
গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
এ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তথ্যচিত্রে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। আর এটি আসলে একটি অপপ্রচার।
২০০২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় বহু মানুষ প্রাণ হারায়। এর মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম। ঘটনার সময় ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী।
দুই পর্বের প্রামাণ্যচিত্রটির প্রথমটি গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে প্রচারিত হয়েছে। দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচার করা হবে আগামী মঙ্গলবার। বিবিসি বলছে, দাঙ্গার ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিবিসি বলেছে, প্রামাণ্যচিত্রে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, তথ্যচিত্রটিতে মোদি প্রশ্নে বস্তুনিষ্ঠতার অভাব রয়েছে। এটি বানানোই হয়েছে অপপ্রচারের জন্য।
প্রামাণ্যচিত্রের প্রথম পর্বটি রাজনীতিতে মোদির প্রথম পদক্ষেপগুলোকে চিহ্নিত করে এগিয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদির উত্থান ঘটে।
প্রামাণ্যচিত্রটিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে পাওয়া অপ্রকাশিত একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার পরে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মোদির পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারান। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়, যাদের বেশির ভাগই মুসলমান। সাতচল্লিশে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সাম্প্রদায়িক সংঘাত এটি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি ‘দায়মুক্তির পরিবেশের’ জন্য ‘সরাসরি দায়ী’, আর তাঁর এ অবস্থানই সহিংসতা উসকে দিয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। সহিংসতার জন্য তাঁর কোনো দায় ছিল—এমন অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেন এবং দাঙ্গার জন্য ক্ষমা চাইতেও রাজি হননি। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি প্যানেলও বলেছিলেন, ওই দাঙ্গায় মোদির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ নেই।
এই প্রামাণ্যচিত্র করার ক্ষেত্রে বিবিসির উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি বলেছেন, ‘এই ধরনের তৎপরতা এবং এর পেছনের এজেন্ডা কী হতে পারে, সেটি আমাদের ভাবাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট অসমর্থিত বয়ানকে তুলে ধরার উদ্দেশে এই অপপ্রচার। এখানে পক্ষপাতিত্ব, বস্তুনিষ্ঠতার অভাব এবং একটি অব্যাহত ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
একটি বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘প্রামাণ্যচিত্রটিতে ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং মুসলিম সংখ্যালঘুদের মধ্যে উত্তেজনার ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং সেই উত্তেজনাগুলোর সঙ্গে মোদির রাজনীতির সম্পর্ক অন্বেষণ করা হয়েছে।’
এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের আগে ‘গভীরভাবে গবেষণা’ করা হয়েছিল। নির্মাণকালে বহু মানুষ, প্রত্যক্ষদর্শী, সাক্ষী এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিজেপির লোকজনের প্রতিক্রিয়াসহ বিভিন্ন মতামতও তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাক স্ট্রর নির্দেশে একটি তদন্তের অংশ ছিল। এতে বলা হয়েছে, ‘দাঙ্গার সময় সহিংসতার ঘটনা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটা এসেছে, প্রকৃত চিত্র ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মারাত্মক’ এবং ‘দাঙ্গার লক্ষ্য ছিল হিন্দু এলাকা থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা’।
‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ ছিল যে পুলিশকে দাঙ্গাস্থল থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং হিন্দু উগ্রপন্থীদের কৌশলে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। এটি ছিল হিন্দু ও মুসলমানদের সুরক্ষার জন্য পুলিশকে তাদের কাজ করতে বাধা দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার একটি বিশেষ উদাহরণ।’ প্রামাণ্যচিত্রে জ্যাক স্ট্রকে এসব বলতে শোনা যায়।
সেই সময়ে ব্রিটিশ সরকার কী পদক্ষেপ নিতে পারত, সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্ট্র বলেন, ‘বিকল্প...সীমিত ছিল, আমরা কখনই ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাইনি। তবে এটা স্পষ্টতই তাঁর (মোদির) খ্যাতির ওপর একটি কালো দাগ।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে সংসদে এমপি ইমরান হুসেন জিজ্ঞাসা করেন, তিনি এই প্রতিবেদনের সঙ্গে একমত কি না যে নরেন্দ্র মোদি সহিংসতার জন্য সরাসরি দায়ী এবং জাতিগত নির্মূলের এই গুরুতর কাণ্ডে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর আরও কী কী জানত?
জবাবে সুনাক বলেন, ‘আমরা কোথাও নিপীড়ন সহ্য করি না।’ তবে নরেন্দ্র মোদিকে যেভাবে চিত্রিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একমত নন।

দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১১ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গাজায় যুদ্ধ চলাকালে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের কারণে বিগত বাইডেন প্রশাসনের সময় দেশটির সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আদান-প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। বিষয়টির সঙ্গে অবগত ছয়জন ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে গাজার ওপর দিয়ে ওড়া মার্কিন ড্রোন থেকে পাওয়া লাইভ ভিডিও সংযোগ সে সময় বিচ্ছিন্ন করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জিম্মি উদ্ধার ও হামাস যোদ্ধাদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলি সরকার এই ভিডিও ব্যবহার করছিল। পাঁচটি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, এই স্থগিতাদেশ অন্তত কয়েক দিন স্থায়ী ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব সূত্রই নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছে রয়টার্সের সঙ্গে।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে বেসামরিক নাগরিক নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে উদ্বেগ তীব্র হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত আসে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে—এমন আশঙ্কার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তিনটি সূত্র বলছে, মার্কিন তথ্য ব্যবহারের বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনে চলবে—এমন পর্যাপ্ত নিশ্চয়তা না দেওয়ায় কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন ছিলেন। মার্কিন আইন অনুযায়ী, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের আগে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবশ্যই এ ধরনের নিশ্চয়তা নিতে হয়।
বাইডেন প্রশাসন গোয়েন্দা তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দেওয়ার নীতি বজায় রাখলেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য আটকে রাখার সিদ্ধান্তটি ছিল সীমিত এবং কৌশলগত।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের লক্ষ্য ছিল এটি নিশ্চিত করা, ইসরায়েল যুদ্ধের আইন মেনেই মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসের সরাসরি আদেশ ছাড়াই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য আদান-প্রদান-সংক্রান্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
অপর একজন জানিয়েছেন, মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনতে চাইলে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে নতুন করে নিশ্চয়তা প্রদানের প্রয়োজন ছিল।
রয়টার্স এসব সিদ্ধান্তের সঠিক তারিখগুলো নির্ধারণ করতে পারেনি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ বিষয়ে জানতেন কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
বাইডেনের একজন মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। চীনা রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আইআরআইবি শুক্রবার জানায়, ওমান উপসাগর থেকে ৬০ লাখ লিটার চোরাচালান করা ডিজেল বহনকারী একটি বিদেশি তেল ট্যাংকার জব্দ করা হয়েছে। ইরানি কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ হুরমুজগান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি মুজতবা গাহরেমানিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, মূল জ্বালানি চোরাচালান চক্র এবং চোরাকারবারিদের মোকাবিলার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাসক বন্দর শহরের কাছাকাছি জলসীমায় ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ট্যাংকারটি বাজেয়াপ্ত করেন।
মুজতবা গাহরেমানি বলেন, জাহাজটির প্রয়োজনীয় সামুদ্রিক নথিপত্র এবং জ্বালানি চালানের ‘বিল অব ল্যাডিং’ ছিল না। তিনি আরও জানান, জাহাজটি সব নেভিগেশন ও দিকনির্দেশনা সহায়ক ব্যবস্থা বন্ধ করে রেখেছিল। তিনি উল্লেখ করেন, ট্যাংকারটিতে ১৮ জন ক্রু ছিলেন এবং তাঁরা ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের নাগরিক।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চলমান তদন্তের অধীনে আটককৃতদের মধ্যে ট্যাংকারটির ক্যাপ্টেনও আছেন। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, ক্রুরা ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সাবেক নাগরিক। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্যাংকারটি একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘থামার নির্দেশ অগ্রাহ্য করা, পালানোর চেষ্টা করা এবং নেভিগেশন ও কার্গোর নথিপত্র না থাকা।’
ব্যাপক ভর্তুকি এবং স্থানীয় মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণে জ্বালানির দাম বিশ্বের সর্বনিম্নগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেখানে স্থলপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং জলপথে উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক হারে জ্বালানি চোরাচালান ঠেকানোর লড়াই চলছে।

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১১ মিনিট আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
বারাকের অভিযোগ, ওয়াশিংটন নাকি এখন আর সরকার বদলানোর মতো নীতি অনুসরণ করছে না। তাঁর কথায়, ইরানের সঙ্গে কোনো অমীমাংসিত বিষয় থাকলে তা মিটমাট করতে হবে এই অঞ্চলের মধ্যেই। তিনি আঞ্চলিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘বাইরের শক্তির নাক গলানো কোনোমতেই কাম্য নয়।’ তাঁর মতে, ‘স্থানীয় সমাধানই যে বেশি স্থায়ী হবে, তা নিয়ে একরকম ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।’
বারাক বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন।’ তিনি আরও যোগ করলেন, ‘তিনি সত্যিকারের আলোচনায় রাজি।’ কিন্তু কোনো অর্থহীন ‘গড়িমসি’ বা সময় কাটানোর খেলায় তিনি নেই, আর ‘তিনি সব জানেন।’ ইরানের জনগণকে উদ্দেশ্য করে বারাক বলেন, ‘ইরানিরা যদি এই (ট্রাম্প) প্রশাসন (পরমাণু) সমৃদ্ধকরণ এবং তাদের প্রক্সিদের অর্থায়ন বন্ধ করা নিয়ে যা বলছে—তা শুনতে চায়, তবে সেটাই একমাত্র পথ।’
বারাক আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের সরকার বদলের কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন না। তার চেয়ে বরং তিনি চান, সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশগুলির নেতৃত্বে আঞ্চলিক উদ্যোগেই সব সমস্যার সমাধান হোক। তাঁর কথায়, মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে প্রস্তুত, যদি ইরানের কর্তৃপক্ষ ‘গুরুত্ব’ এবং গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণের অঙ্গীকার দেখায়।
বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে বারাক দ্য ন্যাশনালকে জানান, ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চান, তবে তেহরানকে সিরিয়াস হতে হবে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট এই ইস্যুর দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছেন। ইরানের ৫০ বছরের দৃষ্টিকোণ রয়েছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট এতই চতুর যে তিনি জানেন, শুধু সংলাপে বসার জন্য তাঁকে উত্ত্যক্ত করা এবং এই অর্থহীন খুনে মদদ দেওয়া চলতে পারে না।’
এর আগে, গত অক্টোবরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি অভিযোগ করেছিলেন, নিউ ইয়র্কে আলোচনায় ওয়াশিংটন বাধা দিচ্ছে এবং ই-৩ ও আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার মূল কারণ মার্কিন কার্যকলাপই। ১ অক্টোবর সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরাঘচি বলেন, মার্কিন ‘বাধার’ জন্যই জাতিসংঘের সাধারণ সভার পার্শ্ব-আলোচনা কোনো বাস্তব ফল দিতে পারেনি।
তিনি নিউ ইয়র্ক সফরের আগে ও পরে ইউরোপীয় আধিকারিক এবং আমেরিকান প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে জোর দিয়ে বলেন, আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইরান প্রয়োজনীয় নমনীয়তা দেখিয়েছিল। তবে, ‘যেমনটা শুরুতেই অনুমান করা গিয়েছিল, আমেরিকানদের অনমনীয়তার জন্য এই পথ আর গড়ায়নি।’

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১১ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

যুক্তরাজ্য সরকারের ‘চরম ও গোপনীয়’ নাগরিকত্ব বাতিল করার ক্ষমতার কারণে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে আছেন দেশটির প্রায় ১ কোটি মুসলিম। যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এই ক্ষমতা তাঁদের জাতীয়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে এক নতুন প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রানীমিড ট্রাস্ট এবং আন্তর্জাতিক আইনজীবীদের সংগঠন রিপ্রিভ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ লাখ, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আওতাধীন এই ক্ষমতার কারণে তাদের নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।
প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, এই ক্ষমতা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত নাগরিকদের ওপর ‘অসমভাবে প্রভাব ফেলছে ও তাদের বিপন্ন করছে।’ উভয় সংগঠনই সতর্ক করে বলছে, এই ‘নাগরিকত্ব-বাতিল ব্যবস্থা’ এখন মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি পদ্ধতিগত হুমকি সৃষ্টি করেছে।
বর্তমান আইনে, সরকার যদি মনে করে যে—একজন ব্রিটিশ নাগরিক অন্য কোনো নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য, তবে তিনি তার জাতীয়তা হারাতে পারেন। এমনকি তিনি সেই দেশে কখনো বাস না করলেও বা সেই পরিচিতি গ্রহণ না করলেও। প্রতিবেদনটি দেখাচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে একটি জাতিগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি করেছে, যেখানে শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের মতো মুসলিমদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব শর্তহীন নয়, বরং তা শর্তসাপেক্ষ। রিপ্রিভের কর্মকর্তা মায়া ফোয়া বলেন, ‘বিগত সরকার রাজনৈতিক ফায়দার জন্য পাচার হয়ে আসা ব্রিটিশদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে, আর বর্তমান সরকার এই চরম ও গোপনীয় ক্ষমতাগুলোকে কেবল বাড়িয়েই চলেছে।’
ফোয়া বলেন, ‘যে ৯০ লাখ মানুষের অধিকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেড়ে নিতে পারেন, তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ববাদী সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’
ফোয়ার উদ্বেগগুলোই যেন প্রতিধ্বনিত হলো রানীমিড ট্রাস্টের শাবানা বেগমের কথায়। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আওতাধীন ক্ষমতায় ‘নাগরিকত্ব বাতিলের একটি শীতল স্রোত’ বইছে এবং তা ব্রিটেনের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অসমভাবে প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘যে আইন কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছিল, ঠিক তার মতোই এই ক্ষমতাগুলো ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হওয়া থেকে রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর বাধা নেই।’
শাবানা বেগম বলেন, ‘নাগরিকত্ব একটি অধিকার, বিশেষ কোনো সুযোগ নয়। অথচ ব্রিটেনের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসা সরকারগুলো ধারাবাহিকভাবে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে দুই-স্তরীয় পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে।’ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোনো মন্তব্য করেনি।
রিপ্রিভ এবং রানীমীডের বিশ্লেষণ দেখাচ্ছে—
প্রতিবেদনটি আরও বলেছে, অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশরা তাদের শ্বেতাঙ্গ সহ–নাগরিকদের তুলনায় ১২ গুণ বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছে যে, নাগরিকত্ব বাতিল—যা একসময় কেবল ব্যতিক্রমী যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হতো—কীভাবে দুই দশকের সন্ত্রাস দমন আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে, ‘জনসাধারণের মঙ্গলের সহায়ক’ কারণ দেখিয়ে ২ শতাধিক মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, যাদের মধ্যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই মুসলিম। ২০২২ সালে, সরকার কোনো ব্যক্তিকে না জানিয়েই তার নাগরিকত্ব বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করে।
এবং ২০২৫ সালের একটি আইন এখন নিশ্চিত করেছে যে, আদালত নাগরিকত্ব বাতিলকে বেআইনি ঘোষণা করলেও, সরকারের আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যা কখনো কখনো বছরখানেক ধরে চলতে পারে) মানুষ তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট আই

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির দায় নিয়েই মূলত এই প্রামাণ্যচিত্র। দাঙ্গা সম্ভব করে তোলার জন্য মোদির সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে এতে।
২০ জানুয়ারি ২০২৩
দুটি সূত্র জানিয়েছে, গাজায় উচ্চপর্যায়ের সামরিক লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করার ক্ষেত্রে ইসরায়েল কীভাবে মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করবে, সে বিষয়েও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। তবে এই সিদ্ধান্ত কখন নেওয়া হয়েছিল, তা তারা নির্দিষ্ট করে জানায়নি।
১১ মিনিট আগে
ওমান উপসাগরে চোরাচালানের ডিজেল বহনকারী একটি ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। ট্যাংকারটি থেকে ১৮ জন ক্রুকেই আটক করেছে তারা। আটককৃত ক্রুদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও আছেন। তবে ঠিক কতজন বাংলাদেশি এই বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন দূত টম বারাক বলেছেন, ওয়াশিংটন বিগত সময়ে দুই দুইবার ইরানে সরকার বদলের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো ফল হাতে আসেনি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া মন্তব্যে বারাক জোর দিয়েই জানান, এমন কৌশল কাঙ্ক্ষিত ফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। তাই এ পথে আর হাঁটা উচিত নয়।
২ ঘণ্টা আগে