Ajker Patrika

ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুলের চাষ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুলের চাষ

ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুল চাষ। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন। ফুল চাষ করে প্রান্তিক নারীদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। প্রতিদিন জেলার চাহিদা মিটিয়ে ফুল যাচ্ছে আশপাশের অন্য জেলাগুলোতে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ জেলার ফুল সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চাষিরা। 

সরেজমিনে সদর উপজেলা বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন ও নারগুন আখ খামারের আশপাশের এলাকার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে গাঁদা,  গোলাপ,  রজনীগন্ধা, জারবেরাসহ ৯ ধরনের ফুল। ভোর থেকেই চাষিরা তাঁদের খেতে উৎপাদিত ওই সব ফুল মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জেলা শহরে পাইকারি ফুল মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এসব ফুল কিনে নেন। 

বেগুনবাড়ী বটিনাপাড়া এলাকার ফুলচাষি কবির হোসেন বলেন, দুই বছর আগে প্রথমে ছোট পরিসরে ফুল চাষ শুরু করি। এরপর লাভবান হওয়ায় আরও দুই বিঘা জমিতে জারবেরা, মল্লিকাসহ ৯ ধরনের ফুলের চাষ শুরু করি। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ এর বেশি ফুল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। প্রতিটি ফুল ৩-৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। 

কবির হোসেন আরও বলেন, ফুল চাষ করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আরও বেশি জমিতে ফুল চাষ করতে পারতাম। 

কম খরচে লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। জানা যায়, কবির হোসেনের দেখাদেখি আশপাশের গ্রামের আরও কয়েকজন ব্যক্তি ফুল চাষ শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ফুলচাষি হলেন এনামুল হক। তিনি বলেন, ফুল চাষ ১২ মাস চলে। এতে যেমন লাভবান হচ্ছি, তেমনি এখানকার শ্রমিকদের পরিবারগুলোও ভালোভাবে চলছে। তবে ফুলচাষিরা সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণ পেলে ব্যাপক হারে ফুল চাষ করে এ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারত। 

একই উপজেলার নারগুন কহোরপাড়া এলাকার ফুলচাষি ও নারী উদ্যোক্তা হাসনা বানু বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে বাড়ির পেছনের পতিত জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। পরে চুক্তিতে জমি নিয়ে আরও ৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। ঘরের হস্তশিল্পের পাশাপাশি এখন নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মতো আরও কয়েকজন নারীর অভাবের সংসারে ফুল চাষ করে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এসেছে। 

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও হর্টিকালচার সেন্টারের নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক জামিল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ জেলার আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য উপযোগী। তাই চাষিরা ফুলসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফুলচাষিদের আমরা প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে কৃষকদের সরকারিভাবে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে এ জেলার ফুল ব্যাপক হারে বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চার যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।

হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থা গুরুতর নয়। ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঘন কুয়াশাই দুর্ঘটনার মূল কারণ বলে তিনি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে শাজাহান খানের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পাহারা দেওয়া যুবদল নেতার পদ স্থগিত

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০১
মাদারীপুর জেলা যুবদল নেতা ফারুক হোসেন ব্যাপারী। ছবি: সংগৃহীত
মাদারীপুর জেলা যুবদল নেতা ফারুক হোসেন ব্যাপারী। ছবি: সংগৃহীত

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী ও মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও তাঁর ভাইদের বাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পাহারা দেওয়ার ঘটনায় জেলা যুবদল নেতা ফারুক হোসেন ব্যাপারীর পদ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

ফারুক হোসেন ব্যাপারী মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদে ছিলেন। এর আগে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) তাঁকে তিন দিনের সময় দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন ব্যাপারীর প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হলো। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন ইতিমধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

স্থানীয় নেতা-কর্মী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গ্রুপে আওয়ামী লীগ নেতা শাজাহান খানের বাড়ি ও তাঁর ভাইদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঘেরাও করার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পরে মাদারীপুর শহরের চাঁনমারি মসজিদের সামনে শাজাহান খানের দশতলা ভবনসহ তাঁর ভাইদের চারটি বাড়ি, আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পেট্রলপাম্পে কোনো ধরনের সহিংসতা যেন না হয়, তার জন্য যুবদলের আহ্বায়ক ফারুকের নেতৃত্বে অর্ধশত কর্মী শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাহারা দেন। তাঁদের এই কার্যক্রমের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

মাদারীপুর-২

বিষয়টি কেন্দ্রীয় যুবদলের নজরে এলে তাৎক্ষণিক ফারুক হোসেন ব্যাপারীকে শোকজ করা হয়। সেই নোটিশে তিন দিনের মধ্যে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তাঁরা ব্যাখ্যা শুনে সোমবার রাতে তাঁর সকল পদ স্থগিত করেন।

মাদারীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছি। কেন্দ্রে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করতে একটি পক্ষ এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। আমি দলের স্বার্থে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি­
বাতাস ও কুয়াশার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাতাস ও কুয়াশার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত। ছবি: আজকের পত্রিকা

এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

টানা শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। ভোর থেকেই উত্তরের হিমেল বাতাস ও কুয়াশার ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ, দিনমজুর, ইটভাটার শ্রমিক, সবজি বিক্রেতা ও গৃহিণীরা শীতের কারণে কষ্টে রয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এদিকে সকাল থেকেই তীব্র শীতে কর্মজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন তাঁরা, যাঁদের জীবিকার তাগিদে খুব ভোরে ঘর থেকে বের হতে হয়। পেশাভেদে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে তাঁদের যন্ত্রণার চিত্র।

ভ্যানচালক জমির আলী বলেন, ‘বাপু, হাত-পা তো থরথর করি কাঁপে। ভ্যানের হাতল ধরি রাখা যায় না, বরফের মতো ঠান্ডা লাগে। পেটের দায়ে তা-ও বাইর হওয়া লাগে, কিন্তু রাস্তায় মানুষ কম থাকায় ভাড়াও ঠিকমতো পাইতাছি না।’

গৃহিণী রায়েবা খাতুন বলেন, ‘ভোরে উঠে বরফসমান পানি দিয়ে থালাবাসন ধোয়া আর রান্নাবান্না করা যে কী কষ্ট! ঘরে ছোট বাচ্চা আর বয়স্ক মানুষ আছে, তাদের ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছি।’

দিনমজুর শাহেদ আলী বলেন, ‘আমরা তো কামলা মানুষ, এক দিন কাজ না করলে চুলা জ্বলে না। কিন্তু শীত আর কুয়াশার কারণে কাম কম। শীতে শরীর চলে না, তা-ও ফাঁকা পেটে কাজের আশায় মোড়ে বইসা থাকি।’

ইটভাটার শ্রমিক বিপুল হোসেন বলেন, ‘ভোররাত থিকা কাজ শুরু করা লাগে। আগুনের পাশে থাকলেও পিঠ দিয়া কনকনে বাতাস ঢুকে। হাত-পা শীতে জড়সড় হইয়া যায়, ইটের কাজ করতে গেলে আঙুলগুলা অবশ লাগে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। ধানের বীজতলার ওপর জমে থাকা কুয়াশার পানি সকালে দড়ি টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে এবং ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। শাকসবজির ক্ষেত্রে বালাইনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি চারার গোড়ায় পরিমিত পানি সেচ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।’

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, শীতজনিত কারণে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ শিশু ও ২০০-৩০০ বয়োবৃদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, শীতার্ত মানুষের পাশে জেলা প্রশাসন তৎপর। ইতিমধ্যে জেলাজুড়ে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোস্ট গার্ডের অভিযানে মাদকসহ কারবারি আটক

চাঁদপুর প্রতিনিধি
মাদকসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাদকসহ আটক যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুর শহরের মোহনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এই তথ্য জানান।

সিয়াম-উল-হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশনের সদস্যরা চাঁদপুরের মোহনা-সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান চলাকালে ওই এলাকায় সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে তল্লাশি করে ৫ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়।

জব্দ করা গাঁজা ও আটক মাদক কারবারির পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদক পাচার রোধে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানান সিয়াম-উল-হক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

যে তিন শ্রেণির নামাজির জন্য রয়েছে দুর্ভোগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত