেয়। তখনই শুনি ছনবাড়ি বিটে চিতা বাঘের আক্রমণে গরু মারা পড়ার কাহিনি। পরদিন দেখে এসেছিলাম যেখানে গরুটা মারা পড়েছে, সে জায়গাটি। গত বছরও কালেঙ্গা গিয়ে চিতা বাঘের একটি বাছুর শিকারের গুজব শুনেছিলাম। তবে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারিনি।
সালটা ২০১১। সাঙ্গু রিজার্ভের গহিনে যাওয়ার জন্য থানচি থেকে নৌকা ভাড়া করে রওনা দিয়েছিলাম। নৌকার দুই মাঝি মারমা। এর মধ্যে একজন বয়সে একবারেই তরুণ। ভারী হাসি-খুশি। ভাব জমে গেলে অকপটে স্বীকার করলেন, জঙ্গলে হরিণ শিকারে যাওয়ার কথা। মেলে দিলেন গল্পের ঝাঁপি। দুই বছর আগে শিকারে গিয়েছিলেন, মোদকের মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া পাহাড়ে। তখন দুটো প্রাণী মুখোমুখি হয়ে যায় আচমকা। ছোটাছুটি করে খেলছিল তারা নিজেদের মধ্যে। হলুদ জমিনে কালো ফোঁটা ওগুলোর, চিতা বাঘ। তবে মানুষজন দেখে মুহূর্তেই জঙ্গলে হাওয়া।
এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট অঞ্চলের যে জঙ্গলেই যাই, আমার অন্যতম কাজ চিতা বাঘের খোঁজ করা। অদ্ভুত সুন্দর এই জন্তুটির ট্রেইল অনুসরণ করে হানা দিয়েছি কত জঙ্গলে!
গড়ের রাজার বিদায়
মধুপুরের জলছত্র মিশনের নাম শুনলেই শিহরণ জাগে শরীরে। যদিও এখন ওই এলাকা ঘুরে আনারস বাগান ছাড়া পাবেন না কিছুই। আমাকে টানে পঞ্চাশ বছর কিংবা তারও আগের পুরোনো সেই জলছত্র মিশন, যেখানে ছিল বাঘ-চিতার আড্ডাখানা।
স্বাধীনতার বছর কয়েক আগের ঘটনা। জলছত্র মিশনের দক্ষিণের পাকা রাস্তা। ধারেই বিশাল এক বট গাছ। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি। প্রবল গরমে প্রাণ যায়। ত্যক্তবিরক্ত একটা চিতা বাঘ বটের মোটা একটা ডালে চড়ে বসল। একটু বাতাস বইতেই আয়েশ করে গা এলিয়ে দিল। শান্তিতে চোখ বুজে এল। তবে সুখ কপালে সইল না। মধুপুরের হাটুরেদের একটি দল ওদিক দিয়ে যাচ্ছিল। ওরা ওটাকে দেখে ফেলল।
হাটুরেরা খবর দিল, শিকারি মনসিনিয়র মাইকেল ডি’কস্তাকে। চিতাটা বেশ দূরে। তারপরও লোকজনের পীড়াপীড়িতে গুলি করলেন। কপাল ভালো চিতাটার। গুলিটা লাগল ও যেখানে বসেছিল, তার একটু নিচে। নিঃশব্দে গাছ থেকে নেমে ঝোপের আড়াল নিয়ে লোকজনের নাগালের বাইরে চলে গেল সে।
বায়জীদ খান পন্নীর ‘বাঘ-বন-বন্দুক’ বইয়েও মধুপুর এলাকায় চিতা বাঘ শিকারের কাহিনি আছে। মধুপুরের জঙ্গলে বাঘ ছিল সম্ভবত ১৯৬০-এর আশপাশ পর্যন্ত। তবে চিতা আরও কিছুটা বেশি দিন টিকেছিল। জানামতে, মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর পরও কালেভদ্রে ওদের দেখা মিলত। নিদেনপক্ষে রাতে শোনা যেত রোমহর্ষক সেই করাতচেরা ডাক।
দিবাস্বপ্ন দেখি, হয়তো পরের আরও অনেকগুলো বছরও চিতারা ছিল ওখানে। ধূর্ত জন্তুগুলো হিংস্র দু-পেয়েদের ফাঁকি দিয়ে বেঁচে থাকার কৌশল শিখে ফেলেছিল।
এক সময়ের শিকারি সরওয়ার পাঠান ভাই এখন পুরোদস্তুর বন্যপ্রাণীপ্রেমী। তাঁর কাছে শুনেছিলাম আশ্চর্য এক গল্প। ওটা অন্তত বছর পঁচিশেক আগের কাহিনি। এর বেশ কিছু সময় আগে মধুপুর এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছে গড়ের রাজা চিতা বাঘ। তো গাজীপুরের জঙ্গলের ধারের এক বাড়িতে যেতেন তিনি প্রায়ই। ওরা জাল দিয়ে মেছো বাঘ ধরত। ওই বাড়ির লোকেরাই বলত বিশাল এক মেছো বাঘের গল্প। ওটা খুব ধূর্ত ছিল। জালে ধরা পড়ত না কখনো। আমার নিজের সন্দেহ ওটা হয়তো আদপে মেছো বাঘই ছিল না, ছিল মেছো বাঘের ছদ্মবেশে টিকে থাকা গড়ের শেষ চিতা বাঘ!
গবেষণায় আশার আলো
তবে মধুপুর থেকে চিতা হারিয়ে যাওয়াই শেষ কথা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন-পাহাড়ে এখনো হঠাৎ হঠাৎ মেলে চিতার খবর। শিকারিদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে এখনো টিকে আছে ওরা।
সম্প্রতি ‘ডিটেকটিং দ্য স্পট: আ রিভিউ অন ল্যাপার্ড অকারেন্সেস ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি কাজ করেছেন মুনতাসির আকাশ, স্কট ট্রেগারস, তানিয়া জাকির, শাহরিয়ার সিজার রহমান, ফাতেমা-তুজ-জোহরা খালেক মিলা ও অনিমেষ ঘোষ। চিতা বাঘ নিয়ে বাংলাদেশে এমন গবেষণা এটাই প্রথম। সেখান থেকেও জানা যায় বাংলাদেশে চিতা বাঘদের সাম্প্রতিক বিচরণের নানা খবর। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চিতা বাঘ দেখার পাঁচটি ও কক্সবাজার অঞ্চলে চিতা বাঘ দেখার নিশ্চিত দুটি তথ্যের কথা বলা হয়েছে।
সুপ্রিয় চাকমা, শাহরিয়ার সিজার রহমানদের গবেষণা, ক্যামেরা ট্র্যাপও নিশ্চিত করছে, এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত কয়েকটি এলাকায় চিতা বাঘের আলাদা বসতি আছে। যদিও কোনোখানেই সংখ্যাটি বেশি নয়। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সুপ্রিয় চাকমা যে গবেষণা করেছিলেন, তার ফলাফল নিশ্চিত করে বান্দরবানের সাঙ্গু এবং রাঙামাটির কাসালং এবং রাইংখং সংরক্ষিত অরণ্যে চিতা বাঘের উপস্থিতি।
রহস্যময় কালো চিতা
বাংলাদেশের বনে এমনকি কালো চিতাও দেখা গেছে। শরীরে মেলানিনের আধিক্যে যেসব চিতাবাঘের গায়ের রং কালো হয়, তারাই পরিচিত কালো চিতা বা ব্ল্যাক প্যান্থার নামে। তবে এরা আলাদা কোনো প্রজাতি নয়। বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ খসরু চৌধুরী কালো চিতা দেখেছিলেন তিন যুগ আগে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায়। ২০১১ সালে বড় মোদক যাওয়ার সময় আমাদের মারমা গাইড আংসু মারমার কাছ থেকে জানতে পারলাম, ১৯৯০ সালের দিকে রেমাক্রি এলাকায় একটা কালো চিতা ফাঁদ পেতে মেরেছিল শিকারিরা।
স্বপ্ন দেখতে চাই
তবে ভয়াবহ একটা আশঙ্কায়ও কেঁপে ওঠে বুক। পার্বত্য চট্টগ্রামের চিতা বাঘ অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় চলছে সমানে গাছকাটা, বন্যপ্রাণী শিকার। চিতার অন্য বসতিগুলোও আছে বিপদে। আমাদের পাশের দেশ ভারতের বন বিভাগ প্রতিটি জঙ্গলে চিতা বাঘের সংখ্যা জানা। আর আমাদের বনগুলোতে চিতা বাঘের অবস্থা সম্পর্কে অনেকটাই ধোঁয়াশায় আছি আমরা। এত চমৎকার একটি প্রাণী, কিন্তু কী অবহেলা!
তবে বন্যপ্রাণীর ব্যাপারে আমি সব সময় অতি আশাবাদী মানুষ। তাই যেমন এখনো স্বপ্ন দেখি পার্বত চট্টগ্রামে বাঘের আস্তানার, তেমনি আশা করি পার্বত্য চট্টগ্রাম আর সিলেটের বিভিন্ন অরণ্যে পুরোনো দিনের মতো মহানন্দে ঘুরে বেড়াবে চিতা বাঘেরা। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড-মিরসরাই এবং ভারতের সীমান্তঘেঁষা শেরপুর-নেত্রকোনা-জামালপুরেও এদের ছোট ছোট দু-একটি বসতিরও স্বপ্ন দেখি। আবার জেগে জেগেই স্বপ্ন দেখি মধুপুরের অরণ্যে গড়ের রাজাদের প্রস্থানের কিংবা নীলফামারী-দিনাজপুর-পঞ্চগড় এলাকার সমতলের ছোট ছোট ঝোপ-ঝাড়, কিংবা জঙ্গলে চিতা বাঘেদের বছরের অন্তত কয়েকটি মাস আস্তানা গাড়ার।

একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের রাজ্য। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। সিলেট বিভাগের চা বাগানগুলোতেও মহানন্দে চষে বেড়াত তারা। তবে এখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, অনেকে বিশ্বাসই করতে চান না বাংলাদেশের বনাঞ্চলে আর বুনো চিতা বাঘ আছে। কিন্তু শত বিপদ মাথায় নিয়ে এখনো এ দেশের প্রকৃতিতে সত্যি আছে এই প্রাণীটি। চলুন তাহলে বেরিয়ে পড়ি চিতা বাঘের খোঁজে।
উত্তরের মরণফাঁদ
নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের কাঞ্চনপাড়া গ্রাম। সেখানে অলিয়ার রহমানের মুরগির খামার। তিন হাজারের বেশি মুরগি আছে খামারে। বন বিড়াল ও শিয়ালের কবল থেকে মুরগি বাঁচাতে খামার মালিক পুরো খামারটি জিআই তার দিয়ে ঘিরে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে দেন। এতে ওই বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে মুরগির লোভে হানা দেওয়া কয়েকটি বনবিড়াল ও শিয়াল মারা পড়ে। তবে গত শুক্রবার রাতে ঘটল অস্বাভাবিক এক কাণ্ড। রাত তখন পৌনে ৩ টা। খামারের পেছনে বন্যপ্রাণীর আওয়াজ পাওয়া গেল। দেরি না করে সুইচ টিপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হলো। এর কিছুক্ষণ পরই একটি জন্তু বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ার শব্দ শোনা গেল। তবে আওয়াজটা বলে দিচ্ছিল বন বিড়াল বা শিয়াল নয়, অনেক বড় কোনো জন্তু আটকা পড়েছে ফাঁদে। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ির মানুষেরা টর্চ লাইট জ্বেলে চমকে ওঠেন। একটি চিতা বাঘ বিদ্যুতায়িত তারের স্পর্শে মরে পড়ে আছে।
বাঘ মারা পড়েছে—এ তো বড় আনন্দের খবর; অন্তত আমাদের কাছে, তাই না! সকালে মৃত বাঘটির গলায় দড়ি পেঁচিয়ে বাইরে আনা হতেই একে দেখতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ হাজির। তবে এলাকার মানুষের মনে আরেকটি বড় দুশ্চিন্তা ভর করেছে, তা হলো আরও একটি চিতা বাঘ এলাকায় রয়ে যাওয়ার গুজব। পত্রিকা মারফত এবং পঞ্চগড়ের বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহর সঙ্গে কথা বলে মোটামুটি জানতে পারি নীলফামারীর চিতা বাঘ সম্পর্কে।
তবে কেউ কেউ অলিয়ার রহমানের বাড়ির পেছনের ভুট্টা খেতে ওপর একটি চিতা বাঘ অদৃশ্য হওয়ার কথা বললেও নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি। তবে নিঃসন্দেহে চিতা বাঘটার ভাগ্য ভালো। না হলে মানুষের পিটুনিতে ওটাকে যে পৃথিবীর মায়া কাটাতে হতো সন্দেহ নেই।। গত প্রায় ১৪ বছরে রংপুর বিভাগে আটটি চিতাবাঘের মৃত্যুর ঘটনা এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এদের বেশির ভাগকে ধাওয়া করে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
এই অঞ্চলের পঞ্চগড়েই জীবিত চিতা বাঘের দুর্লভ একটি ছবি তুলছিলেন বন্যপ্রাণীপ্রেমী ও আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহ। সেটা ২০১৮ সালে। একটা ঝোপে আশ্রয় নিয়েছিল বাঘটা। চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছিল উৎসুক জনতা। মরিয়া চিতা বাঘটা হুংকার দিচ্ছিল, লেজ নাচাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, যেকোনো মুহূর্তে ঝোপ থেকে লাফ দেবে। এর মধ্যেই কাছে গিয়ে কয়েকটা ছবি তোলেন সাবাহ। অবশ্য উত্তেজিত জনতার রোষ থেকে আশ্চর্য সুন্দর সেই বাঘটিকে বাঁচানো যায়নি।
এল কীভাবে
কিন্তু ঘটনা হলো নীলফামারীতে চিতা বাঘ এল কীভাবে? এটা সত্যি—এক সময় পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম এলাকায় চিতা বাঘেদের দেখা মিলত বিস্তর। কিন্তু বহু বছর ধরেই এই অঞ্চলে চিতা বাঘ আশ্রয় নেওয়ার মতো বড় বন নেই। তাই এদিকটায় চিতা বাঘেদের বাসও নেই। তবে কথা হলো আমাদের উত্তরের এই জেলাগুলোর ওপাশেই ভারতের ডুয়ার্স এলাকা। চিতা বাঘের আড্ডাখানা। এখানকার চিতা বাঘেরা ডুয়ার্সের সবুজ চা বাগানে ঘুরে বেড়ায় মনের আনন্দে। আর ওগুলোর মধ্যে যেগুলো একটু দুর্ভাগা, সেগুলো আমাদের নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় চলে আসে। তার পর কোনো গৃহস্থের মুরগির খামারে হানা দেওয়ার অপরাধে কিংবা নিজেদের হলুদে-কালোয় মেশানো সুন্দর চেহারাটা প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কারণে মারা পড়ে গ্রামবাসীদের পিটুনিতে। অথচ আমাদের বরং প্রকৃতির আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীগুলো এখনো এদিকটায় পা দেওয়ায় খুশি হওয়ার কথা। এই ভেবে ভালো লাগছে যে, পিতৃপুরুষের পুরোনো আস্তানাকে এখনো একেবারে ভুলে যায়নি নয়া জমানার চিতা বাঘেরা।
পাহাড়ি বনের চিতা বাঘ
গল্পটা চিতা বাঘ নিয়ে। এখন বাংলাদেশে ওদের মূল আস্তানা পাহাড়ি বনে। তাই সেদিকে একটু নজর দিই। মাতামুহুরী সংরক্ষিত বন, আলীকদম। মুরং এক যুবক যাচ্ছেন জুমের খেতে। যে পথটা দিয়ে যাচ্ছেন, অরণ্য বেশ গভীর। হঠাৎ দেখলেন ওটাকে। বিদ্যুৎ চমকের মতো লাফিয়ে পড়ল তাঁর পথের একটু সামনে। হলুদ জমিনে কালো ফোঁটার চিতা বাঘ। বহু দিন পর আশ্চর্য সুন্দর এই প্রাণীটিকে দেখলেন মুরং যুবক। কাঁটা দিয়ে উঠল শরীর, রোমাঞ্চে। একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকে দেখল জন্তুটা। তারপরই এক লাফে হারিয়ে গেল পাশের জঙ্গলে। কোনো উপন্যাস, বা পুরোনো দিনের শিকার কাহিনির অংশ নয় এটি। ঘটনাটা গত বছরের এপ্রিলের।
ওই ঘটনার ঠিক এক মাস আগে চলে যাই টাইম মেশিনে চেপে। এবারের ঘটনাস্থল বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু সংরক্ষিত বন। মুরংদের একটি দল জঙ্গলে ঢুকেছে; ইচ্ছে, মাছ শিকার। সঙ্গে তাগড়া কয়েকটা কুকুর। এই কুকুরগুলো হরিণ, শূকরের মতো বন্যপ্রাণী শিকারেও সাহায্য করে তাঁদের। এ সময়ই কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ শুরু করল। কণ্ঠ বলে দিচ্ছে, কিছুটা আতঙ্কিত এরা। তারপরই মুরংদের চোখে পড়ল জন্তুটার দিকে। পাহাড় থেকে নেমে এসেছে। আশ্চর্য সুন্দর এক চিতা বাঘ। বেচারা আচমকা মানুষ, আর কুকুরের দলের সামনে চলে এসেছে। এমনিতে অবশ্য চিতা বাঘের প্রিয় খাবারের তালিকায় কুকুর আছে ওপরের দিকে। তবে মানুষ কী জিনিস—এটা সে এত দিনে বেশ বুঝে গিয়েছে। সরে পড়তে শুরু করল লাজুক প্রাণীটা।
তবে সঙ্গে মালিক থাকাতে সাহস আকাশ ছুঁয়েছে শিকারি কুকুরগুলোর। তাড়া করল ওটাকে। পেছন পেছন হই হল্লা করতে করতে চলল মারমারাও। জঙ্গলের এক পাশে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল চিতাটা। তবে তখনই খেপে গিয়ে করাতচেরা কণ্ঠে গর্জে উঠল জন্তুটা। কুকরগুলো ভয়ে পিছু হটল। মুহূর্তে জঙ্গলে ঢুকে পড়ল ধূর্ত জন্তুটা। তবে এর আগেই একটা প্রমাণ রেখে গেল। মারমা দলটির এক তরুণ দলছুট হয়ে পাশের এক টিলায় উঠে পড়েছিল। সেখান থেকে চিতা বাঘটাকে বন্দী করে ফেলল মোবাইলের ক্যামেরায়।
একটা সময় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, বাংলাদেশে বুঝি চিতা বাঘ আর নেই। তবে নানা তথ্য-প্রমাণ জানান দিচ্ছিল, এরা আছে। তবে প্রমাণ মিলছিল না। প্রথম নিশ্চিত প্রমাণ হাজির করে ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) নামের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা সংগঠনটি। ২০১৫ সালে সাঙ্গু রিজার্ভে তাদের ক্যামেরা ট্র্যাপে বন্দী হয় এক চিতা বাঘ। তার পর ২০২১ সালে সিসিএর এক পাহাড়ি প্যারা বায়োলজিস্ট সরাসরি ছবি তুলে ফেললেন চিতা বাঘের।
চিতা বাঘ মিতা আমার
আমার সবচেয়ে পছন্দের বন্য প্রাণীগুলোর একটি চিতা বাঘ। তাই যে জঙ্গলে যাই, প্রিয় জন্তুটির খোঁজ নিই। কখনো আবার এদের ট্রেইল অনুসরণ করে সন্ধানে বের হয়ে পড়ি। একসময় বাংলাদেশের অনেক বনেই দেখা মিলত এদের। ছিল ঢাকা ও আশপাশের এলাকায়ও। এমনকি আজ থেকে বছর ষাটেক আগেও ঢাকার উত্তরা আর মিরপুরে চিতাবাঘ শিকারের কথা বলেছেন এনায়েত মওলা তাঁর ‘যখন শিকারি ছিলাম’ বইয়ে।
এনায়েত মাওলা বইটিতে জুড়ির রত্না ও তার পাশের সাগরনাল চা বাগানের জঙ্গলে চিতা বাঘ ও বাঘ শিকারের রোমহর্ষক বিবরণ আছে! তাই সেই ২০০৭-০৮ সালের দিকে ঘুরে এসেছিলাম ওদিকটা। অদ্ভুত এক রাত কেটেছিল পুটিছড়া বাংলোতে। সন্ধ্যা ঘনানোর ঠিক আগে বাংলোর টিলা থেকে নেমে হাঁটার সময় চা বাগানে আলাপ জমে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে। তাঁদের কাছে এখানে নতুন বসতি স্থাপনের পর মশাল দিয়ে চিতা বাঘ তাড়ানোর গল্প চোখ বড় বড় করে শুনেছি নব্বইয়ের দশকে। রাগনার বনে ঘোরার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, এখনো পাথারিয়া রেঞ্জের পাহাড়ে আছে চিতা বাঘেরা।
এর দু-এক বছর পর পাথারিয়া পাহাড়ের আরেক বন জুড়ির লাঠিটিলায় গিয়ে দেখা হয়েছিল বন বিভাগের ভিলেজার মন্টু মিয়া, আর ফখরুদ্দীনের সঙ্গে। তাঁরাই দিল খবর—তিনটি গরু জঙ্গলে চরে বেড়ানোর সময় মারা পড়ে চিতা বাঘের আক্রমণে। প্রথম দুটো মারা পড়ে একই দিনে, আরেকটা ছয় মাস পর। প্রতি শীতেই চিতার ডাক শোনেন তাঁরা। সন্দেহ প্রকাশ করতেই, ফখরুদ্দীন আমাদের চিতা বাঘের ডাক নকল করে শোনাল। চমকে উঠলাম, ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। চিতার সেই হুবহু করাতচেরার ডাকই অনুকরণ করেছেন তিনি। কাছাকাছি সময়ে একটি চিতা বাঘকে গ্রামবাসীরা বিষ টোপ দিয়ে মারার ঘটনা জানান, বন বিভাগের ডেপুটি রেঞ্জার নুরুজ্জামান ভাই।
স্কুলে পড়ি তখন। হবিগঞ্জে নানার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেজ মামা একদিন বলছিলেন, ঢাকা-সিলেটের রাস্তাটা চুনারুঘাটের যেখানটায় একটা বনের ভেতর দিয়ে গেছে, বছর কয়েক আগেও রাতের বেলায় গাড়ির হেডলাইটের আলোয় সেখানে দেখা যেত চিতা বাঘের গায়ের ফোঁটা কিংবা জ্বলতে থাকা চোখ। কখনো আবার রাস্তা পেরোনোর সময় আগুয়ান কোনো গাড়ি দেখে অজানা প্রাণী ঠাউরে থাবা চালিয়ে গ্লাস ভেঙে দিয়েছে চিতারা। ওই পথে যাওয়ার সময় আঁধার নেমে গেলে চালকেরা তাই প্রমাদ গুণত। পরে জানতে পারি ওই বনটা সাতছড়ি। সিলেট বিভাগের আদমপুর, সাতছড়ি, লাউয়াছড়ার মতো জঙ্গলগুলোতে গিয়েও শুনেছি দুঃসাহসী চিতাদের কত কাণ্ড-কীর্তির গল্প। তবে চিতা বাঘের সিলেটে সবচেয়ে সেরা ডেরা ছিল রেমা-কালেঙ্গায়। ২০০৪ সালে যখন রেমা যাই, তখন এক ফরেস্ট গার্ড বলেছিলেন চিতা বাঘেদের শীতে গায়ে রোদ লাগানোর জন্য বনপথে বসে থাকার গল্প। দুই বছর বাদে ২০০৬ সালে কালেঙ্গায় পাহাড়ের ওপরের বন বাংলোয় কাটিয়ে ছিলাম একটি রাত। তখন রেঞ্জার আকবর ভাই বলেছিলেন, মাস কয়েক আগে রাতে রেমা থেকে ফিরছিলেন মোটরসাইকেলে। হঠাৎ পথের ওপর এসে দাঁড়ায় অপূর্ব সুন্দর এক চিতা। গাড়ির হেডলাইটের আলোয় চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ওটা। পরমুহূর্তেই চম্পট দেয়। তখনই শুনি ছনবাড়ি বিটে চিতা বাঘের আক্রমণে গরু মারা পড়ার কাহিনি। পরদিন দেখে এসেছিলাম যেখানে গরুটা মারা পড়েছে, সে জায়গাটি। গত বছরও কালেঙ্গা গিয়ে চিতা বাঘের একটি বাছুর শিকারের গুজব শুনেছিলাম। তবে খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারিনি।
সালটা ২০১১। সাঙ্গু রিজার্ভের গহিনে যাওয়ার জন্য থানচি থেকে নৌকা ভাড়া করে রওনা দিয়েছিলাম। নৌকার দুই মাঝি মারমা। এর মধ্যে একজন বয়সে একবারেই তরুণ। ভারী হাসি-খুশি। ভাব জমে গেলে অকপটে স্বীকার করলেন, জঙ্গলে হরিণ শিকারে যাওয়ার কথা। মেলে দিলেন গল্পের ঝাঁপি। দুই বছর আগে শিকারে গিয়েছিলেন, মোদকের মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া পাহাড়ে। তখন দুটো প্রাণী মুখোমুখি হয়ে যায় আচমকা। ছোটাছুটি করে খেলছিল তারা নিজেদের মধ্যে। হলুদ জমিনে কালো ফোঁটা ওগুলোর, চিতা বাঘ। তবে মানুষজন দেখে মুহূর্তেই জঙ্গলে হাওয়া।
এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট অঞ্চলের যে জঙ্গলেই যাই, আমার অন্যতম কাজ চিতা বাঘের খোঁজ করা। অদ্ভুত সুন্দর এই জন্তুটির ট্রেইল অনুসরণ করে হানা দিয়েছি কত জঙ্গলে!
গড়ের রাজার বিদায়
মধুপুরের জলছত্র মিশনের নাম শুনলেই শিহরণ জাগে শরীরে। যদিও এখন ওই এলাকা ঘুরে আনারস বাগান ছাড়া পাবেন না কিছুই। আমাকে টানে পঞ্চাশ বছর কিংবা তারও আগের পুরোনো সেই জলছত্র মিশন, যেখানে ছিল বাঘ-চিতার আড্ডাখানা।
স্বাধীনতার বছর কয়েক আগের ঘটনা। জলছত্র মিশনের দক্ষিণের পাকা রাস্তা। ধারেই বিশাল এক বট গাছ। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি। প্রবল গরমে প্রাণ যায়। ত্যক্তবিরক্ত একটা চিতা বাঘ বটের মোটা একটা ডালে চড়ে বসল। একটু বাতাস বইতেই আয়েশ করে গা এলিয়ে দিল। শান্তিতে চোখ বুজে এল। তবে সুখ কপালে সইল না। মধুপুরের হাটুরেদের একটি দল ওদিক দিয়ে যাচ্ছিল। ওরা ওটাকে দেখে ফেলল।
হাটুরেরা খবর দিল, শিকারি মনসিনিয়র মাইকেল ডি’কস্তাকে। চিতাটা বেশ দূরে। তারপরও লোকজনের পীড়াপীড়িতে গুলি করলেন। কপাল ভালো চিতাটার। গুলিটা লাগল ও যেখানে বসেছিল, তার একটু নিচে। নিঃশব্দে গাছ থেকে নেমে ঝোপের আড়াল নিয়ে লোকজনের নাগালের বাইরে চলে গেল সে।
বায়জীদ খান পন্নীর ‘বাঘ-বন-বন্দুক’ বইয়েও মধুপুর এলাকায় চিতা বাঘ শিকারের কাহিনি আছে। মধুপুরের জঙ্গলে বাঘ ছিল সম্ভবত ১৯৬০-এর আশপাশ পর্যন্ত। তবে চিতা আরও কিছুটা বেশি দিন টিকেছিল। জানামতে, মুক্তিযুদ্ধের কয়েক বছর পরও কালেভদ্রে ওদের দেখা মিলত। নিদেনপক্ষে রাতে শোনা যেত রোমহর্ষক সেই করাতচেরা ডাক।
দিবাস্বপ্ন দেখি, হয়তো পরের আরও অনেকগুলো বছরও চিতারা ছিল ওখানে। ধূর্ত জন্তুগুলো হিংস্র দু-পেয়েদের ফাঁকি দিয়ে বেঁচে থাকার কৌশল শিখে ফেলেছিল।
এক সময়ের শিকারি সরওয়ার পাঠান ভাই এখন পুরোদস্তুর বন্যপ্রাণীপ্রেমী। তাঁর কাছে শুনেছিলাম আশ্চর্য এক গল্প। ওটা অন্তত বছর পঁচিশেক আগের কাহিনি। এর বেশ কিছু সময় আগে মধুপুর এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছে গড়ের রাজা চিতা বাঘ। তো গাজীপুরের জঙ্গলের ধারের এক বাড়িতে যেতেন তিনি প্রায়ই। ওরা জাল দিয়ে মেছো বাঘ ধরত। ওই বাড়ির লোকেরাই বলত বিশাল এক মেছো বাঘের গল্প। ওটা খুব ধূর্ত ছিল। জালে ধরা পড়ত না কখনো। আমার নিজের সন্দেহ ওটা হয়তো আদপে মেছো বাঘই ছিল না, ছিল মেছো বাঘের ছদ্মবেশে টিকে থাকা গড়ের শেষ চিতা বাঘ!
গবেষণায় আশার আলো
তবে মধুপুর থেকে চিতা হারিয়ে যাওয়াই শেষ কথা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন-পাহাড়ে এখনো হঠাৎ হঠাৎ মেলে চিতার খবর। শিকারিদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে এখনো টিকে আছে ওরা।
সম্প্রতি ‘ডিটেকটিং দ্য স্পট: আ রিভিউ অন ল্যাপার্ড অকারেন্সেস ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি কাজ করেছেন মুনতাসির আকাশ, স্কট ট্রেগারস, তানিয়া জাকির, শাহরিয়ার সিজার রহমান, ফাতেমা-তুজ-জোহরা খালেক মিলা ও অনিমেষ ঘোষ। চিতা বাঘ নিয়ে বাংলাদেশে এমন গবেষণা এটাই প্রথম। সেখান থেকেও জানা যায় বাংলাদেশে চিতা বাঘদের সাম্প্রতিক বিচরণের নানা খবর। সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চিতা বাঘ দেখার পাঁচটি ও কক্সবাজার অঞ্চলে চিতা বাঘ দেখার নিশ্চিত দুটি তথ্যের কথা বলা হয়েছে।
সুপ্রিয় চাকমা, শাহরিয়ার সিজার রহমানদের গবেষণা, ক্যামেরা ট্র্যাপও নিশ্চিত করছে, এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত কয়েকটি এলাকায় চিতা বাঘের আলাদা বসতি আছে। যদিও কোনোখানেই সংখ্যাটি বেশি নয়। রাঙামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সুপ্রিয় চাকমা যে গবেষণা করেছিলেন, তার ফলাফল নিশ্চিত করে বান্দরবানের সাঙ্গু এবং রাঙামাটির কাসালং এবং রাইংখং সংরক্ষিত অরণ্যে চিতা বাঘের উপস্থিতি।
রহস্যময় কালো চিতা
বাংলাদেশের বনে এমনকি কালো চিতাও দেখা গেছে। শরীরে মেলানিনের আধিক্যে যেসব চিতাবাঘের গায়ের রং কালো হয়, তারাই পরিচিত কালো চিতা বা ব্ল্যাক প্যান্থার নামে। তবে এরা আলাদা কোনো প্রজাতি নয়। বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ খসরু চৌধুরী কালো চিতা দেখেছিলেন তিন যুগ আগে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায়। ২০১১ সালে বড় মোদক যাওয়ার সময় আমাদের মারমা গাইড আংসু মারমার কাছ থেকে জানতে পারলাম, ১৯৯০ সালের দিকে রেমাক্রি এলাকায় একটা কালো চিতা ফাঁদ পেতে মেরেছিল শিকারিরা।
স্বপ্ন দেখতে চাই
তবে ভয়াবহ একটা আশঙ্কায়ও কেঁপে ওঠে বুক। পার্বত্য চট্টগ্রামের চিতা বাঘ অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় চলছে সমানে গাছকাটা, বন্যপ্রাণী শিকার। চিতার অন্য বসতিগুলোও আছে বিপদে। আমাদের পাশের দেশ ভারতের বন বিভাগ প্রতিটি জঙ্গলে চিতা বাঘের সংখ্যা জানা। আর আমাদের বনগুলোতে চিতা বাঘের অবস্থা সম্পর্কে অনেকটাই ধোঁয়াশায় আছি আমরা। এত চমৎকার একটি প্রাণী, কিন্তু কী অবহেলা!
তবে বন্যপ্রাণীর ব্যাপারে আমি সব সময় অতি আশাবাদী মানুষ। তাই যেমন এখনো স্বপ্ন দেখি পার্বত চট্টগ্রামে বাঘের আস্তানার, তেমনি আশা করি পার্বত্য চট্টগ্রাম আর সিলেটের বিভিন্ন অরণ্যে পুরোনো দিনের মতো মহানন্দে ঘুরে বেড়াবে চিতা বাঘেরা। চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড-মিরসরাই এবং ভারতের সীমান্তঘেঁষা শেরপুর-নেত্রকোনা-জামালপুরেও এদের ছোট ছোট দু-একটি বসতিরও স্বপ্ন দেখি। আবার জেগে জেগেই স্বপ্ন দেখি মধুপুরের অরণ্যে গড়ের রাজাদের প্রস্থানের কিংবা নীলফামারী-দিনাজপুর-পঞ্চগড় এলাকার সমতলের ছোট ছোট ঝোপ-ঝাড়, কিংবা জঙ্গলে চিতা বাঘেদের বছরের অন্তত কয়েকটি মাস আস্তানা গাড়ার।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৭ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের রাজ্য। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। গত শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার...
২৩ মার্চ ২০২২
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের রাজ্য। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। গত শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার...
২৩ মার্চ ২০২২
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৭ ঘণ্টা আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের রাজ্য। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। গত শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার...
২৩ মার্চ ২০২২
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৭ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

একটা সময় প্রায় গোটা বাংলাদেশেই ছিল চিতা বাঘেদের রাজ্য। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে, এমনকি উত্তরা ও মিরপুরেও দেখা মিলত এদের। মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় তো ছিল চিতা বাঘেদের প্রিয় বিচরণ ভূমি। গত শুক্রবার নীলফামারী সদর উপজেলার...
২৩ মার্চ ২০২২
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১৭ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
১ দিন আগে