Ajker Patrika

গাড়িচাপায় নারীর মৃত্যু: আজহার জাফর শাহ সম্পর্কে যা বলছেন ঢাবির শিক্ষকেরা

ঢাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১০: ০৪
গাড়িচাপায় নারীর মৃত্যু: আজহার জাফর শাহ সম্পর্কে যা বলছেন ঢাবির শিক্ষকেরা

গাড়িচাপায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গাড়িটিতে চালকের আসনে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক আজহার জাফর শাহ। গাড়ির চাকার নিচে আটকে পড়া নারীকে বেশ দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়ে নীলক্ষেতে মোড়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।

আজহার জাফর শাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে মিশ্র মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। অসদাচরণের দায়ে বেশ কয়েক বছর আগেই তাঁর চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

আজহার জাফর শাহ সম্পর্কে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি ভালো পড়াতেন। আমি ওনাকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি। শিক্ষক হিসেবে যুক্ত হওয়ার কিছুদিন পরে আমি বাইরে পড়তে যাই, বিদেশ থেকে এসেও ওনাকে পেয়েছি। তবে প্রফেশনাল সম্পর্কের বাইরে ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না। উনি একা থাকতেন। উনি খুব বেশি মিশতেন এ রকমও না।’ 

এদিকে আজহার জাফর শাহ নিয়ে ফেসবুকে তির্যক মন্তব্য করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক। 

ফাহমিদুল হক লিখেছেন, ‘গতকাল (২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যা ঘটল, তারপর থেকে স্তম্ভিত হয়ে আছি। একটা (অ) মানুষ কীভাবে গাড়িচাপা দেওয়া বডিকে এত দূর টেনে নিয়ে যেতে পারে? এই ঘাতক (অ) মানুষটির কথা শুনতাম মাঝে মাঝে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বন্ধু-সহকর্মীর কাছ থেকে। পারিবারিক সূত্রে ধনী (পুরোনো গাড়ির যে ছবি দেখা গেছে পত্রিকায়, তা কিন্তু অ্যানটিক হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন, নয়তো ক্যাম্পাসে স্পোর্টস কার নিয়ে আসতেও দেখা যেত তাকে)।’ 

ফাহমিদুল হক আরও লিখেন, ‘অত্যন্ত অহংকারী তিনি, মানবিক গুণাবলির খুব অভাব, অন্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে ওস্তাদ লোক। নম্বরপত্র নিয়ে অনিয়ম করার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার চাকরি গেছে। অনেক শিক্ষার্থীর জীবন তার কলমের খোঁচায় এলোমেলো হয়েছে। অন্যের জীবনের মূল্য তার কাছে সামান্য। তাইতো চাপা দেওয়ার পরও ভিকটিমের বডিকে গাড়ির সঙ্গে টেনে নিয়ে মেরে ফেলতে পেরেছেন তিনি।’ 

 ‘শুনেছি, গণপিটুনি খেয়ে তিনিও হাসপাতালে। প্রত্যাশা করি, তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন, তার বিরুদ্ধে করা মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন এবং বিচারপ্রক্রিয়া সমাপ্ত হলে রায় তার বিরুদ্ধে যাক। বাকি জীবন আমি তাকে কারাগারে দেখতে চাই। তিনি আজহার জাফর শাহ!’ যোগ করেন ফাহমিদুল হক। 

ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন হিসেবে আমি লজ্জিত যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক চাকরিচ্যুত শিক্ষকের প্রাইভেট কারের নিচে টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই একজন নিহত হয়েছেন। গাড়িচালক ওই শিক্ষকের আচরণ ও কর্মকাণ্ড ভয়াবহ ও চরম নিন্দনীয়। এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। ক্যাম্পাসের ভেতরে এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। নিরাপদ ক্যাম্পাস আমাদের সকলের দাবি।’ 

জাফর শাহর ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সঙ্গে ১০ বছরের বেশি সময় যোগাযোগ না রাখায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।’ 

ওই শিক্ষকের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খুবই মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যিনি গাড়ির চালক ছিলেন তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। শুনেছি, উনিও আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। আমি উপাচার্য হওয়ার পরে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে ওনাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ 

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আজহার জাফর শাহের বিরুদ্ধে অশিক্ষকসুলভ এবং অপেশাদারিত্বমূলক আচরণ ও বিভিন্ন পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ায় পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ করা হয়। ক্ষোভের জেরে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে শূন্য নম্বর দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় বিভাগ থেকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হলে তিনি তোয়াক্কা করেননি। তখন তাঁকে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে বারণ করে কর্তৃপক্ষ। তখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি জাফর শাহ। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম (সিন্ডিকেট) তাঁকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। 

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেন প্রাইভেটকারে চালকের আসনে থাকা আজহার জাফর শাহ। ধাক্কা খেয়ে গাড়ির নিচে আটকা পড়েন রুবিনা আক্তার নামে এক নারী। ওই অবস্থায় ছুটতে থাকেন জাফর শাহ। জনতার ধাওয়ায় নীলক্ষেত মোড়ে গিয়ে দাঁড়ালে গণধোলাইয়ের শিকার হন জাফর শাহ। সেই নারী ও জাফর শাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক রুবিনা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। জাফর শাহ এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন। 

আরও পড়ুন: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।

আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদ্মায় ড্রেজিং চলায় দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।

সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত