Ajker Patrika

বিশ্বে পানি সংকট যেসব কারণে

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ১১: ৪০
বিশ্বে পানি সংকট যেসব কারণে

পানি ছাড়া কারও পক্ষে বাঁচা সম্ভব নয়। নানাভাবে পানি আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। তবে পৃথিবীর মোট পানির কেবল ১ শতাংশ আমাদের জন্য ব্যবহারযোগ্য। বাকি ৯৯ শতাংশই লবণাক্ত, বরফ কিংবা পাতাল দিয়ে প্রবাহিত। গোটা বিশ্বেই এখন পানির সংকট। আর এই সমস্যার বেশ কয়েকটি কারণ আছে। এই সংকট চাষাবাদ থেকে মানুষের স্বাস্থ্য—সবকিছুতেই প্রভাব বিস্তার করছে। বিশ্ব পানি দিবসে পৃথিবীজুড়ে পানিসংকটের প্রধান কারণগুলো তুলে ধরছি পাঠকদের জন্য। 

জলবায়ু পরিবর্তন
স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজুড়ে পানির সংকটের একটি বড় কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। আবার জলবায়ু পরিবর্তনের বড় একটি কারণ বন-জঙ্গল উজাড়। এতে যেসব জায়গায় বনাঞ্চল কাটা পড়ে, তার আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা যায় বেড়ে। আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট খরায় ৮০ শতাংশ জমি পতিত থেকে যাচ্ছে। এদিকে মুদ্রার অপর পিঠ যদি চিন্তা করেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মিষ্টি পানির উৎসগুলোকে লবণাক্ত করে ফেলছে। তার মানে, ওই পানি আর মানুষের ব্যবহারের উপযোগী থাকছে না। 

মোজাম্বিকে বন্যায় উপচে পড়া পানির এক নদী ধরে সাইকেল নিয়ে পেরোতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে। ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড়ে সেখানকার অবকাঠামোর অনেক ক্ষতি হয়প্রাকৃতিক দুর্যোগ
ইউনিসেফের এক রিপোর্টে দেখা যায় ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ৭৫ শতাংশ পানিসংক্রান্ত। এর মধ্যে যেমন আছে খরা, তেমনি আছে বন্যা। বন্যায় পরিষ্কার পানির অনেক উৎস নষ্ট কিংবা দূষিত হয়ে যায়। এতে শুধু যে মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব দেখা দেয় তা নয়, পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়রিয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। 

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে এক নারীকে পানি নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছেযুদ্ধ আর সংঘাত
সিরিয়ার বর্তমান সমস্যা একে পানিসংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কারণ যুদ্ধে বিশুদ্ধ পানির জন্য প্রয়োজনীয় অনেক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে দেশটিতে বাস করা বিপুলসংখ্যক মানুষের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এদিকে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অন্য একটি বিষয় আমাদের চোখের সামনে চলে এসেছে। দেখা যায় সশস্ত্র বিভিন্ন গ্রুপ গ্রামগুলোর কুয়া ও পানির বিভিন্ন উৎসকে টার্গেট করছে। ক্ষুধাকে যেমন যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, অনেকটা সেভাবে সংঘাতে ব্যবহার করা হচ্ছে পানিকে।

ব্যবহৃত পানি
কখনো কখনো কোনো এলাকায় দেখা যায় প্রচুর পানি আছে, যদিও এই পানি পান করার জন্য নিরাপদ কি না, সেটা আলাদা বিষয়। পৃথিবীর অনেক জায়গায়ই ব্যবহার করা পানি সঠিকভাবে কাজে লাগানোর তেমন সুযোগ নেই। অর্থাৎ, মানুষের ব্যবহারের কারণে যেসব পানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেমন ঘরের বিভিন্ন কাপ-প্লেট ধোয়ার কাজে যে পানি ব্যবহার করা হয়। গোটা পৃথিবীর কথা বিবেচনা করলে দেখা যায়, বাসা-বাড়ির শতকরা ৪৪ শতাংশ পানি কোনো ধরনের বিশুদ্ধকরণ ছাড়া পুনরায় ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া ব্যবহার করা পানির ৮০ শতাংশ প্রকৃতিতে ফিরে যায় পুনরায় ব্যবহার কিংবা বিশুদ্ধকরণ ছাড়াই। কলেরা, টাইফয়েড, আমাশয়সহ নানা ধরনের রোগের কারণ এই ব্যবহৃত পানি বা ওয়াস্টওয়াটার। 

পানির অপচয়
পানির অপচয় পানিসংকটের একটি বড় কারণ। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ঘরের ছাদের ট্যাংকি উপচে পানি পড়া, অকারণে কল ছেড়ে রাখা ইত্যাদি। আপাতদৃষ্টিতে এগুলোকে ছোটখাটো বিষয় মনে হলেও এগুলো একসঙ্গে মেলালে বড় ধরনের পানি অপচয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্যে জানা যায় কোনো শহরের ৩০-৪০ শতাংশ পানি এভাবে অপচয় হয়। এভাবে পৃথিবীজুড়ে আনুমানিক ৯০ হাজার গ্যালন পানির অপচয় হয়। 

২০২১ সালের আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ১০ বছরের এক মেয়েকে পরিবারের জন্য পানি নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছেপানিবিষয়ক তথ্যের স্বল্পতা
পানি বিষয়ে তথ্য-উপাত্তের স্বল্পতাও পানি সমস্যায় ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘের পানিবিষয়ক রিপোর্টে ৩০০ কোটি মানুষের কাছ থেকে পানি ব্যবহারের ব্যাপারে কোনো তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। আর ওই সব মানুষের বাস এমন এলাকাগুলোতে, যেখানে তালিকার অন্য বিষয়গুলোও প্রভাব বিস্তার করছে। তার মানে, এসব মানুষ বিশুদ্ধ পানি পান করছে না এমন একটা আশঙ্কা থেকে যায়। আর যখন পৃথিবীর সব নদী, হ্রদ ও ব্যবহার উপযোগী পানির তথ্য পাওয়া যাবে, তখন পানিসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।

একসঙ্গে কাজ না করা
পানির অনেক উৎসই দুই কিংবা তার চেয়ে বেশি দেশের মধ্যে পড়েছে। তার মানে একসঙ্গে এর তত্ত্বাবধান করলে এগুলোর জন্য ভালো হবে। ধরুন কোনো একটি আন্তর্জাতিক নদী বা হ্রদের এক পাশের দেশটি একে পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ রাখতে সব ধরনের কাজ করেছে। কিন্তু অপর দেশটি একই ধরনের যত্ন না নিলে যে দেশটি নিয়ম মেনে চলেছে তার কাজও অনেকটা নষ্ট হয়ে যাবে। 

অবকাঠামোর অভাব
অনেক দেশেই পানির উৎসগুলো ঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব আছে। এতে যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে পরিষ্কার পানি পৌঁছানো বাধাগ্রস্ত হয়। এটা ঠিক, অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের অবকাঠামো স্থাপন খরচসাপেক্ষ। তবে পানির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি। 

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নলকূপের সামনে শিশুরাশরণার্থী সমস্যা
এটিও পানিসংকটের একটি কারণ। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থীরা আশ্রয় নেওয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। ফলে এসব জায়গায় পানির যে উৎস বা অবকাঠামো আছে, তার ওপর বাড়তি প্রভাব ফেলছে। অনেক সময়ই মানুষ যুদ্ধ কিংবা অন্য কোনো কারণে সীমান্ত পেরিয়ে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়। দেখা গেল যে জায়গাটিতে তারা আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে আগে থেকেই জলবায়ুজনিত সমস্যা কিংবা পানির সংকট আছে। 

সূত্র: কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইউএস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।

বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।

‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র‌্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র‌্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র‌্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।

দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।

শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’

ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।

জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, দিল্লির অবস্থা বিপজ্জনক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।

আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১৫.৫

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত