রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬)
পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না।
অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।
তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।
গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯)
কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)।
সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে।
এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬)
পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না।
অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।
তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।
গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯)
কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)।
সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে।
এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।
রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬)
পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না।
অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।
তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।
গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯)
কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)।
সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে।
এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
সব প্রাণের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর
আজকের তারাবিতে প্রথম তিলাওয়াত হবে রিজিক সম্পর্কিত আয়াত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।’ (সুরা হুদ: ৬)
পৃথিবীর জলে-স্থলে, বৃক্ষে-লতাগুল্মে আর বনে, গুহায়-গর্তে, আকাশে এবং পাতালে; যত স্থান হতে পারে এবং যত স্থানে প্রাণী থাকতে পারে, তাদের প্রত্যেকের আহারের ব্যবস্থা আল্লাহ তাআলা করে রেখেছেন। আকাশে বিচরণকারী সৃষ্টিজীবের জন্যও খাবার আছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অবস্থানকারী প্রাণীও সময়মতো খাবার পাচ্ছে। গর্তের ক্ষুদ্র পিপীলিকা কিংবা এর চেয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও আহার পাচ্ছে। মায়ের উদরে জন্ম নেওয়া শিশুর খাবার, ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য মায়ের বুকে দুধ—সবই আল্লাহর দায়িত্বে। সবার রিজিকদাতা তিনি। কারণ তিনি সব প্রাণীর মালিক। সকল প্রাণী তার দাস। তাই রিজিক নিয়ে কখনো ভয় করা যাবে না।
অনেকে আয়-রোজগার বা ভালো আর্থিক সুবিধার অজুহাতে বিয়ে করতে চান না, সন্তান নিতে চান না, এমন বিশ্বাস ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ পৃথিবীতে মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি করেছেন মানে তাকে রিজিক দেবেন। তাকে খাবার দেবেন। মানুষের কাজ হচ্ছে চেষ্টা করে যাওয়া। রিজিক অনুসন্ধান করা।
তবে আল্লাহ রিজিকের জিম্মাদার—কথাটির অর্থ এই নয় যে মানুষ তার জীবিকার জন্য আল্লাহর ওপর নির্ভর করে বসে থাকবে; বরং জীবিকার জন্য সবাইকে আল্লাহর ওপর ভরসা করে চেষ্টা চালাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে রিজিক খুঁজে নিতে হবে।
আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না
অদৃশ্যের খবর শুধু আল্লাহ তাআলা জানেন। তিনি ছাড়া পৃথিবীর কোনো নবী-রাসুল, ফেরেশতা, জিন, পীর-মাশায়েখ-আলেম; কেউ অদৃশ্যের খবর জানেন না। অনেকে মনে করেন, নবীরা গায়েবের (অদৃশ্য) খবর জানেন, এমন বিশ্বাস রাখলে ইমান থাকবে না। গায়েব তো ওই জ্ঞান, যা কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি জানা থাকে। মাধ্যম ছাড়া কোনো কিছু সরাসরি জানা একমাত্র আল্লাহর পক্ষেই সম্ভব। সৃষ্টির পক্ষে তা সম্ভব নয়। সৃষ্টি জ্ঞান লাভ করে বিভিন্ন মাধ্যমে। আল্লাহ নবীদের যা জানাতেন, তা জানতেন। মানুষকে যা জানান, তারা তা জানেন। এর বাইরে কোনো কিছু জানার ক্ষমতা কারও নেই।
গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ। অদৃশ্য জগৎ ও ভূপৃষ্ঠের অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি অবগত। অণু-পরমাণু সম্পর্কেও মহান আল্লাহ অবগত আছেন। আর গায়েবের জ্ঞানীও একমাত্র তিনি। এটা ইসলামের বিশ্বাসসমূহের একটি। এ বিষয়টি কোরআনে কারিমের আরও বহু আয়াতে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটি গায়েবের খবর, আমি আপনার প্রতি অহি প্রেরণ করছি। এর আগে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।’ (সুরা হুদ: ৪৯)
কোরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনি—সুরা ইউসুফ
সুরা ইউসুফ মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১১১। পবিত্র কোরআনের ১২ তম সুরা এটি। এ সুরায় ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা বিবৃত হয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই সুরার নাম সুরা ইউসুফ রাখা হয়েছে। আল্লাহ নিজে নবী ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনাকে ‘আহসানুল কাসাস’ তথা ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনি’ আখ্যায়িত করেছেন। এ সুরায় তাঁর ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্য নবী-রাসুলদের ঘটনা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড খণ্ডভাবে এবং একাধিকবার একই ঘটনা বর্ণিত হলেও নবী ইউসুফের বেলায় তা করা হয়নি।
ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্প
সুরা ইউসুফে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী ইউসুফ (আ.)-এর শৈশব, কৈশোর ও পরিণত বয়সের ঘটনা পূর্ণাঙ্গ ধারাবাহিকভাবে বলা হয়েছে। ইয়াকুব (আ.)-এর ছিল বারো সন্তান। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ ছিলেন অসম্ভব সুন্দর। তাঁর আচরণও ছিল মনে ধরার মতো। বাবা তাঁকে বেশ ভালোবাসতেন। ভালোবাসার অন্যতম কারণ হলো, ইউসুফ শৈশবে একটি বিস্ময়কর স্বপ্ন দেখেন, যা ছিল তার নবী হওয়ার শুভ বার্তা। এ ছাড়া ইউসুফ ছিলেন মা হারানো এতিম বালক ও ভাইদের মধ্যে ছোট। ইউসুফের প্রতি বাবার তুমুল ভালোবাসায় অন্য ভাইয়েরা হিংসায় জ্বলত। একদিন তারা বাবাকে বিনোদনের কথা বলে ইউসুফ (আ.)-কে নিয়ে জঙ্গলের কোনো এক কূপে ফেলে দেয়। তারা এসে বাবাকে ইউসুফের মৃত্যুর মিথ্যা সংবাদ দেয়। পুত্র শোকে কাঁদতে কাঁদতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন ইয়াকুব (আ.)।
সেই পথ ফেরা একটি কাফেলা পানির প্রয়োজনে কূপ থেকে বালতি ওঠাতেই ফুটফুটে সুন্দর ইউসুফকে দেখতে পায়। তারা তাঁকে মিসরে বিক্রি করে দেয়। মিসরের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কিনে নিয়ে যান। সেখানেই সে বড় থাকে। একদিন যৌবনে পা রাখেন ইউসুফ। সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তিনি ইউসুফকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন, ইউসুফ তা প্রত্যাখ্যান করেন।
জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেখানে ইউসুফ আল্লাহর পথে মানুষকে দাওয়াত দেন। অনেকে দাওয়াত গ্রহণ করে। সেসময় বাদশা একটি আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন। ইউসুফ সেই স্বপ্নের সঠিক ব্যাখ্যা দেন। ইউসুফের প্রতি বাদশাহর নজর পড়ে। কারাগার থেকে তাঁর মুক্তি মেলে। জুলেখা কর্তৃক অপবাদে ইউসুফের নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া, মিসরের মন্ত্রী হওয়া, বাবা ইয়াকুবের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়া, বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ ইত্যাদি কাহিনি আগামীকাল তারাবিতে তিলাওয়াত করা হবে।
এ ছাড়াও কোরআনের ব্যাপারে কাফেরদের সংশয়, দৃঢ়তার সঙ্গে ইসলামে অটল থাকা, জাতীয় জীবনে বিপর্যয়ের কারণ, বান্দার জন্য আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদি বিষয় আজকের তারাবির অংশে আলোচিত হয়েছে।

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ মিনিট আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখা
৩১ মার্চ ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখা
৩১ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখা
৩১ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ মিনিট আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ১২ তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা হুদের ৬ থেকে সুরা ইউসুফের ৫২ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে সৃষ্টিতত্ত্ব, পূর্ববর্তী নবীদের দাওয়াত, তাঁদের প্রতি নিজ সম্প্রদায়ের বিরূপ আচরণ, কাফেরদের প্রতি আল্লাহর আজাব এবং ইউসুফ (আ.)-এর জীবনের রোমাঞ্চকর গল্পসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখা
৩১ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৬ মিনিট আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে