নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’’। বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারবে না। আমরা যদি ইচ্ছা করি, অসাধ্য সাধন করতে পারি। সেটা ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রমাণ করেছি। আজকে আমরা সেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। তার কাজও প্রায় সম্পন্ন।’
শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রথমবার সরকার গঠনের পর জাপানে গিয়েছিলাম। তখন তাদের পদ্মা ও রূপসা সেতু নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানাই এবং তারা রাজি হয়। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং আমি পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি ২০০১ সালে।’
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয় দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্মাণকাজ বন্ধ করে পদ্মা সেতু ওখান (মাওয়া-জাজিরা) থেকে সরিয়ে নিতে চায়। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরে আবার উদ্যোগ নিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দেয়, একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে, দুর্নীতি হয়েছে। সেটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি এবং তাদের বলি এটা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু তারা তা পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কানাডার আদালতের মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়, এতে কোনো দুর্নীতি হয়নি এবং সম্ভাবনাও ছিল না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই, কারও অর্থে নয়, যেহেতু মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর জবাব আমরা দেব। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করব। এটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকেই মনে করেছিল এটা আমরা পারব না। মানুষের সমর্থন ও সাহস পাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া বন্ধুপ্রতিম দেশও আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে দেশের জিডিপিতে আরও ১ থেকে ২ শতাংশ সংযুক্ত হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতে আমরা উন্নয়নে আরও একধাপ এগিয়ে যাব।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি, যার কাজ অতি শিগগিরই সম্পন্ন হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতুটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে শেখ রাসেল সেনানিবাস ভবিষ্যতে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং সেনানিবাসের আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কাজে নিয়োজিত থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শেখ হাসিনা জানান, ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানে সফলভাবে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সেনানিবাসের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড ও অধীনস্থ ইউনিটসমূহ নিরলসভাবে পরিশ্রম করে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আজ শেখ রাসেল সেনানিবাস একটি পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে পরিণত হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সব ধরনের প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। আমি এই সেনানিবাস নির্মাণকাজে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত থাকে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাঁরা দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অবকাঠামো এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসা অর্জন করেছেন।’
সেনাবাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ করব না। জাতির পিতা আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন—সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু প্রস্তুত থাকতে হবে, কখনো যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, তাহলে আমরা যেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি, প্রতিরোধ করতে পারি, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি। সেইভাবে সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও সমৃদ্ধিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি। নিজস্ব প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা দিয়ে নিজেদের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার দুই ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। শেখ কামাল ‘বাংলাদেশ প্রথম যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কোর্সে’ কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছিল। যুদ্ধকালীন প্রধান সেনাপতির এডিসি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। শেখ জামাল সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিল। যুদ্ধের পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় তার একটি ছবি ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ভাই রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে ‘আর্মি অফিসার’ হবে। মাওয়া ও জাজিরা সেনানিবাসকে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ হিসেবে নামকরণ করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’-এর সব অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে ভবিষ্যতে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’’। বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারবে না। আমরা যদি ইচ্ছা করি, অসাধ্য সাধন করতে পারি। সেটা ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্রমাণ করেছি। আজকে আমরা সেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। তার কাজও প্রায় সম্পন্ন।’
শরীয়তপুরের জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রথমবার সরকার গঠনের পর জাপানে গিয়েছিলাম। তখন তাদের পদ্মা ও রূপসা সেতু নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানাই এবং তারা রাজি হয়। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই করে এবং আমি পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি ২০০১ সালে।’
২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয় দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্মাণকাজ বন্ধ করে পদ্মা সেতু ওখান (মাওয়া-জাজিরা) থেকে সরিয়ে নিতে চায়। দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরে আবার উদ্যোগ নিই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, বিশ্বব্যাংক অর্থ বন্ধ করে দেয়, একটা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যে, দুর্নীতি হয়েছে। সেটা আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করি এবং তাদের বলি এটা প্রমাণ করতে হবে। কিন্তু তারা তা পারেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কানাডার আদালতের মামলার রায়ে প্রমাণিত হয়, এতে কোনো দুর্নীতি হয়নি এবং সম্ভাবনাও ছিল না। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই, কারও অর্থে নয়, যেহেতু মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর জবাব আমরা দেব। পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করব। এটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকেই মনে করেছিল এটা আমরা পারব না। মানুষের সমর্থন ও সাহস পাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। তা ছাড়া বন্ধুপ্রতিম দেশও আমাদের সহযোগিতা করেছে।’
পদ্মা সেতু নির্মাণে দেশের জিডিপিতে আরও ১ থেকে ২ শতাংশ সংযুক্ত হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতে আমরা উন্নয়নে আরও একধাপ এগিয়ে যাব।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি, যার কাজ অতি শিগগিরই সম্পন্ন হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতুটি চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে শেখ রাসেল সেনানিবাস ভবিষ্যতে পদ্মা বহুমুখী সেতুর সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং সেনানিবাসের আশপাশের এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কাজে নিয়োজিত থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
শেখ হাসিনা জানান, ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই ব্রিগেড শেখ রাসেল সেনানিবাসের মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে স্থানান্তরিত হয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্পের নিরাপত্তা বিধানে সফলভাবে আভিযানিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই সেনানিবাসের ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড ও অধীনস্থ ইউনিটসমূহ নিরলসভাবে পরিশ্রম করে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আজ শেখ রাসেল সেনানিবাস একটি পূর্ণাঙ্গ সেনানিবাস হিসেবে পরিণত হয়েছে, যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য সব ধরনের প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। আমি এই সেনানিবাস নির্মাণকাজে সম্পৃক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য সদা প্রস্তুত থাকে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘তাঁরা দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের অবকাঠামো এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রশংসা অর্জন করেছেন।’
সেনাবাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, যুদ্ধ করব না। জাতির পিতা আমাদের যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন—সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু প্রস্তুত থাকতে হবে, কখনো যদি বহিঃশত্রুর আক্রমণ হয়, তাহলে আমরা যেন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারি, প্রতিরোধ করতে পারি, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি। সেইভাবে সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও সমৃদ্ধিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছি। নিজস্ব প্রজ্ঞা, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা দিয়ে নিজেদের সুনাম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করবেন।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার দুই ভাই ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। শেখ কামাল ‘বাংলাদেশ প্রথম যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কোর্সে’ কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছিল। যুদ্ধকালীন প্রধান সেনাপতির এডিসি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিল। শেখ জামাল সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেছিল। যুদ্ধের পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় তার একটি ছবি ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। শেখ জামাল ১৯৭৫ সালে রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে কমিশন লাভ করে।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ভাই রাসেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে ‘আর্মি অফিসার’ হবে। মাওয়া ও জাজিরা সেনানিবাসকে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ হিসেবে নামকরণ করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’-এর সব অফিসার, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে ভবিষ্যতে ‘শেখ রাসেল সেনানিবাস’ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
১২ মিনিট আগে
বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচনের জন্য আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’
৩৩ মিনিট আগে
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ৩৮ জন কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান দল পুনর্গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির একটি সূত্র আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ অনুসন্ধানে অষ্টমবারের মতো দল পরিবর্তন করা হলো।
গতকাল সোমবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে অনুসন্ধান দল পুনর্গঠন করা হয়। দলের অপর দুই সদস্য হলেন উপসহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমা ও রোমান উদ্দিন।
সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
অভিযোগ ওঠা ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আছেন–প্রথম সচিব মো. হালিমুজ্জামান, কাউন্সেলর ডা. মো. জাকির হোসেন খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী সচিব কাজী মুনতাসির মোর্শেদ, পিও আব্দুল লতিফ ফকির, এমএলএসএস মো. আতিকুর রহমান, স্টেনোটাইপিস্ট মো. ইব্রাহিম খলিল, সচিব মো. আসগার হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, পিও মো. কামাল হোসেন ও গাড়িচালক মো. আব্দুল কাদের।
এছাড়া আছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, জেদ্দার কনস্যুলার জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম, লেবার উইংয়ের কনস্যুলার এ কে এম মোকাম্মেল হোসেন, রিয়াদের কনস্যুলার (লেবার উইং) সরোয়ার হোসেন, চীনের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম, এম দেলোয়ার হুসাইন, কনস্যুলার তারেক আহম্মেদ, ইতালির কনস্যুলার জেনারেল রোজিনা আহমেদ, ইতালির ভাইস কনস্যুলার নাফিসা মনসুর, ইতালির রাষ্ট্রদূত মো. শাহাদাত হোসেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, ফ্রান্সের কনস্যুলার ও হেড অব চ্যান্সারি হযরত আলী খান, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মো. শামিম আহসান, সুইজারল্যান্ডের মিনিস্টার অ্যান্ড এইচওসি মো. নজরুল ইসলাম ও কনস্যুলার মো. আলিমুজ্জামান।
এ তালিকায় আরও আছেন ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত মো. আকরামুল কাদের, কানাডার অটোয়ার রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ইয়াকুব আলী, ওয়াশিংটন ডিসির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ওয়াশিংটন ডিসির কনস্যুলার মো. সামসুল আলম, নিউইয়র্কের কনস্যুলার ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, কনস্যুলার জেনারেল শামীম আহসান, লস এঞ্জেলসের কনস্যুলার জেনারেল সুলতানা লায়লা হোসাইন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, ডেপুটি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, কনস্যুলার জেনারেল (বাণিজ্যিক) সরিফা খান ও সহকারী রাষ্ট্রদূত (বাকিংহাম) ফয়সাল আহম্মেদ।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্ত ওই ৩৮ কর্মকর্তা–কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চায় দুদক।
এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করার অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া তাঁদের ২০১৬–১৭ অর্থবছরের আগের কর্মস্থল, দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ও তৎকালীন পদবির তথ্য দিতে বলা হয়।
২০১৬ সালে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত, সচিব ও অন্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ ও সরকারের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে।

দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ৩৮ জন কর্মকর্তা–কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান দল পুনর্গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির একটি সূত্র আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ অনুসন্ধানে অষ্টমবারের মতো দল পরিবর্তন করা হলো।
গতকাল সোমবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে অনুসন্ধান দল পুনর্গঠন করা হয়। দলের অপর দুই সদস্য হলেন উপসহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমা ও রোমান উদ্দিন।
সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
অভিযোগ ওঠা ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আছেন–প্রথম সচিব মো. হালিমুজ্জামান, কাউন্সেলর ডা. মো. জাকির হোসেন খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী সচিব কাজী মুনতাসির মোর্শেদ, পিও আব্দুল লতিফ ফকির, এমএলএসএস মো. আতিকুর রহমান, স্টেনোটাইপিস্ট মো. ইব্রাহিম খলিল, সচিব মো. আসগার হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, পিও মো. কামাল হোসেন ও গাড়িচালক মো. আব্দুল কাদের।
এছাড়া আছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, জেদ্দার কনস্যুলার জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম, লেবার উইংয়ের কনস্যুলার এ কে এম মোকাম্মেল হোসেন, রিয়াদের কনস্যুলার (লেবার উইং) সরোয়ার হোসেন, চীনের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম, এম দেলোয়ার হুসাইন, কনস্যুলার তারেক আহম্মেদ, ইতালির কনস্যুলার জেনারেল রোজিনা আহমেদ, ইতালির ভাইস কনস্যুলার নাফিসা মনসুর, ইতালির রাষ্ট্রদূত মো. শাহাদাত হোসেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, ফ্রান্সের কনস্যুলার ও হেড অব চ্যান্সারি হযরত আলী খান, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মো. শামিম আহসান, সুইজারল্যান্ডের মিনিস্টার অ্যান্ড এইচওসি মো. নজরুল ইসলাম ও কনস্যুলার মো. আলিমুজ্জামান।
এ তালিকায় আরও আছেন ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত মো. আকরামুল কাদের, কানাডার অটোয়ার রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ইয়াকুব আলী, ওয়াশিংটন ডিসির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ওয়াশিংটন ডিসির কনস্যুলার মো. সামসুল আলম, নিউইয়র্কের কনস্যুলার ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, কনস্যুলার জেনারেল শামীম আহসান, লস এঞ্জেলসের কনস্যুলার জেনারেল সুলতানা লায়লা হোসাইন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, ডেপুটি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, কনস্যুলার জেনারেল (বাণিজ্যিক) সরিফা খান ও সহকারী রাষ্ট্রদূত (বাকিংহাম) ফয়সাল আহম্মেদ।
গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্ত ওই ৩৮ কর্মকর্তা–কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চায় দুদক।
এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করার অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া তাঁদের ২০১৬–১৭ অর্থবছরের আগের কর্মস্থল, দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ও তৎকালীন পদবির তথ্য দিতে বলা হয়।
২০১৬ সালে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত, সচিব ও অন্য কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ ও সরকারের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’’। বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারবে না। আমরা যদি ইচ্ছা করি, অসাধ্য সাধন করতে পারি। সেটা ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্র
২৯ মার্চ ২০২২
বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচনের জন্য আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’
৩৩ মিনিট আগে
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বলেছেন, ‘নির্বাচন সফল ও সুন্দর করতে পারব। সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ মঙ্গলবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে ডিসি-এসপিসহ মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচনের জন্য আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’
আইজিপি বলেন, ‘বিভিন্ন দাবিদাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ, মহাসড়ক অবরোধ, অস্থিরতা সৃষ্টি—এসব বন্ধ করার সময় এসেছে। আমরা যদি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, নির্বাচনে কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়।’
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রশংসা করে বাহারুল আলম বলেন, ‘তারা শুধু পুলিশ নয়, যেকোনো বাহিনীর কাছে সহায়তা চাইতে পারবেন। এই প্রতিশ্রুতি সব নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিতে চাই আমরা। সর্বশক্তি দিয়ে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবারের নির্বাচন সফল ও সুন্দর করতে পারব আমরা। সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বলেছেন, ‘নির্বাচন সফল ও সুন্দর করতে পারব। সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ মঙ্গলবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে ডিসি-এসপিসহ মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচনের জন্য আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’
আইজিপি বলেন, ‘বিভিন্ন দাবিদাওয়ার জন্য রাস্তা অবরোধ, মহাসড়ক অবরোধ, অস্থিরতা সৃষ্টি—এসব বন্ধ করার সময় এসেছে। আমরা যদি অর্ডার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি, নির্বাচনে কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়।’
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার প্রশংসা করে বাহারুল আলম বলেন, ‘তারা শুধু পুলিশ নয়, যেকোনো বাহিনীর কাছে সহায়তা চাইতে পারবেন। এই প্রতিশ্রুতি সব নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিতে চাই আমরা। সর্বশক্তি দিয়ে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এবারের নির্বাচন সফল ও সুন্দর করতে পারব আমরা। সম্পূর্ণ সক্ষমতা আমাদের আছে। এ ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেন।’

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’’। বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারবে না। আমরা যদি ইচ্ছা করি, অসাধ্য সাধন করতে পারি। সেটা ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্র
২৯ মার্চ ২০২২
সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
১২ মিনিট আগে
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে এ নিয়ে অন্তত ছয়বার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশটির দূতকে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয়বারের মতো প্রণয় ভার্মাকে তলবের ঘটনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের বাইরে আয়োজিত সহিংস বিক্ষোভের বিষয়েও বাংলাদেশ সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এ ধরনের পরিকল্পিত সহিংসতা বা কূটনৈতিক স্থাপনার প্রতি হুমকিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। এসব কর্মকাণ্ড কেবল কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তাই বিপন্ন করে না, বরং দুই দেশের পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার মূল্যবোধকেও ক্ষুণ্ন করে।
বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনাগুলোর বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক কর্মী ও স্থাপনার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার তার আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা (ভিয়েনা কনভেনশন) অনুযায়ী দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাশা করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আগরতলা, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ এবং কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ ফের হাইকমিশনারকে তলব করে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিল বাংলাদেশ।

ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে এ নিয়ে অন্তত ছয়বার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশটির দূতকে। গত ১০ দিনের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয়বারের মতো প্রণয় ভার্মাকে তলবের ঘটনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের সামনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে কড়া উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন প্রাঙ্গণের বাইরে আয়োজিত সহিংস বিক্ষোভের বিষয়েও বাংলাদেশ সরকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ এ ধরনের পরিকল্পিত সহিংসতা বা কূটনৈতিক স্থাপনার প্রতি হুমকিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। এসব কর্মকাণ্ড কেবল কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তাই বিপন্ন করে না, বরং দুই দেশের পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার মূল্যবোধকেও ক্ষুণ্ন করে।
বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনাগুলোর বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কূটনৈতিক কর্মী ও স্থাপনার মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার তার আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতা (ভিয়েনা কনভেনশন) অনুযায়ী দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাশা করছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আগরতলা, কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ এবং কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একধরনের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ ফের হাইকমিশনারকে তলব করে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিল বাংলাদেশ।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’’। বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারবে না। আমরা যদি ইচ্ছা করি, অসাধ্য সাধন করতে পারি। সেটা ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্র
২৯ মার্চ ২০২২
সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
১২ মিনিট আগে
বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচনের জন্য আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’
৩৩ মিনিট আগে
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন।
পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশ্যা করেন।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
গুম করে র্যাবের টিএফআই সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে র্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন।
পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।
আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
তাঁরা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশ্যা করেন।
এই মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।
গুম করে র্যাবের টিএফআই সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘আর দাবায়ে রাখতে পারবা না’’। বাঙালিদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না, পারবে না। আমরা যদি ইচ্ছা করি, অসাধ্য সাধন করতে পারি। সেটা ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে প্র
২৯ মার্চ ২০২২
সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
১২ মিনিট আগে
বাহারুল আলম বলেন, ‘জুলাই-উত্তর বাংলাদেশে বাস্তব কারণে আমরা আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ সময় ধরে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সামনের নির্বাচনের জন্য আমরা আমাদের সক্ষমতা যথেষ্ট অর্জন করতে পেরেছি। কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে নির্বাচন কমিশনের অব্যাহত সহযোগিতা চাই।’
৩৩ মিনিট আগে
ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা, ভাঙচুর এবং উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর বিক্ষোভের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁকে তলব করেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
১ ঘণ্টা আগে