ইশতিয়াক হাসান

একটি শহরের জনসংখ্যা কত হতে পারে? আর যা-ই হোক, আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো শহরে কেবল একজন মানুষ বাস করেন। আশ্চর্যজনক হলেও মার্কিন মুল্লুকের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর মনোওয়ির জনসংখ্যা এক।
দক্ষিণ ডাকোটার সীমান্ত থেকে মাইল পাঁচেক দূরে নেব্রাস্কার উত্তর সীমায় শহরটির অবস্থান। ঘাসে ঢাকা প্রেইরি অঞ্চল ও সোনালি গমের খেতের মাঝখান দিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে চলে গেছে ধুলোময় এক পাকা সড়ক। এটি ধরেই একসময় পৌঁছে যাবেন মনোওয়িতে। এখানকার একটু উঁচু দেখে খড়ের গাড়ায় উঠে পড়লেই গোটা শহরটি আপনার নজরে চলে আসবে। তারপর শহরের রাস্তাটি ধরে একটু হাঁটতেই হয়তো বৃদ্ধ এক নারী আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। কিংবা মনোওয়ির একমাত্র সরাইখানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা হবে আপনার। জানবেন তাঁর নাম এলসি এইলার। মনোওয়ির একমাত্র বাসিন্দা তিনি।
২০০৪ সাল থেকে...
২০০৪ সালে এলসি এইলারের স্বামী রুডি মারা গিয়ে শুধু যে সরাইখানার দায়িত্ব এলসির কাঁধে চাপিয়ে দিলেন তা-ই না, গোটা শহরেরই ভার চলে এল তাঁর ওপর। একা হাতেই এখনো গোটা শহরটাই সামলাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এটিই একমাত্র শহর, যার জনসংখ্যা এক। আর শহরের মেয়র, ক্লার্ক, বারটেন্ডার, গ্রন্থাগারিক, দোকানি—সবকিছুই ৮৮ বছরের এই নারী।

ভূতুড়ে শহরের মেয়র
প্রতি বছর মনোওয়ির একমাত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মানে তাঁর সরাইখানায় এইলর মেয়র নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বোর্ড ঝুলিয়ে দেন। তারপর ভোটের আয়োজন করেন নিজেকে মেয়র নির্বাচিত করার জন্য। একটি পৌর পরিকল্পনাও তৈরি করতে হয় তাঁকে সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য। শহরের বাতি তিনটি জ্বলা ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ফিবছর ৫০০ ডলারও (আমাদের হিসাবে ৫০ হাজার টাকা) জোগাড় করতে হয় তাঁকে। শহরের খালি ভবনগুলোর খোঁজ-খবরও রাখতে হয় এলসিকে। যদি কেউ পুরোনো দালানগুলোর কোনো একটিতে উঠতে এবং শহরের অধিবাসীর সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চান, সে জন্য তো প্রস্তুত থাকতে হবে তাঁকে!
মনোওয়ির স্বর্ণযুগ
১৯৩০-এর দশকে এলকহর্ন রেল রোডের একটি ব্যস্ত স্টেশন ছিল মনোওয়ি। তখন ১৫০ জন মানুষের বাস ছিল ছোট্ট শহরটিতে। ছিল কিছু মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ, এমনকি একটি জেলখানাও। শহর থেকে পোয়া মাইল দূরে একটি খামারে বেড়ে ওঠেন এলসি এইলার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনোওয়ির এক কামরার স্কুলভবনে রুডি এইলারের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। দুজন বাসে চেপে সাত মাইল দূরে অবস্থিত সবচেয়ে কাছের মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও যেতেন একসঙ্গেই। রুডি মার্কিন এয়ারফোর্সে যোগ দিয়ে যখন কোরীয় যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন, এইলার তখন ক্যানসাসে একটা চাকরি করছেন। তবে সব সময়ই মনোওয়িই ছিল এলসি এইলারের বাড়ি। ফিরে এসে ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করলেন রুডিকে। তারপর দম্পতির ঘরে জন্ম নিল দুই সন্তান। তাদের লালন-পালন করতে লাগলেন এলসি এইলার। রুডি এ সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল এইলারের বাবার পরিত্যক্ত সরাইখানাটি চালু করার। ১৯৭১ সালে স্বামী-স্ত্রী মিলে আবার দোর খুললেন সরাইখানার।
খালি হয়ে যাচ্ছে শহর
রুডি-এলসি এইলারের সরাইখানা মনোওয়ি টাভের্ন যখন পুনরায় চালু হলো, ততদিনে শহরটি মরতে শুরু করেছে। খামারগুলোর তখন দৈন দশা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এমনিতেও এদিককার বিশাল সমতল অঞ্চলের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছিল। ফলে মনোওয়িসহ আশপাশের শহরগুলোর বাসিন্দারা বিপুল হারে এলাকা ছাড়ছিলেন।
মনোওয়ির কাঠের গির্জায় শেষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটি হয় এইলারের বাবার। সেটি ১৯৬০ সালে। ১৯৬৭-৭০ সালের মধ্যে শেষ তিনটি মুদি দোকান ও ডাকঘর বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয় স্কুলটি। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি কাজের সন্ধানে রুডি-এইলারের দুই সন্তান শহর ছাড়ে। ১৯৮০ সালে শহরের জনসংখ্যা নামে ১৮তে। বিশ বছর পর মানে ২০০০ সালের দিকে শহরের বাসিন্দা বলতে থাকেন কেবল দুজন রুডি ও এলসি এইলার। তাঁরা তখনো সরাইখানাটা চালু রেখেছেন। বর্তমানে নেব্রাস্কার বয়েড কাউন্টির যে তিনটি শহরের জনসংখ্যা কম, তার একটি মনোওয়ি।

আসলে একা নন
শহরে একা বাস করলেও একাকিত্ব গ্রাস করতে পারে না ৮৮ বছরেই এ নারীকে। সোমবার ছুটি কাটান তিনি। বাকি ছয় দিন নিয়ম করে সকাল ৯টার দিকে নিজের ট্রেইলারটি (স্থান পরিবর্তন করা যায় এমন ঘর) থেকে বের হয়ে সরাইখানায় গিয়ে বার খোলেন। তারপর তাঁর নিয়মিত ক্রেতারা আসতে শুরু করেন। বেশির ভাগের বাস ২০-৩০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে, বহু বছর ধরে যাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তবে ২০০ মাইল দূরের লিংকন কিংবা ওমাহা থেকেও কেউ কেউ আসেন সরাইখানায় তাঁকে সঙ্গ দিতে। এটি বড় একটি পরিবারের মতো। চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্মেরে ক্রেতারাও আসেন। যাদের শিশু অবস্থায় দেখেছি তাঁরা নিজেদের বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আসছে দেখে খুব আনন্দ হয়। তাঁকে দেখতে আসা পরিচিতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে এভাবেই হেসে উত্তর দেন এইলার।
সরাইখানায় একটি হ্যাম বার্গারের দাম সাড়ে তিন ডলার (প্রায় ৩৭০ টাকা), হট ডগ সোয়া ডলার (১৩০ টাকা)। আর এখানে আড্ডায় প্রিয় ক্রেতাদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটে এইলারের। ২০২১ সালে বন্ধুদের সঙ্গে সরাইখানার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেন তিনি।

২০০৫ থেকে...
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বন্ধুদের একজন ছিলেন আলোকচিত্র এলিশা শাকার। ২০০৫ সাল থেকে তিনি এইলার ও তাঁর দৈনন্দিন জীবন-যাপনের বিভিন্ন ছবি তুলে আসছেন। তখন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়ালেখা করছেন। তখন থেকেই ছবি তোলায় আগ্রহ তাঁর। গত ১৭-১৮ বছরে অন্তত এক ডজন বার শহরটিতে এসেছেন তিনি এইলারের সান্নিধ্য পেতে এবং তাঁর ছবি তুলতে। এইলারকে নিয়ে ২০২২ সালের জুনে নিউইয়র্ক টাইমসে লিখেনও তিনি।
পড়ুয়া ছিলেন রুডি
তবে শহরে সরাইখানার পাশাপাশি সাধারণের জন্য আরেকটি দালান আছে, সেটি লাইব্রেরি। রুডি ছিলেন খুব পড়ুয়া মানুষ। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহের বইগুলো দিয়ে একটি পাঠাগার গড়ার। তাঁর মৃত্যুর পর এইলার, তাঁদের সন্তান ও নাতিরা মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন পাঠাগারটির। নাম দেওয়া হয় রুডিজ লাইব্রেরি। এখন পাঠাগারটির চাবি ঝুলতে থাকে সরাইখানায়। যার ইচ্ছা চাবি দিয়ে পাঠাগারের দরজা খুলে ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন পড়ালেখায়।

মায়ার বাঁধন
দুই সন্তানের পাশাপাশি এইলারের আছে পাঁচ নাতি ও দুই পুতি। সবচেয়ে কাছের জনের বাস ৯০ মাইল দূরের নেব্রাস্কার পোনকায়। বাকিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন অ্যারিজোনা থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ডসে।
‘আমি জানি সন্তানদের কাছে কোথাও গিয়ে থাকতে পারি চাইলেই। কিংবা যখন ইচ্ছা বাস করতে পারি তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু তখন আবার নতুন করে বন্ধু তৈরি করতে হবে। যত দিন পর্যন্ত চলাফেরা করতে পারি, এখানেই থাকতে চাই। বয়স হয়ে গেলে আমার মনে হয় অভ্যাসগুলো বদলানো অনেক মুশকিল।’ একা একা মনোওয়িতে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে বলেছিলেন এইলার।

এখন দোর আটকানোর সময়
সরাইখানা খোলার ১২ ঘণ্টা পর আবার মনোওয়িতে অবস্থান করা মানুষের সংখ্যা একে নেমে আসে। এইলার বারে তালা দেন, তারপর পা টেনে টেনে হাঁটতে হাঁটতে ফিরে যান নিজের ট্রেইলারে । বাইরের প্রেইরির ঘাসে যখন বাতাস দোল দিয়ে যায়, এইলার খুলে বসেন রুডির কোনো একটি বই। ১১টার দিকে বিছানায় এলিয়ে দেন শরীর। আগামীকাল বন্ধুদের সঙ্গে কেমন কাটবে ভাবতে ভাবতে একসময় বুজে আসে দুচোখের পাতা।
সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেইজার. কম

একটি শহরের জনসংখ্যা কত হতে পারে? আর যা-ই হোক, আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো শহরে কেবল একজন মানুষ বাস করেন। আশ্চর্যজনক হলেও মার্কিন মুল্লুকের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর মনোওয়ির জনসংখ্যা এক।
দক্ষিণ ডাকোটার সীমান্ত থেকে মাইল পাঁচেক দূরে নেব্রাস্কার উত্তর সীমায় শহরটির অবস্থান। ঘাসে ঢাকা প্রেইরি অঞ্চল ও সোনালি গমের খেতের মাঝখান দিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে চলে গেছে ধুলোময় এক পাকা সড়ক। এটি ধরেই একসময় পৌঁছে যাবেন মনোওয়িতে। এখানকার একটু উঁচু দেখে খড়ের গাড়ায় উঠে পড়লেই গোটা শহরটি আপনার নজরে চলে আসবে। তারপর শহরের রাস্তাটি ধরে একটু হাঁটতেই হয়তো বৃদ্ধ এক নারী আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবেন। কিংবা মনোওয়ির একমাত্র সরাইখানায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা হবে আপনার। জানবেন তাঁর নাম এলসি এইলার। মনোওয়ির একমাত্র বাসিন্দা তিনি।
২০০৪ সাল থেকে...
২০০৪ সালে এলসি এইলারের স্বামী রুডি মারা গিয়ে শুধু যে সরাইখানার দায়িত্ব এলসির কাঁধে চাপিয়ে দিলেন তা-ই না, গোটা শহরেরই ভার চলে এল তাঁর ওপর। একা হাতেই এখনো গোটা শহরটাই সামলাচ্ছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে এটিই একমাত্র শহর, যার জনসংখ্যা এক। আর শহরের মেয়র, ক্লার্ক, বারটেন্ডার, গ্রন্থাগারিক, দোকানি—সবকিছুই ৮৮ বছরের এই নারী।

ভূতুড়ে শহরের মেয়র
প্রতি বছর মনোওয়ির একমাত্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মানে তাঁর সরাইখানায় এইলর মেয়র নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বোর্ড ঝুলিয়ে দেন। তারপর ভোটের আয়োজন করেন নিজেকে মেয়র নির্বাচিত করার জন্য। একটি পৌর পরিকল্পনাও তৈরি করতে হয় তাঁকে সরকারি সহায়তা পাওয়ার জন্য। শহরের বাতি তিনটি জ্বলা ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ফিবছর ৫০০ ডলারও (আমাদের হিসাবে ৫০ হাজার টাকা) জোগাড় করতে হয় তাঁকে। শহরের খালি ভবনগুলোর খোঁজ-খবরও রাখতে হয় এলসিকে। যদি কেউ পুরোনো দালানগুলোর কোনো একটিতে উঠতে এবং শহরের অধিবাসীর সংখ্যা দ্বিগুণ করতে চান, সে জন্য তো প্রস্তুত থাকতে হবে তাঁকে!
মনোওয়ির স্বর্ণযুগ
১৯৩০-এর দশকে এলকহর্ন রেল রোডের একটি ব্যস্ত স্টেশন ছিল মনোওয়ি। তখন ১৫০ জন মানুষের বাস ছিল ছোট্ট শহরটিতে। ছিল কিছু মুদি দোকান, রেস্তোরাঁ, এমনকি একটি জেলখানাও। শহর থেকে পোয়া মাইল দূরে একটি খামারে বেড়ে ওঠেন এলসি এইলার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনোওয়ির এক কামরার স্কুলভবনে রুডি এইলারের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। দুজন বাসে চেপে সাত মাইল দূরে অবস্থিত সবচেয়ে কাছের মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও যেতেন একসঙ্গেই। রুডি মার্কিন এয়ারফোর্সে যোগ দিয়ে যখন কোরীয় যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন, এইলার তখন ক্যানসাসে একটা চাকরি করছেন। তবে সব সময়ই মনোওয়িই ছিল এলসি এইলারের বাড়ি। ফিরে এসে ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করলেন রুডিকে। তারপর দম্পতির ঘরে জন্ম নিল দুই সন্তান। তাদের লালন-পালন করতে লাগলেন এলসি এইলার। রুডি এ সময় বিভিন্ন ধরনের কাজ করেন। তবে তাঁর স্বপ্ন ছিল এইলারের বাবার পরিত্যক্ত সরাইখানাটি চালু করার। ১৯৭১ সালে স্বামী-স্ত্রী মিলে আবার দোর খুললেন সরাইখানার।
খালি হয়ে যাচ্ছে শহর
রুডি-এলসি এইলারের সরাইখানা মনোওয়ি টাভের্ন যখন পুনরায় চালু হলো, ততদিনে শহরটি মরতে শুরু করেছে। খামারগুলোর তখন দৈন দশা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এমনিতেও এদিককার বিশাল সমতল অঞ্চলের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ছিল। ফলে মনোওয়িসহ আশপাশের শহরগুলোর বাসিন্দারা বিপুল হারে এলাকা ছাড়ছিলেন।
মনোওয়ির কাঠের গির্জায় শেষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটি হয় এইলারের বাবার। সেটি ১৯৬০ সালে। ১৯৬৭-৭০ সালের মধ্যে শেষ তিনটি মুদি দোকান ও ডাকঘর বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৪ সালে বন্ধ হয় স্কুলটি। ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি কাজের সন্ধানে রুডি-এইলারের দুই সন্তান শহর ছাড়ে। ১৯৮০ সালে শহরের জনসংখ্যা নামে ১৮তে। বিশ বছর পর মানে ২০০০ সালের দিকে শহরের বাসিন্দা বলতে থাকেন কেবল দুজন রুডি ও এলসি এইলার। তাঁরা তখনো সরাইখানাটা চালু রেখেছেন। বর্তমানে নেব্রাস্কার বয়েড কাউন্টির যে তিনটি শহরের জনসংখ্যা কম, তার একটি মনোওয়ি।

আসলে একা নন
শহরে একা বাস করলেও একাকিত্ব গ্রাস করতে পারে না ৮৮ বছরেই এ নারীকে। সোমবার ছুটি কাটান তিনি। বাকি ছয় দিন নিয়ম করে সকাল ৯টার দিকে নিজের ট্রেইলারটি (স্থান পরিবর্তন করা যায় এমন ঘর) থেকে বের হয়ে সরাইখানায় গিয়ে বার খোলেন। তারপর তাঁর নিয়মিত ক্রেতারা আসতে শুরু করেন। বেশির ভাগের বাস ২০-৩০ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে, বহু বছর ধরে যাদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তবে ২০০ মাইল দূরের লিংকন কিংবা ওমাহা থেকেও কেউ কেউ আসেন সরাইখানায় তাঁকে সঙ্গ দিতে। এটি বড় একটি পরিবারের মতো। চতুর্থ-পঞ্চম প্রজন্মেরে ক্রেতারাও আসেন। যাদের শিশু অবস্থায় দেখেছি তাঁরা নিজেদের বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে আসছে দেখে খুব আনন্দ হয়। তাঁকে দেখতে আসা পরিচিতদের সম্পর্কে জানতে চাইলে এভাবেই হেসে উত্তর দেন এইলার।
সরাইখানায় একটি হ্যাম বার্গারের দাম সাড়ে তিন ডলার (প্রায় ৩৭০ টাকা), হট ডগ সোয়া ডলার (১৩০ টাকা)। আর এখানে আড্ডায় প্রিয় ক্রেতাদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটে এইলারের। ২০২১ সালে বন্ধুদের সঙ্গে সরাইখানার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করেন তিনি।

২০০৫ থেকে...
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত বন্ধুদের একজন ছিলেন আলোকচিত্র এলিশা শাকার। ২০০৫ সাল থেকে তিনি এইলার ও তাঁর দৈনন্দিন জীবন-যাপনের বিভিন্ন ছবি তুলে আসছেন। তখন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়ালেখা করছেন। তখন থেকেই ছবি তোলায় আগ্রহ তাঁর। গত ১৭-১৮ বছরে অন্তত এক ডজন বার শহরটিতে এসেছেন তিনি এইলারের সান্নিধ্য পেতে এবং তাঁর ছবি তুলতে। এইলারকে নিয়ে ২০২২ সালের জুনে নিউইয়র্ক টাইমসে লিখেনও তিনি।
পড়ুয়া ছিলেন রুডি
তবে শহরে সরাইখানার পাশাপাশি সাধারণের জন্য আরেকটি দালান আছে, সেটি লাইব্রেরি। রুডি ছিলেন খুব পড়ুয়া মানুষ। তাঁর শেষ ইচ্ছা ছিল ব্যক্তিগত সংগ্রহের বইগুলো দিয়ে একটি পাঠাগার গড়ার। তাঁর মৃত্যুর পর এইলার, তাঁদের সন্তান ও নাতিরা মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন পাঠাগারটির। নাম দেওয়া হয় রুডিজ লাইব্রেরি। এখন পাঠাগারটির চাবি ঝুলতে থাকে সরাইখানায়। যার ইচ্ছা চাবি দিয়ে পাঠাগারের দরজা খুলে ব্যস্ত হয়ে পড়তে পারেন পড়ালেখায়।

মায়ার বাঁধন
দুই সন্তানের পাশাপাশি এইলারের আছে পাঁচ নাতি ও দুই পুতি। সবচেয়ে কাছের জনের বাস ৯০ মাইল দূরের নেব্রাস্কার পোনকায়। বাকিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন অ্যারিজোনা থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ডসে।
‘আমি জানি সন্তানদের কাছে কোথাও গিয়ে থাকতে পারি চাইলেই। কিংবা যখন ইচ্ছা বাস করতে পারি তাঁদের সঙ্গে। কিন্তু তখন আবার নতুন করে বন্ধু তৈরি করতে হবে। যত দিন পর্যন্ত চলাফেরা করতে পারি, এখানেই থাকতে চাই। বয়স হয়ে গেলে আমার মনে হয় অভ্যাসগুলো বদলানো অনেক মুশকিল।’ একা একা মনোওয়িতে পড়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে বলেছিলেন এইলার।

এখন দোর আটকানোর সময়
সরাইখানা খোলার ১২ ঘণ্টা পর আবার মনোওয়িতে অবস্থান করা মানুষের সংখ্যা একে নেমে আসে। এইলার বারে তালা দেন, তারপর পা টেনে টেনে হাঁটতে হাঁটতে ফিরে যান নিজের ট্রেইলারে । বাইরের প্রেইরির ঘাসে যখন বাতাস দোল দিয়ে যায়, এইলার খুলে বসেন রুডির কোনো একটি বই। ১১টার দিকে বিছানায় এলিয়ে দেন শরীর। আগামীকাল বন্ধুদের সঙ্গে কেমন কাটবে ভাবতে ভাবতে একসময় বুজে আসে দুচোখের পাতা।
সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেইজার. কম

ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
২ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৮ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

সাধারণত অস্থায়ী পেশা হিসেবে ফুড ডেলিভারির চাকরি অনেকেই করেন। কেউ আবার মূল চাকরির ফাঁকে ফুড ডেলিভারি দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। কিন্তু এ কাজ করেও যে লাখ টাকার মালিক হওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিলেন চীনের সাংহাই শহরের ঝাং শুয়েচিয়াং নামের এক তরুণ।
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
ব্যর্থ ব্যবসা, তারপর নতুন শুরু
ঝাংয়ের বাড়ি ফুজিয়ান প্রদেশের ঝাংঝো শহরে। ২০১৯ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন নিয়ে তিনি একটি নাশতার দোকান চালু করেন। শুরুতে কিছুটা আশাব্যঞ্জক হলেও কয়েক মাসের মধ্যেই ব্যবসার অবস্থা হয়ে যায় টালমাটাল। লোকসান দিন দিন বাড়তে থাকে, ক্রেতা কমে যায় এবং প্রতিদিনের খরচ টানতে গিয়ে তিনি চাপের মুখে পড়েন। শেষ পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ করতে বাধ্য হন এবং তাঁর কাঁধে চাপে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ানের ঋণ।

এ ব্যর্থতা তরুণ ঝাংকে মানসিকভাবে দমিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি পরিবারকে বিষয়টি বুঝতে দিতে চাননি। তাই সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে একাই রওনা দেন সাংহাইয়ের পথে। বড় শহরে গিয়ে নতুন করে শুরু করার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সহজ ছিল না। তবুও লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শোধ করা, আবার উঠে দাঁড়ানোর মতো মূলধন জোগাড় করা এবং নিজের জন্য একটি নতুন পথ তৈরি করা।
১৪ ঘণ্টার কর্মদিবস এবং অবিশ্বাস্য পরিশ্রম
সাংহাইয়ের মিনহাং জেলায় উঝং রোডের একটি ডেলিভারি স্টেশনে তিনি কাজ শুরু করেন। সকাল ১০টা ৪০ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বৃষ্টি, ঠান্ডা কিংবা গরম—সব পরিস্থিতিতেই তিনি মাঠে থাকেন ডেলিভারির কাজে। সবার আগে অর্ডার ধরতে এবং দ্রুত ডেলিভারি দিতে তিনি সব সময় ছুটে চলেন। ডেলিভারি স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ান বলেন, ‘ছেলেটা খুব কম কথা বলে, কিন্তু কাজ করে অবিশ্বাস্য পরিশ্রম দিয়ে। প্রতিদিনই দেখি সে সময় বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে।’
কাজের দক্ষতার কারণে সহকর্মীরা তাঁকে ডাকেন ‘অর্ডারের রাজা’ নামে। টানা দীর্ঘ শিফটের পরও তিনি প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুম নিশ্চিত করেন, যাতে পরদিন আবার পুরো শক্তিতে কাজ করতে পারেন।
কঠোর মিতব্যয়িতা
ঝাংয়ের সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় রহস্য তাঁর মিতব্যয়ী জীবনযাপন। প্রয়োজন ছাড়া তিনি কোনো খরচ করেন না। বাইরে খাওয়া, বিনোদন, ভ্রমণ—কোনো কিছুতেই ব্যয় করেন না তিনি। এমনকি চন্দ্র নববর্ষেও তিনি বাড়ি যান না। তখন শহরে থেকে উচ্চমূল্যের অর্ডার ডেলিভারি করেন। এই কঠোর জীবনযাপন ও পরিশ্রম মিলিয়ে পাঁচ বছরে তাঁর মোট আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৪ লাখ ইউয়ান। প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় হয় ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান।
ঝাং জানান, তাঁর পরিবার এখনো জানে না যে তিনি ঋণ শোধ করে বড় অঙ্কের সঞ্চয় করেছেন। তিনি বলেন, ‘একবার ব্যর্থ হয়েছি বলে থেমে থাকব না। ভবিষ্যতে আবার ব্যবসা শুরু করার পুঁজি হিসেবেই এ টাকা জমাচ্ছি।’
চীনের তরুণদের নতুন পেশা হিসেবে ডেলিভারি
অর্থনৈতিক ধাক্কা ও চাকরির বাজারের পরিবর্তনের মধ্যে চীনে ডেলিভারি পেশা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম ঝাওপিনের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশটিতে ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিধারীর হার দুই বছরে ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশে। আয়ও অনেক অফিসকর্মীর চেয়ে বেশি। বেইজিং বা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরে যেখানে সাধারণ একজন অফিসকর্মী মাসে গড়ে আয় করেন ৬ হাজার ইউয়ান, সেখানে ডেলিভারি ড্রাইভারদের গড় আয় মাসে ৭ হাজার ৩৫০ ইউয়ান পর্যন্ত। ব্যস্ত দিনে ঝাংয়ের মতো পরিশ্রমী ডেলিভারি কর্মীরা দিনে হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারেন।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

একটি শহরের জনসংখ্যা কত হতে পারে? আর যা-ই হোক আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো শহরে কেবল একজন মানুষ বাস করেন। আশ্চর্যজনক হলেও মার্কিন মুল্লুকের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর মনোওয়ির জনসংখ্যা এক।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
২ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডের টুলি এয়ারপোর্টের আকাশে ১৭ জন প্যারাস্যুটার একটি ‘সিক্সটিন-ওয়ে ফরমেশন জাম্পে’ অংশ নিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথমজন যখন বিমান থেকে বের হচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাঁর রিজার্ভ প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেলটি বিমানের উইং ফ্ল্যাপে আটকে যায়। এর ফলে মুহূর্তের মধ্যেই রিজার্ভ প্যারাস্যুট খুলে যায় এবং বাতাসের হঠাৎ টানে পেছনের দিকে ছিটকে গিয়ে বিমানের ডানায় ধাক্কা খান এবং আটকে যান ওই স্কাইডাইভার। এতে বিমানের ডানায় ও স্ট্যাবিলাইজারে গুরুতর ক্ষতি হয়।
প্যারাস্যুটের দড়ি স্ট্যাবিলাইজারের চারপাশে পেঁচিয়ে যাওয়ায় স্কাইডাইভার ঝুলন্ত অবস্থায় অচল হয়ে পড়েন। অন্য প্যারাস্যুটারেরা জাম্প সম্পন্ন করলেও দুজন দরজায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি দেখছিলেন। ঝুলে থাকা প্যারাস্যুটার জীবন বাঁচাতে তাঁর হুক নাইফ বের করে রিজার্ভ প্যারাস্যুটের ১১টি লাইন কেটে নিজেকে মুক্ত করেন। এরপর তিনি মূল প্যারাস্যুট খুলতে সক্ষম হন, যদিও রিজার্ভ প্যারাস্যুটের কিছু লাইন তখনো তাঁকে জড়িয়ে ছিল।
এদিকে পাইলট হঠাৎ বিমানটিকে ওপরের দিকে ঢলে যেতে এবং গতি কমে যেতে দেখে প্রথমে ভেবেছিলেন বিমানটিতে ত্রুটি হয়েছে। পরে তাঁকে জানানো হয়, একজন স্কাইডাইভার বিমানের পেছনে ডানায় ঝুলে আছেন। এ অবস্থায় পাইলট জরুরি ‘মে ডে’ বার্তা পাঠান এবং প্রয়োজনে নিজেও বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
অবশেষে ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় এসে পাইলট বুঝতে পারেন, বিমানটি তাঁর নিয়ন্ত্রণেই আছে। ছোট-খাটো আঘাত নিয়ে নিরাপদেই অবতরণ করেন ওই স্কাইডাইভার এবং পাইলটও ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে নিরাপদে অবতরণ করাতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার পর স্কাইডাইভারদের প্রতি এক সতর্কবার্তায় ‘অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো’ বলেছে—বিমানের দরজার কাছে প্যারাস্যুটের হ্যান্ডেল সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হতে হবে এবং জরুরি অবস্থার জন্য হুক নাইফ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। ব্যুরো আরও জানিয়েছে, বিমানের ওজন ও ভারসাম্য নির্ণয় স্কাইডাইভিং অভিযানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অতীতে এসব কারণে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে।

একটি শহরের জনসংখ্যা কত হতে পারে? আর যা-ই হোক আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো শহরে কেবল একজন মানুষ বাস করেন। আশ্চর্যজনক হলেও মার্কিন মুল্লুকের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর মনোওয়ির জনসংখ্যা এক।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
১ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
২ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৮ দিন আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

নিয়ম শৃঙ্খলা বড়ই আজব জিনিস। যেমন, সময় মতো অফিসে উপস্থিত হওয়া নিয়মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সময়ের আগে যদি নিয়মিত নিয়ম নেমে অফিস করতে শুরু করেন, আর তাতে যদি অফিস আপত্তি জানায়, সেটা আবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের মধ্যে পড়তে পারবে! অন্তত স্পেনের একটি আদালত তাই বলছেন। নির্দিষ্ট সময়ে বা আগে অফিসে উপস্থিত হয়ে চাকরি হারিয়েছেন সে দেশের এক নারী কর্মী! চাকরি ফিরে পেতে তিনি গিয়েছিলেন আদালতে। আদালত জানিয়েছেন, তিনিই আসলে দোষ করেছেন!
স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে, এই আচরণ বরং কাজের প্রবাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিল।
চাকরিচ্যুত হওয়ার পর সেই নারী আদালতে মামলা করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে সময়ের আগে অফিসে হাজিরা দেওয়ার এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রি করার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে। তিনি এই বরখাস্তের বিরুদ্ধে ভ্যালেন্সিয়ার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আদালতে তাঁর যুক্তি, অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে আগে আসা প্রমাণসাপেক্ষ না হওয়ায় গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। ফলে প্রাথমিকভাবে বরখাস্তের রায় শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ধরা হয়েছে।
নিয়মিত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে অফিসে পৌঁছানো
নারী কর্মীর চাকরির চুক্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল, তাঁর কর্মঘণ্টা শুরু হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু তিনি প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগে, অর্থাৎ সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে অফিসে পৌঁছাতেন। এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে। এতে তাঁর সুপারভাইজারদের মধ্যে ধীরে ধীরে বিরক্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টি হতে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে সতর্ক করার জন্য একাধিকবার মৌখিকভাবে এবং লিখিত নোটিশ জারি করে। নোটিশে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, কর্মীকে অবশ্যই চুক্তিভিত্তিক সময় মেনে অফিসে উপস্থিত হতে হবে। তবে এসব সতর্কতা উপেক্ষা করে তিনি আগেভাগে অফিসে আসা চালিয়ে যান, যা কর্মক্ষেত্রে নিয়ম মেনে চলার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়।
সতর্কতার পরও অভ্যাস না বদলানো
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সতর্কতা অগ্রাহ্য করে তিনি আরও ১৯ বার সময়ের আগে অফিসে এসে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি তিনি ডিউটি শুরুর আগেই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা অ্যাপ্লিকেশনে লগইন করতেও উদ্যোগ নেন, যা প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম বিরোধী।
প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ
আদালতে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তি দিয়েছে, আগেভাগে আসাকে ইতিবাচক মনে হলেও বাস্তবে তা দলগত কাজে কোনো সুফল আনছিল না। প্রতিষ্ঠানটি জানায়—
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে আগাম কাজ শুরুর চেষ্টা দলগত সহযোগিতা ব্যাহত করছিল।
কর্মীর যুক্তি আদালতে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি
কর্মী দাবি করেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে তাঁর বেশি সময় প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতে এই দাবি প্রমাণ করার মতো কোনো নথি তিনি দিতে পারেননি। সময়ের আগে অফিসে আসার বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে অফিসের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত একটি গাড়ি বিক্রি করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিচারকের সিদ্ধান্ত
বিচারক রায়ে বলেন, কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য, নিয়মভঙ্গ এবং একই আচরণ বারবার পুনরাবৃত্তি স্প্যানিশ শ্রম আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা আইনসম্মত।
শ্রম আইন বিশেষজ্ঞ আলবের্তো পায়া মন্তব্য করেন, এই রায় প্রমাণ করে, কর্মক্ষেত্রে আস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নীতিমালা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্ক
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্প্যানিশ সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘দেরি করলে শাস্তি, আগে এলে বরখাস্ত। তাহলে কর্মীর মূল্যায়ন কোথায়!’ অন্যদিকে কেউ কেউ প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলছেন, নির্ধারিত নিয়ম ভাঙা কোনোভাবেই প্রশংসনীয় নয়।
সূত্র: ভিএন এক্সপ্রেস

একটি শহরের জনসংখ্যা কত হতে পারে? আর যা-ই হোক আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো শহরে কেবল একজন মানুষ বাস করেন। আশ্চর্যজনক হলেও মার্কিন মুল্লুকের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর মনোওয়ির জনসংখ্যা এক।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

একটি শহরের জনসংখ্যা কত হতে পারে? আর যা-ই হোক আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না কোনো শহরে কেবল একজন মানুষ বাস করেন। আশ্চর্যজনক হলেও মার্কিন মুল্লুকের নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ছোট্ট এক শহর মনোওয়ির জনসংখ্যা এক।
১৫ জানুয়ারি ২০২৩
ফুড ডেলিভারি করতে করতে মাত্র পাঁচ বছরে ১১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান সঞ্চয় করেছেন তিনি, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার সমান। প্রতিদিন গড়ে ১৪ ঘণ্টা কাজ আর কঠোর মিতব্যয়িতাই তাঁকে লাখপতি বানিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
১ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ার ফার নর্থ কুইন্সল্যান্ডে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঘটে বিস্ময়কর সেই দুর্ঘটনাটি। সেদিন প্রায় ৪ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন এক স্কাইডাইভার। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ঘটনাটির বিস্তারিত উঠে এসেছে।
২ দিন আগে
সময়ের আগে অফিসে গিয়ে চাকরি হারিয়েছেন কোনো কর্মী! এমন ঘটনা শুনেছেন কখনো? এবার সে রকমই ঘটনা ঘটেছে স্পেনের আলিকান্তে অঞ্চলের একটি লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। সে প্রতিষ্ঠানের ২২ বছর বয়সী এক নারী কর্মীর চাকরিচ্যুতি দেশটিতে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কারণ, তিনি নিয়মিত নির্ধারিত সময়ের আগেই অফিসে পৌঁছাতেন।...
২ দিন আগে