অলকানন্দা রায়, ঢাকা

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়। আর তাই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে রেড কার্পেটে বাহারি লুক নিয়ে তারকাদের উপস্থিতি। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
এই উৎসবের প্রথম দিন থেকেই অনন্য সাজে বিশ্বের জনপ্রিয় সব অভিনয়শিল্পীরা এখানে হাজির হয়েছেন এক এক করে।
এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার নানা পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। তবে এবার বলিউড সুন্দরী কানে হাজির হয়েছেন জুরিবোর্ডের সদস্য হয়ে।
কানের অন্য বিচারকদের সঙ্গে হোটেল মার্টিনেজে ডিনার পার্টিতে অংশ নেন দীপিকা। এ সময় তাঁর পরনে ছিল লুই ভিতোর বর্ণিল পোশাক ও বাদামি রঙের হাইবুট। তবে দীপিকার সেদিনের সাজপোশাককে ছাপিয়ে গেছে চিরচেনা সেই টোলপড়া হাসি।
কান চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্যদিকে মঙ্গলবার ১৭ মে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁর পরনে ছিল সিল্কের প্রিন্ট শার্ট। সবুজ ঢিলেঢালা প্যান্ট। কোমরে বাদামি বেল্ট। গলায় কুন্দন-মুক্তা ও পাথরের তৈরি ভারী নেকলেস। মাথায় সিল্কের ব্যান্ড।
রেড কার্পেট অনুষ্ঠানে ভারতীয় পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা শাড়িতে রেট্রো লুকে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন দীপিকা। কালো ও সোনালি রঙের ডোরাকাটা চুমকির নকশা করা শাড়িতে চমকে দিয়েছেন ফ্যাশন দুনিয়াকে। ব্রালেটের সঙ্গে সেই শাড়ির মেলবন্ধন নজর কেড়েছে। চড়া মেক আপ, মোটা করে টানা আইলাইনার, বান হেয়ার স্টাইল, সোনালি হেয়ার ব্যান্ড, কানে সব্যসাচীর নকশা করা ভারী দুল—যেন ষাটের দশকের নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন দীপিকা।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রতি বছর ফ্রেঞ্চ রিভেরায় নিজের রূপের দ্যুতি ছড়ানো অভিনেত্রী। কান চলচ্চিত্র উৎসবের নিয়মিত অতিথি তিনি। এবারও সে ধারায় অন্যথা হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় দিন টম ক্রুজের ছবি ‘টপ গান মারভিক’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রীর সাজপোশাক দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। বিদেশি পোশাকশিল্পীর নকশা করা কালো স্লিট গাউনে সেজে উঠেছিলেন তিনি। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেই গাউনে রঙিন থ্রিডি ফুলেল মোটিফের কারুকাজ। গাউনের স্লিট অংশে আর ডান কাঁধ জুড়ে রঙিন ফুলের সেই নকশা ঐশ্বরিয়ার পোশাকের সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। খোলা চুল, মায়াবী চোখের সাজ আর হালকা মেকআপেই সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজপোশাক দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তগণ।
দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি এখন বলিউডেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সাদা-কালো বল গাউনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকে একাধিক ফটোশ্যুটও করেছেন তিনি। আর সেসব ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। খোলা চুল। চোখে চড়া মেকআপ। কানে হিরের দুল। এতটুকুতেই রীতিমতো নজর কেড়েছেন তামান্না।
পূজা হেগড়ে দ্বিতীয় দিন দেখা দিয়েছেন ছড়ানো পালকের ক্রিমরঙা গাউনে। অনেকে বলছেন, এই লুক নাকি দীপিকার বেঙ্গল টাইগার শাড়ি আর ঐশ্বরিয়ার গোলাপি প্যান্ট-স্যুট থেকে ঢের ভালো।
সিরিয়ার ফ্যাশন ডিজাইনার রামি আল আলীর নকশা করা ওয়াইনরঙা গাউনে হিনা খানকে পছন্দ করেছেন ভক্তরা। দ্বিতীয় দিনে হিনা খান পরেছেন টেকসই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফোভারির কালো গাউন। এর একটি অংশ বডি হাগিং মিড লেন্থের। সেখানে রয়েছে এমব্রয়ডারি করা কালো লেস। আর ছড়ানো ট্রেনগুলো অনেকটা পাখার মতো।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সফল ভারতীয়দের ভেতর অন্যতম মাসুম মিনাওয়ালা। ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের পাশে হালকা ওশান ব্লু-রঙা মাসুমের পোশাক নজর কেড়েছে অনেকের। এমব্রয়ডারি করা লম্বা হাতার ব্লাউজের সঙ্গে পরেছেন একই রঙের স্কার্ট। পোশাকটি ডিজাইন করেছেন অমিত আগারওয়াল।
পরপর পাঁচবারের মতো ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে কানের লালগালিচায় অংশ নিলেন দীপা খোসলা। সাদা পালকের ব্লাউজ, গয়না আর শাড়িতে দীপা খোসলা হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। তাঁর শাড়িটি ডিজাইন করেছেন মনীশ মালহোত্রা। দীপার এই লুকের স্টাইলিস্টও তিনি।
গ্র্যামি আগেই জানান দিয়েছিল, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এ বছর গোলাপির বিকল্প নেই। কেননা, গোলাপি দুঃসময় পেরিয়ে নতুনভাবে জেগে ওঠার বার্তা দেয়। এই সময়ের সঙ্গে যেটি খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেটিই আবার প্রমাণিত হলো কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ফারহানা বদিও বেছে নিয়েছিলেন হট পিংক ছড়ানো গাউন। বিশাল এই গাউনটি বানিয়েছে দুবাইভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড অ্যাটলিয়ার জুহরা। এত গেল বলিউড তারকাদের কথা।
উৎসবে হলিউড তারকারাও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। আমেরিকান অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তামার গাউন পরে রেড কার্পেটে হাঁটেন, যা নিউইয়র্কের স্থাপত্য ইতিহাস এবং বিশেষত স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ইংলিশ অভিনেত্রী জেমা চ্যান নিকোলাস ঘেসকুইয়েরের স্প্রিং ২০২২ লুই ভিত সংগ্রহ থেকে পড়েছিলেন একটি বঙ্কার গাউন।
ব্রিটিশ মডেল কেট মস পড়েছিলেন বারবেরির ক্ল্যাসিক ভেলভেট টাক্সেডো পোশাক। টম ফোর্ড পরিহিতা গ্ল্যামারাস জুলিয়ান মুরকে দেখে ভক্ত অনুরাগীরা মুগ্ধ হয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস পড়েছিলেন চোপার্ড-এর গয়না ও রেনে কাওভিলা স্যান্ডেলসহ একটি লুই ভিত স্যুট। অন্য আরেক মার্কিন এলি ফ্যানিং লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন একটি রূপকথার ব্লাশ গোলাপি আরমানি প্রাইভ গাউন এবং চোপার্ড গয়না পরে। সঙ্গে ছিল গুচির হাত ব্যাগ।
এলি ফ্যানিং তাক লাগিয়েছেন মিষ্টি রঙের অফ শোল্ডার লম্বা গাউন পরে। পোশাকের ওপরের অংশে ছিল পাথরের কাজ। সোনালি খোলা চুলের একপাশ আটকেছিলেন মুক্তা ও সাদা পুঁতি বসানো ক্লিপ দিয়ে।
লরি হার্ভে এসেছিলেন একটি ক্যানারি-হলুদ স্ট্র্যাপলেস রাফলড আলেকজান্দ্রে ভাথিয়ের কউচার বল গাউনে। গলায় ও কানে পরেছিলেন ১৩০ ক্যারেটের হিরার গয়না।
পূর্ব-পশ্চিম ও ফিউশন ফ্যাশনের মিলেমিশে কান হয়ে উঠেছে এক রঙিন ভুবন।

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়। আর তাই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে রেড কার্পেটে বাহারি লুক নিয়ে তারকাদের উপস্থিতি। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম।
এই উৎসবের প্রথম দিন থেকেই অনন্য সাজে বিশ্বের জনপ্রিয় সব অভিনয়শিল্পীরা এখানে হাজির হয়েছেন এক এক করে।
এবার সেই দলে যোগ দিয়েছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও এর আগে বেশ কয়েকবার নানা পণ্যের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে লাল গালিচা মাতিয়েছেন তিনি। তবে এবার বলিউড সুন্দরী কানে হাজির হয়েছেন জুরিবোর্ডের সদস্য হয়ে।
কানের অন্য বিচারকদের সঙ্গে হোটেল মার্টিনেজে ডিনার পার্টিতে অংশ নেন দীপিকা। এ সময় তাঁর পরনে ছিল লুই ভিতোর বর্ণিল পোশাক ও বাদামি রঙের হাইবুট। তবে দীপিকার সেদিনের সাজপোশাককে ছাপিয়ে গেছে চিরচেনা সেই টোলপড়া হাসি।
কান চলচ্চিত্র উৎসব সম্পর্কিত খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
অন্যদিকে মঙ্গলবার ১৭ মে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাজির হয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। তাঁর পরনে ছিল সিল্কের প্রিন্ট শার্ট। সবুজ ঢিলেঢালা প্যান্ট। কোমরে বাদামি বেল্ট। গলায় কুন্দন-মুক্তা ও পাথরের তৈরি ভারী নেকলেস। মাথায় সিল্কের ব্যান্ড।
রেড কার্পেট অনুষ্ঠানে ভারতীয় পোশাকশিল্পী সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা শাড়িতে রেট্রো লুকে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন দীপিকা। কালো ও সোনালি রঙের ডোরাকাটা চুমকির নকশা করা শাড়িতে চমকে দিয়েছেন ফ্যাশন দুনিয়াকে। ব্রালেটের সঙ্গে সেই শাড়ির মেলবন্ধন নজর কেড়েছে। চড়া মেক আপ, মোটা করে টানা আইলাইনার, বান হেয়ার স্টাইল, সোনালি হেয়ার ব্যান্ড, কানে সব্যসাচীর নকশা করা ভারী দুল—যেন ষাটের দশকের নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিলেন দীপিকা।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন প্রতি বছর ফ্রেঞ্চ রিভেরায় নিজের রূপের দ্যুতি ছড়ানো অভিনেত্রী। কান চলচ্চিত্র উৎসবের নিয়মিত অতিথি তিনি। এবারও সে ধারায় অন্যথা হয়নি। উৎসবের দ্বিতীয় দিন টম ক্রুজের ছবি ‘টপ গান মারভিক’-এর প্রিমিয়ারে হাজির ছিলেন ঐশ্বর্য। পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই অভিনেত্রীর সাজপোশাক দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। বিদেশি পোশাকশিল্পীর নকশা করা কালো স্লিট গাউনে সেজে উঠেছিলেন তিনি। সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সেই গাউনে রঙিন থ্রিডি ফুলেল মোটিফের কারুকাজ। গাউনের স্লিট অংশে আর ডান কাঁধ জুড়ে রঙিন ফুলের সেই নকশা ঐশ্বরিয়ার পোশাকের সৌন্দর্য যেন আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলেছিল। খোলা চুল, মায়াবী চোখের সাজ আর হালকা মেকআপেই সেজেছিলেন তিনি। তাঁর সাজপোশাক দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভক্তগণ।
দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি এখন বলিউডেও নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে সাদা-কালো বল গাউনে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকে একাধিক ফটোশ্যুটও করেছেন তিনি। আর সেসব ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভক্তরা। নেট দুনিয়ায় এখন ভাইরাল সেই ছবি। খোলা চুল। চোখে চড়া মেকআপ। কানে হিরের দুল। এতটুকুতেই রীতিমতো নজর কেড়েছেন তামান্না।
পূজা হেগড়ে দ্বিতীয় দিন দেখা দিয়েছেন ছড়ানো পালকের ক্রিমরঙা গাউনে। অনেকে বলছেন, এই লুক নাকি দীপিকার বেঙ্গল টাইগার শাড়ি আর ঐশ্বরিয়ার গোলাপি প্যান্ট-স্যুট থেকে ঢের ভালো।
সিরিয়ার ফ্যাশন ডিজাইনার রামি আল আলীর নকশা করা ওয়াইনরঙা গাউনে হিনা খানকে পছন্দ করেছেন ভক্তরা। দ্বিতীয় দিনে হিনা খান পরেছেন টেকসই ফ্যাশন ব্র্যান্ড ফোভারির কালো গাউন। এর একটি অংশ বডি হাগিং মিড লেন্থের। সেখানে রয়েছে এমব্রয়ডারি করা কালো লেস। আর ছড়ানো ট্রেনগুলো অনেকটা পাখার মতো।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্যাশন ব্লগার হিসেবে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে সফল ভারতীয়দের ভেতর অন্যতম মাসুম মিনাওয়ালা। ইতিহাস সৃষ্টি করে এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের পাশে হালকা ওশান ব্লু-রঙা মাসুমের পোশাক নজর কেড়েছে অনেকের। এমব্রয়ডারি করা লম্বা হাতার ব্লাউজের সঙ্গে পরেছেন একই রঙের স্কার্ট। পোশাকটি ডিজাইন করেছেন অমিত আগারওয়াল।
পরপর পাঁচবারের মতো ভারতীয় ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে কানের লালগালিচায় অংশ নিলেন দীপা খোসলা। সাদা পালকের ব্লাউজ, গয়না আর শাড়িতে দীপা খোসলা হয়ে উঠেছিলেন অনন্য। তাঁর শাড়িটি ডিজাইন করেছেন মনীশ মালহোত্রা। দীপার এই লুকের স্টাইলিস্টও তিনি।
গ্র্যামি আগেই জানান দিয়েছিল, ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে এ বছর গোলাপির বিকল্প নেই। কেননা, গোলাপি দুঃসময় পেরিয়ে নতুনভাবে জেগে ওঠার বার্তা দেয়। এই সময়ের সঙ্গে যেটি খুবই সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেটিই আবার প্রমাণিত হলো কান চলচ্চিত্র উৎসবে। ফারহানা বদিও বেছে নিয়েছিলেন হট পিংক ছড়ানো গাউন। বিশাল এই গাউনটি বানিয়েছে দুবাইভিত্তিক ফ্যাশন ব্র্যান্ড অ্যাটলিয়ার জুহরা। এত গেল বলিউড তারকাদের কথা।
উৎসবে হলিউড তারকারাও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। আমেরিকান অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তামার গাউন পরে রেড কার্পেটে হাঁটেন, যা নিউইয়র্কের স্থাপত্য ইতিহাস এবং বিশেষত স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ইংলিশ অভিনেত্রী জেমা চ্যান নিকোলাস ঘেসকুইয়েরের স্প্রিং ২০২২ লুই ভিত সংগ্রহ থেকে পড়েছিলেন একটি বঙ্কার গাউন।
ব্রিটিশ মডেল কেট মস পড়েছিলেন বারবেরির ক্ল্যাসিক ভেলভেট টাক্সেডো পোশাক। টম ফোর্ড পরিহিতা গ্ল্যামারাস জুলিয়ান মুরকে দেখে ভক্ত অনুরাগীরা মুগ্ধ হয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী জুলিয়া রবার্টস পড়েছিলেন চোপার্ড-এর গয়না ও রেনে কাওভিলা স্যান্ডেলসহ একটি লুই ভিত স্যুট। অন্য আরেক মার্কিন এলি ফ্যানিং লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন একটি রূপকথার ব্লাশ গোলাপি আরমানি প্রাইভ গাউন এবং চোপার্ড গয়না পরে। সঙ্গে ছিল গুচির হাত ব্যাগ।
এলি ফ্যানিং তাক লাগিয়েছেন মিষ্টি রঙের অফ শোল্ডার লম্বা গাউন পরে। পোশাকের ওপরের অংশে ছিল পাথরের কাজ। সোনালি খোলা চুলের একপাশ আটকেছিলেন মুক্তা ও সাদা পুঁতি বসানো ক্লিপ দিয়ে।
লরি হার্ভে এসেছিলেন একটি ক্যানারি-হলুদ স্ট্র্যাপলেস রাফলড আলেকজান্দ্রে ভাথিয়ের কউচার বল গাউনে। গলায় ও কানে পরেছিলেন ১৩০ ক্যারেটের হিরার গয়না।
পূর্ব-পশ্চিম ও ফিউশন ফ্যাশনের মিলেমিশে কান হয়ে উঠেছে এক রঙিন ভুবন।

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১২ মিনিট আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
২ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
৩ ঘণ্টা আগে
শীত এলে সব বয়সের মানুষ ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ, এ ঋতুতে প্রায় সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে যেমন বাহ্য়িক যত্নের প্রয়োজন; তেমনি ভেতর থেকেও যেন ত্বক সুস্থ থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শীতে ত্বকে মেকআপ ব্যবহারে যেমন...
৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন ফোয়ারা ছোটায় লাগোসে। হবে নাই-বা কেন। এটি যে পৃথিবীর অন্যতম বড় উৎসব!
তবে এ বছরের উৎসবের আবহে আনন্দের পাশাপাশি রয়েছে একধরনের অস্বস্তিকর সুর। অর্থনৈতিক চাপ, নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে উৎসবের উচ্ছ্বাসে খানিক ছেদই পড়ছে।

সাধারণত ৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ডেটি ডিসেম্বর কখনো কখনো গড়িয়ে যায় জানুয়ারি মাসেও। একটার পর একটা অনুষ্ঠান হয় দেশজুড়ে, যেখানে স্থানীয়রা তো বটেই, বিদেশি পর্যটকেরাও হাত খুলে খরচ করে।
এই সময় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে দেশে ফেরেন নাইজেরিয়ার প্রবাসীরা। তাঁরা সঙ্গে নিয়ে আসেন মোটা অঙ্কের অর্থ। ফলে লাগোস পরিণত হয় এক বিশাল কার্নিভ্যালের নগরীতে। যেখানে রাস্তা থাকে যানজটে ঠাসা আর চলে রাতজুড়ে উচ্চ শব্দের গান।
‘ডেটি’ শব্দটির অর্থ ‘নোংরা’—অর্থাৎ সব নিয়ম ভেঙে মুক্তভাবে আনন্দ করা। আর ঠিক সেটাই ঘটে লাগোসে। উৎসব, কনসার্ট, পপ-আপ মার্কেট, সৈকত পার্টি আর বিয়ের অনুষ্ঠান সব একের পর এক চলতে থাকে। প্রতিটিই বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ হওয়ার প্রতিযোগিতা।
২০২৪ সালে একের পর এক বড় আয়োজন ছিল। ছিল গ্র্যামি মনোনীত শিল্পী ডেভিডো ও ওলামিদেকে নিয়ে ফ্লাইটাইম ফেস্ট, সমুদ্রতীরে উইজকিডের ভাইবস অন দ্য বিচ এবং শহরজুড়ে ১৫টি আফ্রোবিটস পার্টি নিয়ে মাই আফ্রোবিটস ডেটি ডিসেম্বর উদ্যাপিত হয়।
এ বছরের আয়োজনও কম কিছু নয়। এবার আয়োজিত হচ্ছে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল, পিক ডেটি ভাইবস, দ্য বনফায়ার এক্সপেরিয়েন্স, জুমা জুক্স লাইভ ইন লাগোস এবং ফুডি ইন লাগোস ফেস্টিভ্যাল।
সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ

২০১৭ সালে পামওয়াইন মিউজিক ফেস্টিভ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন ওয়ালে ডেভিস। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর নামটা আসার আগেও ডিসেম্বর আমাদের কাছে সব সময়ই ডেটি ছিল। এখন সেটা শুধু আরও বড় হয়েছে।’ দেশের ভেতর ও প্রবাস থেকে আসা দর্শনার্থীদের কারণে গত দুই বছর এই উৎসব আরও বড় হয়েছে। অনেক লাগোসবাসী সারা বছর পরিকল্পনা করেন এই সময়কে ঘিরে। ৩৫ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ওমোটয়োসি আকিনকুয়াদে চীনে ব্যবসায়িক কাজে মাসের পর মাস ঘুরেছেন। তিনি বলেন, ‘ডেটি ডিসেম্বর মানেই কষ্টকর পরিশ্রম থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া।’
নিউইয়র্ক থেকে তৃতীয়বারের মতো আসা জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ মিমি এগেসিওনু একে বলেন, ‘একটি অসাধারণ উৎসব এটি। প্রতিদিন যেন নতুন কোনো আন্তর্জাতিক তারকাকে দেখা যায়। এই অনুভূতি পৃথিবীর আর কোথাও নেই।’
বাড়ে মাছ আর পানীয়র দাম
ডেটি ডিসেম্বর নতুন কিছু নয়। দুই দশক ধরে নাইজেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে কার্নিভ্যাল ক্যালাবার হয়ে আসছে। তবে বিশ্বজুড়ে আফ্রোবিটস সংগীতের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই উৎসবে পড়েছে। পর্যটন বিশেষজ্ঞ ইকেচি উকোর মতে, প্রবাসীরা এই উৎসবে যোগ দিতে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করেন। ফলে এটি দিন দিন বিলাসবহুল হয়ে উঠছে।
এর প্রভাব পড়েছে দামে। আগস্ট থেকেই বিমানভাড়া বেড়ে যায়। নাইজেরিয়ার এয়ারলাইনসে ইকোনমি টিকিটের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার নাইরায় পৌঁছায়। পানীয়র দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। চাহিদা শুধু নাইট লাইফেই সীমাবদ্ধ নয়। সেলুন, দরজির দোকান—সবখানেই চাপ। কুকুর হেয়ার সেলুন আগস্ট থেকেই বুকিং নেয় এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোপুরি পূর্ণ।
উৎসবের ছায়ায় অন্ধকার বাস্তবতা
২০২৪ সালের ডেটি ডিসেম্বর থেকে লাগোস রাজ্য সরকার পর্যটন ও বিনোদন খাত থেকে আয় করেছে ৭ কোটি ১৬ লাখ ডলারের বেশি। এদিকে প্রবাসীদের ওপর ৫০০ ডলারের ‘ট্যুরিজম ট্যাক্স’ আরোপের প্রস্তাব ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল করা হয়। সরকারকে এখানে হস্তক্ষেপ না করে নিরাপত্তা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে উৎসবের মধ্যেও অনেক অন্ধকার দিক রয়েছে। নাইজেরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা, অপহরণ ও নিরাপত্তাহীনতা নিত্যসঙ্গী। তবু জীবন থেমে থাকে না। পর্যটন বিশেষজ্ঞ উকো বলেন, ‘কয়েক দিনের জন্য হলেও যদি এই উৎসব আমাদের দুঃখ ভুলতে সাহায্য করে, তাহলে সেটাই যথেষ্ট। ডেটি ডিসেম্বর বন্ধ করলে সমস্যাগুলো এমনিতেই মিটে যাবে, এমন নয়।’

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়
২৩ মে ২০২২
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
২ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
৩ ঘণ্টা আগে
শীত এলে সব বয়সের মানুষ ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ, এ ঋতুতে প্রায় সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে যেমন বাহ্য়িক যত্নের প্রয়োজন; তেমনি ভেতর থেকেও যেন ত্বক সুস্থ থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শীতে ত্বকে মেকআপ ব্যবহারে যেমন...
৪ ঘণ্টা আগেকাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?
আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।
আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।
ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।
লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি
সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।
সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক
শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি

একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে আত্মবিশ্বাসই ছিল আসল স্টাইল। এখনকার পরিমিত ফ্যাশনের যুগে সেই বিশৃঙ্খলা আবার ফিরে আসছে। না, ঠিক বিশৃঙ্খলা নয়, একে বলা যেতে পারে শৃঙ্খলাবদ্ধ বিশৃঙ্খলা। ২০২৫ এর নতুন প্রজন্ম খুঁজছে সেই রঙিন উন্মাদনা। তারা চাইছে সেই কেয়ারফ্রি স্টাইল। সামাজিক মাধ্যমেও বিভিন্ন সময় অনেকে মজা করে ভিডিও বানান এমন ছবি তোলার স্টাইলে। কিংবা বড় বড় ব্র্যান্ডের বিলবোর্ডে এমনকি ফ্যাশন ম্যাগাজিনগুলোতেও আমরা এমন এলোমেলো স্টাইলে দাঁড়ানো ছবি দেখি এখন। তার মানে, দেড়-দুই দশকের পুরোনো ফ্যাশন ও স্টাইল ফিরছে আবার প্রবলভাবেই?
আনুষঙ্গিক যখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু

সেই সময় চশমা মানেই ছিল বিশাল কিছু। নীল, গোলাপি বা বেগুনি লেন্স। চোখের ওপর যেন একটা রঙিন পর্দা। প্যারিস হিল্টনের সেই চশমাগুলো ছিল রাজকীয়। পুরো পৃথিবীটাই যেন সেই চশমার রঙে সুন্দর দেখাত। এখন আবারও ফিরে এসেছে সেই স্টাইল। সেই সময় ঠোঁটে ছিল গ্লসের ছটা। এত উজ্জ্বল যে একটু হলেই যেন আয়নার কাজ চলে যাবে। মার্কিন সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, ব্যবসায়ী জেনিফার লোপেজ বা জে লো সেই গ্লসি ঠোঁটকে আইকনিক করেছিলেন। এমনকি তৎকালীন কিছু ফ্যাশন ম্যাগাজিনে এগুলো বোনাস হিসেবেও দেওয়া হতো। ‘গ্ল্যামার’ ম্যাগাজিনে বলা হয়েছে, ২০২৫ এ জে লো এই আঠালো টিউবগুলো আবারও জনপ্রিয় করে সবার হ্যান্ডব্যাগে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছেন।
সেই সময়ের বেশ কিছু মোটিফও আবার ফিরে এসেছে। যেমন প্রজাপতি। এটি ছিল মেয়েলি ঢঙের এক চমৎকার প্রকাশ। ২০০০ সালের দিকে ফ্যাশন ট্রেন্ডের একটি বড় অংশজুড়ে চুলে ছিল প্রজাপতি ক্লিপ। মারিয়া ক্যারির সেই মায়াবী ট্রেন্ড। চোকার থেকে শুরু করে টপ পর্যন্ত ছিল প্রজাপতির উড়ে বেড়ানো। আবারও চুলের কাঁকড়া ব্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট ক্লিপ পর্যন্ত প্রজাপতির সেই ওড়াউড়ি চোখে পড়ছে মার্কেটে ঘুরলে।
আবারও মিলেছে আরাম আর সাহস

অসম্ভব ছোট এই পার্সগুলো শূন্য দশকের শুরুর দিকে আইকন হয়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন আবারও আমরা দেখছি। এখনকার একটা স্মার্টফোন সেখানে ঢোকানো সম্ভব নয়। তারপরেও আউটফিটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট ব্যাগ নেওয়াই এখন ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করেন, এটা নতুন ফ্যাশন ধারা। তাদের জন্য বলে রাখি, এটাও ফ্যাশন জগতে নতুন কিছু নয়, শূন্য দশকের ফ্যাশন। তখন ব্যাগগুলোতে একটি ফ্লিপ ফোন এবং লিপ গ্লসের বেশি কিছু আঁটত না। ২০০২ সালের প্রায় প্রতিটি পাপারাজ্জি শটে এগুলো অমর হয়ে আছে। এগুলো ছিল চপল, মেয়েলি এবং ব্যবহারিক উপযোগিতার প্রতি তোয়াক্কাহীন। গত বছরেই কাজলসহ বেশ কিছু বলিউড অভিনেত্রী শাড়ির সঙ্গে মোটা বেল্ট পরে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ড তৈরি করেছিলেন। বলে রাখি, এটাও নতুন কিছু নয়। সেই প্রথম দশকে কোমরে ঝোলানো থাকত বিশাল সব বেল্ট। কখনো জিনসের নিচে, কখনো পোশাকের ওপর। বেল্টগুলো যেন ছিল একেকটা রহস্য।
ডেনিম আর মেটালিকের জাদু

একটা সময় জিনস ছিল বিস্ময়। তখন লো-রাইজ বা লো-কাট জিনস ছিল সবার প্রিয়। মার্কিন গায়িকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের হাত ধরে এটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। এর পাশাপাশি ছিল বুট কাট আর ফ্লেয়ার্ড জিনস। ফ্যাশন জগৎ জুড়ে তখন ডেনিমের রাজত্ব। সেই ঢিলেঢালা জিনস আবারও তরুণ-তরুণীদের আলমারিতে জায়গা করে নিয়েছে। কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ আবারও সেই ডেনিম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। জিনসের পাশাপাশি শীতে ডেনিমের জ্যাকেট—সবই তাদের পছন্দের তালিকায় প্রথম সারিতে চলে এসেছে।
সেই সময় মানুষ ভবিষ্যতের নেশায় বুঁদ ছিল। চারদিকে শুধু রুপালি আর মেটালিকের ছোঁয়া। সিলভার জ্যাকেট বা হলোগ্রাফিক স্কার্ট। এমনকি চুলের রংও হয়ে গিয়েছিল রুপালি। যেন সবাই মহাকাশ ভ্রমণের জন্য তৈরি। এটি ছিল এক রঙিন আশাবাদ। আর জেন-জিদের হাত ধরে বর্তমানে সারা বিশ্ব বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছে। তাদের চোখেও রঙিন স্বপ্ন, বদলের একটা বিশেষ রং। তাই তাদের ফ্যাশনে আবারও মেটালিকের ছোঁয়া উঠে এসেছে।
লোগোম্যানিয়া আর লাক্সারি
সে সময়, অর্থাৎ সেই শূন্য দশকে ফ্যাশন যেন ফিসফিস করত না, চিৎকার করত। ব্র্যান্ডের নাম গায়ে জড়িয়ে রাখাই ছিল দস্তুর। ডিওরের স্যাডেল ব্যাগ কিংবা ফেন্ডির লোগো। লোকে যেন আধা মাইল দূর থেকেও ব্র্যান্ড চিনতে পারে। সেটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। সেই প্রবণতা আবারও ফিরে এসেছে। দাম বেশি হলেও ব্র্যান্ডেই মানুষের আরাম পৌঁছে গেছে। বিষয়টা অনেকটা সমাজে মুখ দেখানোর মতো বাড়াবাড়ির পর্যায়েও চলে যায় অনেক সময়।
সেই সময় টিনএজ ফ্যাশনে ছিল লেয়ার্ড ট্যাংকের ছড়াছড়ি। একটার ওপর একটা রঙিন কামিজ বা টপ। সঙ্গে ছোট ছোট গ্রাফিক টি-শার্ট। তাতে গ্লিটার দিয়ে লেখা থাকত অদ্ভুত সব কথা। প্রতিটি পোশাক ছিল ব্যক্তিত্বের এক-একটা ছোট সংস্করণ; যা আজও জনপ্রিয়। অবশ্য সব সময় ফ্যাশন ছিল প্রতিবাদের ভাষা।
অনুভূতির এক অগোছালো স্ক্র্যাপবুক
শূন্য দশক কোনো নিয়ম মানেনি। এটি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এক ফ্যাশন ধারা। কোনো ক্ষমা না চাওয়া পপসংস্কৃতির ফসল। সে সময় ফ্যাশন কালজয়ী হতে চায়নি। বড় বড় সিলুয়েট আর বড় বড় অনুভূতির গল্প ছিল সেটি। সেই অদম্য উৎসাহের কারণেই আজ ২০২৫-এ এসেও আমরা বারবার সেই দিনগুলোর দিকে ফিরে তাকাই।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়
২৩ মে ২০২২
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১২ মিনিট আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
৩ ঘণ্টা আগে
শীত এলে সব বয়সের মানুষ ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ, এ ঋতুতে প্রায় সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে যেমন বাহ্য়িক যত্নের প্রয়োজন; তেমনি ভেতর থেকেও যেন ত্বক সুস্থ থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শীতে ত্বকে মেকআপ ব্যবহারে যেমন...
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট। টাকা লেনদেনে আজ বাঘের মতো সতর্ক থাকুন, না হলে বিড়ালের মতো কাঁদতে হবে।
বৃষ
পেশায় পালোয়ান, নেশায় ঘুমকাতুরে। আজ শেয়ার বাজার আপনার দিকে হাসবে। কিন্তু সাবধানে, হাসা মানেই যে লাভ তা নয়, উপহাসও হতে পারে! রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙবেন না। আজ পুলিশ আপনাকে ‘স্পেশাল গেস্ট’ বানাতে খুব আগ্রহী। পুরোনো অসুখ নিয়ে সুসংবাদ পাবেন; হয়তো জানবেন ওটা আসলে অসুখই ছিল না, আলসেমি ছিল! দুপুরের পর কাজে গতি আসবে, তবে বিরিয়ানি খেলে সেই গতি আবার বিছানামুখী হবে।
মিথুন
সৃজনশীলতা ফেটে বেরোচ্ছে, কিন্তু কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আজ কাউকে ধার দেবেন না। ধার দেওয়া মানেই সেই বন্ধুকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা। অফিসে আজ খুব মন দিয়ে কাজ করুন, বসের নজর আজ সিসিটিভির চেয়েও ধারালো। প্রেমে আজ কোনো আত্মীয়র কারণে অশান্তি হতে পারে। আত্মীয়দের থেকে দূরে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। সৃজনশীল হোন, কিন্তু রান্নায় বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে যাবেন না।
কর্কট
আজ আপনি একটু বেশিই সেন্টিমেন্টাল। আজ চোখে জল আর নাকে সর্দি—দুটিই সমানতালে আসতে পারে। ব্যবসা শুরুর জন্য দিনটা ভালো, কিন্তু পার্টনার হিসেবে নিজের ছায়াকেও বিশ্বাস করবেন না। বিচক্ষণতা বজায় রাখুন, না হলে লোকজন আপনাকে ইমোশনাল ফুল বানিয়ে চলে যাবে। আজ ফেসবুকে দুঃখের পোস্ট দেবেন না। কেউ এসে সান্ত্বনা নয়, হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে।
সিংহ
সকালে রাজা, সন্ধ্যায় ভিখারি (মানসিকভাবে)। সকালের দিকে সব জরুরি কাজ সেরে নিন। কারণ, সূর্য ডুবলে আপনার মেজাজও ডুববে। স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জেতার চেষ্টা করা মানে হলো আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দেওয়া। আজ আত্মবিশ্বাসের অভাবে কাজে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশবার বলুন, ‘আই অ্যাম দ্য বস!’ মায়ের শরীর ভালো থাকবে, তাই আজ একবেলা রান্না থেকে ছুটি পেতে পারেন।
কন্যা
নিখুঁত হতে গিয়ে জেরবার। বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুর প্ল্যান ক্যানসেল হতে পারে। কারণ, সেই এক—আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব! পরীক্ষার ফল ভালো হবে, তবে তার আগে হার্টবিট কন্ট্রোল করুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ একটু নমনীয় হোন, রোবটের মতো লজিক খুঁজলে একা থাকতে হবে। আজ পুরোনো কোনো বন্ধুর ফোন আসতে পারে, সম্ভবত সে টাকা ধার চাইবে।
তুলা
অর্থ আসছে, কিন্তু যাচ্ছে রকেটের গতিতে। আজ আপনার অর্থভাগ্য খুব ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো খরচের হাতটা অক্টোপাসের মতো। স্ত্রী আপনার মনের কথা বুঝবে, কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিলটা বুঝবে কি? সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়ুন, ওরা আপনার চেয়ে বেশি স্মার্ট। বিদেশের কারও সঙ্গে কথা হতে পারে, তবে সেটা স্ক্যাম কল কি না যাচাই করে নিন।
বৃশ্চিক
রহস্যময় হাসি আর পকেটভর্তি টাকা। ব্যবসায় আজ লক্ষ্মীলাভের যোগ আছে। বন্ধুদের আজ ডিনার খাওয়াতে হতে পারে, তাই পালানোর রাস্তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনে শান্তি মিলবে, তবে সেটা যেন শুধু মশারির ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। শেয়ার বাজারে আজ একটু ঝুঁকি নিতেই পারেন, তবে হারলে আমাকে দোষ দেবেন না!
ধনু
কঠোর পরিশ্রম, কিন্তু রেজাল্ট তথৈবচ। বকেয়া টাকা পাওয়ার যোগ আছে, তবে সেটা আদায় করতে গিয়ে গলা শুকিয়ে যাবে। প্রেমে আজ সত্যবাদী থাকুন, একটা মিথ্যা ধরা পড়লে কপালে শনির দশা নিশ্চিত। রূপচর্চার জন্য আজ বেশ কিছু টাকা গচ্চা যেতে পারে, কিন্তু তাতে মুখ কতটা চকচক করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সন্ধ্যার পর হুট করে মন খারাপ হতে পারে; এক কাপ কড়া চা খান।
মকর
কাজের নেশায় বুঁদ, শরীর বলছে ‘আর না’। আজ আপনার পরিশ্রম দেখে পিঁপড়ারা লজ্জা পাবে। পরিবারে আপনার মতামতের দাম বাড়বে, তবে সেটা শুধু মেনু ঠিক করার ক্ষেত্রেই হতে পারে। তীর্থযাত্রার সুযোগ আসতে পারে, অন্তত পাড়ার মোড়ের মন্দির পর্যন্ত তো বটেই। বেশি ইমোশনাল হবেন না, বিশেষ করে অফিসের গ্রুপ চ্যাটে।
কুম্ভ
মনের ভেতর হাজার প্রশ্ন, উত্তর নেই একটাও। চাকরি বদলানোর চিন্তা আজ মাথায় ঘুরবে, কিন্তু ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে তাকালে সেই চিন্তা কর্পূরের মতো উবে যাবে। বন্ধুদের অবহেলা করবেন না, ওরাই বিপদের সময় চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হবে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন, তাতে ভাগ্য না ফিরলেও শরীর ঠিক থাকবে। কোনো চুক্তিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার বানানগুলো চেক করুন।
মীন
স্বপ্নের ঘোরে দিন কাটে, বাস্তবে শুধু ধাক্কা। পরিবারের কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আজ কনফিউজড হয়ে যাবেন। আজ আপনার মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল হবে, এমনকি আজরাইলকেও বোধহয় কফি খাইয়ে ফেরত পাঠাতে পারবেন। ব্যবসায়িক কাজে বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আজ আপনার মেধা চমকাবে, তবে সেটা যেন শুধু ফেসবুক কুইজেই শেষ না হয়ে যায়।

মেষ
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট। টাকা লেনদেনে আজ বাঘের মতো সতর্ক থাকুন, না হলে বিড়ালের মতো কাঁদতে হবে।
বৃষ
পেশায় পালোয়ান, নেশায় ঘুমকাতুরে। আজ শেয়ার বাজার আপনার দিকে হাসবে। কিন্তু সাবধানে, হাসা মানেই যে লাভ তা নয়, উপহাসও হতে পারে! রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল ভাঙবেন না। আজ পুলিশ আপনাকে ‘স্পেশাল গেস্ট’ বানাতে খুব আগ্রহী। পুরোনো অসুখ নিয়ে সুসংবাদ পাবেন; হয়তো জানবেন ওটা আসলে অসুখই ছিল না, আলসেমি ছিল! দুপুরের পর কাজে গতি আসবে, তবে বিরিয়ানি খেলে সেই গতি আবার বিছানামুখী হবে।
মিথুন
সৃজনশীলতা ফেটে বেরোচ্ছে, কিন্তু কেউ পাত্তা দিচ্ছে না। আজ কাউকে ধার দেবেন না। ধার দেওয়া মানেই সেই বন্ধুকে চিরতরে হারিয়ে ফেলা। অফিসে আজ খুব মন দিয়ে কাজ করুন, বসের নজর আজ সিসিটিভির চেয়েও ধারালো। প্রেমে আজ কোনো আত্মীয়র কারণে অশান্তি হতে পারে। আত্মীয়দের থেকে দূরে থাকুন, শান্তিতে থাকুন। সৃজনশীল হোন, কিন্তু রান্নায় বেশি এক্সপেরিমেন্ট করতে যাবেন না।
কর্কট
আজ আপনি একটু বেশিই সেন্টিমেন্টাল। আজ চোখে জল আর নাকে সর্দি—দুটিই সমানতালে আসতে পারে। ব্যবসা শুরুর জন্য দিনটা ভালো, কিন্তু পার্টনার হিসেবে নিজের ছায়াকেও বিশ্বাস করবেন না। বিচক্ষণতা বজায় রাখুন, না হলে লোকজন আপনাকে ইমোশনাল ফুল বানিয়ে চলে যাবে। আজ ফেসবুকে দুঃখের পোস্ট দেবেন না। কেউ এসে সান্ত্বনা নয়, হা হা রিঅ্যাক্ট দিয়ে যাবে।
সিংহ
সকালে রাজা, সন্ধ্যায় ভিখারি (মানসিকভাবে)। সকালের দিকে সব জরুরি কাজ সেরে নিন। কারণ, সূর্য ডুবলে আপনার মেজাজও ডুববে। স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জেতার চেষ্টা করা মানে হলো আগ্নেয়গিরিতে ঝাঁপ দেওয়া। আজ আত্মবিশ্বাসের অভাবে কাজে একটু ব্যাঘাত ঘটতে পারে, তাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দশবার বলুন, ‘আই অ্যাম দ্য বস!’ মায়ের শরীর ভালো থাকবে, তাই আজ একবেলা রান্না থেকে ছুটি পেতে পারেন।
কন্যা
নিখুঁত হতে গিয়ে জেরবার। বন্ধুদের সঙ্গে ট্যুর প্ল্যান ক্যানসেল হতে পারে। কারণ, সেই এক—আপনার খুঁতখুঁতে স্বভাব! পরীক্ষার ফল ভালো হবে, তবে তার আগে হার্টবিট কন্ট্রোল করুন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ একটু নমনীয় হোন, রোবটের মতো লজিক খুঁজলে একা থাকতে হবে। আজ পুরোনো কোনো বন্ধুর ফোন আসতে পারে, সম্ভবত সে টাকা ধার চাইবে।
তুলা
অর্থ আসছে, কিন্তু যাচ্ছে রকেটের গতিতে। আজ আপনার অর্থভাগ্য খুব ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো খরচের হাতটা অক্টোপাসের মতো। স্ত্রী আপনার মনের কথা বুঝবে, কিন্তু আপনার ক্রেডিট কার্ডের বিলটা বুঝবে কি? সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তা ছাড়ুন, ওরা আপনার চেয়ে বেশি স্মার্ট। বিদেশের কারও সঙ্গে কথা হতে পারে, তবে সেটা স্ক্যাম কল কি না যাচাই করে নিন।
বৃশ্চিক
রহস্যময় হাসি আর পকেটভর্তি টাকা। ব্যবসায় আজ লক্ষ্মীলাভের যোগ আছে। বন্ধুদের আজ ডিনার খাওয়াতে হতে পারে, তাই পালানোর রাস্তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। আধ্যাত্মিক চিন্তায় মনে শান্তি মিলবে, তবে সেটা যেন শুধু মশারির ভেতরেই সীমাবদ্ধ না থাকে। শেয়ার বাজারে আজ একটু ঝুঁকি নিতেই পারেন, তবে হারলে আমাকে দোষ দেবেন না!
ধনু
কঠোর পরিশ্রম, কিন্তু রেজাল্ট তথৈবচ। বকেয়া টাকা পাওয়ার যোগ আছে, তবে সেটা আদায় করতে গিয়ে গলা শুকিয়ে যাবে। প্রেমে আজ সত্যবাদী থাকুন, একটা মিথ্যা ধরা পড়লে কপালে শনির দশা নিশ্চিত। রূপচর্চার জন্য আজ বেশ কিছু টাকা গচ্চা যেতে পারে, কিন্তু তাতে মুখ কতটা চকচক করবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সন্ধ্যার পর হুট করে মন খারাপ হতে পারে; এক কাপ কড়া চা খান।
মকর
কাজের নেশায় বুঁদ, শরীর বলছে ‘আর না’। আজ আপনার পরিশ্রম দেখে পিঁপড়ারা লজ্জা পাবে। পরিবারে আপনার মতামতের দাম বাড়বে, তবে সেটা শুধু মেনু ঠিক করার ক্ষেত্রেই হতে পারে। তীর্থযাত্রার সুযোগ আসতে পারে, অন্তত পাড়ার মোড়ের মন্দির পর্যন্ত তো বটেই। বেশি ইমোশনাল হবেন না, বিশেষ করে অফিসের গ্রুপ চ্যাটে।
কুম্ভ
মনের ভেতর হাজার প্রশ্ন, উত্তর নেই একটাও। চাকরি বদলানোর চিন্তা আজ মাথায় ঘুরবে, কিন্তু ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে তাকালে সেই চিন্তা কর্পূরের মতো উবে যাবে। বন্ধুদের অবহেলা করবেন না, ওরাই বিপদের সময় চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির হবে। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন, তাতে ভাগ্য না ফিরলেও শরীর ঠিক থাকবে। কোনো চুক্তিতে সই করার আগে অন্তত তিনবার বানানগুলো চেক করুন।
মীন
স্বপ্নের ঘোরে দিন কাটে, বাস্তবে শুধু ধাক্কা। পরিবারের কোনো বড় সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে আজ কনফিউজড হয়ে যাবেন। আজ আপনার মিষ্টি কথায় কাজ হাসিল হবে, এমনকি আজরাইলকেও বোধহয় কফি খাইয়ে ফেরত পাঠাতে পারবেন। ব্যবসায়িক কাজে বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। আজ আপনার মেধা চমকাবে, তবে সেটা যেন শুধু ফেসবুক কুইজেই শেষ না হয়ে যায়।

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়
২৩ মে ২০২২
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১২ মিনিট আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
২ ঘণ্টা আগে
শীত এলে সব বয়সের মানুষ ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ, এ ঋতুতে প্রায় সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে যেমন বাহ্য়িক যত্নের প্রয়োজন; তেমনি ভেতর থেকেও যেন ত্বক সুস্থ থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শীতে ত্বকে মেকআপ ব্যবহারে যেমন...
৪ ঘণ্টা আগেশারমিন কচি, রূপ বিশেষজ্ঞ

শীত এলে সব বয়সের মানুষ ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ, এ ঋতুতে প্রায় সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে যেমন বাহ্য়িক যত্নের প্রয়োজন; তেমনি ভেতর থেকেও যেন ত্বক সুস্থ থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শীতে ত্বকে মেকআপ ব্যবহারে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি খাদ্যতালিকায় শরীর ও ত্বকের উপযোগী খাবার রাখতে হবে পর্যাপ্ত। জেনে নিন শীতে ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখার উপায়গুলো।
শীতে খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন

গাঢ় সবুজ শাকসবজি
গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকারি। শীতের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ও শিম রাখুন।
গাজর
গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে কোলাজেন পুনরুৎপাদন করে। গাজরে প্রধানত ভিটামিন এ বা বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন কে ১, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন বি৬ থাকে। এ ছাড়া থাকে পটাশিয়াম, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। গাজরের পাশাপাশি মিষ্টিআলু, অ্যাপ্রিকট, খরমুজ ও মৌসুমি ফল খাওয়া যেতে পারে।
টমেটো
টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
রসুন ও কাঁচা হলুদ
রসুন উচ্চ সালফারযুক্ত মসলা, যা কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া হলুদকে বলা হয় পাওয়ার হাউস বা শক্তি ঘর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো কাঁচা রসুন ও হলুদ খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে, ত্বকও মসৃণ থাকে।
লেবু
ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষত দূর করতে লেবুর জুড়ি নেই। রোজ সকালে চিনি ছাড়া এক গ্লাস লেবুর রস খেলে ত্বক সজীব থাকে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন ই ভিটামিন সি এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোলাজেন তৈরি করে। তাই ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয়টি করে কাঠবাদাম খাদ্যতালিকায় রাখুন।
আখরোট
আখরোটে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, টক্সিনের ছাপ পড়তে দেয় না ত্বকে।
বেদানা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বেদানা বজায় রাখে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা। ইলাস্টিসিটি কমলেই ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়, তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতেও তার জুড়ি নেই।
এ সময় ত্বকের যত্নে তেল ব্যবহার করুন
তেল ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। নারকেল তেল ত্বক সুস্থ ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে দারুণ সহায়ক। সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে মুখে নারকেল তেল লাগিয়ে রাখুন, পরদিন সকালে ভালো ক্লিনজার ধুয়ে নিন। এ ছাড়া এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, চার থেকে পাঁচ ফোঁটা নারকেল তেল এবং এক চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। এবার সারা মুখে খানিকটা নারকেল তেল আলাদা করে ম্যাসাজ করুন। সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নারকেল তেলের পরিবর্তে ত্বকে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই তেল খুব ভালো কাজ করে। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও এই তেলের জুড়ি নেই।
এ সময় যেমন প্রসাধনী ব্যবহার করবেন
এ সময় ত্বকের জন্য এমন প্রসাধনী বেছে নিন, যাতে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড এক্সফোলিয়েটর মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখতে ১৫ মিনিট রোদ পোহালেও এড়াতে হবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। কড়া রোদে বের হওয়ার আগে ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এ সময় ফাউন্ডেশন, প্যানকেক ও ফেস পাউডার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো।

শীত এলে সব বয়সের মানুষ ত্বক নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কারণ, এ ঋতুতে প্রায় সবার ত্বকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উজ্জ্বলতা হারায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সারাতে যেমন বাহ্য়িক যত্নের প্রয়োজন; তেমনি ভেতর থেকেও যেন ত্বক সুস্থ থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। শীতে ত্বকে মেকআপ ব্যবহারে যেমন সতর্ক থাকতে হবে, তেমনি খাদ্যতালিকায় শরীর ও ত্বকের উপযোগী খাবার রাখতে হবে পর্যাপ্ত। জেনে নিন শীতে ত্বক তারুণ্যদীপ্ত রাখার উপায়গুলো।
শীতে খাদ্যতালিকায় যা রাখবেন

গাঢ় সবুজ শাকসবজি
গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে আছে প্রচুর খনিজ উপাদান ও ভিটামিন এ, সি এবং ই। এগুলো কোলাজেন তৈরির জন্য দরকারি। শীতের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় শাক, বিশেষ করে পালংশাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শালগম ও শিম রাখুন।
গাজর
গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকে কোলাজেন পুনরুৎপাদন করে। গাজরে প্রধানত ভিটামিন এ বা বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন কে ১, ভিটামিন সি, এবং ভিটামিন বি৬ থাকে। এ ছাড়া থাকে পটাশিয়াম, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের জন্য খুব ভালো কাজ করে। গাজরের পাশাপাশি মিষ্টিআলু, অ্যাপ্রিকট, খরমুজ ও মৌসুমি ফল খাওয়া যেতে পারে।
টমেটো
টমেটোতে প্রচুর লাইকোপিন থাকে। এটি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের কোলাজেন ভেঙে দেয়। ফলে বলিরেখা পড়ে।
বিটরুট
বিটরুটের ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও সুপার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং ত্বকের পোর বা ছিদ্রগুলো মেরামত করে। প্রতিদিন ৫০০ মিলি বিটরুটের জুস পান করলে বা সালাদ হিসেবে বিটরুট খেলে ত্বক ভালো থাকে।
রসুন ও কাঁচা হলুদ
রসুন উচ্চ সালফারযুক্ত মসলা, যা কোলাজেনের ভেঙে যাওয়া রোধ করে। এ ছাড়া হলুদকে বলা হয় পাওয়ার হাউস বা শক্তি ঘর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো কাঁচা রসুন ও হলুদ খেলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে, ত্বকও মসৃণ থাকে।
লেবু
ত্বকের বলিরেখা ও ক্ষত দূর করতে লেবুর জুড়ি নেই। রোজ সকালে চিনি ছাড়া এক গ্লাস লেবুর রস খেলে ত্বক সজীব থাকে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে প্রচুর ভিটামিন ই, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ভিটামিন ই ভিটামিন সি এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোলাজেন তৈরি করে। তাই ৩০ বছর বয়সের পর নিয়মিত পাঁচ থেকে ছয়টি করে কাঠবাদাম খাদ্যতালিকায় রাখুন।
আখরোট
আখরোটে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড; যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, টক্সিনের ছাপ পড়তে দেয় না ত্বকে।
বেদানা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর বেদানা বজায় রাখে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা। ইলাস্টিসিটি কমলেই ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়, তা ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক সারিয়ে তুলতেও তার জুড়ি নেই।
এ সময় ত্বকের যত্নে তেল ব্যবহার করুন
তেল ত্বকের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতে সহায়তা করে। নারকেল তেল ত্বক সুস্থ ও তারুণ্যদীপ্ত রাখতে দারুণ সহায়ক। সম্ভব হলে প্রতিদিন রাতে মুখে নারকেল তেল লাগিয়ে রাখুন, পরদিন সকালে ভালো ক্লিনজার ধুয়ে নিন। এ ছাড়া এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, চার থেকে পাঁচ ফোঁটা নারকেল তেল এবং এক চামচ পানি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ পুরো মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। এবার সারা মুখে খানিকটা নারকেল তেল আলাদা করে ম্যাসাজ করুন। সকালে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নারকেল তেলের পরিবর্তে ত্বকে অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এই তেল খুব ভালো কাজ করে। রোদে পোড়া দাগ দূর করতেও এই তেলের জুড়ি নেই।
এ সময় যেমন প্রসাধনী ব্যবহার করবেন
এ সময় ত্বকের জন্য এমন প্রসাধনী বেছে নিন, যাতে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড এক্সফোলিয়েটর মৃত কোষ সরিয়ে নতুন কোষ গজাতে সাহায্য করে।
ত্বক ভালো রাখতে ১৫ মিনিট রোদ পোহালেও এড়াতে হবে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। কড়া রোদে বের হওয়ার আগে ভালো সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এ সময় ফাউন্ডেশন, প্যানকেক ও ফেস পাউডার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো।

শুরু হয়েছে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। উৎসবটি চলচ্চিত্রের হলেও তা ছাপিয়ে কান নিয়ে যে কানাকানি তা মূলত তারকাদের স্টাইল এবং ফ্যাশন। আর ফ্যাশন মানেই জমকালো চোখ ধাঁধানো সাজপোশাক, ভিন্নমাত্রার নকশা, গয়নার গল্প—যেন চোখ ফেরানো দায়
২৩ মে ২০২২
নাইজেরিয়ার বড় শহর লাগোস সারা বছর ব্যস্ত থাকে। তবে বছরের শেষ দিকে এই বিশাল শহর যেন রূপ বদলে আরও বেশি সরগরম হয়ে ওঠে। এর কারণ ডেটি ডিসেম্বর। এটি শহরের বার্ষিক উৎসব। একে ঘিরে পুরো শহর সেজে ওঠে ঝলমলে আলোয়। রাত হয়ে ওঠে সংগীতময়, রাস্তাজুড়ে থাকে উৎসবমুখর মানুষের ঢল। সংগীত, খাদ্য, পানীয় ডিসেম্বরে সব যেন...
১২ মিনিট আগে
একুশ শতকের প্রথম দশক, অর্থাৎ ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়টা ছিল এক অদ্ভুত ফ্যাশনের সময়। তখন আভিজাত্যের চেয়ে আস্ফালন ছিল বেশি! সূক্ষ্মতা তখন প্রায় মৃত। চারদিকে শুধু পাপারাজ্জির ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাই স্পেসের জন্য আয়নায় তোলা অগোছালো ছবি। আর ছিল আত্মবিশ্বাসের জয়গান। বলা যেতেই পারে, ২০০০ সালের দিকে...
২ ঘণ্টা আগে
আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে, কিন্তু পকেট তলানিতে। আজ আপনার সাহস দেখে পাড়ার কুকুরও কুর্নিশ করবে। ইন্টারভিউতে ডাক আসতে পারে; তবে যাওয়ার সময় পকেটে একটা চকলেট রাখবেন, যদি মাথা ঘুরে যায়! প্রেমে আজ ‘বিয়ে’ শব্দটা উচ্চারণ করবেন না, উল্টো দিক থেকে ব্লক খাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ পারসেন্ট।
৩ ঘণ্টা আগে