Ajker Patrika

পারসেভারেন্স  আর মঙ্গলে বসবাসের স্বপ্ন

প্রযুক্তি প্রতিবেদক
পারসেভারেন্স  আর মঙ্গলে বসবাসের স্বপ্ন

 মঙ্গলে বসবাস স্থাপন নিয়ে মানুষের যে স্বপ্ন তা পূরণে নাসাসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কার্যক্রমই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য। মঙ্গল রহস্য উন্মোচনে নাসার সর্বশেষ অভিযান হচ্ছে মহাকাশযান পারসেভারেন্স মঙ্গলে প্রেরণ।

পারসেভারেন্স এক ধরনের রোবোটযান যেটি পৃথিবী থেকে কন্ট্রোল করা হয়।রোভার পারসিভারেন্স মূলত মঙ্গলের বুকে প্রগৈতিহাসিক প্রাণের খোঁজ চালাবে। পাশাপাশি সংগ্রহ করবে মঙ্গলের মাটি এবং পাথর। সম্ভব হলে সেগুলো নিয়ে পৃথিবীতে ফেরত আসবে।

প্রায় সাত মাসের যাত্রা শেষে দুই লাখ ৪০ কিলোমিটার পাড়ি দেয় ‘পারসিভারেন্স’। রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার শেষে  নাসার মহাকাশযান ‘পারসেভারেন্স’ মঙ্গলের বুকে অবতরণ করে।

 ছয় চাকার এই স্বয়ংক্রিয় রোবট যানটি পৃথিবী থেকে তার ৪৭০ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৪৭ কোটি মাইল পথের যাত্রা শুরু করেছিল সাত মাস আগে। পৃথিবী থেকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পারসেভারেন্স যাত্রা শুরু করে ৩০জুলাই ২০২০ তারিখে। আর মঙ্গলের মাটিতে এটি অবস্থান নেয় ২০২১ সালের মার্চ মাসে।

জাজেরো নামে গভীর গর্তে (ক্র্যাটার) অবতরণ করে রোবট যান পারসেভারেন্স। আগামী দুই বছর মঙ্গলে অবস্থান করে সেখানে পাথর খননসহ অতীতে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করবে যানটি।

পারসেভারেন্সের মস্তিষ্ক  বেশ পুরোনো প্রযুক্তির। রোভারটি চলে ২৫৬ মেগাবাইট র‍্যাম, ২ গিগাবাইট ডেটা স্টোরেজ এবং ২০০ মেগাহার্টজ গতির প্রসেসরে।

পারসেভারেন্স এর ডাটা বিশ্লেষণ ক্ষমতা পূর্বের যেকোনো মহাকাশযানের চেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী মঙ্গলের অজানা তথ্যসমূহ উন্মোচনে এটি অধিক কার্যকরী হবে।

মঙ্গলে কখনো জীবনের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানতেই পারসেভারেন্সের মঙ্গল-অভিযান। সেই সঙ্গে মঙ্গলের নুড়ি ও মাটি সংগ্রহ করতে হবে। আর প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে পাঠাতে হবে পৃথিবীতে। বিশ্লেষণ করতে হবে পানিসহ নানারকম তথ্য। এসব কাজ করতে হবে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আর দ্রুত। নাসার অফিস থেকে  পারসেভারেন্সের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে প্রতিনিয়তই কাজ করছে বেশ কয়েকটি গবেষণা টীম।

পারসেভারেন্স  রোভারের মস্তিষ্ক হলো কম্পিউটার। সেই কম্পিউটার মডিউলকে বলা হয় রোভার কম্পিউট এলিমেন্ট (আরসিই)। পারসেভারেন্সে একই ধরনের দুটি আরসিই আছে। এক মস্তিষ্ক বিকল হলে যেন অতিরিক্ত মস্তিষ্ক থেকে কাজ চালিয়ে নিতে পারে।

নাসার এই অভিযান ছাড়াও চীনের তিয়ানওয়েন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের হোপ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক্সোমার্স হচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে মঙ্গলে পরিচালিত বেশকিছু মিশন।মঙ্গলে মানুষের বসবাস নিয়ে বিজ্ঞানীরা যে আশার বাণী শুনিয়ে থাকেন তার মূলে রয়েছে এই সকল মিশন। তবে মঙ্গল মিশনে নাসার সাফল্যই সবচেয়ে বেশি।

কোন গ্রহে বসবাসের ক্ষেত্রে মানুষকে ভাবতে হয় এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কী না। গ্রহটির পরিবশে প্রাণের বিকাশে সহায়ক কী না। গ্রহটির মাঝে এমন কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা আছে কী না যেটা প্রাণের সৃষ্টিতে আর বিকাশে ভূমিকা রাখে। পারসেভারেন্সসহ বিভিন্ন মঙ্গল মিশনের অন্যতম লক্ষ্যই হচ্ছে এইসকল তথ্য উন্মোচন করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাওরে বিদ্যুৎ সংযোগ: বাঁশের খুঁটিতে ৩৩,০০০ ভোল্টের লাইন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

ইমরান খানের জন্য ইলন মাস্কের কাছে জেমিমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ