ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুল চাষ। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন। ফুল চাষ করে প্রান্তিক নারীদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। প্রতিদিন জেলার চাহিদা মিটিয়ে ফুল যাচ্ছে আশপাশের অন্য জেলাগুলোতে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ জেলার ফুল সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চাষিরা।
সরেজমিনে সদর উপজেলা বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন ও নারগুন আখ খামারের আশপাশের এলাকার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরাসহ ৯ ধরনের ফুল। ভোর থেকেই চাষিরা তাঁদের খেতে উৎপাদিত ওই সব ফুল মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জেলা শহরে পাইকারি ফুল মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এসব ফুল কিনে নেন।
বেগুনবাড়ী বটিনাপাড়া এলাকার ফুলচাষি কবির হোসেন বলেন, দুই বছর আগে প্রথমে ছোট পরিসরে ফুল চাষ শুরু করি। এরপর লাভবান হওয়ায় আরও দুই বিঘা জমিতে জারবেরা, মল্লিকাসহ ৯ ধরনের ফুলের চাষ শুরু করি। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ এর বেশি ফুল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। প্রতিটি ফুল ৩-৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
কবির হোসেন আরও বলেন, ফুল চাষ করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আরও বেশি জমিতে ফুল চাষ করতে পারতাম।
জানা যায়, কবির হোসেনের দেখাদেখি আশপাশের গ্রামের আরও কয়েকজন ব্যক্তি ফুল চাষ শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ফুলচাষি হলেন এনামুল হক। তিনি বলেন, ফুল চাষ ১২ মাস চলে। এতে যেমন লাভবান হচ্ছি, তেমনি এখানকার শ্রমিকদের পরিবারগুলোও ভালোভাবে চলছে। তবে ফুলচাষিরা সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণ পেলে ব্যাপক হারে ফুল চাষ করে এ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারত।
একই উপজেলার নারগুন কহোরপাড়া এলাকার ফুলচাষি ও নারী উদ্যোক্তা হাসনা বানু বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে বাড়ির পেছনের পতিত জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। পরে চুক্তিতে জমি নিয়ে আরও ৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। ঘরের হস্তশিল্পের পাশাপাশি এখন নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মতো আরও কয়েকজন নারীর অভাবের সংসারে ফুল চাষ করে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও হর্টিকালচার সেন্টারের নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক জামিল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ জেলার আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য উপযোগী। তাই চাষিরা ফুলসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফুলচাষিদের আমরা প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে কৃষকদের সরকারিভাবে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে এ জেলার ফুল ব্যাপক হারে বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
ঠাকুরগাঁওয়ে দিন দিন বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে ফুল চাষ। কম খরচে লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এগিয়ে এসেছেন। ফুল চাষ করে প্রান্তিক নারীদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। প্রতিদিন জেলার চাহিদা মিটিয়ে ফুল যাচ্ছে আশপাশের অন্য জেলাগুলোতে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ জেলার ফুল সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট চাষিরা।
সরেজমিনে সদর উপজেলা বেগুনবাড়ী ইউনিয়ন ও নারগুন আখ খামারের আশপাশের এলাকার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবেরাসহ ৯ ধরনের ফুল। ভোর থেকেই চাষিরা তাঁদের খেতে উৎপাদিত ওই সব ফুল মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে জেলা শহরে পাইকারি ফুল মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এসব ফুল কিনে নেন।
বেগুনবাড়ী বটিনাপাড়া এলাকার ফুলচাষি কবির হোসেন বলেন, দুই বছর আগে প্রথমে ছোট পরিসরে ফুল চাষ শুরু করি। এরপর লাভবান হওয়ায় আরও দুই বিঘা জমিতে জারবেরা, মল্লিকাসহ ৯ ধরনের ফুলের চাষ শুরু করি। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০০ এর বেশি ফুল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। প্রতিটি ফুল ৩-৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
কবির হোসেন আরও বলেন, ফুল চাষ করে আমার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আরও বেশি জমিতে ফুল চাষ করতে পারতাম।
জানা যায়, কবির হোসেনের দেখাদেখি আশপাশের গ্রামের আরও কয়েকজন ব্যক্তি ফুল চাষ শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন ফুলচাষি হলেন এনামুল হক। তিনি বলেন, ফুল চাষ ১২ মাস চলে। এতে যেমন লাভবান হচ্ছি, তেমনি এখানকার শ্রমিকদের পরিবারগুলোও ভালোভাবে চলছে। তবে ফুলচাষিরা সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণ পেলে ব্যাপক হারে ফুল চাষ করে এ জেলার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারত।
একই উপজেলার নারগুন কহোরপাড়া এলাকার ফুলচাষি ও নারী উদ্যোক্তা হাসনা বানু বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির পরামর্শে বাড়ির পেছনের পতিত জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। প্রথম বছরে ৩০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। পরে চুক্তিতে জমি নিয়ে আরও ৫ বিঘা জমিতে ফুল চাষ শুরু করি। ঘরের হস্তশিল্পের পাশাপাশি এখন নিজেই উদ্যোক্তা হিসেবে ফুল চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। আমার মতো আরও কয়েকজন নারীর অভাবের সংসারে ফুল চাষ করে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এসেছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও হর্টিকালচার সেন্টারের নার্সারি তত্ত্বাবধায়ক জামিল উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ জেলার আবহাওয়া ফুল চাষের জন্য উপযোগী। তাই চাষিরা ফুলসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফুলচাষিদের আমরা প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ দিচ্ছি। একই সঙ্গে কৃষকদের সরকারিভাবে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে এ জেলার ফুল ব্যাপক হারে বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর আদাবর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
৮ মিনিট আগেমাগুরায় নোমান মণ্ডল (৪১) নামের এক মোটর শ্রমিকনেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে মঘী ইউনিয়নের জাগলা এলাকার চারা বটতলা জামে মসজিদসংলগ্ন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
৪০ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট সড়কের ফিশারি এলাকায় ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অটোরিকশাচালক গুরুতর আহত হয়েছেন।
৪২ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বরে বাটার শো-রুমে লাগা আগুন এরই গোডাউন থেকে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও ফায়ার সার্ভিস। আগুন নেভানোতে এত বেশি সময়ের কারণ হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য পোড়া প্রকট গন্ধ ও অতিরিক্ত ধোঁয়াকে দায়ী করছেন তারা। তবে এ ঘটনায় দোতলা ভবনটির নিচ তলায় পুড়লেও দোতলার রেস্তোরাঁর...
৪২ মিনিট আগে