ইশতিয়াক হাসান

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আপাতত পর্যটক প্রবেশ বারণ ইনকাদের শহরটিতে। তবে মাচুপিচু নিয়ে লেখাপড়ায় নিশ্চই বাধা নেই।
অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার
১৯১১ সালের ২৪ জুলাই, সকাল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম পেরুর প্রাচীন ইনকা ধ্বংসাবশেষের কিংবদন্তি সত্যি কি না, তা অনুসন্ধানে বের হয়েছেন। তাঁর সঙ্গী দুজন গাইড। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ করে এগোতে হচ্ছে তাঁকে। হামাগুড়ি দিয়ে গাছের গুঁড়ির একটি প্রাকৃতিক সেতু পেরোলেন। তারপর বিষধর পিট ভাইপার সাপেদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এমন একটি ঝোপঝাড়ময় এলাকা অতিক্রম করলেন খুব সাবধানে।
দুই ঘণ্টা হাঁটার পর বিংহ্যাম ও তাঁর সঙ্গীরা এক কুঁড়ের সামনে চলে এলেন। সেখান থেকে স্থানীয় দুজন কৃষক তাঁদের কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক ছেলের দায়িত্বে ছেড়ে দিলেন। আর ওই ছেলের পেছনে পেছনে চলতে চলতে বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে এমন একটি কিছুর খোঁজ পেয়ে গেলেন, যাকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে। ২০০৭ সালে এই আবিষ্কার মানে মাচুপিচুর নাম ওঠে নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।
বিংহ্যাম যার খোঁজ পেলেন, সেটি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল এক পাথরের নগরী। শহরের দালান-কোঠাগুলোতে চুন-সুরকির মিশ্রণ ছাড়া একটার পর একটা পাথর গায়ে গায়ে এভাবে লেগে আছে যে একটি ছুরির ফলা ভেতরে ঢুকবে না। অবাক বিংহ্যাম ভাবলেন, কিন্তু কেন? কারাই বা এটা করল?
পেরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কালচারের একসময়কার পরিচালক ও পেরুভিয়ান বিশেষজ্ঞ লুই লামবরারারস পরে মাচুপিচুকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘প্রাসাদ, মন্দির, বসতঘর, গুদামের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক নগরী হিসেবে; যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় রীতি উদ্যাপন করা হতো।’
মাচুপিচুতে দালান, চত্বর আর চাতালগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সরু লেন বা পথের মাধ্যমে। শহরটির বিভিন্ন অংশ ঘিরে রাখা বেষ্টনী, পরিখা সবকিছু মিলিয়ে একে সামরিক ঘাঁটি মনে হলেও লামবরারারসের ধারণা ছিল এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপনীয় ধর্মীয় আচার পালনের জন্যই।
সেই ‘হারানো শহর’ নয়
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯১৩ সালের এপ্রিল সংখ্যায় বিংহ্যামের আবিষ্কারের কাহিনি ছাপা হয়। সেই সঙ্গে পেরুর পাহাড়রাজ্যের এই আশ্চর্য নগরী পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।
বিংহ্যামের বিশ্বাস ছিল, তিনি ইনকাদের সেই হারানো শহর ভিলকাবামবার খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে শেষ স্বাধীন ইনকা শাসক স্পেনীয় আক্রমণকারীদের সঙ্গে এক বছর মরণপণ লড়াই করেছিলেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী বিংহ্যামের ওই ধারণাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সত্যি হলো, বিংহ্যাম যে নগরী আবিষ্কার করেছেন, সেটি সেই হারানো শহর নয়, বরং নতুন এক হারানো শহর।
১৯৬৪ সালে অভিযাত্রী গেনে সেভয় ওই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তিনি প্রমাণ করেন, মাচুপিচুর পশ্চিমে এসপিরিতো পাম্পা হলো বিংহ্যামের খোঁজ করা সেই হারানো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও ১৯১১ সালের সেই অভিযানের সময় বিংহ্যাম এসপিরিতো পাম্পার সেই ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিলেন। ইনকাদের কিছু পাথরের দেয়াল আর সেতু খুঁজে বেরও করেছিলেন। তবে এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যান মাচুপিচুর দিকে। সেভয় বাকি বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান।

মাচুপিচু তাহলে কী?
সেভয়ের এই আবিষ্কারে একটা নতুন প্রশ্ন চলে এলো সামনে, তাহলে বিংহ্যামের সন্ধান পাওয়া শহরটির পরিচয় কী? স্প্যানিশদের কোনো নথিতে সেভাবে আসেনি মাচুপিচুর কথা। তার মানে, ইনকাদের রাজধানী কাস্কো থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হলেও ইউরোপীয় আক্রমণকারীরা এই নগরের খোঁজই পাননি আদতে। এমনকি এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও নেই কোনো তথ্য।
বিংহ্যাম ধারণা করেন, এখানে ইনকা সাম্রাজ্যের নির্বাচিত নারীদের রাখা হতো, যারা ইনকা রাজা ও তাঁর সভাসদদের সেবা করতেন। তিনি শতাধিক কঙ্কাল পান এলাকাটিতে। তাঁর মতে, এগুলোর ৭৫ শতাংশ নারীর। তবে পরবর্তী গবেষণায় এখানে বাস করা নারী-পুরুষের সংখ্যা মোটামুটি সমান ছিল বলেই প্রমাণ মেলে।

আধুনিক ধারণা
মাচুপিচু নিয়ে জন রো, রিচার্ড বারগার, লুসি সালাজারদের গবেষণায় অনুমান করা হয় ইনকা শাসক পাচাচুটি শহরটি স্থাপন করেন বিশ্রাম নেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে। বারগার যেমন মনে করেন অভিজাতরা যেন শহরে কোলাহল, কর্মব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বানানো হয় শহরটি।
আরেক গবেষক ব্রায়ান বউয়ারের ধারণা, ১৪৫০ সালের দিকে স্থাপন করা হয় শহরটি। এটির আয়তন ইনকা শহর বিবেচনায় বেশ ছোট। আর এখানে সাধারণত ৫০০-৭৫০ জন মানুষ থাকত।
কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, নির্মাণের ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সম্ভবত স্পেনীয়রা এ এলাকায় আগমনের আগেই শহরটির অধিকাংশ অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

মাচুপিচুতে কী দেখবেন
মাচুপিচু শব্দের অর্থ ‘পুরোনো পর্বত’। শহরটির অবস্থান পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার (৭ হাজার ৮৭৫ ফুট) উচ্চতায়। মাচুপিচুতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। প্রতিটি স্থাপনা, জায়গা বা জিনিসের নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ আছে। তবে সবই পুরাতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়। এই নগরীর মধ্যে ১৯৬টির মতো পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আছে মন্দির, ঝরনা, বসতঘরসহ আরও কত কী!
মাচুপিচু ভ্রমণের সময় প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এক দেয়াল দিয়ে আলাদা দুটি অংশ পাবেন। একটি অংশ মূলত কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত এলাকা, অপর অংশকে মূল শহর বলতে পারেন। কৃষি এলাকাটায় বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য ধাপে ধাপে কাটা জমি আর চাতাল চোখে পড়ে। সেখানেই ছোট ছোট কিছু বাড়ি আছে, ধারণা করা হয়, এগুলো কৃষকদের থাকার জায়গা।
অন্য অংশে পাবেন রাজাসহ অভিজাতদের বাড়ি। আছে শহরের বিভিন্ন আচার পালনের মূল কেন্দ্র প্লাজা সাগরাদা। এখানেই পাবেন ইনতিহুয়ানতানা পাথর, একে সূর্যপাথর নামেও চেনে। গ্রুপো দেল কনডর নামে পরিচিত ধর্মীয় আচার পালনের মন্দির এলাকার অবস্থানও এখানে।

আপাতত বন্ধ মাচুপিচুর দুয়ার
মাচুপিচুতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাস্কো শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপবেন কিংবা শুরু করবেন হাঁটা। ট্রেনে চাপলে পৌঁছাবেন এগুয়েস কেলুয়েন্তেস স্টেশনে। এখান বাসের ছোট্ট একটি ভ্রমণই আপনাকে পৌঁছে দেবে ইনকাদের রহস্যময় নগরী মাচুপিচুর কাছে।
তবে আপাতত চাইলে আশ্চর্য সুন্দর জায়গাটিতে যেতে পারবেন না। পেরুর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাচুপিচু ও ইনকা ট্রেইল আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ। কাজেই পরিকল্পনা করতে থাকুন, আপনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে এবং যোগাড়যন্ত্র শেষ করতে করতে আশা করা যায় ইনকা নগরীর দুয়ার খুলে যাবে আবার!
সুত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, পেরু.ট্র্যাভেল, উইকিপিডিয়া

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আপাতত পর্যটক প্রবেশ বারণ ইনকাদের শহরটিতে। তবে মাচুপিচু নিয়ে লেখাপড়ায় নিশ্চই বাধা নেই।
অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার
১৯১১ সালের ২৪ জুলাই, সকাল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম পেরুর প্রাচীন ইনকা ধ্বংসাবশেষের কিংবদন্তি সত্যি কি না, তা অনুসন্ধানে বের হয়েছেন। তাঁর সঙ্গী দুজন গাইড। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ করে এগোতে হচ্ছে তাঁকে। হামাগুড়ি দিয়ে গাছের গুঁড়ির একটি প্রাকৃতিক সেতু পেরোলেন। তারপর বিষধর পিট ভাইপার সাপেদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এমন একটি ঝোপঝাড়ময় এলাকা অতিক্রম করলেন খুব সাবধানে।
দুই ঘণ্টা হাঁটার পর বিংহ্যাম ও তাঁর সঙ্গীরা এক কুঁড়ের সামনে চলে এলেন। সেখান থেকে স্থানীয় দুজন কৃষক তাঁদের কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক ছেলের দায়িত্বে ছেড়ে দিলেন। আর ওই ছেলের পেছনে পেছনে চলতে চলতে বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে এমন একটি কিছুর খোঁজ পেয়ে গেলেন, যাকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে। ২০০৭ সালে এই আবিষ্কার মানে মাচুপিচুর নাম ওঠে নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।
বিংহ্যাম যার খোঁজ পেলেন, সেটি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল এক পাথরের নগরী। শহরের দালান-কোঠাগুলোতে চুন-সুরকির মিশ্রণ ছাড়া একটার পর একটা পাথর গায়ে গায়ে এভাবে লেগে আছে যে একটি ছুরির ফলা ভেতরে ঢুকবে না। অবাক বিংহ্যাম ভাবলেন, কিন্তু কেন? কারাই বা এটা করল?
পেরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কালচারের একসময়কার পরিচালক ও পেরুভিয়ান বিশেষজ্ঞ লুই লামবরারারস পরে মাচুপিচুকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘প্রাসাদ, মন্দির, বসতঘর, গুদামের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক নগরী হিসেবে; যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় রীতি উদ্যাপন করা হতো।’
মাচুপিচুতে দালান, চত্বর আর চাতালগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সরু লেন বা পথের মাধ্যমে। শহরটির বিভিন্ন অংশ ঘিরে রাখা বেষ্টনী, পরিখা সবকিছু মিলিয়ে একে সামরিক ঘাঁটি মনে হলেও লামবরারারসের ধারণা ছিল এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপনীয় ধর্মীয় আচার পালনের জন্যই।
সেই ‘হারানো শহর’ নয়
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯১৩ সালের এপ্রিল সংখ্যায় বিংহ্যামের আবিষ্কারের কাহিনি ছাপা হয়। সেই সঙ্গে পেরুর পাহাড়রাজ্যের এই আশ্চর্য নগরী পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।
বিংহ্যামের বিশ্বাস ছিল, তিনি ইনকাদের সেই হারানো শহর ভিলকাবামবার খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে শেষ স্বাধীন ইনকা শাসক স্পেনীয় আক্রমণকারীদের সঙ্গে এক বছর মরণপণ লড়াই করেছিলেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী বিংহ্যামের ওই ধারণাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সত্যি হলো, বিংহ্যাম যে নগরী আবিষ্কার করেছেন, সেটি সেই হারানো শহর নয়, বরং নতুন এক হারানো শহর।
১৯৬৪ সালে অভিযাত্রী গেনে সেভয় ওই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তিনি প্রমাণ করেন, মাচুপিচুর পশ্চিমে এসপিরিতো পাম্পা হলো বিংহ্যামের খোঁজ করা সেই হারানো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও ১৯১১ সালের সেই অভিযানের সময় বিংহ্যাম এসপিরিতো পাম্পার সেই ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিলেন। ইনকাদের কিছু পাথরের দেয়াল আর সেতু খুঁজে বেরও করেছিলেন। তবে এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যান মাচুপিচুর দিকে। সেভয় বাকি বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান।

মাচুপিচু তাহলে কী?
সেভয়ের এই আবিষ্কারে একটা নতুন প্রশ্ন চলে এলো সামনে, তাহলে বিংহ্যামের সন্ধান পাওয়া শহরটির পরিচয় কী? স্প্যানিশদের কোনো নথিতে সেভাবে আসেনি মাচুপিচুর কথা। তার মানে, ইনকাদের রাজধানী কাস্কো থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হলেও ইউরোপীয় আক্রমণকারীরা এই নগরের খোঁজই পাননি আদতে। এমনকি এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও নেই কোনো তথ্য।
বিংহ্যাম ধারণা করেন, এখানে ইনকা সাম্রাজ্যের নির্বাচিত নারীদের রাখা হতো, যারা ইনকা রাজা ও তাঁর সভাসদদের সেবা করতেন। তিনি শতাধিক কঙ্কাল পান এলাকাটিতে। তাঁর মতে, এগুলোর ৭৫ শতাংশ নারীর। তবে পরবর্তী গবেষণায় এখানে বাস করা নারী-পুরুষের সংখ্যা মোটামুটি সমান ছিল বলেই প্রমাণ মেলে।

আধুনিক ধারণা
মাচুপিচু নিয়ে জন রো, রিচার্ড বারগার, লুসি সালাজারদের গবেষণায় অনুমান করা হয় ইনকা শাসক পাচাচুটি শহরটি স্থাপন করেন বিশ্রাম নেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে। বারগার যেমন মনে করেন অভিজাতরা যেন শহরে কোলাহল, কর্মব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বানানো হয় শহরটি।
আরেক গবেষক ব্রায়ান বউয়ারের ধারণা, ১৪৫০ সালের দিকে স্থাপন করা হয় শহরটি। এটির আয়তন ইনকা শহর বিবেচনায় বেশ ছোট। আর এখানে সাধারণত ৫০০-৭৫০ জন মানুষ থাকত।
কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, নির্মাণের ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সম্ভবত স্পেনীয়রা এ এলাকায় আগমনের আগেই শহরটির অধিকাংশ অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

মাচুপিচুতে কী দেখবেন
মাচুপিচু শব্দের অর্থ ‘পুরোনো পর্বত’। শহরটির অবস্থান পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার (৭ হাজার ৮৭৫ ফুট) উচ্চতায়। মাচুপিচুতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। প্রতিটি স্থাপনা, জায়গা বা জিনিসের নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ আছে। তবে সবই পুরাতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়। এই নগরীর মধ্যে ১৯৬টির মতো পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আছে মন্দির, ঝরনা, বসতঘরসহ আরও কত কী!
মাচুপিচু ভ্রমণের সময় প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এক দেয়াল দিয়ে আলাদা দুটি অংশ পাবেন। একটি অংশ মূলত কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত এলাকা, অপর অংশকে মূল শহর বলতে পারেন। কৃষি এলাকাটায় বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য ধাপে ধাপে কাটা জমি আর চাতাল চোখে পড়ে। সেখানেই ছোট ছোট কিছু বাড়ি আছে, ধারণা করা হয়, এগুলো কৃষকদের থাকার জায়গা।
অন্য অংশে পাবেন রাজাসহ অভিজাতদের বাড়ি। আছে শহরের বিভিন্ন আচার পালনের মূল কেন্দ্র প্লাজা সাগরাদা। এখানেই পাবেন ইনতিহুয়ানতানা পাথর, একে সূর্যপাথর নামেও চেনে। গ্রুপো দেল কনডর নামে পরিচিত ধর্মীয় আচার পালনের মন্দির এলাকার অবস্থানও এখানে।

আপাতত বন্ধ মাচুপিচুর দুয়ার
মাচুপিচুতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাস্কো শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপবেন কিংবা শুরু করবেন হাঁটা। ট্রেনে চাপলে পৌঁছাবেন এগুয়েস কেলুয়েন্তেস স্টেশনে। এখান বাসের ছোট্ট একটি ভ্রমণই আপনাকে পৌঁছে দেবে ইনকাদের রহস্যময় নগরী মাচুপিচুর কাছে।
তবে আপাতত চাইলে আশ্চর্য সুন্দর জায়গাটিতে যেতে পারবেন না। পেরুর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাচুপিচু ও ইনকা ট্রেইল আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ। কাজেই পরিকল্পনা করতে থাকুন, আপনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে এবং যোগাড়যন্ত্র শেষ করতে করতে আশা করা যায় ইনকা নগরীর দুয়ার খুলে যাবে আবার!
সুত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, পেরু.ট্র্যাভেল, উইকিপিডিয়া
ইশতিয়াক হাসান

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আপাতত পর্যটক প্রবেশ বারণ ইনকাদের শহরটিতে। তবে মাচুপিচু নিয়ে লেখাপড়ায় নিশ্চই বাধা নেই।
অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার
১৯১১ সালের ২৪ জুলাই, সকাল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম পেরুর প্রাচীন ইনকা ধ্বংসাবশেষের কিংবদন্তি সত্যি কি না, তা অনুসন্ধানে বের হয়েছেন। তাঁর সঙ্গী দুজন গাইড। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ করে এগোতে হচ্ছে তাঁকে। হামাগুড়ি দিয়ে গাছের গুঁড়ির একটি প্রাকৃতিক সেতু পেরোলেন। তারপর বিষধর পিট ভাইপার সাপেদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এমন একটি ঝোপঝাড়ময় এলাকা অতিক্রম করলেন খুব সাবধানে।
দুই ঘণ্টা হাঁটার পর বিংহ্যাম ও তাঁর সঙ্গীরা এক কুঁড়ের সামনে চলে এলেন। সেখান থেকে স্থানীয় দুজন কৃষক তাঁদের কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক ছেলের দায়িত্বে ছেড়ে দিলেন। আর ওই ছেলের পেছনে পেছনে চলতে চলতে বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে এমন একটি কিছুর খোঁজ পেয়ে গেলেন, যাকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে। ২০০৭ সালে এই আবিষ্কার মানে মাচুপিচুর নাম ওঠে নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।
বিংহ্যাম যার খোঁজ পেলেন, সেটি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল এক পাথরের নগরী। শহরের দালান-কোঠাগুলোতে চুন-সুরকির মিশ্রণ ছাড়া একটার পর একটা পাথর গায়ে গায়ে এভাবে লেগে আছে যে একটি ছুরির ফলা ভেতরে ঢুকবে না। অবাক বিংহ্যাম ভাবলেন, কিন্তু কেন? কারাই বা এটা করল?
পেরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কালচারের একসময়কার পরিচালক ও পেরুভিয়ান বিশেষজ্ঞ লুই লামবরারারস পরে মাচুপিচুকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘প্রাসাদ, মন্দির, বসতঘর, গুদামের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক নগরী হিসেবে; যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় রীতি উদ্যাপন করা হতো।’
মাচুপিচুতে দালান, চত্বর আর চাতালগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সরু লেন বা পথের মাধ্যমে। শহরটির বিভিন্ন অংশ ঘিরে রাখা বেষ্টনী, পরিখা সবকিছু মিলিয়ে একে সামরিক ঘাঁটি মনে হলেও লামবরারারসের ধারণা ছিল এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপনীয় ধর্মীয় আচার পালনের জন্যই।
সেই ‘হারানো শহর’ নয়
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯১৩ সালের এপ্রিল সংখ্যায় বিংহ্যামের আবিষ্কারের কাহিনি ছাপা হয়। সেই সঙ্গে পেরুর পাহাড়রাজ্যের এই আশ্চর্য নগরী পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।
বিংহ্যামের বিশ্বাস ছিল, তিনি ইনকাদের সেই হারানো শহর ভিলকাবামবার খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে শেষ স্বাধীন ইনকা শাসক স্পেনীয় আক্রমণকারীদের সঙ্গে এক বছর মরণপণ লড়াই করেছিলেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী বিংহ্যামের ওই ধারণাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সত্যি হলো, বিংহ্যাম যে নগরী আবিষ্কার করেছেন, সেটি সেই হারানো শহর নয়, বরং নতুন এক হারানো শহর।
১৯৬৪ সালে অভিযাত্রী গেনে সেভয় ওই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তিনি প্রমাণ করেন, মাচুপিচুর পশ্চিমে এসপিরিতো পাম্পা হলো বিংহ্যামের খোঁজ করা সেই হারানো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও ১৯১১ সালের সেই অভিযানের সময় বিংহ্যাম এসপিরিতো পাম্পার সেই ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিলেন। ইনকাদের কিছু পাথরের দেয়াল আর সেতু খুঁজে বেরও করেছিলেন। তবে এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যান মাচুপিচুর দিকে। সেভয় বাকি বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান।

মাচুপিচু তাহলে কী?
সেভয়ের এই আবিষ্কারে একটা নতুন প্রশ্ন চলে এলো সামনে, তাহলে বিংহ্যামের সন্ধান পাওয়া শহরটির পরিচয় কী? স্প্যানিশদের কোনো নথিতে সেভাবে আসেনি মাচুপিচুর কথা। তার মানে, ইনকাদের রাজধানী কাস্কো থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হলেও ইউরোপীয় আক্রমণকারীরা এই নগরের খোঁজই পাননি আদতে। এমনকি এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও নেই কোনো তথ্য।
বিংহ্যাম ধারণা করেন, এখানে ইনকা সাম্রাজ্যের নির্বাচিত নারীদের রাখা হতো, যারা ইনকা রাজা ও তাঁর সভাসদদের সেবা করতেন। তিনি শতাধিক কঙ্কাল পান এলাকাটিতে। তাঁর মতে, এগুলোর ৭৫ শতাংশ নারীর। তবে পরবর্তী গবেষণায় এখানে বাস করা নারী-পুরুষের সংখ্যা মোটামুটি সমান ছিল বলেই প্রমাণ মেলে।

আধুনিক ধারণা
মাচুপিচু নিয়ে জন রো, রিচার্ড বারগার, লুসি সালাজারদের গবেষণায় অনুমান করা হয় ইনকা শাসক পাচাচুটি শহরটি স্থাপন করেন বিশ্রাম নেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে। বারগার যেমন মনে করেন অভিজাতরা যেন শহরে কোলাহল, কর্মব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বানানো হয় শহরটি।
আরেক গবেষক ব্রায়ান বউয়ারের ধারণা, ১৪৫০ সালের দিকে স্থাপন করা হয় শহরটি। এটির আয়তন ইনকা শহর বিবেচনায় বেশ ছোট। আর এখানে সাধারণত ৫০০-৭৫০ জন মানুষ থাকত।
কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, নির্মাণের ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সম্ভবত স্পেনীয়রা এ এলাকায় আগমনের আগেই শহরটির অধিকাংশ অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

মাচুপিচুতে কী দেখবেন
মাচুপিচু শব্দের অর্থ ‘পুরোনো পর্বত’। শহরটির অবস্থান পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার (৭ হাজার ৮৭৫ ফুট) উচ্চতায়। মাচুপিচুতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। প্রতিটি স্থাপনা, জায়গা বা জিনিসের নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ আছে। তবে সবই পুরাতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়। এই নগরীর মধ্যে ১৯৬টির মতো পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আছে মন্দির, ঝরনা, বসতঘরসহ আরও কত কী!
মাচুপিচু ভ্রমণের সময় প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এক দেয়াল দিয়ে আলাদা দুটি অংশ পাবেন। একটি অংশ মূলত কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত এলাকা, অপর অংশকে মূল শহর বলতে পারেন। কৃষি এলাকাটায় বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য ধাপে ধাপে কাটা জমি আর চাতাল চোখে পড়ে। সেখানেই ছোট ছোট কিছু বাড়ি আছে, ধারণা করা হয়, এগুলো কৃষকদের থাকার জায়গা।
অন্য অংশে পাবেন রাজাসহ অভিজাতদের বাড়ি। আছে শহরের বিভিন্ন আচার পালনের মূল কেন্দ্র প্লাজা সাগরাদা। এখানেই পাবেন ইনতিহুয়ানতানা পাথর, একে সূর্যপাথর নামেও চেনে। গ্রুপো দেল কনডর নামে পরিচিত ধর্মীয় আচার পালনের মন্দির এলাকার অবস্থানও এখানে।

আপাতত বন্ধ মাচুপিচুর দুয়ার
মাচুপিচুতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাস্কো শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপবেন কিংবা শুরু করবেন হাঁটা। ট্রেনে চাপলে পৌঁছাবেন এগুয়েস কেলুয়েন্তেস স্টেশনে। এখান বাসের ছোট্ট একটি ভ্রমণই আপনাকে পৌঁছে দেবে ইনকাদের রহস্যময় নগরী মাচুপিচুর কাছে।
তবে আপাতত চাইলে আশ্চর্য সুন্দর জায়গাটিতে যেতে পারবেন না। পেরুর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাচুপিচু ও ইনকা ট্রেইল আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ। কাজেই পরিকল্পনা করতে থাকুন, আপনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে এবং যোগাড়যন্ত্র শেষ করতে করতে আশা করা যায় ইনকা নগরীর দুয়ার খুলে যাবে আবার!
সুত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, পেরু.ট্র্যাভেল, উইকিপিডিয়া

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। পেরুতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আপাতত পর্যটক প্রবেশ বারণ ইনকাদের শহরটিতে। তবে মাচুপিচু নিয়ে লেখাপড়ায় নিশ্চই বাধা নেই।
অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার
১৯১১ সালের ২৪ জুলাই, সকাল। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম পেরুর প্রাচীন ইনকা ধ্বংসাবশেষের কিংবদন্তি সত্যি কি না, তা অনুসন্ধানে বের হয়েছেন। তাঁর সঙ্গী দুজন গাইড। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পথ করে এগোতে হচ্ছে তাঁকে। হামাগুড়ি দিয়ে গাছের গুঁড়ির একটি প্রাকৃতিক সেতু পেরোলেন। তারপর বিষধর পিট ভাইপার সাপেদের আড্ডাখানা হিসেবে পরিচিত এমন একটি ঝোপঝাড়ময় এলাকা অতিক্রম করলেন খুব সাবধানে।
দুই ঘণ্টা হাঁটার পর বিংহ্যাম ও তাঁর সঙ্গীরা এক কুঁড়ের সামনে চলে এলেন। সেখান থেকে স্থানীয় দুজন কৃষক তাঁদের কিছুটা পথ এগিয়ে দিয়ে ছোট্ট এক ছেলের দায়িত্বে ছেড়ে দিলেন। আর ওই ছেলের পেছনে পেছনে চলতে চলতে বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে এমন একটি কিছুর খোঁজ পেয়ে গেলেন, যাকে বিবেচনা করা হয় বিংশ শতকের সেরা প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার হিসেবে। ২০০৭ সালে এই আবিষ্কার মানে মাচুপিচুর নাম ওঠে নতুন সপ্তাশ্চর্যের তালিকায়।
বিংহ্যাম যার খোঁজ পেলেন, সেটি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল এক পাথরের নগরী। শহরের দালান-কোঠাগুলোতে চুন-সুরকির মিশ্রণ ছাড়া একটার পর একটা পাথর গায়ে গায়ে এভাবে লেগে আছে যে একটি ছুরির ফলা ভেতরে ঢুকবে না। অবাক বিংহ্যাম ভাবলেন, কিন্তু কেন? কারাই বা এটা করল?
পেরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কালচারের একসময়কার পরিচালক ও পেরুভিয়ান বিশেষজ্ঞ লুই লামবরারারস পরে মাচুপিচুকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘প্রাসাদ, মন্দির, বসতঘর, গুদামের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এক নগরী হিসেবে; যেখানে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় রীতি উদ্যাপন করা হতো।’
মাচুপিচুতে দালান, চত্বর আর চাতালগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত সরু লেন বা পথের মাধ্যমে। শহরটির বিভিন্ন অংশ ঘিরে রাখা বেষ্টনী, পরিখা সবকিছু মিলিয়ে একে সামরিক ঘাঁটি মনে হলেও লামবরারারসের ধারণা ছিল এই নিরাপত্তাব্যবস্থা গোপনীয় ধর্মীয় আচার পালনের জন্যই।
সেই ‘হারানো শহর’ নয়
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের ১৯১৩ সালের এপ্রিল সংখ্যায় বিংহ্যামের আবিষ্কারের কাহিনি ছাপা হয়। সেই সঙ্গে পেরুর পাহাড়রাজ্যের এই আশ্চর্য নগরী পৃথিবীর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়ে যায়।
বিংহ্যামের বিশ্বাস ছিল, তিনি ইনকাদের সেই হারানো শহর ভিলকাবামবার খোঁজ পেয়েছেন, যেখানে শেষ স্বাধীন ইনকা শাসক স্পেনীয় আক্রমণকারীদের সঙ্গে এক বছর মরণপণ লড়াই করেছিলেন। প্রায় অর্ধশতাব্দী বিংহ্যামের ওই ধারণাই সত্যি বলে ধরে নিয়েছিল সবাই। তবে সত্যি হলো, বিংহ্যাম যে নগরী আবিষ্কার করেছেন, সেটি সেই হারানো শহর নয়, বরং নতুন এক হারানো শহর।
১৯৬৪ সালে অভিযাত্রী গেনে সেভয় ওই শহরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করেন। তিনি প্রমাণ করেন, মাচুপিচুর পশ্চিমে এসপিরিতো পাম্পা হলো বিংহ্যামের খোঁজ করা সেই হারানো শহর। আশ্চর্যজনক হলেও ১৯১১ সালের সেই অভিযানের সময় বিংহ্যাম এসপিরিতো পাম্পার সেই ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পেয়েছিলেন। ইনকাদের কিছু পাথরের দেয়াল আর সেতু খুঁজে বেরও করেছিলেন। তবে এগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে যান মাচুপিচুর দিকে। সেভয় বাকি বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান।

মাচুপিচু তাহলে কী?
সেভয়ের এই আবিষ্কারে একটা নতুন প্রশ্ন চলে এলো সামনে, তাহলে বিংহ্যামের সন্ধান পাওয়া শহরটির পরিচয় কী? স্প্যানিশদের কোনো নথিতে সেভাবে আসেনি মাচুপিচুর কথা। তার মানে, ইনকাদের রাজধানী কাস্কো থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত হলেও ইউরোপীয় আক্রমণকারীরা এই নগরের খোঁজই পাননি আদতে। এমনকি এর অস্তিত্ব সম্পর্কেও নেই কোনো তথ্য।
বিংহ্যাম ধারণা করেন, এখানে ইনকা সাম্রাজ্যের নির্বাচিত নারীদের রাখা হতো, যারা ইনকা রাজা ও তাঁর সভাসদদের সেবা করতেন। তিনি শতাধিক কঙ্কাল পান এলাকাটিতে। তাঁর মতে, এগুলোর ৭৫ শতাংশ নারীর। তবে পরবর্তী গবেষণায় এখানে বাস করা নারী-পুরুষের সংখ্যা মোটামুটি সমান ছিল বলেই প্রমাণ মেলে।

আধুনিক ধারণা
মাচুপিচু নিয়ে জন রো, রিচার্ড বারগার, লুসি সালাজারদের গবেষণায় অনুমান করা হয় ইনকা শাসক পাচাচুটি শহরটি স্থাপন করেন বিশ্রাম নেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে। বারগার যেমন মনে করেন অভিজাতরা যেন শহরে কোলাহল, কর্মব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, সে জন্য বানানো হয় শহরটি।
আরেক গবেষক ব্রায়ান বউয়ারের ধারণা, ১৪৫০ সালের দিকে স্থাপন করা হয় শহরটি। এটির আয়তন ইনকা শহর বিবেচনায় বেশ ছোট। আর এখানে সাধারণত ৫০০-৭৫০ জন মানুষ থাকত।
কোনো কোনো গবেষকের ধারণা, নির্মাণের ১০০ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। সম্ভবত স্পেনীয়রা এ এলাকায় আগমনের আগেই শহরটির অধিকাংশ অধিবাসী গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল।

মাচুপিচুতে কী দেখবেন
মাচুপিচু শব্দের অর্থ ‘পুরোনো পর্বত’। শহরটির অবস্থান পেরুর উরুবাম্বা উপত্যকায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৪০০ মিটার (৭ হাজার ৮৭৫ ফুট) উচ্চতায়। মাচুপিচুতে দেখার মতো অনেক কিছু আছে। প্রতিটি স্থাপনা, জায়গা বা জিনিসের নিজস্ব ইতিহাস, অর্থ আছে। তবে সবই পুরাতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের বিচারে অতুলনীয়। এই নগরীর মধ্যে ১৯৬টির মতো পর্যটন স্পট আছে। এর মধ্যে আছে মন্দির, ঝরনা, বসতঘরসহ আরও কত কী!
মাচুপিচু ভ্রমণের সময় প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ এক দেয়াল দিয়ে আলাদা দুটি অংশ পাবেন। একটি অংশ মূলত কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত এলাকা, অপর অংশকে মূল শহর বলতে পারেন। কৃষি এলাকাটায় বিভিন্ন ফসল চাষের জন্য ধাপে ধাপে কাটা জমি আর চাতাল চোখে পড়ে। সেখানেই ছোট ছোট কিছু বাড়ি আছে, ধারণা করা হয়, এগুলো কৃষকদের থাকার জায়গা।
অন্য অংশে পাবেন রাজাসহ অভিজাতদের বাড়ি। আছে শহরের বিভিন্ন আচার পালনের মূল কেন্দ্র প্লাজা সাগরাদা। এখানেই পাবেন ইনতিহুয়ানতানা পাথর, একে সূর্যপাথর নামেও চেনে। গ্রুপো দেল কনডর নামে পরিচিত ধর্মীয় আচার পালনের মন্দির এলাকার অবস্থানও এখানে।

আপাতত বন্ধ মাচুপিচুর দুয়ার
মাচুপিচুতে যেতে হলে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে কাস্কো শহরে। সেখান থেকে ট্রেনে চাপবেন কিংবা শুরু করবেন হাঁটা। ট্রেনে চাপলে পৌঁছাবেন এগুয়েস কেলুয়েন্তেস স্টেশনে। এখান বাসের ছোট্ট একটি ভ্রমণই আপনাকে পৌঁছে দেবে ইনকাদের রহস্যময় নগরী মাচুপিচুর কাছে।
তবে আপাতত চাইলে আশ্চর্য সুন্দর জায়গাটিতে যেতে পারবেন না। পেরুর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মাচুপিচু ও ইনকা ট্রেইল আপাতত পর্যটকদের জন্য বন্ধ। কাজেই পরিকল্পনা করতে থাকুন, আপনি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হতে এবং যোগাড়যন্ত্র শেষ করতে করতে আশা করা যায় ইনকা নগরীর দুয়ার খুলে যাবে আবার!
সুত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, পেরু.ট্র্যাভেল, উইকিপিডিয়া

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। ১৯১১ সালের ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে খোঁজ পেয়ে যান শহরটির।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।
অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে হওয়া ‘সোমাটিক সিম্পটম’ বা শারীরিক প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে একটি হলো অ্যাংজাইটি ইচিং বা সাইকোজেনিক চুলকানি। উদ্বিগ্নতার তীব্রতা বেশি হলে করটিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেরোটোনিন বা ডোপামিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার ফলেও অনেক সময় চুলকানি শুরু হয়। এই সমস্যা সাধারণত মাথার তালু, মুখ বা পিঠের উপরিভাগে বেশি দেখা যায়। তাই মানসিক চাপের কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসকের সহায়তা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তা ছাড়া মেডিটেশন বা ইয়োগা করা যেতে পারে; পাশাপাশি চুলকানি কমাতে ভালো মানের ময়শ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে, পর্যাপ্ত পানি পান করাসহ অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম পানি দিয়ে গোসল এড়াতে হবে। ডা. তাহরিয়াত আহমেদ শরীফ, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিসিন বিভাগ, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা
মানসিক চাপের কারণে চুলকানি কেন হয়
উদ্বেগ ও চুলকানি আপাতদৃষ্টে সম্পর্কহীন মনে হলেও এই দুটি একে অপরের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে জড়িত। মানসিক চাপের প্রভাবে শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দেয়, যেগুলোর ফলে চুলকানি হয়। যেমন—
স্ট্রেস হাইভস: মানসিক চাপের কারণে অনেক সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। ফলে শরীরে চুলকানিযুক্ত ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
ঘামাচি বা র্যাশ: উদ্বেগের ফলে ঘাম বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ঘামাচি বা র্যাশ দেখা দেয়। এগুলো খুবই চুলকায় এবং ২ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
বিদ্যমান রোগ বাড়িয়ে দেওয়া: যাদের আগে থেকে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের সমস্যা আছে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ তাদের এই রোগগুলো আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে যায়।
চুলকানির তীব্রতা বৃদ্ধি: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সামান্য চুলকানির তীব্রতাও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়, যা রোগীর কাছে অসহনীয় মনে হতে পারে।
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণের কিছু উপায়
অ্যাংজাইটি ইচিং নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে মানসিক চাপের কারণ বের করে তার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে আরাম পাওয়া যেতে পারে। সেগুলো হলো—
কীভাবে অ্যাংজাইটি ইচিং নির্ণয় করা হয়
প্রথমে চিকিৎসক চুলকানির শারীরিক কারণ; যেমন পোকামাকড়ের কামড়, ত্বকের শুষ্কতা, একজিমা বা অ্যালার্জি আছে কি না, তা নির্ণয় করা হয়। তারপর ডায়াবেটিস, অ্যানিমিয়া বা থাইরয়েডের মতো রোগগুলোও খতিয়ে দেখা হয়। সঠিক সিদ্ধান্তে আসার জন্য রোগীর মানসিক স্বাস্থ্যসহ সম্পূর্ণ রোগের সব তথ্য চিকিৎসককে জানাতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসক নিশ্চিত হবেন, চুলকানি মানসিক চাপের জন্য হচ্ছে, নাকি অন্য কোনো কারণে। মানসিক চাপের জন্য চুলকানি হচ্ছে নিশ্চিত হলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসক উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন
কারণ ছাড়া অতিরিক্ত চুলকানি অনেক সময় কোনো অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে। মূল কারণ জানা এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অ্যাংজাইটি ইচিং যদি আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত করে, ত্বকে সংক্রমণ বা গুরুতর ক্ষতি করে বা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায়ও না কমে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এ ছাড়া চুলকানির সঙ্গে জ্বর, রাতে ঘাম হওয়া বা অস্বাভাবিক হারে ওজন কমার মতো লক্ষণ থাকলেও দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই অ্যাংজাইটি ইচিংয়ের মতো সমস্যা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
সূত্র: স্টাইলক্রেজ ও অন্যান্য

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। ১৯১১ সালের ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে খোঁজ পেয়ে যান শহরটির।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে। এই খাবারগুলো কেবল খাদ্য নয় বরং শিল্পের এক একটি অংশ হয়ে উঠেছে। আর তাই এরা তাদের ক্রেতাদের কাছে ক্ষমতা, প্রাচুর্য এবং এক বিশেষ জীবনযাত্রার প্রতীক।
সবচেয়ে দামি খাবারের তালিকায় প্রথমে আসে সেই মাটির নিচের রহস্য। যা সোনার চেয়েও মূল্যবান। ইতালির পিডমন্ট অঞ্চলের স্থানীয় সাদা ট্রাফল এমনই এক ছত্রাক, যা অত্যন্ত দুর্লভ ও ব্যয়বহুল। একবার চীনের ম্যাকাও-এর এক ক্যাসিনো মালিক প্রায় দেড় কেজি ওজনের একটি ট্রাফল ৩,৩০, ০০০ ডলারে কিনেছিলেন। টাকায় হিসাব করলে যার দাম হয় ৪ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা। অন্যদিকে, মসলার জগতে রাজা হলো জাফরান। যাকে ডাকা হয় ’লাল সোনা’ নামে। এক কেজি জাফরান তৈরি করতে হাজার হাজার ফুল লাগে। এ জন্য এর দাম পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মসলার স্থানে নিয়ে গেছে। ফরাসি দ্বীপ নুয়ারমুতিয়ে-তে জন্মানো লা বোনোটে আলুর ক্ষেত্রেও সেই বিরলতা দেখা যায়। বিশেষ পরিবেশে ও শৈবালের কারণে এদের প্রতি কেজির দাম প্রায় ৬০০ ডলার বা ৭৩,১৭৮ টাকা।
মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের জগতেও রয়েছে মহাযজ্ঞের ছোঁয়া। জাপানের ওয়াগিউ বিফ কেবল সুস্বাদুই নয়, এর পেছনের প্রক্রিয়াটিও রাজকীয়। এই গরুগুলোকে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। এমনকি প্রতিদিন মালিশও করা হয়। যার ফলস্বরূপ এর ১০০ গ্রাম মাংসের দাম প্রায় ৫০ ডলার। অর্থাৎ ৬০৯৯ টাকা। আরও একধাপ এগিয়ে, ২০১৯ সালে জাপানে একটি স্নো ক্র্যাব। যা নিলামে বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৪৬,০০০ ডলারে। তবে সামুদ্রিক খাবারের মুকুট হলো অ্যালমাস ক্যাভিয়ার। এই বিরল বেলুগা ক্যাভিয়ার প্রতি কেজি ৩৪,৫০০ ডলারে বিক্রি হয়ে থাকে। যার বাংলাদেশি মূল্য দাঁড়ায় ৪২,০৮৩১০ টাকা। যা সত্যিকারের বিলাসিতার প্রতিচ্ছবি। অন্যদিকে, স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ইবেরিকো হ্যাম-এর এক পা বা লেগ ৪,৫০০ ডলারের মতো দামে বিক্রি হওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

রেস্টুরেন্টে গেলে ৮০০ টাকা থাকে শুরু করে ৩০০০ টাকায় পিৎজা পাওয়া যায়। তবে ১২,০০০ ডলার বা ১,৪৬৩, ৭৬০ টাকার পিৎজা কখনো শুনেছেন? আপনি না শুনে থাকলেও পৃথিবীতে তা আছে। পিৎজা নির্মাতা রেনাটো ভায়োলা তৈরি করেছিলেন লিউস XIII পিৎজা। যার উপাদানগুলোর মধ্যে ছিল তিন ধরনের ক্যাভিয়ার। আবার স্কটল্যান্ডের ডোমিনিকো ক্রলা-এর তৈরি পিৎজা রয়্যাল ০০৭ বিকোয় ৪,২০০ ডলারে। যেখানে কগনাক-এ ম্যারিনেট করা লবস্টার ও শ্যাম্পেনে ভেজানো ক্যাভিয়ার ব্যবহার করা হয়েছিল। মেক্সিকোর গ্র্যান্ড ভেলাস রিসোর্টে পাওয়া গ্র্যান্ড ভেলাস লস কাবোস টাকো। যার মূল্য ২৫,০০০ ডলার, যেখানে ছিল কোবে বিফ এবং সোনা-মিশ্রিত টর্টিলা। এমনকি নিউ ইয়র্কের একটি সাধারণ গ্রিলড চিজ স্যান্ডউইচও যখন শ্যাম্পেনে ভেজানো রুটি আর সোনার ফ্লেক্সের সঙ্গে আসে, তখন সেই কুইন্টেসেনশিয়াল গ্রিলড চিজ-এর দাম দাঁড়ায় ২১৪ ডলার।
মিষ্টি এবং পানীয়ের ক্ষেত্রেও বিলাসিতা তার ছাপ ফেলেছে। পেস্ট্রি শেফ জেওং হং-ইয়ংটো এক মাস সময় নিয়ে একটি ক্রিসমাস কেক তৈরি করেছিলেন, যাতে ছিল ২২৩টি হিরা, আর এর দাম ছিল অবিশ্বাস্য ১.৭ মিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, জাপানি ফলগুলোর মধ্যেও রয়েছে রাজকীয়তা। একটি ডেনসুকে ওয়াটারমেলন নিলামে ৬,১০০ ডলারে বিক্রি হয়েছিল এবং দুটি ইউবারি কিং মেলন ৪৫,০০০ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। পানীয়ের ক্ষেত্রে, ১৯৫২ সালের বিরল টুলিবার্ডিন হুইস্কির একটি বোতলের দাম ৪১,০০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। তবে প্রকৃতির অদ্ভুত খেয়ালের ফল হলো কপি লুয়াক কফি। সিভেট ক্যাট বা গন্ধগোকুলের হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি এই কফি প্রতি কেজি প্রায় ৭০০ ডলারে বিক্রি হয়।
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। ১৯১১ সালের ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে খোঁজ পেয়ে যান শহরটির।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর
১৪ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

আপনি যদি ২৫ সালের শেষে এসে বারবার ভাবেন, "সময় কোথায় গেল? " তবে জেনে রাখুন, এই অনুভূতি কেবল আপনার একার নয়। সময় মুহূর্তের মধ্যে ফুরিয়ে যায় নদীর স্রোতের মতন। দেখতে দেখতে আমরা আরও একটি বছরের প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন করে ঘুরে দেখার আর অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ নিয়ে আসছে। আর এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে সাহায্য করার জন্য এয়ারবিএনবি প্রকাশ করেছে ২০২৬ সালের জন্য তাদের ভ্রমণ প্রবণতা পূর্বাভাস।
এই হোম-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী বছর ভ্রমণকারীরা তাদের ছুটি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে চাইবেন। যা হবে অভিজ্ঞতার কেন্দ্রিক। তাদের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় উঠে এসেছে। যা আপনাকেও বিশ্ব ভ্রমণের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে। এখানে উল্লিখিত পূর্বাভাসগুলো ইঙ্গিত দেয় যে ২০২৬ সালে ভ্রমণ হবে আরও সংক্ষিপ্ত, প্রকৃতির কাছাকাছি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভরপুর এবং অবশ্যই খাদ্য-কেন্দ্রিক। আপনিও আপনার পরবর্তী ভ্রমণের জন্য এই নতুন ধারাগুলো বিবেচনা করতে পারেন।

জেনও জিদের আলট্রা-শর্ট আন্তর্জাতিক ট্রিপ
২০২৬ সালে ভ্রমণের সংজ্ঞাই পাল্টে দিচ্ছে জেনারেশন জি বা জেন জি। বিশাল, বহু-সপ্তাহব্যাপী ভ্রমণের পরিকল্পনাকে ভুলে যান। জেন জি আমাদের শেখাচ্ছে কীভাবে ৪৮ ঘণ্টা বা তারও কম সময়ে যেকোনো স্থানে উড়ে যাওয়া যায়। এয়ারবিএনবি-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জেন জি রা ’কুইক ট্রিপ’-এর ধারণাটি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। দীর্ঘ অবকাশের তুলনায় তাদের ১-২ দিনের আন্তর্জাতিক যাত্রা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিকটক-এর ভাইরাল ডে-ট্রিপ ট্রেন্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, এই তরুণ প্রজন্ম সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ, উচ্চ-শক্তির অভিজ্ঞতার জন্য মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছে। এয়ারবিএনবি বলছে, জেন জি রা কর্মবিরতি সর্বাধিক ভাবে ব্যবহার করার এক নতুন কৌশল দেখাচ্ছে। তারা শান্ত সমুদ্র সৈকতের বদলে বেছে নিচ্ছে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহাসিক স্থান এবং খাঁটি খাবারে পূর্ণ প্রাণবন্ত শহুরে অভিজ্ঞতা। এই প্রজন্মের পছন্দের গন্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বুয়েনোস আইরেস (আর্জেন্টিনা), বুসান (দক্ষিণ কোরিয়া), কো সামুই (থাইল্যান্ড), মারাকেশ (মরক্কো), মেক্সিকো সিটি (মেক্সিকো), সান জুয়ান (পুয়ের্তো রিকো) এবং স্টকহোম (সুইডেন)।
প্রকৃতির সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানো
প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করা ২০২৫ সালেও একটি জনপ্রিয় প্রবণতা ছিল। আর ২০২৬ সালে এটি আরও বেগবান হবে। এয়ারবিএনবি জানিয়েছে যে বিশ্বজুড়ে জাতীয় উদ্যানগুলির প্রতি অনুসন্ধান এবং আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি জাতীয় উদ্যানের কাছাকাছি থাকার জায়গা খোঁজার হার আগামী বছরের জন্য ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গ্রেট স্মোকি মাউন্টেনস, শেনানডোহ এবং গ্র্যান্ড টেটনের মতো মার্কিন পার্কগুলোর শতবর্ষ উদ্যাপনের কারণে সেগুলোর প্রতি আগ্রহ আরও বাড়ছে। বৈশ্বিক গন্তব্যগুলোর মধ্যে স্যামারিয়া জর্জ ন্যাশনাল পার্কের কাছাকাছি গ্রিসের ক্রিট, ভিয়েনা, ইন্ডিয়ার গোয়া এবং ইতালির সার্ডিনিয়ার মতো স্থানগুলো ভ্রমণকারীদের নজরে রয়েছে।

বড় ইভেন্টগুলোর টানে ভিড় জমছে
২০২৬ সালে ভ্রমণকারীরা বড় ধরনের সাংস্কৃতিক, খেলাধুলা এবং সংগীত অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে তাদের যাত্রা পরিকল্পনা করছেন। এয়ারবিএনবি-এর তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরের জন্য শীর্ষ-অনুসন্ধান করা তারিখ এবং শহরগুলোর ৬৫ শতাংশই প্রধান ইভেন্টগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। যেমন ফিফা বিশ্বকাপ, কার্নিভাল বা কোচেলা। ভ্রমণকারীরা এই অভিজ্ঞতাগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, যেন টিকিটই তাদের পাসপোর্টে পরিণত হচ্ছে। কার্নিভালের জন্য রিউ দে জানেরো, কোচেলার জন্য ইন্ডিয়ো, মার্ডি গ্রাস-এর জন্য নিউ অর্লিন্স এবং ২০২৬ অলিম্পিক উইন্টার গেমসের জন্য ইতালির মিলান শীর্ষ অনুসন্ধান তালিকায় রয়েছে।
একক ভ্রমণের পুনরুত্থান
একাকী ভ্রমণ বা সোল ট্রাভেল আবার তার কৃতিত্ব ফিরে পাচ্ছে। স্ব-আবিষ্কারের অনলাইন আলোচনায় উৎসাহিত হয়ে, একক ভ্রমণকারীরা এখন কেবল পুরোনো জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন না বরং নতুন হটস্পট আবিষ্কার করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইডিল্ডওয়াইল্ড, ডোমিনিকান রিপাবলিকের লা আলতাগ্রেসিয়া এবং নরওয়ের ট্রোমসো-এর মতো জায়গাগুলোতে অনুসন্ধান তিন অঙ্কের বৃদ্ধি দেখছে। অন্যান্য জনপ্রিয় একক ভ্রমণের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে পর্তুগালের আলগার্ভ অঞ্চল, স্পেনের কোস্টা দেল সল, ফ্লোরিডা কিস এবং স্কটল্যান্ডের ইনভারনেস।
রন্ধনশিল্পের প্রতি আকর্ষণ
২০২৬ সালের জন্য খাবার ও পানীয় সম্পর্কিত ভ্রমণ যেন একেবারে আগুন ঝরাচ্ছে। যেখানে বেকারি ক্লাস এবং ওয়াইন অঞ্চলগুলো শীর্ষে রয়েছে। প্যারিসে ক্রোসঁ তৈরির ক্লাস বা টোকিওতে মোচি বানানো শেখার মতন হাতে-কলমে অভিজ্ঞতার দিকে ভ্রমণকারীরা ঝুঁকছেন। ভাইরাল হওয়া টিকটক ফুড ভিডিওগুলো বিশ্বজুড়ে বেকারি এবং রান্নার ক্লাসের প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে। ওয়াইন-প্রেমীরা বেঙ্গালুরু (ভারত), ফিঙ্গার লেকস (নিউ ইয়র্ক), মেলবোর্ন (অস্ট্রেলিয়া)-এর মতো উঠতি ওয়াইন অঞ্চলগুলিতে যাচ্ছেন। বেকারি-হটস্পটগুলোর মধ্যে ইস্তাম্বুল, লিসবন, প্যারিস, তাইপে এবং টোকিও বিশেষ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
সূত্র: ট্রাভেল+লিজার

পেরুর দুর্গম পার্বত্য এলাকায় সবুজের মাঝে আশ্চর্য সুন্দর এক ইনকা নগরী মাচুপিচু। বহু বছর আগেই পরিত্যক্ত এই শহরের ধ্বংসাবশেষের দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পর্যটক আর গবেষকদের কাছে। ১৯১১ সালের ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক ও অভিযাত্রী হিরাম বিংহ্যাম অপ্রত্যাশিতভাবে খোঁজ পেয়ে যান শহরটির।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের শরীর ও মন পরস্পর ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। আমরা যখন দুশ্চিন্তা করি বা মানসিক চাপে থাকি, তখন শরীরে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়; যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এর ফলে অনেক সময় শরীরে চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার মতো হতে পারে। এই অবস্থাকেই বলে ‘অ্যাংজাইটি ইচিং’ বা উদ্বেগজনিত চুলকানি।...
৬ ঘণ্টা আগে
বিলাসিতা কেমন হতে পারে? এর উত্তর খুঁজতে গেলে আমাদের চোখ চলে যায় পৃথিবীর সেই সব বিরল উপাদানের দিকে, যেগুলোর মূল্য প্রায় আকাশছোঁয়া। এই উপাদানগুলোর দুর্লভতা এবং অনন্যতাই তাদের করে তুলেছে বিশেষ। যারা জীবনের সেরা জিনিসগুলোর খোঁজ করেন তাদের জন্য এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারা একটি বিশেষ চাহিদা হতে পারে।
১২ ঘণ্টা আগে