নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই রূপরেখা ঘোষণা করেন। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
রূপরেখা ঘোষণা ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি খন্দকার মোশাররফ বা দলের অন্য কোনো নেতা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও নিতাই রায় চৌধুরী ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানও সেখানে ছিলেন।
বিএনপি ছাড়াও গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকিসহ সমমনা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা-
১. একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।
২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইন বো’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য একটি ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে।
৩. একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।
৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ সংশোধন করা হবে।
৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে।
১১. একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।
১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।
১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে।
১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।
১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।
২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।
২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।
২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।
২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৫. চাহিদা-ভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’—এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’-এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।
২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
পরবর্তীতে যথাসময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই রূপরেখা ঘোষণা করেন। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
রূপরেখা ঘোষণা ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি খন্দকার মোশাররফ বা দলের অন্য কোনো নেতা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও নিতাই রায় চৌধুরী ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানও সেখানে ছিলেন।
বিএনপি ছাড়াও গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকিসহ সমমনা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা-
১. একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।
২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইন বো’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য একটি ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে।
৩. একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।
৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ সংশোধন করা হবে।
৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে।
১১. একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।
১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।
১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে।
১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।
১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।
২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।
২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।
২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।
২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৫. চাহিদা-ভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’—এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’-এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।
২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
পরবর্তীতে যথাসময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই রূপরেখা ঘোষণা করেন। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
রূপরেখা ঘোষণা ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি খন্দকার মোশাররফ বা দলের অন্য কোনো নেতা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও নিতাই রায় চৌধুরী ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানও সেখানে ছিলেন।
বিএনপি ছাড়াও গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকিসহ সমমনা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা-
১. একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।
২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইন বো’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য একটি ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে।
৩. একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।
৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ সংশোধন করা হবে।
৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে।
১১. একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।
১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।
১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে।
১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।
১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।
২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।
২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।
২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।
২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৫. চাহিদা-ভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’—এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’-এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।
২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
পরবর্তীতে যথাসময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ‘রেইনবো ন্যাশন’ প্রতিষ্ঠা ও ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তনসহ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই রূপরেখা ঘোষণা করেন। এতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনার বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
রূপরেখা ঘোষণা ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে কোনো বক্তব্য দেননি খন্দকার মোশাররফ বা দলের অন্য কোনো নেতা। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নও গ্রহণ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দীন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও নিতাই রায় চৌধুরী ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খানও সেখানে ছিলেন।
বিএনপি ছাড়াও গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকিসহ সমমনা দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা-
১. একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল অযৌক্তিক, বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনসমূহ রহিত/সংশোধন করা হবে।
২. প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ‘রেইন বো’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ জন্য একটি ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে।
৩. একটি ‘নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
৪. রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে।
৫. পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
৬. বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘উচ্চ কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা’ প্রবর্তন করা হবে।
৭. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
৮. বর্তমান ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ সংশোধন করা হবে।
৯. সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান পুনঃগঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ডেটিং সাপেক্ষে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
১০. বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচারব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে।
১১. একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন পুনঃগঠন করা হবে। ১২. মিডিয়ার সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৩. দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।
১৪. সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইউনিভার্সাল হিউম্যান রাইটস চার্টার অনুযায়ী মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।
১৫. বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।
১৬. ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’—এই মূলনীতির ভিত্তিতে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম পালনের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবেন।
১৭. মুদ্রাস্ফীতির আলোকে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হবে।
১৮. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ খাতে দায়মুক্তি আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে।
১৯. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মধ্যে কোনো প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতা বরদাশত করা হবে না এবং কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা আশ্রয়-প্রশ্রয় পাবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে রাজনৈতিক ঢাল বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এবং সন্ত্রাসবাদের তকমা লাগিয়ে ভিন্নমতের বিরোধী শক্তি এবং রাজনৈতিক বিরোধী দল দমনের অপতৎপরতা বন্ধ করা হলে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা সম্ভব হবে।
২০. দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সর্বোচ্চ দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত করে গড়ে তোলা হবে।
২১. ক্ষমতার ব্যাপক বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে।
২২. রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাঁদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
২৩. যুবসমাজের ভিশন, চিন্তা ও আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব-উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি বিবেচনা করা হবে।
২৪. নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। জাতীয় সংসদে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৫. চাহিদা-ভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২৬. ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’—এই নীতির ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’-এর আদলে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করা হবে।
২৭. কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে।
পরবর্তীতে যথাসময়ে অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকাশ করা হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা একটি সংকটজনক সময় পার করছি। আমাদের ভলান্টিয়ার ও সেন্টার ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হসপিটাল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমতাবস্থায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ, খুব শীগ্রই আমরা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।’
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠে। এর কার্যক্রম রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘এই মুহূর্তে আমরা একটি সংকটজনক সময় পার করছি। আমাদের ভলান্টিয়ার ও সেন্টার ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা হসপিটাল এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ব্যস্ত সময় পার করছে। এমতাবস্থায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হতে পারে এই আশঙ্কায় আগামী এক সপ্তাহের জন্য সেন্টারের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।’
পোস্টে আরও লেখা হয়, ‘আমরা আপনাদের কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ, খুব শীগ্রই আমরা এই সংকটাপন্ন মুহূর্ত কাটিয়ে উঠতে পারবো এবং ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম যথানিয়মে পরিচালিত হবে।’
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম, যা গত জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর গড়ে ওঠে। এর কার্যক্রম রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফা সংবলিত এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
১৯ ডিসেম্বর ২০২২
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ ছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর ভিপির চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
আজ ফেসবুক পোস্টে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ দুপুরে বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরটিভির লোগো ব্যবহার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয় এবং এ ছাড়াও শরিফ ওসমান হাদিকে আক্রমণকারী একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডাকসুর ভিপির চা খাওয়ার দৃশ্যটিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ দুইটি বিষয় ছিল ভিত্তিহীন এবং এআই জেনারেটেড।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ফ্যাক্ট চেক না করে উল্লিখিত বিষয় দুটি নিয়ে আজ দুপুরে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সভায় বক্তব্য রাখি। এই অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
আজ ফেসবুক পোস্টে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম। তিনি পোস্টে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে আজকে বিএনপির সমাবেশে জনাব রুহুল কবির রিজভী প্রদত্ত বক্তব্যে ভুয়া ছবি নির্ভর যে মিথ্যা অভিযোগ (আমার সাথে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন দাবিতে) তুলেছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভী নিজেকে অপতথ্য ছড়ানোর অপরাধ থেকে দায়মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
এর আগে, আজ দুপুরে বিএনপির সমাবেশে রুহুল কবির রিজভীর বলেছেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলায় শনাক্ত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি সাদিক কায়েম এর সঙ্গে একই টেবিলে চা খাচ্ছেন, এর বিচার কে করবে?’
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফা সংবলিত এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
১৯ ডিসেম্বর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস”। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সকল শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি, স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দুটি দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। তারা জানায়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
বিবৃতিতে জামায়াত আমির বলেন, ‘“১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস” এবং ১৬ ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস”। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ এই দুটি দিন। জাতির ইতিহাসে দিবস দুটি আত্মত্যাগ, সংগ্রাম ও গৌরবের চিরন্তন স্মারক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁরা নিজেদের অমূল্য জীবন উৎসর্গ করেছেন—সেই সকল শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাঁদের সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে যাঁরা দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমরা গভীর সম্মান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি সকল শহীদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’
জামায়াত আমির বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদী সরকারের কবল থেকে মুক্ত হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের অপশাসন, জুলুম-নির্যাতন ও গুম-খুনের নিষ্ঠুর অভিশাপ থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে এবং শান্তি, স্বস্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশা করছে। একই সঙ্গে দেশ ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিপরীত পক্ষে ফ্যাসিবাদের দেশি-বিদেশি দোসররা এখনো থেমে নেই মন্তব্য করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারই জ্বলন্ত প্রমাণ ১২ ডিসেম্বর শরিফ ওসমান হাদির ওপর ন্যক্কারজনক হামলা। এই প্রেক্ষাপটে দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
এই দুটি দিবস উপলক্ষে এরই মধ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। তারা জানায়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর, রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন হলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে যুব ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফা সংবলিত এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
১৯ ডিসেম্বর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার...
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী ‘সত্য হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বলেছিলাম–নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা–এই সবকিছু নিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি যা বলেছিলাম তা সত্যি হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।’
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, তত সামনে এগিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শুক্রবার) একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লোটার অবশ্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্যপ্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপি প্রণীত পরিকল্পনা এবং এসবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত তুলে ধরেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি কী পেলাম–এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতিরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন, আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এর জন্য যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজের করা ভবিষ্যদ্বাণী ‘সত্য হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বলেছিলাম–নির্বাচন অত সহজ হবে না, ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গত কয়েকদিনের ঘটনা, গতকালকের ঘটনা, চট্টগ্রামে আমাদের প্রার্থীর ওপরে গুলিবর্ষণের ঘটনা–এই সবকিছু নিয়েই প্রমাণিত হচ্ছে, আমি যা বলেছিলাম তা সত্যি হচ্ছে আস্তে আস্তে।’
রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মতভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে নিয়ে না আসি, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই, এই দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেকবার এই দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়েছে। প্রত্যেকবার আপনারা–কখনো শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে, কখনো দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে–আস্তে আস্তে সেই খাদের কিনারা থেকে দেশকে আবার বের করে নিয়ে এসেছেন।’
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিভিন্ন সূত্রের খবর বলছে, এই ষড়যন্ত্রগুলো আরও খারাপও হতে পারে। আমাদের ভয় পেলে চলবে না। মানুষকে সাহস দিতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা যত ঐক্যবদ্ধ হব, তত সামনে এগিয়ে যাব। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। এই পরিস্থিতি যত আমরা তৈরি করব, ষড়যন্ত্রকারীরা তত পিছু হটতে বাধ্য হবে।’
চট্টগ্রামে ও ঢাকায় দুই প্রার্থীর ওপর গুলিবর্ষনের ঘটনা সম্পর্কে তারেক বলেন, চট্টগ্রামে একটা ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (শুক্রবার) একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা দিয়ে কেউ কোনো ফায়দা লোটার অবশ্যই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
খাল খনন, স্বাস্থ্য কার্ড, কৃষক কার্ড, ফ্যামিলি কার্ড, শিক্ষা ব্যবস্থা, বেকার সমস্যা, তথ্যপ্রযুক্তি, বায়ু ও পানি দূষণ রোধ প্রভৃতি বিষয়ে বিএনপি প্রণীত পরিকল্পনা এবং এসবের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিস্তারিত তুলে ধরেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি কী পেলাম–এটা বাদ দিতে হবে। সময় এসেছে, আমি দেশ এবং জাতির জন্য কতটুকু করতে পারলাম। আজকে আপনি যদি দেশ এবং জাতির জন্য কিছু করেন, তাহলে আগামী দিনে আপনার সন্তান, আপনার নাতিপুতিরা ভালো থাকবে। আপনার ভবিষ্যৎ বংশধর ভালো থাকবে। আসুন, আমাদের লক্ষ্য হোক দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এর জন্য যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। দয়া করে আসুন, এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এই যুদ্ধে জেতার সবচেয়ে বড় সহযোগী কে? বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফা সংবলিত এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
১৯ ডিসেম্বর ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তাঁর পরিচালিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
অনিচ্ছাকৃত ভুল বক্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ এবং ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে